ক্রেডিট কার্ড হারালে করণীয় - ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার উপায়
এখন কিন্তু 95% মানুষই এই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে থাকেন এবং তাদের সুবিধার্থে
তারা নিজের কাছে এই ক্রেডিট কার্ড রাখেন যাতে করে কোন ধরনের বিপদ আপদে না পড়তে
হয়। তারপর ও কিন্তু অনেক সময় অনেক ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। আপনার ক্রেডিট কার্ড
টি চুরি হতে পারে, ছিনতাই হতে পারে বা হারিয়ে যেতে পারে। ক্রেডিট কার্ড হারালে করণীয় বা কি কি
করতে পারেন।
এই আর্টিকেল টি আপনারা একটু মনোযোগ সহকারে পড়লে বুঝতে পারবেন। ক্রেডিট কার্ড
হারিয়ে গেলে কিন্তু অনেক ধরনের সমস্যা ই পড়তে হয়। সেক্ষেত্রে আপনাদের কে
কিন্তু এ বিষয় গুলো সম্পর্কে আগে থেকে জেনে রাখা উচিত। আপনারা যদি এ বিষয় গুলো
সম্পর্কে আগে থেকে অবগত হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু ক্রেডিট কার্ড হারালে করণীয় ও আর
কোন ধরনের সমস্যা হবে না আশা করি।
পোষ্টের সূচিপত্রঃ ক্রেডিট কার্ড হারালে করণীয়
ক্রেডিট কার্ড হারালে করণীয়
বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ কিন্তু এই ক্রেডিট কার্ড গুলো ব্যবহার করে থাকেন। তারা
নিজেদের কাছে এই ক্রেডিট কার্ড রাখতে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। অনেক সময়
নগদ টাকা থাকলে অনেক ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় সেক্ষেত্রে কিন্তু এই কার্ড গুলো
অনেক বেশি নিরাপদ এবং এই কার্ডের মাধ্যমে আপনি যেকোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবেন। ক্রেডিট কার্ড হারালে করণীয় বা আপনাদের শপিং, মার্কেটিং বা অন্যান্য কেনাকাটার ক্ষেত্রে, অন্যান্য কাজের
ক্ষেত্রে এই কার্ড গুলো আপনারা ব্যবহার করতে পারবেন।
কার্ডের ব্যবহার দিনে দিনে এত বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে মানুষ এখন শুধু মাত্র
এই কার্ড গুলো ব্যবহার করতে চাই। তারা নগদ টাকা নিজের সাথে ক্যারি করতে চাই না।
তবে এই ক্রেডিট কার্ড টি আমাদের সাবধানতার সাথে ব্যবহার করা উচিত এবং এটি কে সব
সময় সামলে রাখা উচিত। এই ক্রেডিট কার্ড যদি কখনো হারিয়ে যাই, চুরি হয়ে যায় বা
নষ্ট হয়ে যায়।
সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনাদের প্রাথমিক ভাবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কে জানাতে হবে। এই
কার্ড যদি কোন ভুল মানুষের হাতে পড়ে তাহলে কিন্তু আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স ফাঁকা
করে দিতে পারে বা আপনার অন্য কোন সমস্যায় ফেলতে পারে। সে ক্ষেত্রে কিন্তু অবশ্যই
সতর্ক থাকতে হবে। তার পর ও যদি কখনো ক্রেডিট কার্ড হারালে করণীয় তা হলোঃ
- আপনার এই এডিট কার্ডটি যদি হারিয়ে যায়। তাহলে আপনারা প্রথম পর্যায়ে বিষয়টা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কে জানাবেন।
- সব ধরনের ব্যাংকেই কিন্তু একটি করে হেল্পলাইন নাম্বার থাকে। যে নাম্বারটি তে আপনারা ২৪ ঘন্টা যেকোনো ধরনের সার্ভিস পেয়ে থাকবেন। তো আপনারা প্রাথমিক ভাবে সেই নাম্বারে ফোন করে ক্রেডিট কার্ড টি ব্লক করে দিবেন।
- ক্রেডিট কার্ড ব্লক করার সাথে সাথে কিন্তু আপনার ওই ক্রেডিট কার্ডের সমস্ত লেনদেন বন্ধ হয়ে যাবে।
- ইন্টারনেট ব্যাংকিং হয়ে থাকলে আপনি ব্যালেন্স টি চেক করবেন এবং আপনি যদি সেখানে কোন সন্দেহ জনক কিছু দেখেন তাহলে অবশ্যই ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।
- ব্যাংক কর্তপক্ষ জানার পর কিন্তু আপনাকে একটি মেইল দিবে এবং সেখানে আপনার কার্ডটি কবে হারিয়েছে এবং কত তারিখে হারিয়েছে বা কোথা থেকে হারিয়েছে সব কিছু ডিটেলস আপনাকে মেইল করে পাঠিয়ে দিবে।
- কার্ড হারানোর পর আপনি শুধু এটা খেয়াল রাখবেন যে আপনার ক্রেডিট কার্ড থেকে কোন প্রকার লেনদেন হচ্ছে কি না। যদি কোন প্রকার লেনদেন দেখে থাকেন তাহলে কিন্তু অবশ্যই এটি আবারো ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কে জানাই তে হবে।
- তবে ক্রেডিট কার্ড হারানোর পর ব্লক করে দিলে সেটি থেকে আর কেউ লেনদেন করতে পারে না এটি আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন।
- নতুন করে আপনি যদি আবার ক্রেডিট কার্ড নিতে চান তাহলে কিন্তু অবশ্যই আপনাকে থানায় যে একটা জিডি করতে হবে এবং সেই জিডির কপি নিয়ে ব্যাংকে যেতে হবে।
- ব্যাংকে গিয়ে নতুন করে আপনি আবার ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ক্রেডিট কার্ড হারালে করণীয় পরে আবেদন করার দুই সপ্তাহের ভিতরে আপনি কিন্তু আবার নতুন একটি ক্রেডিট কার্ড পেতে
পারেন।অনেক সময় কিন্তু এক ক্রেডিট কার্ড হারানোর থেকে বেশি ছিনতাই বা চুরি হয়ে
যায় তো সে ক্ষেত্রে আপনারা কিন্তু কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। ক্রেডিট কার্ডে
কিন্তু একটি করে পিন সেট করা থাকে আর এই পিন না জানলে কিন্তু কেউ ক্রেডিট কার্ড
ব্যবহার করে টাকা উঠাইতে পারবে না। তো সে ক্ষেত্রে কিন্তু অবশ্য ই পিন নাম্বারটা
ইম্পরট্যান্ট একটি জিনিস।
আপনারা যখন দেখবেন কোন ধরনের বিপদে পড়তে যাচ্ছেন বা পড়ে গিয়েছেন অলরেডি,সেখান
থেকে বের হওয়ার জন্য কৌশলে আপনারা পাসওয়ার্ডটি উল্টো দিক থেকে দিবেন। তাহলে
কিন্তু আপনার ব্যবহার করে তারা টাকা উঠাতে গেলে কিন্তু বিপদে পড়ে যাবে। এভাবে
করে এই ছিনতাই বা চুরি হয়ে যাওয়া কার্ড টি কিন্তু ব্লক হয়ে যেতে পারে আর আপনার
অ্যাকাউন্টটি বেঁচে যেতে পারে।
ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার উপায়
ক্রেডিট কার্ড নিতে গেলে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই যোগ্যতার পরিচয় দিতে হবে। আপনি
কিন্তু ইচ্ছে করলে এই ক্রেডিট কার্ড নিতে পারবেন না। ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে
কিন্তু বেশ কিছু রুলস রেগুলেশন আছে। আপনাকে কিন্তু সেই রুলস এবং কন্ডিশন গুলো
মানতেই হবে। না হলে কিন্তু আপনি ক্রেডিট কার্ড পাবেন না। ক্রেডিট কার্ডের
ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই স্বাবলম্বী এবং আর্থিক ভাবে সচ্ছল হতে হবে। কারণ ক্রেডিট
কার্ড গুলো কিন্তু একটি ঋণ পরিশোধের জন্য দেওয়া হয়ে থাকে।
ব্যাংকের থেকে ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ব্যাংকে দেখাতে হবে
যে আপনার সেই এবিলিটি বা যোগ্যতা রয়েছে। যে যেখান থেকে আপনি এই ঋণ টি পরিশোধ
করতে পারবেন।তিন টাইপের ব্যক্তিরা এই ক্রেডিট কার্ডগুলো নিতে পারবে। যেরকম একজন
স্টুডেন্ট হয়ে এবং একজন চাকরিজীবী বা একজন ব্যবসায়ী হয়ে এই ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার উপায়ঃ
- ১.ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার উপায় তো আপনি যদি ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড নিতে চান -
- তাহলে আপনার বয়স কত হবে ২১ বছরের উপরে।
- আপনার ব্যবসায়ের মেয়াদ হতে হবে এক বা দুই বছর।
- আপনার ব্যাংকিং লেনদেন থাকতে হবে 8 থেকে 9 লাখ টাকার মতো।
- এছাড়াও আপনার বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দিতে হবে। যেমন : এনআইডি কার্ড, ট্রেড লাইসেন্স, ছবি, রেফারেন্স ইত্যাদি সহ আরো ডকুমেন্টস কিন্তু লাগতে পারে।
- সব গুলো ডকুমেন্টস এবং এই যোগ্যতা গুলো যদি আপনার থাকে তাহলে আপনি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে এই ক্রেডিট কার্ডটি নিতে পারবেন।
- ২.ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার উপায় আপনি যদি আপনার আর চাকুরীর বাসা থেকে ক্রেডিট কাটিয়ে নিতে চান -
- তাহলে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই চাকুরীর বয়স হতে হবে ছয় মাসের উপরে।
- আপনার বয়স হতে হবে ২১ বছরের উর্ধ্বে।
- ব্যাংকের কাছে ছয় মাসের ব্যাংকিং লেনদেন দেখাতে হবে।
- আপনার চাকরিতে বেতন থাকতে হবে ২৫ হাজার থেকে ২৮ হাজার এর মতো।
- আপনার আর ও প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্টস দিতে হবে। যেমন: ধরেন আপনার এনআইডি কার্ড, ট্যাক্স, আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার, ছবি, রেফারেন্স ইত্যাদি সহ আরো প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্টস লাগতে পারে।এই সকল যোগ্যতা যদি আপনার থাকে তাহলে কিন্তু আপনি ক্রেডিট কার্ড নিতে পারবেন।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার নিয়ম
এখন কিন্তু কম বেশি প্রায় সব মানুষ ই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে থাকেন। অনেকেই
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা সঠিক নিয়ম জানেনা বা নতুন ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার পর
বুঝতে পারেন না যে কিভাবে এই ক্রেডিট কার্ডটি ব্যবহার করতে হবে। তাদের জন্য আজকের
আমার এই আর্টিকেলটি অনেক বেশি উপকারী হতে চলেছে। আপনারা যারা নতুন ক্রেডিট কার্ড
নিবেন ভাবছেন বা নিয়েছেন বাট ব্যবহার সম্পর্কে জানেন না।
তারা কিন্তু আজকে আমার এই আর্টিকেলটি পড়লে বুঝতে পারবেন যে কিভাবে সঠিক নিয়মে
একটু ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা যায়। সঠিক ভাবে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের জন্য
আপনাকে প্রথমে ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে একটু বিস্তারিত ভাবে জানতে হবে। সেখানে এই
সামনের পার্টে থাকে ক্রেডিট কার্ড নাম্বার, কার্ড হোল্ডারের নাম, মাস এবং তারিখ
দেওয়া থাকে। এবং পিছনের পার্ট টাই একটি সিক্রেট কোড দেওয়া থাকে।
- আপনারা যখন এই ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কোন লেনদেন করবেন তখন প্রথমে ক্রেডিট কার্ড নাম্বার বসাবেন।
- এর পর কার্ড হোল্ডারের নাম দিবেন।
- দিন এবং মাস টি সিলেক্ট করবেন।
- এরপর সিক্রেট যে কোডটা দেওয়া থাকবে সেটি দিয়ে দিবেন।
- এই ক্রেডিট কার্ডে আপনার যে মেইলটি সেট করা থাকবে সেখানে একটি কোড যাবে।
- আপনি সেই কোডটির দিলেই কিন্তু এখান থেকে যেটি করতে চাচ্ছেন সেটির জন্য আপনার টাকা কেটে নিবে।
তবে আপনি যদি বুথ থেকে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে শুধুমাত্র টাকা উত্তোলন করতে
চান তাহলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু ক্রেডিট কার্ড নাম্বার এবং পিনটি দিলেই হয়ে যাবে।
ক্রেডিট কার্ড আপনারা সতর্কতার সাথে ব্যবহার করবেন কারন একটি ভুলের জন্য কিন্তু
আপনার কার্ডটি ব্লক হতে পারে এবং আপনি কিন্তু অন্যান্য সমস্যায় পড়তে
পারেন।
সে ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা ভালো। আপনাদের কে আরো একটি ব্যাপারে জানিয়ে
রাখি ক্রেডিট কার্ড কিন্তু মূলত ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই এই
কার্ড যদি হারিয়ে যাই বা কোনো ভাবে আপনার কার্ডটি চুরি হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে
কিন্তু তারা চাইলে আপনার এখান থেকে অনেক ভাবে ক্রেডিট কার্ড টির অপব্যবহার করতে
পারে। এটি থেকে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই আপনারা অবশ্য অবশ্যই
সতর্ক থাকবেন।
কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো
ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার মানুষের জীবনকে আরো সহজলভ্য করে তুলেছে। মানুষ আগে নগদ
টাকা নিজের সাথে ক্যারি করতে অনেক বেশি uncomfortable ফিল করতো। কিন্তু এখন
বর্তমানে মানুষ ক্রেডিট কার্ড অনেক স্বাচ্ছন্দের সাথে ব্যবহার করছে। মানুষ
ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে যে সুযোগ সুবিধা গুলো পেয়েছে তারা সেটাতে অনেক বেশি
হ্যাপি এবং সেই কারণেই কিন্তু দিনে দিনে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার অনেক বেশি
বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে অনেকেই আছেন যারা নতুন ক্রেডিট কার্ড
নেওয়ার ব্যাপারে ভাবছেন তবে বুঝতে পারছেন না যে কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড কি
ভালো হবে।
তো তাদের জন্য আমি সাজেস্ট করবো নিজের ability কতটুকু বা আপনি কতটুকু income করেন
সেটির উপর ডিপেন্ড করে আপনি ব্যাংক গুলোই খোঁজ নিয়ে ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার চিন্তা
ভাবনা করবেন। ক্রেডিট কার্ড যেহেতু একটি ঋণ পরিশোধ মূলক ব্যবস্থা এজন্য আপনাকে
অবশ্যই ভেবে চিন্তে কাজ করতে হবে। আর ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার আগে কিন্তু আপনাকে
অবশ্যই আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে হবে এবং কিছু যোগ্যতার পরিচয় দিতে হবে। আপনার যদি
এই গুলা না থাকে তাহলে কিন্তু আপনি ক্রেডিট কার্ড নিতে পারবেন না।
যে ব্যাংক গুলো ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে থাকে সেই ব্যাংক গুলোর এক একটির সার্ভিস
কিন্তু এক একেক রকমের সুবিধা প্রদান করে। তো আপনারা খোঁজ খবর নিবেন এবং আপনার
নিজের ইনকাম ও যোগ্যতার উপর ডিপেন্ড করেই আপনি ক্রেডিট কার্ড কোন ব্যাংক থেকে
নিবেন সেটি ডিসাইড করবেন। ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারী ব্যাংকগুলোর এক একটি সুবিধা
এক এক রকমের হওয়ার কারণে কিন্তু কোনটি ভালো সেটি বলা ঠিক হবে না। এটি পুরোটাই
আপনার উপর ডিপেন্ড করবে আপনি কোন ধরনের ব্যাংকের সাথে লেনদেন করতে চাচ্ছেন বা
আপনার ব্যক্তিগত জীবনের যোগ্যতা বা ইনকাম কতটুকু সেই অনুযায়ী আপনি ব্যাংক থেকে
ক্রেডিট কার্ড নিতে পারবেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড এর সুবিধা
ডাচ বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার কিন্তু অনেক ধরনের সুবিধা প্রদান করে
থাকেন তারা। ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট প্রকার ইস্যু ফি নেই, কোন বার্ষিক ফি নেই,
দেরি পেমেন্ট ফি নেই, কোন নগদ উত্তোলনের ফি নেই, ৫০ দিনের সুদ মুক্ত সময়কাল
রয়েছে, ফান্ড ট্রান্সফারের সুবিধা রয়েছে, বিনামূল্যে সম্পূরক কার্ড রয়েছে,
লেনদেনের সতর্কতা রয়েছে, ডিসকাউন্ট রয়েছে ইত্যাদি সুবিধা গুলো আপনারা পেয়ে
থাকবেন। যেগুলো অন্যান্য ব্যাংকে কিন্তু পাবেন না।
আরো পড়ুনঃঅনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
ডাচ বাংলা ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকে তুলনায় সবচেয়ে বেশি আর সুযোগ-সুবিধা প্রদান
করে থাকেন। আপনারা এই ডাচ বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
এখানকার সুযোগ সুবিধা দেখে আপনি নিজেই ডাচ বাংলা ব্যাংকের ফ্যান হয়ে যাবেন।
ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা তোলার নিয়ম
ক্রেডিট কার্ড কিন্তু মূলত ঋণ পরিশোধের জন্য দেওয়া হয়ে থাকে। ব্যাংকের থেকে
আপনি যে ঋণ টি নিবেন সেটি পরিশোধ করার জন্যই মূলত এই ক্রেডিট কার্ড দিয়ে থাকে।
তবে ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা তোলার নিয়মটি কিন্তু অনেকের কাছে অজানা থাকতেই
পারে। আজকে আর্টিকেলে আপনারা পুরো বিষয়ে সম্পর্কে সব টা জানতে পারবেন। ক্রেডিট
কার্ড থেকে আপনারা তিন ভাবে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন মোবাইল ব্যবহার করে,
ব্যক্তিগত চেক ব্যবহার করে এবং এটিএম বুথ ব্যবহার করে।
- এটিএম বুথ থেকে আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে টাকা তুলতে চান সে ক্ষেত্রে কিন্তু ব্যাংকের কাছে আপনাকে বড় এমাউন্টের একটি সুদ দিতে হবে। কারণ আপনি যখন ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা উঠাবেন সেটি কিন্তু ব্যাংকের থেকে নেওয়ার ঋণের টাকাটাই উঠাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে ব্যাংকের কাছে আপনাকে অবশ্যই সুদ প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে কিন্তু আপনার স্কোর পয়েন্টে অনেক বেশি খারাপ দিকে যেতে পারে। তাই এখান থেকে টাকা উত্তোলন না করাই ভালো।
- চেক ব্যবহার করেও কিন্তু ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা উত্তোলন করা যায়। তবে সে ক্ষেত্রেও আপনাকে ব্যাংকের কাছে ইন্টারেস্ট দিতে হবে। অন্যান্য ব্যাংকের এক চেকগুলো যেভাবে ব্যবহার করতে হবে। এখানেও সেম পদ্ধতিতে আপনারা চেক ব্যবহার করে ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
- ক্রেডিট এ কাজ ব্যবহার করে কিন্তু আপনারা মোবাইল ওয়ালেটে টাকা ট্রান্সফার করে সেখান থেকেও টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাদেরকে সেখানে চার্জ প্রদান করতে হবে।
- ক্রেডিট কার্ড থেকে এইভাবে টাকা উত্তোলন না করাই ভালো কারণ পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ব্যাংকের কাছে।
লেখক এর শেষ মন্তব্য
আজকে আমরা উপরে যে বিষয়গুলো ক্রেডিট কার্ড হারালে করণীয় সম্পর্কে জানলাম অনেকেরই হয়তো বা এই বিষয়গুলো
অজানা ছিল। আজকে কিন্তু তারা আমার এই আর্টিকেলটি থেকে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন।
আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে ক্রেডিট কার্ড রিলেটেড গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশাকরি আপনারা আজকের এই
আলোচনার পর থেকে ক্রেডিট কার্ড নিয়ে আর কোন সমস্যায় পড়বেন না এবং আপনারা যারা
নতুন ক্রেডিট কার্ড নিতে চান বা কোন ব্যাংকের কার্ড নিলে ভালো হবে সেই সব বিষয়
সম্পর্কে কিন্তু ধারণা পেয়ে গেছেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url