কতদিন লেনদেন না করলে ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়
আপনার যদি একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকে এবং আপনি যদি ওই ব্যাংকে অনেক দিন যাবত লেন দেন না করে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট টি বন্ধ হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে এক এক ব্যাংকের সার্ভিস এক এক রকমের হয়ে থাকে। তো আপনারা যারা একেবারে নতুন এবং আপনাদের একটি ব্যাংক একাউন্ট আছে যেটি তে আপনারা অনেক দিন যাবত লেনদেন করছেন না বা কতদিন লেনদেন না করলে ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়।
তারা কিন্তু আজকে আমার এই আর্টিকেল টি পড়লে বুঝতে পারবেন যে কত দিন লেনদেন না
করলে এই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়। কতদিন লেনদেন না করলে ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ হয়ে যায় সম্পর্কিত আরো অনেক তথ্য
সম্পর্কে আজ কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন এই আর্টিকেলে। তো চলুন শুরু করা যাক
আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয় বস্তু।
পোষ্টের সূচিপত্রঃ কতদিন লেনদেন না করলে ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়
- কতদিন লেনদেন না করলে ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়
- ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ না করলে কি কি অসুবিধা
- ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম
- ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করার দরখাস্ত
- বন্ধ ব্যাংক একাউন্ট চালু করার দরখাস্ত
- সোনালী ব্যাংকে কতদিন লেনদেন না করলে একাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়
- ব্যাংক একাউন্ট ট্রান্সফার করার দরখাস্ত
- লেখক এর শেষ মন্তব্য
কতদিন লেনদেন না করলে ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়
এক এক ধরনের ব্যাংক কিন্তু এক এক ধরনের সার্ভিস দিয়ে থাকেন এবং কোন ব্যাংকের কি
ধরনের সুবিধা রয়েছে। সেটি তখন আপনারা নিজেরা লেনদেন করলে তখন বুঝতে পারবেন। এমন
কিছু কিছু ব্যাংক রয়েছেন সেটি তে ছয় মাসের মতো লেনদেন বন্ধ করে রাখলে কিন্তু
আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট টি বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং অন্য আর ও যে ব্যাংকগুলো
রয়েছে তার মধ্যে কোন ব্যাংকে ১৮ মাস পর্যন্ত থাকলে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে
যায়,আবার কোন কোন তাতে এক বছর বা দুই বছর বন্ধ থাকলে ও কিন্তু ব্যাংক একাউন্ট
বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সে ক্ষেত্রে আপনাদের আগে সঠিক ভাবে জানতে হবে আপনি কোন ব্যাংকে লেনদেন করছেন এবং
সেই ব্যাংকের নির্দেশনা গুলো কি কি রয়েছে। সব ব্যাংক এর ই কিন্তু কিছু রুলস
রেগুলেশন থাকে। তবে আপনাদের অ্যাকাউন্ট এমনি এমনি বন্ধ করে দেওয়া হয় না। আপনারা
যখন অনেক দিন যাবত কোন লেনদেন করেন না তখন এমনি ই ব্যাংক থেকে কিন্তু ডেবিট
ক্রেডিট সার্ভিস গুলো আপনাদের বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ না করলে কি কি অসুবিধা
ব্যাংক একাউন্ট কিন্তু আমাদের কে অনেক ধরনের সুবিধা প্রদান করে থাকে এবং এক এক
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিন্তু একটি ব্যাংকের সার্ভিস এক এক রকম এবং তাদের সুবিধা
অসুবিধা গুলো একেক রকমের হয়ে থাকে। তো যে ব্যাংকটি তে আপনার অ্যাকাউন্ট রয়েছে
সেই ব্যাংকের লেনদেন করা অবস্থায় যদি কোন ভাবে আপনার অ্যাকাউন্টের সমস্যা হয় বা
আপনার পরিচিত কার্ড টি হারিয়ে যায়। আপনি কিন্তু আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট টি
প্রাথমিক ভাবে বন্ধ করে নিবেন। না হলে কিন্তু অনেক ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন।
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জিনিসটি যেমন ভালো তেমন খারাপ।
এখানে একটি ভুল সারা জীবনের কান্নার কারণ হতে পারে। এ জন্য আপনারা সাবধানে কাজ
করবেন এবং ব্যাংক একাউন্টে যদি কোন সমস্যা হয় বা দুষ্ট মানুষের হাতে আপনার
একাউন্টে পড়ে যায়,সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার অনেক ধরনের সমস্যা হবে এবং এই
সমস্যা গুলো থেকে বাচতে আপনারা প্রাথমিক ভাবে আপনাদের ওই ব্যাংক একাউন্ট টি বন্ধ
করা তে ব্যাংকে কর্তৃপক্ষের কাছে যোগাযোগ করবেন এবং আপনার সমস্যার কথা টি
বলবেন।
বলার পর তারা যে প্রসেস গুলো আপনাদের কে ফলো করতে বলবে আপনারা সেই প্রসেসে ই কাজ
করবেন। তাহলে কিন্তু আপনার অ্যাকাউন্ট টি বন্ধ করে দিতে পারবেন। একাউন্ট বন্ধ না
করলে অনেক ধরনের বিপদ হতে পারে। যেমন আপনার একাউন্ট থেকে কেউ টাকা হাতিয়ে নিতে
পারে,আবার আপনার একাউন্টের মাধ্যমে অসৎ পথে গিয়ে আপনার নামে অনেক খারাপ কাজ করতে
পারে,আপনার নামে ঋণ নিতে পারে অনেক ধরনের সমস্যায় কিন্তু হতে পারে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম
ডাচ বাংলা ব্যাংক কিন্তু অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে অন্যান্য ব্যাংকে
তুলনায়। তার পরে ও যদি ডাচ বাংলা ব্যাংক নিয়ে আপনার কোন সমস্যা থাকে, আপনি যদি
চান ডাচ বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিবেন। তাহলে কিন্তু আপনি যথেষ্ট
কারণ উল্লেখ করে একাউন্ট টি বন্ধ করিয়ে নিতে পারবেন। তার জন্য আপনা কে কিছু
গুরুত্বপূর্ণ প্রসেস ফলো করতে হবে। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারবেন
কি ভাবে ডাচ বাংলা ব্যাংকের একাউন্ট বন্ধ করতে হয়।
ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করার জন্য কিন্তু আপনা কে অবশ্যই সঠিক নিয়ম কানুন মেনে তার
পর বন্ধ করতে হবে। এ জন্য আপনা কে আগে জানতে হবে যে কোন নিয়ম গুলো আপনার জন্য
সঠিক এবং কোন নিয়মে আপনি একাউন্ট টি বন্ধ করতে পারবেন। তো চলুন আমরা সেটি দেখে
নিই। ডাচ বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার জন্য আপনাকে প্রথমে ডাচ বাংলা
ব্যাংকে যে শাখা থেকে আপনার একাউন্টে করা সেই শাখাতে চলে যেতে হবে। সাথে আপনার
প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্টস নিবেন এবং আপনা কে একটি দরখাস্ত করতে হবে।
দরখাস্তে লিখতে হবে আপনি কি জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট টি বন্ধ করতে চাচ্ছেন
বা কি ধরনের অসুবিধা আপনি এইখান থেকে ফেস করছেন। সমস্ত বিষয় আপনি সঠিক ভাবে
উল্লেখ করবেন। ডাচ বাংলা ব্যাংকের ওই শাখায় যে ম্যানেজার থাকবে সে যদি মনে করেন
যে আপনার ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট বন্ধের উল্লেখিত বিষয় টি ঠিক আছেন। তাহলে
কিন্তু আপনার ব্যাংক একাউন্ট টি বন্ধ করে দিবেন। তবে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার
আগে আপনার যদি ওই একাউন্টে কোন প্রকার টাকা থেকে থাকে তাহলে কিন্তু অবশ্য ই সেটি
উঠিয়ে নিবেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে আপনাকে যে ডকুমেন্টস গুলো দিয়েছিল যেমনঃ ধরেন এটিএম
কার্ড,চেক, ক্রেডিট কার্ড, বা অন্যান্য কোন ডকুমেন্টস যদি আপনা কে দিয়ে থাকে সে
গুলো কিন্তু অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার সময় আপনা কে ফেরত দিতে হবে। এর ভিতর থেকে যদি
একটি ডকুমেন্টস আপনি হারিয়ে ফেলেন বা নষ্ট করে ফেলেন।
তাহলে কিন্তু থানায় গিয়ে ওই ডকুমেন্টে হারানোর বিষয়ে একটি জিডি করতে হবে এবং
ওই দিদির কপিটি নিয়ে আপনাকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে অবশ্য ই জমা দিতে হবে। তার
পর আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট টি বন্ধ করে নিতে পারবেন। ব্যাংক একাউন্ট বন্ধের সঠিক
কারণ কিন্তু অবশ্য ই উল্লেখ করবেন। না হলে কিন্তু ব্যাংক একাউন্ট টি বন্ধ করে
দেওয়া হবে না।
ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করার দরখাস্ত
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার জন্য কিন্তু আপনা কে উপযুক্ত কারণ সহ একটি দরখাস্ত
ব্যাংকের নিকট প্রদান করতে হবে। তো সে ক্ষেত্রে আপনা কে সঠিক নিয়ম মেনে কিন্তু
দরখাস্ত লিখতে বা জানতে হবে। আপনি যদি এই বিষয় সম্পর্কে না জানেন তাহলে আজকে
আমার এই আর্টিকেল টি একটু ভালো করে মনোযোগ দিয়ে পড়লে বুঝতে পারবেন। আমি এখানে
সমস্ত বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ভাবে সব কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করব। আপনারা যে
ব্যাংকের একাউন্ট টি বন্ধ করার জন্য দরখাস্ত লিখবেন,, সেই ব্যাংকের নাম উল্লেখ
করে দরখাস্তটি লেখা শুরু করবেন।
তো প্রথমে আপনারা তারিখ দিবেন, তারপর ব্যবস্থাপক, তারপর কোন ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট
বন্ধ নিয়ে দরখাস্ত লিখতে চাচ্ছেন সেই ব্যাংকের নাম লিখবেন, এর পর নিচে আপনার
এড্রেসটি লিখবেন, তার পর যে কারণে ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করার আবেদন করতে চাচ্ছেন
সেই বিষয়টি উল্লেখ করবেন। এরপর আর জনাব দিয়ে আপনি আপনার দরখাস্তটি লেখা শুরু
করবেন।
দরখাস্তের ভিতর আপনি উপযুক্ত কারণ উল্লেখ করবেন। মাঝে কিন্তু আপনি ব্যাংক
একাউন্টের ডিটেলস গুলো উল্লেখ করে দিবেন। তারপর নিজের নাম ঠিকানা মোবাইল নাম্বার
লিখেই দরখস্তুতি শেষ করবেন এখন আমি আপনাদের সামনে উদাহরণ সহ দরখস্তু টি লিখে
দেখাচ্ছি।
তারিখ
ব্যবস্থাপক
.......ব্যাংক...
ঢাকা ১৮৬৪, মিরপুর ২
বিষয়ঃ ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করার আবেদন
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে আমি আপনার..............
..................
অতএব আপনার নিকট.......
নাম: লিমা
অ্যাকাউন্ট নম্বরঃ.....
মোবাইল নাম্বারঃ...
একাউন্ট বন্ধের নিয়ম কানুন গুলো সঠিক রেখে আপনারা আপনাদের মত করে এখানে যে কথা
গুলো লিখতে চাচ্ছেন বা যে বিষয় গুলো উল্লেখ করে আপনি একাউন্ট টি বন্ধ করতে
চাচ্ছেন সেগুলো সঠিক ভাবে লিখে দিবেন। আপনি দরখাস্তের ভিতর যত ভালো ভাবে একাউন্ট
বন্ধের বিষয়টি উল্লেখ করতে পারবেন, তত তাড়াতাড়ি আপনার একাউন্টে বন্ধ হয়ে
যাবে। একেক রকমের ব্যাংক কিন্তু এক এক রকমের সার্ভিস দিয়ে থাকে।
তো আপনার হয়তো ব্যাংকের সার্ভিস টি পছন্দ নাও হতে পারে বা যেকোনো বিষয়ে আপনি
কিন্তু বা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে নিতে পারেন। তবে আপনাকে যথেষ্ট কারণ উল্লেখ
করতে হবে ওই উক্ত ব্যাংকের একাউন্ট সম্পর্কে। ব্যাংক একাউন্ট বন্ধের বিষয়ে ও
আপনার উল্লেখিত বিষয়টি যদি যথার্থ হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু একাউন্টটি বন্ধ করে
দিবে।
আর যদি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে মনে হয় যে আপনার এই কারণটি তাদের জন্য যথার্থ
নয়, তাহলে কিন্তু তারা আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট টি বন্ধ করবে না। এই জন্য আপনি
চেষ্টা করবেন, যে সমস্যা টুকু আপনি ফেস করতে চান সেই সমস্যা টুকু সঠিক ভাবে তাদের
সামনে প্রেজেন্ট করার জন্য।
বন্ধ ব্যাংক একাউন্ট চালু করার দরখাস্ত
আপনি যদি ব্যাংক একাউন্টে অনেকদিন যাবত কোন লেনদেন না করে থাকেন,, তাহলে কিন্তু
আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট টি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আপনি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ফেস
করতে পারেন। ব্যাংক একাউন্ট তত দিন পর্যন্ত সচল থেকে যত দিন পর্যন্ত ওই
অ্যাকাউন্টের লেনদেন করা হয়। কিন্তু যদি ওই অ্যাকাউন্টটা অনেকদিন যাবত কোন লেনদেন
না করা হয় তাহলে কিন্তু চলতি হিসাব বা ডেবিট ক্রেডিট হিসাব গুলো বন্ধ হয়ে
যায়।
এক এক ধরনের ব্যাংক কিন্তু একেক রকমের সার্ভিস দিয়ে থাকেন প্রত্যেক টি ব্যাংকের
কিন্তু আলাদা আলাদা কিছু সুযোগ সুবিধা রয়েছেন এবং তারা কিন্তু এই সুযোগ-সুবিধা
গুলো শুধু মাত্র ওই ব্যাংকে একাউন্ট করা ব্যক্তিকেই দিয়ে থাকেন। এখানে কিছু
ব্যাংক রয়েছে যে গুলোতে মাত্র ৬ মাস লেনদেন বন্ধ থাকলে কিন্তু অ্যাকাউন্টটি বন্ধ
হয়ে যায়। আবার কিছু কিছু ব্যাংক রয়েছেন তারা এক থেকে দুই বছর বন্ধ থাকলে
ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করে দিয়ে থাকে। তো আপনারা যে কোন সমস্যায় পড়েন না কেন
অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলে চালু করার জন্য আবার আপনারা একটি দরখাস্ত করে যথার্থ
কারণটি উল্লেখ করে একাউন্টটি চালু করতে পারবেন।
তারিখ
ব্যবস্থাপক
.......ব্যাংক...
ঢাকা ১২৬৯, মিরপুর ১
বিষয়ঃ ব্যাংক একাউন্ট চালু করার আবেদন
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে আমি আপনার..............
..................
অতএব আপনার নিকট.......
নাম: রিমা
অ্যাকাউন্ট নম্বরঃ.....
মোবাইল নাম্বারঃ...
উপরোক্ত এই নিয়মে কিন্তু আপনি আপনার অ্যাকাউন্টটি চালু করতে পারবেন। এখানে
যথার্থ কারণ দেখাতে হবে আপনাকে আপনি যে সমস্যা গুলোর কারণে এখানে এতদিন যাবত
একাউন্টে কোন লেনদেন করতে পারেনি। সেই সমস্যা গুলো উল্লেখ করবেন।
অনেক সময় দেখা যায় যে আর্থিক সমস্যার কারণে কিন্তু ব্যাংক একাউন্টে লেনদেন করা
হয় না বা অন্যান্য সমস্যাও থাকতে পারে। তো আপনি সে গুলোকে যথার্থ যুক্তি দিয়ে
উল্লেখ করার চেষ্টা করবেন। নতুন করে আপনার ব্যাংক একাউন্ট সক্রিয় করতে আপনার
থেকে কিন্তু আবার চার্জ নিতে পারে। তো আপনারা ভয় পাবেন না। আপনারা যদি ব্যাংক
অ্যাকাউন্ট চালু করতে চান সে ক্ষেত্রে কিন্তু চালু করে নিতে পারবেন।
সোনালী ব্যাংকে কতদিন লেনদেন না করলে একাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়
যে কোনো ধরনের ব্যাংক একাউন্ট কিন্তু এমনি এমনি বন্ধ হয়ে যায় না। ব্যাংক
অ্যাকাউন্ট বন্ধের কিন্তু বেশ কিছু কারণ রয়েছে। আপনি যদি ওই একাউন্টে অনেক দিন
যাবত লেনদেন না করে থাকেন তাহলে কিন্তু ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়। ডেবিট
ক্রেডিট হিসাব নিকাশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আপনাদের যে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খোলা
থাকবে সেই ব্যাংকের সার্ভিস গুলো সম্পর্কে আগে থেকে জেনে রাখতে হবে। আজকে আমরা যে
বিষয় নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো সোনালী ব্যাংকে কত দিন লেনদেন না করলে একাউন্টটি
বন্ধ হয়ে যায়।
আপনারা কিন্তু অনেকেই নতুন আছেন যে সোনালী ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছেন এবং
কতদিন ধরে এই লেনদেন বন্ধ থাকলে আপনার একাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হবে সেটি আপনি
জানেন না বা জানতে আগ্রহী। তাহলে কিন্তু আজকে আমারে আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক
বেশি helpful হবে। সোনালী ব্যাংকে আপনারা যদি ছয় মাসের মত লেনদেন বন্ধ রাখেন
তাহলে কিন্তু আপনার অ্যাকাউন্ট টি ডেবিট ক্রেডিট হিসাব বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং
আপনার অ্যাকাউন্টটি নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হবে।
আপনি এই অ্যাকাউন্টে পরবর্তীতে আবার যদি লেনদেন করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে
দরখাস্ত দিয়ে ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিভিন্ন প্রসেস ফলো করে আপনাকে
একাউন্টটি চালু করে নিতে হবে। যেকোনো ব্যাংকেরই কিন্তু একটি নির্দিষ্ট নির্দেশনা
দেওয়া থাকে এবং সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আপনার যদি ব্যাংকিং লেনদেন করতে পারেন
তাহলে কিন্তু আপনাদের সক্রিয় থাকবে।
যদি আপনারা ছয় মাসের বেশি সময় ধরে অ্যাকাউন্টটি তে কোন প্রকার লেনদেন না করে
থাকেন তাহলে কিন্তু আপনার অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। অন্যান্য ব্যাংকে
কিন্তু আবার এক দুই বছর বা ৬ মাসের বেশি সময় ধরে লেনদেন না করলে বন্ধ করতে পারে।
তবে সোনালী ব্যাংকের ক্ষেত্রে আপনার ৬ মাস অতিক্রম করা যাবে না। ৬ মাস অতিক্রম
করলেই আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে।
ব্যাংক একাউন্ট ট্রান্সফার করার দরখাস্ত
ছোট থেকে বড় সব ধরনের মানুষেরই কিন্তু এখন ব্যাংকে একাউন্ট থাকে। ব্যাংক
একাউন্টের মাধ্যমে কিন্তু মানুষ খুব সহজেই লেনদেন করতে পারে এবং এখন কিন্তু
অনলাইন সার্ভিসে ও ব্যাংক একাউন্টের লেনদেন করা যায়। তবে অনেক সময় অনেক ধরনের
সমস্যা হতে পারে ব্যাংক একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করার প্রয়োজন হতে পারে। তখন
কিন্তু আপনি একটি দরখাস্ত লিখে আপনার প্রয়োজনীয় সব তথ্য দিয়ে এবং আপনার
সমস্যার কথাটি উল্লেখ করে আপনি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যালেন্স ট্রান্সফার করে
নিতে পারবেন। দরখাস্তটি আপনি যেভাবে লিখবেন -
তারিখ
ব্যবস্থাপক
.......ব্যাংক...
ঢাকা ২০৩৯, মিরপুর ৪
বিষয়ঃ ব্যাংক একাউন্ট ট্রান্সফার করার আবেদন
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে আমি আপনার..............
..................
অতএব আপনার নিকট.......
নাম: মুসকান
অ্যাকাউন্ট নম্বরঃ.....
মোবাইল নাম্বারঃ...
উপরের দরখাস্তে আপনারা সব কিছু কিন্তু সঠিক ভাবে ফিলাপ করবেন। সেখানে আপনার
সমস্যা গুলোর কথা আপনি সুন্দর করে উপস্থাপন করবেন। আপনার সমস্যাটি যদি সঠিক মনে
হয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে তাহলে কিন্তু আপনার ব্যাংক একাউন্ট টি তারা
ট্রান্সফার করে দিবে। দরখাস্তের ভিতর আপনি যে কথা গুলো লিখবেন আর সেগুলোর উপর
ভিত্তি করে কিন্তু আপনার পরবর্তী স্টেপটি আপনি যেতে কারবেন। মানে ব্যাংক
অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন।
লেখক এর শেষ মন্তব্য
আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু কতদিন লেনদেন না করলে ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ হয়ে যায় হিসেবে কিন্তু আপনাদের জন্য ছিল বিভিন্ন ধরনের
ব্যাংক জনিত সমস্যা গুলো সমাধান!! সহজে কিভাবে করবেন। আজকে আমি যতটা সম্ভব খুব
সহজ ভাবে আপনাদের কাছে এই সমস্যার সমাধান গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি
আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। যে যে ধারণা পেয়েছেন সেটি থেকে
কিন্তু এখন এই ব্যাংক জনিত সমস্যা গুলো সমাধান আপনারা নিজেরাই করতে পারবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url