অনলাইন খতিয়ান সম্পর্কে জানা অজানা কিছু তথ্য 2025
অনলাইন খতিয়ান হল জমির মালিকানার একটি সরকারি দলিল, যা অনলাইনে পাওয়া যায়। এটি জমির পরিচয় এবং মালিকানার প্রমাণ হিসাবে কাজ করে। আমরা অনেক এই বিষয়ে অনেক দূর্বল বললেই চলে । অনলাইন খতিয়ান সম্পর্কে জানা অজানা কিছু তথ্য 2025 বা অনলাইন খতিয়ান আমাদের অনেক সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছে এই ব্যবস্থায় জমির মালিকানা, ব্যবহার, আয়তন, এবং দামের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো একটি ডিজিটাল ফরমেটে থাকে। এর ফলে জমি সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।
অনলাইন খতিয়ান পাওয়ার জন্য সাধারণত ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে যেতে হয়। সেখানে
জমির মালিকের নাম, দাগ নম্বর, খতিয়ান নম্বর ইত্যাদি তথ্য দিয়ে খতিয়ান খুঁজে বের
করা যায়। এই প্রক্রিয়াটি অনেক সহজ এবং দ্রুত। তাই আমাদের মধ্যে যে পাঠক আজকের মূল
আলোচ্য বিষয়ের অনলাইন খতিয়ান সম্পর্কে জানা অজানা কিছু তথ্য 2025 প্রতি ধারণা নাই বা খুব অল্প আছে তারা একটু মনোযোগ সহকারে
আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আপনাদের জানা অজানা সব তথ্য সংগ্রহ করতে
পারবেন ইনশাআল্লাহ তাহলে চলুন মূল্য আলোচনায় যাওয়া যাক।
পোস্টের সূচিপত্রঃ অনলাইন খতিয়ান সম্পর্কে জানা অজানা কিছু তথ্য 2025
অনলাইন খতিয়ান সম্পর্কে জানা অজানা কিছু তথ্য 2025
অনলাইন খতিয়ান হল জমির মালিকানার একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এই দলিলটি জমির
মালিকের পরিচয়, জমির পরিমাণ, এবং জমির অবস্থান সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।
বর্তমানে, বাংলাদেশে অনলাইন খতিয়ান পাওয়ার সুবিধা রয়েছে। এর মাধ্যমে জমির
মালিকরা ঘরে বসেই তাদের জমির খতিয়ান সংগ্রহ করতে পারেন।অনলাইন খতিয়ান পাওয়ার
জন্য প্রথমে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর, জমির মালিককে
তার জমির তথ্য, যেমন জমির দাগ নম্বর, খতিয়ান নম্বর, এবং মালিকের নাম প্রদান করতে
হবে।
এই তথ্য প্রদানের পর, জমির মালিক তার খতিয়ানের একটি অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে
পারবেন।অনলাইন খতিয়ান পাওয়ার সুবিধা হল যে এটি সময় এবং অর্থ সাশ্রয় করে। জমির
মালিককে খতিয়ান সংগ্রহের জন্য ভূমি অফিসে যেতে হয় না। এছাড়াও, তারা খুব সহজেই
তাদের জমির খতিয়ান আপডেট করতে পারেন।তবে, অনলাইন খতিয়ান ব্যবহার করার সময় কিছু
সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।জমির মালিকানার প্রমাণ হিসেবে খতিয়ানের গুরুত্ব অনেক।
এই ডিজিটাল যুগে, অনলাইন খতিয়ান পাওয়ার সুবিধা নাগরিকদের জন্য অনেক উপকারী। এর
মাধ্যমে সময় ও হয়রানি কমেছে, এবং জমির তথ্য পাওয়া সহজ হয়েছে।
অনলাইন খতিয়ান সম্পর্কে জানা অজানা কিছু তথ্য 2025 অনলাইন খতিয়ান বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল সেবা।
খতিয়ান মূলত জমির মালিকানা, মালিকের নাম, জমির পরিমাণ, শ্রেণি, এবং অন্যান্য
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ধারণ করে। অনলাইন খতিয়ান সিস্টেম চালু হওয়ার মাধ্যমে জমির
তথ্য এখন দ্রুত এবং সহজে অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। নিচে অনলাইন খতিয়ান সম্পর্কে কিছু
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হলোঃ
- অনলাইন খতিয়ান কী?
- অনলাইন খতিয়ান কীভাবে পাওয়া যায়?
- অনলাইন খতিয়ানের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ।
- অনলাইন খতিয়ানের সুবিধা।
- অনলাইন খতিয়ান সংশোধনের প্রক্রিয়া।
- অনলাইন খতিয়ান যাচাই করার টিপস।
- ভবিষ্যতে অনলাইন খতিয়ানের সম্ভাবনা।
অনলাইন খতিয়ান অনুসন্ধান
খতিয়ান হলো একটি সরকারি দলিল যা কোনো জমির মালিকানার প্রমাণ। এতে জমির মালিকের
নাম, জমির পরিমাণ, জমির অবস্থান এবং অন্যান্য বিবরণ উল্লেখ করা থাকে।আর অন লাইন
খতিয়ান হলো
অনলাইন খতিয়ান হল জমির মালিকানার একটি সরকারি দলিল, যা বর্তমানে ডিজিটাল
পদ্ধতিতে তৈরি ও সংরক্ষণ করা হয়।
এটি জমির মালিকানা, ব্যবহার, আয়তন, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ধারণ করে।
অনলাইন খতিয়ান থাকার সুবিধা হলোঃ যে কেউ খুব সহজে এবং অল্প সময়ে অনলাইনে
খতিয়ানের তথ্য দেখতে পারে। এবং খতিয়ান তোলার জন্য ভূমি অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন
হয় না, ফলে সময় বাঁচে।তাছাড়াও অনলাইনে থাকার কারণে তথ্যের স্বচ্ছতা বজায় থাকে।
সর্বশেষ সুবিধা টি হলো ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষিত থাকায় তথ্যের নিরাপত্তা
নিশ্চিত হয়।
অনলাইনে খতিয়ান দেখার নিয়মঃ
- ১.ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে যানঃ প্রথমে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে যান।
- ২.খতিয়ান অনুসন্ধানঃ "খতিয়ান অনুসন্ধান" অপশনে ক্লিক করুন।
- ৩.তথ্য দিনঃ প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন জেলা, উপজেলা, মৌজা, এবং খতিয়ান নম্বর দিন।
- ৪.খতিয়ান দেখুনঃ আপনার খতিয়ানটি স্ক্রিনে প্রদর্শিত হবে।
- অনুসন্ধানঃ বর্তমানে, বাংলাদেশে অনলাইন খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য দুইটি প্রধান ওয়েবসাইট রয়েছেঃ
- ১.ভূমি তথ্য বাতায়নঃ এই ওয়েবসাইটে আপনি আরএস খতিয়ান এবং নামজারি খতিয়ান সহ বিভিন্ন ধরনের খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারবেন।
- অনুসন্ধান প্রক্রিয়াঃ০১
- ১.প্রথমে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
- ২.খতিয়ান অপশন থেকে আপনার প্রয়োজনীয় খতিয়ানের ধরন নির্বাচন করুন (যেমন: সার্ভে খতিয়ান, নামজারি খতিয়ান)।
- ৩.বিভাগ, জেলা, উপজেলা নির্বাচন করুন।
- ৪.মৌজা নির্বাচন করুন।
- ৫.খতিয়ান নম্বর লিখুন অথবা তালিকা থেকে নির্বাচন করুন।
- ৬. আপনার ফলাফল প্রদর্শিত হবে।
- ২. ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর: এই ওয়েবসাইটে আপনি বিভিন্ন ভূমি জরিপের অধীনে তৈরি খতিয়ানগুলির তথ্য অনুসন্ধান করতে পারবেন।
- অনুসন্ধান প্রক্রিয়াঃ০২
- ১.প্রথমে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
- ২."খতিয়ানের তথ্য অনুসন্ধান" অপশনে ক্লিক করুন।
- ৩.আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন বিভাগ, জেলা, উপজেলা, মৌজা, খতিয়ান নম্বর ইত্যাদি প্রদান করুন।
- ৪. আপনার ফলাফল প্রদর্শিত হবে।
- কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ঃ
- * খতিয়ান অনুসন্ধানের জন্য আপনার খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর, জমির মালিকের নাম বা অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য জানা থাকতে হবে।
- * যদি আপনার খতিয়ান নম্বর জানা না থাকে, তাহলে আপনি দাগ নম্বর বা জমির মালিকের নাম দিয়েও অনুসন্ধান করতে পারবেন।
ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান
ই-পর্চা (e-Porcha) হলো ভূমি মন্ত্রণালয়ের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে
জমির খতিয়ান এবং অন্যান্য ভূমি সংক্রান্ত নথি অনলাইনে পাওয়া যায়। এই
প্ল্যাটফর্মটি মূলত জমির মালিকদের জন্য তৈরি করা হয়েছে, যাতে তারা সহজেই তাদের
জমির তথ্য পেতে পারেন। ই-পর্চা থেকে খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য আপনাকে কিছু ধাপ
অনুসরণ করতে হবেঃ
- ১.প্রথমে, ই-পর্চার ওয়েবসাইটে যাবেন।
- ২.এরপর, "খতিয়ান অনুসন্ধান" অপশনটিতে ক্লিক করুন।
- ৩.আপনার জমির জেলার নাম নির্বাচন করুন।
- ৪.আপনার জমির উপজেলার নাম নির্বাচন করুন।
- ৫.আপনার জমির মৌজার নাম নির্বাচন করুন।
- ৬.খতিয়ান নম্বর লিখুন।
- ৭."অনুসন্ধান" অপশনটিতে ক্লিক করুন।
কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার জমির খতিয়ান আপনার স্ক্রিনে প্রদর্শিত হবে। আপনি চাইলে
এটি ডাউনলোড এবং প্রিন্ট করতে পারবেন।
ই-পর্চা ব্যবহার করার কিছু সুবিধাঃ
- সময় এবং শ্রমের সাশ্রয়ঃ জমির মালিকরা এখন ঘরে বসেই তাদের জমির খতিয়ান পেতে পারেন, যা আগে ভূমি অফিসে গিয়ে সংগ্রহ করতে হতো।
- স্বচ্ছতাঃ এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে জমির তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত, যা জমির মালিকদের মধ্যে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- দ্রুততাঃ অনলাইনে খতিয়ান পাওয়ার প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত এবং সহজ।
- ই-পর্চা ব্যবহার করে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করা একটি খুবই সহজ প্রক্রিয়া। এটি জমির মালিকদের জন্য খুবই উপকারী একটি উদ্যোগ।
দাগ ও খতিয়ান নং চেক
দাগ ও খতিয়ান হলো জমির মালিকানা এবং অবস্থানের পরিচয় বহনকারী দুটি গুরুত্বপূর্ণ
সংখ্যা। এই দুটি সংখ্যার মাধ্যমেই জমির মালিকানা এবং এর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত
হওয়া যায়। নিচে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
- ১.দাগ নম্বরঃ একটি মৌজার অন্তর্গত প্রতিটি জমিখণ্ডকে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যা দাগ নম্বর নামে পরিচিত। এই নম্বরটি জমির নকশায় উল্লেখ করা থাকে এবং এর মাধ্যমেই জমিটিকে শনাক্ত করা যায়।
- ২.খতিয়ান নম্বরঃ একটি মৌজার সকল জমিদারের নাম ও তাদের জমির বিবরণ একটি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়, যা খতিয়ান নামে পরিচিত। এই রেজিস্টারে প্রতিটি জমিদারের জন্য একটি নির্দিষ্ট নম্বর বরাদ্দ করা হয়, যা খতিয়ান নম্বর নামে পরিচিত। এই নম্বরের মাধ্যমেই জমিদারের মালিকানাধীন জমি সম্পর্কে জানা যায়।
দাগ ও খতিয়ান নম্বরের গুরুত্বঃ
- জমির মালিকানা প্রমাণঃ এই দুটি নম্বরের মাধ্যমেই জমির মালিকানা প্রমাণ করা যায়।
- জমি ক্রয়-বিক্রয়ঃ জমি ক্রয়-বিক্রয়ের সময় এই নম্বরগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- সরকারি কাজে ব্যবহারঃ জমি সংক্রান্ত যে কোনও সরকারি কাজে এই নম্বরগুলির প্রয়োজন হয়।
দাগ ও খতিয়ান নম্বর জানার উপায়ঃ
স্থানীয় ভূমি অফিসঃ স্থানীয় ভূমি অফিসে গিয়ে আপনি দাগ ও খতিয়ান নম্বর জানতে
পারবেন।
অনলাইন ভূমি রেকর্ডঃ বর্তমানে অনেক জেলায় অনলাইন ভূমি রেকর্ডের ব্যবস্থা রয়েছে।
আপনি চাইলে অনলাইনেও এই নম্বরগুলি জানতে পারবেন। ভূমি records-এর জন্য দাগ ও
খতিয়ান নং চেক করার জন্য সাধারণত নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করা হয় তা হলোঃ
- ১.প্রথমে, আপনাকে আপনার জমির নিকটস্থ ভূমি অফিস বা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে, আপনাকে আপনার জমির দাগ নম্বর এবং খতিয়ান নম্বর সম্পর্কে তথ্য প্রদান করতে হবে।
- ২.ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা আপনার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আপনার জমির রেকর্ড চেক করবেন এবং আপনাকে আপনার জমির দাগ নম্বর এবং খতিয়ান নম্বর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করবেন।
- ৩.আপনি চাইলে অনলাইন এর মাধ্যমেও আপনার জমির দাগ নম্বর এবং খতিয়ান নম্বর জানতে পারেন। এর জন্য আপনাকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট বা আপনার স্থানীয় ভূমি অফিসের ওয়েবসাইটে যেতে হবে। ওয়েবসাইটে গিয়ে, আপনাকে আপনার জমির বিভাগ, জেলা, উপজেলা এবং মৌজা নির্বাচন করতে হবে। এরপর, আপনাকে আপনার জমির দাগ নম্বর এবং খতিয়ান নম্বর লিখতে হবে। তারপর, আপনি আপনার জমির রেকর্ড দেখতে পারবেন।
- ৪.কিছু ক্ষেত্রে, আপনি আপনার জমির দাগ নম্বর এবং খতিয়ান নম্বর জানার জন্য স্থানীয় ভূমি জরিপ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
ভূমি মন্ত্রণালয় খতিয়ান অনুসন্ধান
বাংলাদেশের ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর অনলাইনে খতিয়ান অনুসন্ধানের সুবিধা
প্রদান করছে। আপনি তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের "খতিয়ান অনুসন্ধান" পৃষ্ঠায়
গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে আপনার খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারেন। এছাড়া,
ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমি তথ্য বাতায়নেও খতিয়ান সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যায়।
ভূমি মন্ত্রণালয় খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য আপনি এই দুইটি ওয়েবসাইট ব্যবহার
করতে পারেনঃ
- ১.ই-পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান।
- ২.অনলাইন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ ব্যবস্থাপনা।
এই ওয়েবসাইটগুলোতে আপনি আপনার জমির খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর এবং অন্যান্য
প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারবেন।তাছাড়া ও ভূমি মন্ত্রণালয়
খতিয়ান অনুসন্ধানের আরো বিশেষ কিছু ভূমিকা রয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের খতিয়ান
অনুসন্ধান ভূমি সংক্রান্ত তথ্য ও মালিকানার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার একটি
গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা। এর মূল ভূমিকা নিম্নলিখিতঃ
- ভূমির মালিকানা যাচাই
- খতিয়ানের মাধ্যমে ভূমির প্রকৃত মালিকানা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।
- মালিকানার ইতিহাস ও হস্তান্তরের তথ্য পাওয়া যায়।
- আইনি সুরক্ষা ও বিরোধ নিষ্পত্তি
- জমি সংক্রান্ত বিরোধ এড়াতে প্রকৃত মালিকানা যাচাই করা সহজ হয়।
- ভুয়া দলিল বা জালিয়াতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
- ভূমি উন্নয়ন পরিকল্পনা ও নীতিনির্ধারণ
- সরকারের ভূমি উন্নয়ন পরিকল্পনা ও নগরায়ণ প্রকল্পে সঠিক তথ্য সহায়তা করে।
- ভূমি ব্যবহার, শ্রেণিবিন্যাস ও কর নির্ধারণে সহায়তা করে।
- নাগরিক সেবা সহজীকরণ
- ডিজিটাল খতিয়ান অনুসন্ধানের মাধ্যমে সাধারণ জনগণ সহজেই ভূমির তথ্য পেতে পারে।
- অনলাইনে নামজারি, জমি বিক্রয় ও হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আসে।
অনলাইনে নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান
নামজারি খতিয়ান হল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমি নথি যা জমির মালিকানার প্রমাণ হিসেবে
কাজ করে। এই খতিয়ানে জমির মালিকের নাম, ঠিকানা, জমির পরিমাণ, দাগ নম্বর এবং
অন্যান্য বিবরণ উল্লেখ করা থাকে। অনলাইনে নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধানের জন্য, আপনি
এই ধাপগুলি অনুসরণ করতে পারেনঃ
- ১.ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে যাবেন।
- ২."খতিয়ান অনুসন্ধান" অপশনে ক্লিক করে।
- ৩.আপনার বিভাগ, জেলা, উপজেলা এবং মৌজা নির্বাচন করুন।
- ৪.আপনার খতিয়ান নম্বর বা দাগ নম্বর লিখবেন।
- ৫."অনুসন্ধান" বাটনে ক্লিক করবেন।
- ৬.আপনার খতিয়ান প্রদর্শিত হবে এরপর।
অনলাইনে নামজারি ও খতিয়ান সংক্রান্ত তথ্য বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় এবং
এলআরএস (Land Record and Survey) বিভাগের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়।
নামজারি কী?
নামজারি হল একটি প্রক্রিয়া যেখানে জমির মালিকানার পরিবর্তন হলে নতুন মালিকের
নামে জমির রেকর্ড সংশোধন করা হয়। এটি সাধারণত জমি ক্রয়-বিক্রয়, উত্তরাধিকার
সূত্রে প্রাপ্তি, দানপত্র, বা আদালতের রায়ের মাধ্যমে হয়ে থাকে।
অনলাইনে নামজারি আবেদন প্রক্রিয়া
আপনি e-Mutation ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে নামজারি আবেদন করতে পারেন।
- e-Mutation পোর্টালে প্রবেশ করতে হবে
- নতুন আবেদন করুন: আবেদনকারীর তথ্য, জমির দলিল, খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর ইত্যাদি প্রদান করুন।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করুন: দলিল, খারিজের কাগজ, হোল্ডিং ট্যাক্স রসিদ ইত্যাদি।
- আবেদন জমা দিন এবং ট্র্যাক করুন: আবেদন অনুমোদিত হলে এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হবে।
- নামজারি খতিয়ান সংগ্রহ করুন: অনুমোদনের পর সংশ্লিষ্ট উপজেলা ভূমি অফিস থেকে নামজারি খতিয়ান সংগ্রহ করতে পারবেন।
অনলাইন ই পর্চা e-porcha land gov bd
ই-পর্চা হল একটি অনলাইন সিস্টেম যার মাধ্যমে জমির মালিকরা তাদের জমির রেকর্ড বা
খতিয়ান অনলাইনে দেখতে ও ডাউনলোড করতে পারেন। এটি ভূমি মন্ত্রণালয়ের একটি
উদ্যোগ, যার মাধ্যমে ভূমি সংক্রান্ত সেবা আরও সহজলভ্য হয়েছে। ই-পর্চা মূলত জমির
মালিকানার একটি সরকারি প্রমাণপত্র, যা আগে ম্যানুয়ালি দেওয়া হতো। বর্তমানে, এই
প্রক্রিয়াটি অনলাইনে সম্পন্ন করা যায়, যা সময় এবং শ্রম উভয়ই সাশ্রয়
করে।
ই-পর্চা পাওয়ার জন্য, জমির মালিককে প্রথমে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে যেতে
হবে। সেখানে, ই-পর্চা অপশনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন জমির জেলা, উপজেলা,
মৌজা এবং খতিয়ান নম্বর দিতে হবে। এরপর, তিনি তার জমির ই-পর্চা দেখতে ও ডাউনলোড
করতে পারবেন। ই-পর্চা সিস্টেমের মাধ্যমে, জমির মালিকরা তাদের জমির রেকর্ড সহজেই
পেতে পারেন এবং
এটি তাদের জন্য অনেক সুবিধা নিয়ে আসে। বাংলাদেশের ভূমি সংক্রান্ত তথ্য ও সেবা
অনলাইনে সহজলভ্য করতে সরকার 'ই-পর্চা' (e-porcha) সিস্টেম চালু করেছে। এর মাধ্যমে
আপনি ঘরে বসে জমির খতিয়ান বা পর্চা অনলাইনে অনুসন্ধান ও ডাউনলোড করতে পারেন।
ই-পর্চা সেবার জন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইট:
ই-পর্চা সেবার জন্য সরকারিভাবে নির্ধারিত ওয়েবসাইট হলো eporcha.gov.bd /
land.govt.bd। এখানে আপনি জমির খতিয়ান
অনুসন্ধান, ডাউনলোড এবং অন্যান্য সেবা গ্রহণ করতে পারেন।
খতিয়ান অনুসন্ধান ও ডাউনলোডের পদ্ধতি:
- প্রথমে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
- 'খতিয়ান অনুসন্ধান' অপশনে ক্লিক করুন।
- প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন বিভাগ, জেলা, উপজেলা/থানা, মৌজা ইত্যাদি সিলেক্ট করুন।
- খতিয়ান নম্বর প্রদান করে অনুসন্ধান করুন।
- সঠিক তথ্য প্রদানের পর আপনি খতিয়ানের কপি দেখতে ও ডাউনলোড করতে পারবেন।
বাংলাদেশে অনলাইনে জমির খতিয়ান বা পর্চা সংগ্রহের জন্য সরকারিভাবে 'ই-পর্চা'
সেবা চালু রয়েছে। এই সেবার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে সহজেই জমির খতিয়ানের অনুলিপি
পেতে পারেন।
ই-পর্চা সেবার ওয়েবসাইটঃ
ই-পর্চা সেবার জন্য সরকারিভাবে নির্ধারিত ওয়েবসাইট হলো eporcha.gov.bd। ই-পর্চা
সেবার মাধ্যমে যেসব কাজ করা যায়ঃ
- জমির খতিয়ান অনুসন্ধান ও ডাউনলোড।
- ই-নামজারি আবেদন ও তার অবস্থা যাচাই।
- জমির দাগ ও খতিয়ান নম্বর অনুসন্ধান।
- ই-পর্চা সেবার ব্যবহার পদ্ধতি:
- 1. প্রথমে eporcha.gov.bd ওয়েবসাইটে যান।
- 2. নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে লগইন করুন।
- 3. প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করুন।
- 4. অনুসন্ধানের ফলাফল থেকে খতিয়ানের অনুলিপি ডাউনলোড করুন।
আমার শেষ কথা
অনলাইন খতিয়ান পাওয়ার নিয়ম এবং এটি ব্যবহারের সুবিধা সম্পর্কে অনলাইন খতিয়ান সম্পর্কে জানা অজানা কিছু তথ্য 2025 ওপরে বিস্তারিত
আলোচনা করা হয়েছে। এই তথ্য নাগরিকদের জন্য খুব দরকারি, যা তাদের জমির মালিকানা
সংক্রান্ত কাজ সহজ করে দেবে।এই আলোচ্য বিষয়ের মাধ্যমে অনলাইন খতিয়ানের গুরুত্ব
এবং এটি কিভাবে নাগরিকদের জীবন সহজ করে তোলে, তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো। আপনারা
যদি উপরের পাঠ্যসূচি টি একটু মনোযোগ সহকারে শেষ অব্দি পড়ে থাকেন তাহলে এসব বিষয়ে
বেশ কিছু ধারণা পেতে পারেন। যা থেকে আপনারা আশা করি উপকৃত হবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url