দাগ নম্বর দিয়ে খতিয়ান বের করার নিয়ম - Rs খতিয়ান বের করার নিয়ম

বর্তমানে মানুষ কিন্তু জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয় গুলো নিয়ে অনেক বেশি সতর্ক। কারণ দিন যত যাচ্ছে মানুষের চিন্তাধারায় পরিবর্তন তত বেশি হচ্ছে। আগেকার দিনে যেসব জমি গুলোর শুধুমাত্র দাগ নাম্বার রয়েছে সেগুলো থেকে কিন্তু বাকি ইনফরমেশন গুলো মানুষ এখন বের করে সার্টিফাইড কপিগুলো ডাউনলোড করে রাখছে। তবে অনেকেই হয়তোবা জানেন না যে কিভাবে একটি দাগ নম্বর দিয়ে খতিয়ান বের করার নিয়ম বের করতে হয়।
দাগ নম্বর দিয়ে খতিয়ান বের করার নিয়ম
তাদের জন্য আজকে আমার এই আর্টিকেলটি করা। আপনারা আমারে আর্টিকেলটি আজকে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়লে বুঝতে পারবেন। জমি সংক্রান্ত বিষয়গুলোর জন্য মানুষ কিন্তু আগে বিভিন্ন অফিসার বা ভূমি অফিসে গিয়ে ইনফরমেশন বের করতো কিন্তু এখন বর্তমানে মানুষ কিন্তু চাইলে নিজে একটি ফোনের মাধ্যমে বা কম্পিউটারের মাধ্যমে কিন্তু এই তথ্যগুলো বের করে নিতে পারে। আজকে আমরা এমনই কিছু দেখবো যেটি থেকে আপনারা পুরোপুরি ক্লিয়ার ভাবে বুঝতে পারবেন যে দাগ নম্বর দিয়ে খতিয়ান বের করার নিয়ম বের করতে হয়।

পোষ্টের সূচিপত্রঃ দাগ নম্বর দিয়ে খতিয়ান বের করার নিয়ম - Rs খতিয়ান বের করার নিয়ম

দাগ নম্বর দিয়ে খতিয়ান বের করার নিয়ম

জমি সংক্রান্ত বিষয় গুলো নিয়ে মানুষ কিন্তু প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকে। তো অনেকেই ভূমি অফিসের থেকে সলিউশন খুঁজে নিয়ে আসেন আবার অনেকেই নিজে থেকে সলিউশন খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। যেমন আজকে আপনারা দেখতে পাবেন যে নিজে একটি স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারের মাধ্যম দিয়ে কিভাবে দাগ নম্বর দিয়ে খতিয়ান বের করার নিয়ম বের করা যায়।

আপনার কাছে যদি একটি দাগ নম্বর থেকে থাকে তাহলে কিন্তু ঐ দাগ নম্বর দিয়ে আপনারা খতিয়ান বের করে নিতে পারবেন। তো চলুন আজকে কিভাবে আমরা সেই প্রসেস গুলো করবো দেখে নেয়।প্রথমেই বলি এটা আপনারা দুই ভাবে করতে পারবেন ওয়েবসাইট এবং অ্যাপসের মাধ্যমে। তো আমি এখন যেটা দেখাব এটা হচ্ছে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কিভাবে আপনারা দাগ নম্বর দিয়ে খতিয়ান বের করার নিয়ম বের করবেন।
  • এজন্য প্রথমে আপনাদেরকে যে কোন একটি ব্রাউজার সিলেক্ট করতে হবে। আপনারা ক্রম ব্রাউজার অথবা গুগল থেকে যেতে পারেন।
  • এর পর ওয়েবসাইটে গিয়ে সেখানে dlrms.land.gov.bd লিখে সার্চ দিবেন।
  • এরপর আপনাকে বিভাগ সিলেক্ট করতে বলবে আপনি কোন বিভাগে আছেন সেটি সিলেক্ট করে দিবেন।
  • জেলা সিলেক্ট করতে বলবে কোন জেলাতে রয়েছেন সেটি সিলেক্ট করে দিবেন।
  • আপনি কোন উপজেলার ভিতরে রয়েছেন সেটি সিলেক্ট করবেন।
  • খতিয়ানের ধরন সিলেক্ট করবেন।
  • আবার মৌজা বাছাই করে নিবেন।
  • এরপর সেখানে লেখা দেখতে পাবেন অধিকতর অনুসন্ধানের জন্য আপনাকে বলবে আপনি সেখানে ক্লিক করে দিবেন।
  • এরপর দেখতে পারবেন দাগ নাম্বার লিখুন বলে একটা অপশন আছে। সেখানে আপনি যে দাগ নাম্বারটা দিয়ে খতিয়ান বের করতে চাচ্ছেন সেই দাগ নাম্বারটি দিয়ে দিবেন।
  • তারপর সেখানে দেখতে পাবেন মালিকদের নাম এবং খতিয়ান নাম্বার রয়েছে সেখান থেকে আপনারা খতিয়ান নাম্বার বের করে নিতে পারেন।
  • এবার খতিয়ানটির একটি সার্ভে কপি বের করে নিবেন।
  • তার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো দিবেন। যেমন nid কার্ড নাম্বার, জন্ম তারিখ, মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি দিয়ে যাচাই করুন অপশনটিতে ক্লিক করবেন। তার পর দেখবেন যে তথ্য গুলো সব ঠিক আছে কিনা।
  • আপনি কি ধরনের আবেদন করতে চাচ্ছেন সেটি লিখবেন যেমন অনলাইনে সার্টিফাইড কপি বের করার জন্য যে আপনি আবেদন করছেন এটি লিখবেন।
  • আপনাকে যদি ইংরেজি কোন ঠিকানা দিতে বলে বা মেইল দিতে বলে আপনি দিয়ে দিবেন।
  • অনলাইন কপি বের করতে গেলে আপনাদের কিন্তু ওখানে ফি দিতে হয় তো আপনারা কিসের মাধ্যমে ফি টি পেমেন্ট করে তারপর কপি টি নিতে চান সেটি সিলেক্ট করবেন। মানে যে কোন একটি মেথড সিলেক্ট করবেন টাকা পাঠানোর জন্য।
  • এরপর বাকি ইনফরমেশন গুলো দিয়ে আপনারা খতিয়ানের সার্টিফাইড কপিটি বের করে নিতে পারবেন।
উপরোক্ত এই প্রসেস গুলা আপনারা যদি সঠিক নিয়ম মেনে পালন করতে পারেন। তাহলে কিন্তু খুব সহজেই দাগ নম্বর দিয়ে খতিয়ান বের করতে পারবেন দাগ নম্বর অনেক সময় আমাদের অনেক জরুরি ইনফরমেশন গুলো বের করতে সাহায্য করে। যেমন খতিয়ান কিন্তু আমাদের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এটি বের করতে দাগ নম্বর আমাদের অনেক বেশি হেল্প করেছে।

খতিয়ান কত প্রকার, কি কি

জমি সংক্রান্ত বিষয় গুলোর ভিতরে খতিয়ান কিন্তু অতি গুরুত্বপূর্ণ জরুরি একটি তথ্য। খতিয়ান এমন একটি নথি যেটির ভিতরে জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের ইনফরমেশন দেওয়া থাকে। যেমন ধরেন বাংলাদেশের মাটিতে কিন্তু কম জমি জায়গা নাই এবং সব গুলো জমির ভিতর থেকে কিছু জমি সরকারের প্রপার্টি এবং কিছুটা একক মালিকানাধীন। একক মালিকানাধীন জমি গুলোর ভিতরে কিন্তু আবার একাধিক জমির একক মালিক রয়েছেন।
এই একাধিক জমির এত গুলা মালিককে কি একসাথে চিনে রাখা সম্ভব বা তাদের জায়গা গুলো কতটুকু, জমিয আকার অবস্থান সবকিছু একসঙ্গে তো আর চিনে রাখা কারো পক্ষেই সম্ভব না। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলোকে একসাথে মনে রাখার জন্য একটি নথিভুক্ত করা হয়। এই নথির ভিতরে যে ইনফরমেশন গুলো থাকে সেগুলো হলো জমির অবস্থান, আকার, জমির সীমানা, জমিটি কোন জায়গায় অবস্থিত এবং জমি দাগ নম্বর। 

জমিতে কতটুকু পরিমাণে রয়েছে সেটা,, জমির খাজনার পরিমাণ ইত্যাদি সহ আরো অনেক ধরনের ইনফরমেশন এই নথির ভিতরে দেওয়া থাকে। এই নথিটি মূলত তৈরি করা হয় খতিয়ানের উপরে। বাংলাদেশী কিন্তু চার ধরনের খতিয়ান রয়েছে।
যেমনঃ cs খতিয়ান, এস এ খতিয়ান, আর এস খতিয়ান, বি এস খতিয়ান।
  • ১.সি এস খতিয়ানঃ সি এস খতিয়ানটি অনেক পুরাতন এবং প্রাচীনতম খতিয়ান। এই খতিয়ানের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথম প্রত্যেকটি জমির ভুখন্ডের পরিমাণ পরিমাপ করা চালু হয়েছিল। প্রথমবারের মতো জমির জরিপ করে 1940 সালে ব্রিটিশ আমলে খতিয়ান প্রস্তুত করা হয়েছিল। সেখান থেকে এই খতিয়ানের নামকরণ করা হয়েছে সি এস খতিয়ান এবং সেই থেকে এখন পর্যন্ত এই খতিয়ানটি সি এস খতিয়ান নামে পরিচিত।
  • ২.এস এ খতিয়ানঃ এটি ১৯৫০ সালের ঘটনা। প্রজাস্বত্ব ও অধিগ্রহণ আইন পাশের পর 1950 সালে সরকার জমিদারি গ্রহণ করেছিলেন এবং এটি হয়েছিল ১৯৫০ সালে ভারত উপমহাদেশ ভাগ হবার পরে। এর পরবর্তী সময়ে আবার যখন তৎকালীন সরকার আসলো 1956 সালে সি এস খতিয়ান কে আবার পরিবর্তন করে দেয়া হলো। এখানে যত গুলো কর্মচারীগণ ভূমি সংক্রান্ত এই জরিপের বিষয়টির দায়িত্বে ছিল তাদেরকে বলা হয়েছিল সি এস খতিয়ান কে সংশোধন করে তারা যেন নতুন একটি খতিয়ান তৈরি করেন। এবং খতিয়ান টি কে সংশোধন করে নতুন একটি খতিয়ান তৈরি করেছিলেন সেটি ই মূলত এস এ খতিয়ান নামে পরিচিত।
  • ৩.আর এস খতিয়ানঃ যুগে যুগে মানুষের চিন্তাধারার সাথে কিন্তু কাজেরও অনেক বেশি পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তো প্রথমে যে আর এস খতিয়ান টি প্রস্তুত করা হয়েছিল। বাংলাদেশ সরকার এসে সেটিকে আবার পরিবর্তন করে দিয়েছিল কারণ ওই জরিপের ভিতরে অনেক গুলো ইনফরমেশন ভুল দেওয়া ছিল। যে কারণে আবার সেটিকে সংশোধন করতে হয় এবং সংশোধনের পরে যে নতুন নামকরণ করা হয়েছিল সেটি মূলত আর এস খতিয়ান নামে পরিচিত।
  • ৪.বিএস খতিয়ানঃ প্রাচীন থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের খতিয়ান এসেছে। আর এখন বর্তমানে যেটা চলছে সেটি হচ্ছে এই বি এস খতিয়ান। জমি জরিপ করে জমির মালিকদের বিভিন্ন ধরনের তথ্য কে একত্রিত করে যে নথিভুক্ত করা হয় সেটাকে ই মূলত খতিয়ান বলে। আর এই খতিয়ানের ভিতরে যুগে যুগে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়েছে। যেমন আর এস খতিয়ান এর নাম পরিবর্তন করে বিএস করে দেওয়া হয়েছে। তাই এখন বর্তমানে প্রত্যেক টা খতিয়ান কে বিএস খতিয়ান বলে।

মৌজা বলতে কি বুঝায়

একাধিক জমির কিন্তু একাধিক মালিক ও থাকে। সেগুলোকে চিহ্নিত করার জন্য এবং আর কে কতটুকু জমি পাবে বা কোন অবস্থানে পাবে এসব গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন গুলোকে একত্রিত করে যে নথিভূক্ত করা হয় সেটিকে খতিয়ান বলে। আর এই খতিয়ানের কিন্তু প্রত্যেকটি জন্য আলাদা আলাদা দাগ নম্বর দেওয়া হয়। এই দাগ নম্বর গুলো নিয়ে যে নথিপত্র গঠন করা হয় সেটি ই মূলত মৌজা। এটি জরিপের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বি এস দাগ দিয়ে খতিয়ান বের করার নিয়ম

অনেকে আছেন যারা বি এস দাগ নম্বর দিয়ে খতিয়ান বের করতে জানেনা। তারা কিন্তু আজকে আমার এই আর্টিকেলটি পড়লে বুঝতে পারবেন। যে খুব সহজে কিভাবে বিএস দাগ নম্বর দিয়ে খতিয়ান বের করা যায়। এজন্য প্রথমে আপনারা ভূমি অফিস সংক্রান্ত যে ওয়েবসাইটটি রয়েছে সেটিতে প্রবেশ করবেন। তার পর আপনাদের সার্ভে খতিয়ান নামে যে অপশনটি দেখবেন সেটিতে ক্লিক করবেন। আর ক্লিক করার পর একে একে এখানে আপনার বিভাগ, জেলা, উপজেলা, মৌজা সিলেক্ট করে দিবেন।
অধিকতর অনুসন্ধান বাটনে প্রেস করলেই আপনারা সেখানে দেখতে পাবেন যে খতিয়ানের ধরন রয়েছে আপনারা সেখান থেকে বি এস খতিয়ান টি সিলেক্ট করে আপনাদের যে দাগ নম্বরটি রয়েছে সেটি দিয়ে খতিয়ানটি বের করতে পারবেন। চাইলে কিন্তু খতিয়ান কি বের করার পর আপনারা সেখান থেকে ডাউনলোড করেও রাখতে পারেন।

বি এস খতিয়ান অনলাইনে দেখার নিয়ম

বর্তমানে অনলাইনে যুগ আমাদের এত বেশি হেল্প করতেছে যে বলার বাইরে। কারণ আগেকার দিনে মানুষ ভূমি সংক্রান্ত এই বিষয় গুলোর জন্য কিন্তু ভূমি অফিসে যেত সমাধান বের করতে। আর এখন অনলাইনে এসে সেটি আর তারা নিজেরা ঘরে বসেই কিন্তু চেক করতে পারছে। যারা বিএস খতিয়ান কে অনলাইনে এর মাধ্যমে দেখতে চান তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি অনেক বেশি হেল্পফুল হবে।
  • বিএস খতিয়ান অনলাইনে বের করার জন্য আপনাদের অবশ্যই একটি ব্রাউজার সিলেক্ট হতে হবে এবং তারপর http://eporcha.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
  • এরপর দেখতে পাবেন সেখানে সার্ভে খতিয়ান নামে একটি অপশন রয়েছে সেটি সিলেক্ট করবেন।
  • অধিজতর অনুসন্ধানে গেলে আরো কিছু অপশন দেখতে পাবেন। যেমন বিভাগ সিলেক্ট করতে বলবে, এর পর একে একে জেলা, উপজেলা এবং মৌজা নাম্বার সিলেক্ট করতে বলবে আপনারা এগুলো সঠিক ভাবে ফিলাপ করবেন।
  • এখন খতিয়ানের জন্য যে অপশন থাকবে আপনারা সেখান থেকে বি এস খতিয়ান অপশনটি সিলেক্ট করবেন।
  • সেখানে খতিয়ানের নাম্বারটি দিয়ে অনুসন্ধান করবেন।
  • উপরোক্ত তথ্য গুলো যদি আপনি সঠিক ভাবে দিয়ে থাকেন তাহলে এখন দেখতে পাবেন আপনার সামনে বিএস খতিয়ানের পুরো ডিটেলস চলে আসবে। আপনি চাইলে কিন্তু এখান থেকে বিএস খতিয়ানের একটি সার্টিফাইড কপি ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

Rs খতিয়ান বের করার নিয়ম

জমির একাধিক মালিক চিহ্নিত করার জন্য যে জরিপ করা হয় এবং এই জরিপের ভিতর মালিকদের যে ইনফরমেশন গুলো দেওয়া হয় এতে কিন্তু অনেক রকমের ভুল ভ্রান্তি হয়ে থাকে। তো এই বিভ্রান্তি গুলোকে সংশোধন করে আবার নতুন করে খতিয়ান করার যে পদ্ধতিটি সেটিকে মূলত আর এস খতিয়ান বলা হয় এবং এই Rs খতিয়ান বের করার নিয়ম বের করার জন্য আপনাদের কিন্তু কিছু তথ্য লাগবে যেরকম জমির খতিয়ান নাম্বার লাগতে পারে, জমির মালিকের পিতার নাম লাগতে পারে বা জমির মালিকের নাম লিখতে পারে। তো আমরা আজকে যেহেতু আর এস খতিয়ান কিভাবে বের করতে হয় এই নিয়ম টি দেখব। Rs খতিয়ান বের করার নিয়ম তো আমাদের বেশি কিছু ইনফরমেশন লাগবে না শুধুমাত্র দাগ নম্বর হলেই হবে।
  • এই আর এস খতিয়ান বের করার জন্য আপনাদের অবশ্যই একটি ওয়েবসাইটে যেতে হবে এবং ওয়েবসাইটে যাওয়ার জন্য যে কোন একটি ব্রাউজার সিলেক্ট করতে হবে।
  • এরপর ওয়েবসাইটের সার্চ বারে আপনারা www.eporcha.gov.bd লিখে সার্চ দিবেন।
  • সেখানে দেখতে পাবেন সার্ভে খতিয়ান নামে একটি অপশন রয়েছে আপনারা সেই অপশনটি সিলেক্ট করবেন।
  • এরপর অধিক তর অনুসন্ধানের জন্য আপনাকে একটি অপশন দেয়া হবে আপনি সেখানে ক্লিক করলেই আপনার বিভাগ সিলেক্ট করতে বলবে আপনি যে বিভাগটি সিলেক্ট করবেন। এরপর জেলা, সিলেক্ট করবেন উপজেলা সিলেক্ট করবেন।
  • তারপর মৌজা বাছাই করে নিবেন। মৌজা বাছাই করা শেষ হলে অধিকতর অনুসন্ধানে ক্লিক করবেন।
  • সেখানে আপনাকে জমির দাগ নাম্বার সিলেক্ট করতে বলবে আপনি যে দাগ নম্বরটি দিয়ে আরএস খতিয়ান বের করতে চাচ্ছেন সেই দাগ নম্বরটি বসিয়ে দিবেন।
  • তারপর আপনার সামনে আরএস খতিয়ানের সমস্ত তথ্য চলে আসবে। এখন আপনি চাইলে কিন্তু এখান থেকে একটি সার্টিফাইড কপি ডাউনলোড করে রাখতে পারেন।

সিএস খতিয়ান কত সালে হয়? এবং দেখার নিয়ম

এই সি এস খতিয়ানের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথম প্রত্যেকটি জমির ভুখন্ডের পরিমাণ পরিমাপ করা চালু হয়েছিল। এই সি এস খতিয়ান টি অনেক পুরাতন এবং প্রাচীনতম খতিয়ান। । প্রথম বারের মতো জমির জরিপ করে 1940 সালে ব্রিটিশ আমলে খতিয়ান প্রস্তুত করা হয়েছিল। সেখান থেকে এই খতিয়ানের নামকরণ করা হয়েছে সি এস খতিয়ান এবং সেই থেকে এখন পর্যন্ত এই খতিয়ানটি সি এস খতিয়ান নামে পরিচিত। এই জমির জরিপ গুলো কিন্তু সরকারি ভাবে নথিভুক্ত করা হয় আর এই নথি করন কেই বলা হয় খতিয়ান। 
তো এই সি এস খতিয়ানটি কিন্তু অনেক আগে থেকেই চলে আসছে এবং এখনো পর্যন্ত এই খতিয়ানের প্রচলন চলছে। একাধিক জমির মালিক গুলোকে চিহ্নিত করার জন্য জরিপ করা হতো আর এই জরিপের ভিতরে মালিকদের বিভিন্ন ধরনের ইনফরমেশন দেওয়া থাকবে। যেটি থেকে একজন মানুষ বুঝতে পারত যে ওই জমির মালিক কে এবং আসে কতটুকু জায়গা পাবে বা কোন অবস্থানে সে এই জমিটি পেয়েছে এই সকল তথ্যগুলো একত্রিত করে যে নথিভুক্ত করা হতো সেটিকে মূলত সি এস খতিয়ান বলা হয়। 

এ সি এস খতিয়ান বের করার জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই ভূমি সংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। সার্ভে খতিয়ান নামে যে অপশনটি দেখতে পাবেন সেখানে প্রবেশ করার পর আপনারা অনুসন্ধান করবেন তারপর আপনাকে বিভাগ, জেলা, উপজেলা, বাকি ইনফরমেশন গুলো সিলেক্ট করতে বলবে আপনারা সব গুলো সিলেক্ট করার পর খতিয়ানের যে অপশনটি আসবে সেখান থেকে সিএস খতিয়ানটি সিলেক্ট করে দাগ নম্বর দিয়ে অনুসন্ধান করলে উক্ত খতিয়ানটি পেয়ে যাবেন।

লেখক এর শেষ মন্তব্য

উপরে আজকে আমরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দাগ নম্বর দিয়ে খতিয়ান বের করার নিয়ম সম্পর্কে জানলাম এই জমি জায়গার ব্যাপার গুলো নিয়ে কিন্তু অনেকে অনেক ধরনের সমস্যায় পড়ে থাকেন এবং তারা এই সমস্যা গুলো সলিউশন বের করতে হিমশিম খেয়ে যান। তারা কিন্তু আজকে আমার এই আর্টিকেল থেকে সম্পূর্ণ ক্লিয়ার ভাবে ব্যাপারটি বুঝতে পেরেছেন এবং আমি আশা করি যে নিজেরা আপনারা চাইলে এখন থেকে খতিয়ান বা বিএস দাগ নাম্বার দিয়ে খতিয়ান নাম্বার নিতে পারবেন বা জায়গা জমি রিলেটেড যে খতিয়ান বা মৌজা, বি এস, সি এস, আর এস এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url