পূর্ণিমার তালিকা ২০২৫ - পূর্ণিমার ব্রত এবং তার তাৎপর্য

হিন্দু ধর্মের ভিতরে যে নিয়ম কানুন গুলো রয়েছে তার ভিতরে পূর্ণিমার তিথি, আমাবস্যা, ব্রত এগুলো কিন্তু অনেক মান্য করা হয়ে থাকে। যারা এই আমাবস্যা ব্রত পূর্ণিমার তিথি ইত্যাদি সম্পর্কে কোন কিছুই জানেন না তাদের জন্য আজকের পূর্ণিমার তালিকা ২০২৫ পোস্টটি অনেক বেশি হেল্পফুল হবে।
পূর্ণিমার তালিকা ২০২৫
কারণ এই পূর্ণিমার তিথি আমাবস্যা এগুলো সময় অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে থাকে। পূর্ণিমার তালিকা ২০২৫-এ এসে নতুন করে এই নিয়মে আপনারা যদি পূর্ণিমা অমাবস্যা সম্পর্কিত তথ্যগুলো জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ বিস্তারিতভাবে পড়তে হবে। তাহলেই আপনারা পুরো ব্যাপারটা সম্পর্কে বুঝতে পারবেন আর আমি মনে করি আগে থেকে এগুলো জেনে রাখা অনেক ভালো কারণ সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে আপনারা এই তিথিগুলো পালন করতে পারবেন। পূর্ণিমার তালিকা ২০২৫ তো চলুন শুরু করা যাক আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত।

পোস্টের সূচিপত্রঃপূর্ণিমার তালিকা ২০২৫ - পূর্ণিমার ব্রত এবং তার তাৎপর্য  

পূর্ণিমার তালিকা ২০২৫

পূর্ণিমা তিথি কিন্তু চাঁদের অবস্থান বুঝে সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে থাকে। তাই ২০২৫ সালে কোন মাসে কোন পূর্ণিমার তালিকা ২০২৫ রয়েছে সেটির তালিকাটি নিম্নে লিপিবদ্ধ করা হলোঃ
  • জানুয়ারি মাসের পূর্ণিমার নাম ও সময়
  • ১৩ই জানুয়ারি সোমবার পৌষ পূর্ণিমা শুরু ১৩ তারিখ সকাল ৫:০৫ মিনিটে এবং শেষ ১৪ তারিখ ভোর ৩:৫৭ মিনিটে।
  • ফেব্রুয়ারি মাসের পূর্ণিমার নাম ও সময়
  • ১২ই ফেব্রুয়ারি বুধবার মাঘ পূর্ণিমা শুরু ১১ তারিখ সন্ধ্যা ৬:৫৭ মিনিটে এবং শেষ ১২ তারিখ সন্ধ্যা ৭: ২৫ মিনিটে।
  • মার্চ মাসের পূর্ণিমার নাম ও সময়
  • ১৪ই মার্চ শুক্রবার ফাল্গুন পূর্ণিমা শুরু ১৩ তারিখ সকাল ১০: ৩৮ মিনিটে এবং শেষ ১৪ই মার্চ দুপুর ১২:২৬ মিনিটে।
  • এপ্রিল মাসের পূর্ণিমার নাম ও সময়
  • ১২ই এপ্রিল শনিবার চৈত্র পূর্ণিমা শুরু ১২ তারিখ ভোর ৩: ২৩ মিনিটে এবং শেষ ১৩ তারিখ ভোর ৫ঃ৫৩ মিনিটে।
  • মে মাসের পূর্ণিমার নাম ও সময় 
  • ১২ই মে সোমবার বৈশাখ পূর্ণিমা শুরু ১১ তারিখ রাত ৮:০৩ মিনিটে এবং শেষ ১২ তারিখ রাত ১০:২৬ মিনিটে।
  • জুন মাসের পূর্ণিমার নাম ও সময় 
  • ১১ই জুন বুধবার জৈষ্ঠ পূর্ণিমা শুরু ১০ তারিখ সকাল ১১: ৩৬ মিনিটে এবং শেষ ১১ তারিখ দুপুর ১:১৫ মিনিটে।
  • জুলাই মাসের পূর্ণিমা নাম ও সময়
  • ১০ই জুলাই বৃহস্পতিবার আষাঢ় পূর্ণিমা শুরু ১০ তারিখ ভোর ১:৩৮ মিনিটে এবং শেষ ১১ তারিখ ভোর ২:০৭ মিনিটে।
  • আগস্ট মাসে পূর্ণিমার নাম ও সময়
  • ৯ ই আগস্ট শনিবার শ্রাবণ পূর্ণিমা শুরু ৮ তারিখ দুপুর ২: ১৩ মিনিটে এবং শেষ 9 তারিখ দুপুর ১:২৫ মিনিটে।
  • সেপ্টেম্বর মাসে পূর্ণিমার নাম ও সময়
  • ৭ সেপ্টেম্বর রবিবার ভাদ্র পূর্ণিমা শুরু ৭ তারিখ ভোর ১:৪২ মিনিটে এবং শেষ ৭ তারিখ রাত ১১:৩৮ মিনিটে।
  • অক্টোবর মাসের পূর্ণিমার নাম ও সময়
  • ৭ অক্টোবর রবিবার আর্শ্বিন পূর্ণিমা শুরু ৬ তারিখ দুপুর ১২:২৫ মিনিটে এবং শেষ তারিখ সকাল ৯:১৮ মিনিটে।
  • নভেম্বর মাসে পূর্ণিমার নাম ও সময়
  • ৫ই নভেম্বরে বুধবার কার্তিক পূর্ণিমা শুরু ৪ তারিখ রাত ১০:৩৭ মিনিটে এবং শেষ ৫ তারিখ সন্ধ্যা ৬:৫০ মিনিটে।
  • ডিসেম্বর মাসের পূর্ণিমার নাম ও সময়
  • ৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার অগ্রহায়ণ পূর্ণিমা শুরু ৪ তারিখ সকাল ৮:৩৯ মিনিটে এবং শেষ 5 তারিখ ভোর 4:45 মিনিটে

পূর্ণিমার ব্রত এবং তার তাৎপর্য

পূর্ণিমার এই বিশেষ দিনে হিন্দু ধর্মের ভিতরে সকল মানুষকে কিন্তু এই ব্রত পালন করা উচিত। এই ব্রত পালন করলে তারা ভালো ফল পাবে। তাদের জীবনে কষ্ট দুঃখের কোন ছায়াও থাকবে না। পূর্ণিমাতে বছরে ১২ টি ব্রত পালন করার নিয়ম রয়েছে।
পূর্ণিমার সেই ১২ টি ব্রত গুলো হলোঃ
  1. পৌষ পূর্ণিমা ব্রত, 
  2. মাঘ পূর্ণিমা ব্রত, 
  3. ফাল্গুন পূর্ণিমা ব্রত, 
  4. চৈত্র পূর্ণিমা ব্রত, 
  5. বৈশাখ পূর্ণিমা ব্রত, 
  6. জৈষ্ঠ পূর্ণিমা ব্রত, 
  7. আশাদা পূর্ণিমা ব্রত, 
  8. শ্রাবণ পূর্ণিমা ব্রত, 
  9. ভাদ্রপদা পূর্ণিমা ব্রত, 
  10. আশ্বিন পূর্ণিমা ব্রত, 
  11. কার্তিক পূর্ণিমা ব্রত, 
  12. মার্গশীর্ষ পূর্ণিমা ব্রত। 
 হিন্দু সম্প্রদায় মতে এক এক মাসে এক একটি ব্রত রয়েছে। সেই পূর্ণিমাতেই কিন্তু পূর্ণিমার ব্রত এবং তার তাৎপর্য এই ব্রতগুলো পালন করতে হয়।
তাৎপর্য 
হিন্দু সম্প্রদায়ের ভিতরে প্রত্যেক পূর্ণিমাতে বা পূর্ণিমার ব্রত এবং তার তাৎপর্য তারা বিশেষ ধর্মীয় উৎসব ও অনুষ্ঠান পালন করে থাকে।এই পূর্ণিমার দিন টি তাদের কাছে বিশেষ একটি দিন। এই পূর্ণিমার দিনে তাদের বিশেষ মাহাত্ম্য আছে যে পূজা অর্চনা, ধ্যান, যোগ্য, দান, ব্রত করতে পারবে সে অনেক পূন্য অর্জন করবে। এই পূর্ণিমার দিনে যারা ভালো কাজ করে তাদের ভালো কাজের ফল অনেক গুণে বেড়ে যায়। 
তারা সব পাপ থেকে মুক্ত হয়ে যায়। সঠিক নিয়ম মেনে যারা এই পূর্ণিমার মাহাত্ম্য সম্পন্ন করে থাকে তারা সব ধরনের বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পাই, তাদের দুঃখ কষ্ট দূর হয়, তাদের পাপমোচন হয়, সুখ শান্তি বিরাজ করে। হিন্দু ধর্মে নিয়ম কায়দা একটু বেশি হলেও পূর্ণিমার ব্রত এবং তাৎপর্য যারা ভালোভাবে বুঝবে তারা কিন্তু এগুলো যেভাবেই হোক না কেন পালন করবে।

অমাবস্যা ও পূর্ণিমা কাকে বলে

পূর্ণিমাঃ পৃথিবী চাঁদ ও সূর্য কিন্তু একই সরলরেখায় চলে। এটা হয়তো বা অনেকে জানে,,, আবার অনেকেই জানে না, যারা জানে না তাদের জন্য আজকের পোস্টটি অনেক উপকৃত হতে চলেছে। সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরে পৃথিবী আর পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরে চাঁদ। এই তিনটি জিনিস একই সরলরেখায় চলতে চলতে একজন আরেকজনের মাঝখানে চলে আসলে তখন অমাবস্যা ও পূর্ণিমার সৃষ্টি হয়। 

যেমন উদাহরণস্বরূপ বলা যায় একই সরলরেখায় চলতে চলতে যখন পৃথিবী সূর্য এবং চাঁদের মাঝখানে চলে আসে তখন সূর্যের আলো চাঁদ পর্যন্ত পৌঁছায় না কারণ পৃথিবীর ছায়া সূর্যের আলোকে ঢেকে দেয়। এর ফলেই কিছুক্ষণের জন্য চাঁদকে দেখতে পাওয়া যায় না। তখন এটাকে সকলে বলে চন্দ্রগ্রহণ লাগছে। পূর্ণিমার সময়ে কিন্তু এই চন্দ্রে গ্রহণটি লেগে থাকে এজন্যই এটাকে চন্দ্রগ্রহণ বলে। পূর্ণিমার কারণেই কিন্তু এই চন্দ্রগ্রহণ হয়ে থাকে। চাঁদ যেহেতু দেখা যায় না তাই এটিকে পূর্ণিমা বলা হয়।

অমাবস্যঃসূর্যকে কেন্দ্র করে যেভাবে পৃথিবী ঘুরতে থাকে ঠিক তেমন করে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে কিন্তু চাঁদ ও ঘুরতে থাকে। চাঁদ যখন ঘুরতে ঘুরতে সূর্য এবং পৃথিবীর মধ্যখানে চলে আসে তখন আর সূর্যের জ্যোতি কিন্তু সরাসরি পৃথিবীতে না গিয়ে সোজা চাঁদে এসে পৌঁছাই। সূর্যের তাপমাত্রা এতটাই বেশি যে সেটি চাঁদের নিকটে পৌঁছানোর সাথে সাথেই চাঁদ সূর্যের মতো আলোয় আলোকিত হতে থাকে। আর এই কারণেই কিন্তু আমার বাসা সৃষ্টি হয়। চন্দ্রগ্রহণ লাগলে সেটি কত দিন পর্যন্ত থাকে আপনার কি জানেন? চন্দ্রগ্রহণ কিন্তু তিন থেকে চার ঘন্টা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে সূর্যগ্রহণে কিন্তু এত বেশি সময় লাগে না।

পূর্ণিমা রাতে কি হয়

পূর্ণিমার রাতে চাঁদ উজ্জ্বল আলোয় আলোকিত হয়। পূনিমার রাতে চাঁদ এতটাই বেশি ঝকমকে আলো ছড়ায় যে চারিদিকে একদম দিনের মতো স্বচ্ছ দেখায়। চাঁদ সূর্য পৃথিবীর একই সরল রেখায় চলতে থাকে। যখন এটি একটি আরেকটি মাঝখানে চলে আসে তখন কিন্তু পূর্ণিমার সৃষ্টি হয়। যেমন পৃথিবী যখন চাঁদ এবং সূর্যের মাঝখানে চলে যায় তখন চাঁদ পুরোপুরি সূর্যের আলো না পেয়ে পৃথিবীর ছায়াতে অন্ধকারচ্ছন্ন হয়ে যায়। এর ফলে পূর্ণিমার সৃষ্টি হয়। 

আর চাঁদের উপর থেকে যখন পৃথিবীর ছায়া চলে যায় তখন চাঁদ আর সূর্য এতটাই কাছাকাছি চলে আসে যে পূর্ণিমার রাতের সৃষ্টি করে। আর তখন চারিদিকটা চাদের উজ্জ্বল জ্যোতি দিয়ে আলোকিত করে তুলে। পূর্ণিমার রাতকে এতটা ইম্পরট্যান্টভাবে সবার সামনে প্রেজেন্ট করা হয়েছে যে মানুষ এখন সবকিছুর সাথেই পূর্ণিমার চাঁদের তুলনা করতে থাকে। 
পূর্ণিমার রাত অনেক বেশি সুন্দর। বলা হয় যে এই রাতে হিন্দু ধর্মে কিন্তু যারা ভালো কাজ করে তাদের জন্য সৎকর্মের ফল অনেক গুণে বেড়ে যায়। হিন্দু সম্প্রদায়ের ভিতরে পূর্ণিমার রাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ অবস্থানে রেখেছে তারা।

পূর্ণিমা চাঁদ নিয়ে ক্যাপশন

এখন শুধু বাংলাদেশটাই নাহ সারা বিশ্বেই নিজের মনের ভাবটাকে প্রকাশ করার জন্য কিন্তু মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া নামক ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করে থাকে। আর এই ক্যাপশন গুলো কিন্তু আপনার মনের ভাবটাকে ফুটিয়ে তুলে। আর এই জন্যই আজকে আমি আপনাদের সাথে পূর্ণিমার চাঁদ নিয়ে কিছু ক্যাপশন শেয়ার করব। যেগুলো একটু হলেও আপনাদের উপকারে আসবে।
  • জ্যোৎস্না রাতে পূর্ণিমার চাঁদ তার আলোয় আলোকিত করে চারিদিক অথচ তার গায়েও কিন্তু কলঙ্ক আছে। অন্যদিকে কিছু কিছু মানুষ নিজেদেরকে একদম নিখুঁতভাবে প্রেজেন্ট করার চেষ্টা করে।
  • কিছু মানুষ পূর্ণিমার চাঁদ এতটাই উপভোগ করে যে তার ভাবনার সঙ্গে মিলিয়ে সারাটি রাত কাটিয়ে দিতে পারে।
  • নিত্য নতুন স্বপ্ন বুনতে পূর্ণিমার চাঁদের আলোর গুরুত্ব অপরিসীম।
  • পূর্ণিমায় চাঁদ মানুষের স্বপ্নগুলোকে জাগ্রত করে তোলে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
  • তবে অনেক সময় পূর্ণিমার চাঁদ যে স্বপ্নগুলো দেখায়,, বাস্তবে সেগুলো পূর্ণ করা আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে থাকে।
  • পূর্ণিমার চাঁদের আলো যতটা জ্যোৎস্না ছাড়াই আমিও ঠিক তার থেকে বেশি জ্যোৎস্না ছড়িয়ে তোমার জীবনকে আলোকিত করে দিতে চাই।
  • কখনো যদি এমন দিন আসে যে পূর্ণিমার চাঁদ তার নিজস্ব জ্যোৎস্নার আলো হারিয়েছে তাহলে সেদিন কি আমিও তোমার স্মৃতি থেকে হারিয়ে যাবো?
  • পূর্ণিমার চাঁদকে যেমন ভালোবাসে কাছে টেনে নিলে তার আলোই আলোকিত হওয়া যায়,, ঠিক তেমনি তুমিও নিজের জীবনকে আলোকিত করতে আমাকে তোমার কাছে টেনে নিয়ো।
  • পূর্ণিমায় চাঁদ যেন পৃথিবীর বুকে এক অনন্ত উপহার।
  • কথায় আছে না পূর্ণিমার আলোয় কেউ গুমড়ে মরে আর কেউ নতুন স্বপ্ন বোনে।
  • চাঁদের পূর্ণিমা যেমন তার চাঁদের কলঙ্ককে ঢেকে রাখে ঠিক তেমনি আমাদের হাসির পিছনেও অনেক চাপা কষ্ট লুকিয়ে থাকে।
  • সকালে পূর্ণিমার চাঁদের আলোতে মুগ্ধ হয় কিন্তু এর পিছনে কলঙ্ককে ভুলে যাই। অথচ দেখেন কলঙ্ক ছাড়া পূর্ণিমার চাঁদ ও কিন্তু মূল্যহীন।
নিজের মনের ভাবকে ব্যক্ত করার জন্য এর থেকে ভালো ক্যাপশন আর কিছু হতে পারে বলে আমার মনে হয় না। তবে আপনাদের যদি কারো প্রয়োজন পরে এখান থেকে দেখে নিয়ে কিন্তু নিজের মনের ভাবকে আপনারা অন্যভাবে প্রেজেন্ট করতে পারবেন। এই সুন্দর সুন্দর ক্যাপশন গুলো শুধুমাত্র আপনাদের জন্যই। আপনারা চাইলে নিজেদের রিলেশনশিপ বা অন্যান্য সম্পর্কে ভিতর থেকেও কিন্তু মনের ভাবকে প্রকাশ করতে পারবেন। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার আর যুগে এই ক্যাপশন গুলো অনেক বেশি ট্রেন্ডিংয়ে চলছে। তো আমি মনে করি এই ক্যাপশন গুলো আপনার জন্য একটু হলেও হেল্পফুল হবে।

প্রবারণা পূর্ণিমার তাৎপর্য

প্রবারণা পূর্নিমা তিন মাস যাবৎ পালন করা হয়। এই তিন মাসে বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ বর্ষাব্রত পালন করে থাকেন। আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে শুরু করে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত এই বর্ষাব্রত পালন প্রথা চলতেই থাকে। এই প্রবারণা পূর্ণিমার অর্থ হচ্ছে অসৎ কর্মকে ত্যাগ করে সৎকর্ম কে বরণ করা। তিন মাস একসাথে থেকে যে বর্ষা ব্রত পালন করে থাকে সেখানে তাদের মধ্যে কোন ভুল বোঝাবুঝি হলে বা মন কষাকষি হলে সেটি এই শুধরে নেওয়ার জন্য তারা প্রবারনা করে আশ্বিনী পূর্ণিমার তিথিতে। এই দিনটি তাদের জন্য একটি পবিত্র দিন। 

বলা হয় যে এই দিনে বুদ্ধের শাসন উৎকর্ষ হয়েছিল তাই এই দিনে ভগবান নিজেদের মধ্যে হওয়া ভুল ভ্রান্তি গুলোকে শুধরে নেওয়ার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকে। এই বর্ষাব্রত পালনের শেষ দিনটিকে কেন্দ্র করে এভ্রবায়নে পূর্ণিমা পালন করা হয়ে থাকে এই প্রবাহনা পূর্ণিমা ভিক্ষুক গণদের জন্য একটি বিধিবর্ধ নিয়ম যেটা আবশ্যিকভাবে তাদেরকে পালন করতেই হয়। এই প্রবারণ্য পূর্ণিমার তিথি তাদের কাছে একটি বিশেষ প্রবারণার তাৎপর্য হিসেবে পরিচিত। 
এই প্রবারণার দিনটি বুদ্ধ ধর্মের ভিক্ষুগন এর কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিনে তারা নিজেদেরকে শুধু করার প্রচেষ্টা করে। একে অন্যের প্রতি যত অভিযোগ তাদের থাকে তারা আপনারা সবাই এই দিনে ক্ষমাপ্রার্থনা করে নিজেদেরকে শুদ্ধ করে। বর্ষাব্রত পালনের পরের দিনটি কিন্তু তাদের জন্য একটি পবিত্র দিন বলে মনে করা হয়। 

তাদের ভিতরের খুব রাগ কষ্ট দুঃখ সব কিছুকে উপেক্ষা করে এই দিনে তারা একত্রিত হয়ে একে অন্যের প্রতিশ্রোতা জ্ঞাপন করে। এই প্রবারনা দিনটি পালনের মাধ্যমে কিন্তু একে অন্যের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়।

শুভ প্রবারণা পূর্ণিমার শুভেচ্ছা

শুভ প্রভারণা পূর্ণিমার শুভেচ্ছা জানিয়ে এরা এই দিনটিকে অনেক বিশেষভাবে উদযাপন করে থাকে। এই উৎসবে তারা নিজেদেরকে বিভিন্ন রূপে প্রেজেন্ট করে। পূর্ণিমার দিনটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে বিশেষ একটি দিন। ভিক্ষুগন এই বর্ষা ব্রত পালনের মাধ্যমে তিন মাস ব্যাপী এই প্রবারণা পূর্ণিমা পালন করে থাকেন। তারা মনে করেন এই প্রবারণাপূর্ণিমার দিনে অশুভকে দূর করে শুভকে গ্রহণ করায় তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। 

প্রবারণার উৎসব উপলক্ষে তারা বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। যেমন : বুদ্ধ পূজা, মহাসংসদান, মঙ্গলসূত্র পাঠ, ত্রিপিটক পাঠ করা, প্রদীপ পূজা, পঞ্চলিশ শীল গ্রহণ, অতিথি আপায়ন , আলোকসজ্জা,ফানুস উড়ানো, আলোচনা সভা ইত্যাদি। এই প্রবারণ্য পূর্ণিমার দিনটি তাদের কাছে মহা উৎসবের একটি দিন। ধর্ম বর্ণের মাধ্যমে এই উৎসবটি আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করে থাকে। পূর্ণিমার এই দিনটি বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা বৌদ্ধবিহারের প্রত্যেকটা জায়গায় এই উৎসবগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করে। 

তারা এই উৎসব পালনের মাধ্যমে নিজেদেরকে শুদ্ধিকরণ করার চেষ্টা করে। নিজেদের ভিতরে ভুল ভ্রান্তি গুলো দূর করার জন্য এই দিনে তারা ক্ষমাপ্রার্থনা করে থাকে। তারা মনে করে এই দিনে যদি ভক্তি সহকারে প্রবারণা পূর্ণিমাটি পালন করা যায় তাহলে তাদের মধ্যে পাপ মোচন হয়। তারা তাদের আত্মা শুদ্ধিকরণ করে থাকে এই প্রবারনা পূর্ণিমার দিনে। 

বর্ষাব্রত পালনের সময় ভিক্ষুকগণ একসঙ্গে থাকাকালীন সময়ে অনেক ধরনের ভুল করে থাকে। তারা মনে করে এই ভুল তাদেরকে শুধরে নেওয়া উচিত। এজন্য যেদিন তাদের বর্ষাব্রত পালনের দিনটি শেষ হয় সেদিনের পরের দিনটি তারা অনেক বেশি পবিত্র মনে করে। এটিকে স্মরণে রেখেই কিন্তু প্রবারণ্য পূর্ণিমার দিনটি পালন করা হয়।

লেখক এর শেষ মন্তব্য

এতক্ষণ উপরে আমরা অনেক ইম্পরট্যান্ট তথ্যগুলোয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানলাম। পূর্ণিমার তালিকা ২০২৫ শে এসে সামায়ের সাথে অনেক কিছুই পরিবর্তন হতে থাকে তাই নতুন করে এই তালিকাটি আপনাদের সকলের জানা উচিত। আজকের পোস্টে মূল বিষয়বস্তু ছিল পূর্ণিমার তালিকা 2025,শুভ প্রবরণা পূর্ণিমার শুভেচ্ছা,পূর্ণিমার উক্তি ইত্যাদি সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্য যেগুলো সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান না থাকতেও পারে। আশা করি আমরা এখান থেকে অনেক কিছুই জানলাম। এরপর আমাদের এই সকল বিষয় নিয়ে আর কোন প্রশ্ন থাকতেই পারে না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url