সুন্দরবন ট্রিপের জন্য সাশ্রয়ী প্যাকেজ ২০২৫ - সুন্দরবন ভ্রমণের উপযুক্ত সময়

সুন্দরবন ভ্রমণ জাহাজ আপনি যদি সুন্দরবন ট্রিপে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে বিস্তারিতভাবে আগে সবটা জেনে নিন। সুন্দরবন ট্রিপের জন্য সাশ্রয়ী প্যাকেজ ২০২৫ বা ট্রিপে যাওয়ার জন্য কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা করা অনেক জরুরী। আপনারা কিসে যাবেন, কোথায় থাকবেন, কি খাবেন, কোন কোন জায়গাতে ট্যুর দিবেন সবকিছু বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া ভালো।

আর এই সব কিছু যদি আপনারা একটি সাশ্রয়ী প্যাকেজ এর মধ্যে পেয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের জন্য কিন্তু অনেক বেশি হেল্পফুল হয়ে হতে পারে। একটি প্যাকেজের মধ্যে কিন্তু অনেক ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকে তো আপনারা সাশ্রয়ী দামে যদি এই প্যাকেজ নিতে পারেন তাহলে তো আপনাদেরই উপকার। এজন্যই আজকের আলোচনায় আপনাদের জন্য বিশেষভাবে থাকছে সুন্দরবন ট্রিপের জন্য সাশ্রয়ী প্যাকেজ ২০২৫, ঢাকা টু সুন্দরবন প্যাকেজ, সুন্দরবন প্যাকেজ ফ্রম খুলনা ইত্যাদি।

সুন্দরবন ট্রিপ এর জন্য সাশ্রয়ী প্যাকেজ পেতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই খোঁজ নিয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে হবে। অনেকে আছেন যারা সুন্দরবন ট্যুরে যেতে চান কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে যেতে পারেন না বা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাদের জন্য বলতেছি আজকে পোস্টটি আপনি অবশ্যই পড়লে সুন্দর একটি সুন্দরবন ট্রিপের জন্য সাশ্রয়ী প্যাকেজ ২০২৫ নিয়ে সুন্দরবন ট্রিপটি ইনজয় করতে পারবেন। সুন্দরবন ট্রিপের জন্য সাশ্রয়ী প্যাকেজে কি কি থাকছে সেগুলো বিস্তারিতভাবে নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

• ১.এখানে কেবিনে থাকার সুবিধা পাবেন।
• ২.কাপল বা সিঙ্গেল কেবিন রয়েছে।
• ৩.বিদ্যুতের সুব্যবস্থা রয়েছে।
• ৪.বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটরের ব্যবস্থা ও রয়েছে।
• ৫.সেফটির জন্য লাইফ প্যাকেট এর ব্যবস্থা রয়েছে।
• ৬.নিরাপত্তার সুব্যবস্থা রয়েছে।
• ৭.সঠিক গাইড লাইনের জন্য সুশিক্ষা প্রাপ্ত গাইডার রয়েছে।
• ৮.প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ফার্স্টেড বক্সের ব্যবস্থা আছে।
• এছাড়াও আরো আছে - সুন্দরবন ট্রিপের জন্য সাশ্রয়ী প্যাকেজ ২০২৫
• 1. Khulna from Sundarban tour package - 7550 tk.
• 2. Dhaka by ship from sundarban tour package -7500 tk.
• 3. special tour package from Sundarban 3 night and 4 days - 8500 tk.
• 4. Sundarban tour package 3 night and 2 days - 8500 tk.
• 5. Sundarban tour package 4 night and 3 days - 11500 tk.
• 6. Sundarban tour package from dhaka 2 night and 3 days - 7500 tk.

সুন্দরবন ট্রীপে যাওয়ার জন্য এর থেকে সাশ্রয়ী প্যাকেজ আর কোথাও আছে বলে আমার মনে হয় না।এই প্যাকেজটিতে যে সুবিধা গুলো পাচ্ছেন সেগুলো অন্য কোন জায়গায় পাবেন না এত সাশ্রয়ী ভিতরে।

সুন্দরবন ট্যুর দেওয়ার জন্য যদি ঢাকা থেকে আসতে চান তাহলে কিন্তু আপনারা ট্যুর প্যাকেজ নিতে পারেন। কারণ ট্যুর প্যাকেজ এর ভিতরে অসংখ্য অসুবিধা একসাথে পাবেন। ঢাকা টু সুন্দরবন ট্যুর প্যাকেজে কি কি সুবিধা পাচ্ছেন আর কতদিনে কত টাকা খরচ হতে পারে সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। এখানে একটি কেবিন থাকবে। কেবিনের সাথে এটাস্ট বাথরুমের সুব্যবস্থা রয়েছে। সিঙ্গেল এবং কাপল কেবিন দুইটার সুবিধায় রয়েছে। সেফটির জন্য লাইফ প্যাকেট এর ব্যবস্থা রয়েছে। নিরাপত্তার সুব্যবস্থা রয়েছে। সঠিক গাইড লাইনের জন্য সুশিক্ষা প্রাপ্ত গাইডার রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ফার্স্টেড বক্সের ব্যবস্থা আছে।

বিদ্যুতের সুব্যবস্থা রয়েছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটরের ব্যবস্থা ও রয়েছে। এবার আসি খরচের কথায়। প্রত্যেক জনের জন্য কাপল কেবিনে ভাড়া পড়বে ৯৫১০ টাকা। প্রত্যেক জনের জন্য বাথরুম ওয়ালা কেবিন এর ভাড়া পড়বে ১১৫০০ টাকা। এসি প্রিমিয়াম জাহাজে প্রতি জনের জন্য ভাড়া পড়বে ১৪ হাজার ২০০ টাকা। ভিআইপিদের জন্য এই সি জাহাজের ভাড়া পড়বে প্রতি জনে ১৮৫০০ টাকা। স্পেশাল সুন্দরবন ট্যুর প্যাকেজে চারদিন এবং তিন রাতের জন্য ভাড়া পড়বে ৮৫০০ টাকা। সুন্দরবন ট্যুর প্যাকেজ দুই দিন এবং তিন রাতের জন্য পড়বে ৮৫০০ টাকা। সুন্দরবন ট্যুর প্যাকেজ তিনদিন চার রাতের জন্য ভাড়া পড়বে ১১৫০০ টাকা।

বিলাসবহুল ট্যুরের জন্য এর থেকে আরো একটু বেশি খরচ করতে পারে। ঢাকা থেকে সুন্দরবন ট্যুরে আসার জন্য খুলনা বাগেরহাট মংলা থেকে হাড়বারিয়া করমজল হয়ে সুন্দরবন ট্যুরে যাওয়া যায়। সুন্দরবন ট্যুরে যাওয়ার জন্য কিন্তু বন বিভাগের থেকে অনুমতি নেওয়া লাগে। বন বিভাগের থেকে অনুমতি না নিয়ে সুন্দরবনের ভিতরে আপনার প্রবেশ করতে পারবেন না। সুন্দরবন কিন্তু একাও যাওয়া যায় তবে একা যাওয়া অনেক বেশি ব্যয়বহুল হয়ে যাবে আর অনেক রিস্কেরও ব্যাপার আছে। তো সেক্ষেত্রে সবথেকে ভালো হবে যদি আপনি একটি ট্যুর প্যাকেজ নিতে পারেন। 

সাধ্যের মধ্যে ট্যুর প্যাকেজ নিয়ে সব সুবিধা ভোগ করতে পারবেন সাথে ভালো একটা গাইড লাইন দেওয়ার মতো মানুষ খুঁজে পাবেন। একা যাওয়ার ক্ষেত্রে সেখানকার আর পথ ঘাট চেনা বা কোথায় থাকবেন কি খাবেন কোন জায়গায় যাবেন কিভাবে ঘুরবেন আর কত টাকা খরচ হবে কোথায় কত টাকা ভাড়া লাগবে সবকিছুই আপনার নিজের একা সামলাতে হবে সেক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু বেশি রিস্কের হয়ে যায়। এই জন্যই কিন্তু টুর প্যাকেজ গুলা সারভাইভ করে। 

যাতে করে আপনাদের ঘোরার ক্ষেত্রে কোন ধরনের কোন সমস্যা না হয় আর সাধ্যের মধ্যেই আপনারা ভ্রমণের জায়গা গুলো ঘুরে দেখতে পারেন। ঢাকা থেকে সুন্দরবন ট্যুরে আসার জন্য কিন্তু ঢাকা টু সুন্দরবন ট্যুর প্যাকেজ নেয়াটাই আপনার জন্য বেস্ট অপশন হবে। তো নিশ্চিন্তে আপনারা আপনি এই ট্যুর প্যাকেজটি নিতে পারেন।

সুন্দরবন ট্যুর প্যাকেজ ফ্রম ঢাকা বাই শিপ আসতে হলে আপনাদেরকে প্রথমে খুলনাতে আসতে হবে। এরপর খুলনা থেকে বাগেরহাট মংলা করমজল হাড়বারিয়া ইত্যাদি দিয়ে আপনারা সুন্দরবনের ভ্রমণের মজা নিতে পারেন। সাতক্ষীরা শ্যামনগর দিয়েও কিন্তু সুন্দরবন ভ্রমণে যাওয়া যায়। সুন্দরবন ট্যুরে যদি একদিনের জন্য যেতে চান তাহলে একটি ট্রলার নিয়ে হাড়বাড়িয়া ও করমজল দিয়ে সুন্দর করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে আসতে পারেন। 

বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া কিন্তু সুন্দরবনের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন না তো আপনাকে অবশ্যই বনবিভাগ এর অনুমতি নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে হবে। সুন্দরবন ট্যুর প্যাকেজ ঢাকা বাই শিপ খরচ পড়বে ৭৫০০ টাকা। এই একটি প্যাকেজের ভিতরে কিন্তু আপনি অনেক ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকবেন এখানে একটি কেবিন রয়েছে আপনারা যদি চান সিঙ্গেল অথবা কাপোল কেবিন দুইটার ভিতরে যেকোনো একটা নিতে পারেন। 

আরো আছে বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটরের ব্যবস্থা, একটা এটাস্ট বাথরুম সহ কেবিন, এসি কেবিনরুম, খাদ্য খাবারের ব্যবস্থা, সুশিক্ষা প্রাপ্ত গাইডলাইনার ইত্যাদি। একাও কিন্তু ট্যুরে যাওয়া যায় তবে সে ক্ষেত্রে কিন্তু ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে আমাদের জন্য। একা একা ঘুরাঘুরি করার টা কেমন একটা হয়ে যায়। আবার অনেক রিস্কের ব্যাপার আছে। কারণ এখানে নতুন জায়গাতে অনেক কিছু অজানা থাকবে ভুলভ্রান্তি হবে এটাই স্বাভাবিক। 

তো সেজন্য আমি আপনাদেরকে সাজেস্ট করবো ট্যুর প্যাকেজ নেওয়ার কারণ একটা ট্যুর প্যাকেজের ভেতরে কিন্তু আপনি অনেক ধরনের সুবিধা একসঙ্গে পাবেন। সাথে একজন দিকনির্দেশক কারীও পাবেন।

খুলনা থেকে সুন্দরবন প্যাকেজ নিতে গেলে অবশ্যই আপনি ভালো মানের একটি সাশ্রয়ী দামের ট্যুর প্যাকেজ নিতে পারেন। আর সেখান থেকে আপনাকে সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানগুলোতে ঘুরতে নিয়ে যাবে। সেখানে আপনার আলাদা কোন দিক নির্দেশনা দরকার হবে না। কারণ ট্যুর প্যাকেজের ভেতরে আপনি একসাথে সব সুবিধা পেয়ে যাবেন। সেখানে আপনি কফি থেকে শুরু করে সকালের খাবার নাস্তা দুপুরের খাবার রাতের খাবার সব কিছুই পাবেন। থাকার সুব্যবস্থা রয়েছে। এখানে কিন্তু আপনার গাইডলাইন সেবা ও দেয়া হবে। 

এই সুন্দরবন ট্যুর প্যাকেজে কিন্তু ২০ থেকে ৪৫ জনের বেডের ক্যাপাসিটি রয়েছে। এখানে যে সৌন্দর্যগুলোকে উপভোগ করতে পারবেন তার ভিতরে আগে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সমগ্র নৌ বিহার ইত্যাদি। তিন দিনের এই ভ্রমণ যাত্রাটি আপনার লাইফের সবথেকে বেস্ট মোমেন্ট হিসেবেই থাকবে। কারণ এই রকম ট্যুর প্যাকেজ আপনি আর কোথাও পাবেন না। এখানে ভ্রমন করার জন্য যে স্থানগুলোতে আপনারা যেতে পারবেন সেগুলো হলো কটকা জামতলা সি বিচ, কচি খালি, হাড়বারিয়া, করম জল ইত্যাদি। 

এখানে খাবার-দাবারের কোন ত্রুটি নাই। ওয়েলকাম ড্রিংক থেকে শুরু করে এখানে সকল ধরনের খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যাবে। ভ্রমণকারীদের কে সঠিক নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য একজন নিরাপত্তা কর্মী ও থাকবে সাথে।সঠিক গাইডলাইন সেবা দেওয়ার জন্য একজন সেবা দাতাও থাকবেন। এখানে একটি প্যাকেজের ভিতরে আপনার মন মত সকল ধরনের সুবিধা থাকবে। আপনি ইচ্ছামতো এখান থেকে সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। তবে খুলনা প্যাকেজ কিন্তু অনেক ভালো সাশ্রয়ী দামের ভিতরে।

যা যা করে সন্ধ্যা বন্ধু মানে যেতে শুধুমাত্র ৭৫০০ টাকা খরচ হতে পারে। ৭৫০০ টাকার ভিতরে কিন্তু আপনি ভালো একটি প্রমাণ প্যাকেজ পেয়ে যাচ্ছেন। সময়কাল থাকবে তিন দিন দুই রাত। সেখানে থাকার সুব্যবস্থা, সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, রাতের খাবার, গাইডলাইন সেবা, দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ, গন্তব্যস্থান ৪ থেকে ৫ জায়গা ভ্রমণ এই সব কিছু সুব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও জাহাজের সিঙ্গেল কেবিন বা কাপল কেবিন ইত্যাদি সুব্যবস্থা রয়েছে। জাহাজে পানির উপরে ভ্রমণ কিন্তু অনেকে অনেক বেশি ইনজয় করে থাকে। কারো কারো জাহাজে ভ্রমন করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। তারা একা একা ভ্রমণের কথা চিন্তা না করে একটি ট্যুর প্যাকেজ নিতে পারেন। 

প্যাকেজের ভেতরে একসাথে অনেকগুলো সুবিধা পাবেন। সাথে ভালো একটি গাইডলাইন পাবেন। একা ভ্রমণ করতে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক ধরনের প্রবলেম হতে পারে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ট্যুর প্যাকেজ নিতে পারেন। ট্যুর প্যাকেজ নিলে আপনার থাকা খাওয়া আর পরিবহন ভাড়া যাওয়া আসা কোন ধরনের কোন চিন্তা করা লাগবে না সবকিছুই আপনার ট্যুর প্যাকেজের ভিতরে থাকবে। তো আমি মনে করি যে জাহাজ ভ্রমণের জন্য অবশ্যই একটি ট্যুর প্যাকেজ নিবেন। জাহাজে সুন্দরবন ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ পানির পথে একটু সতর্ক থাকতেই হয়। নাহলে কখন কিভাবে বিপদ হয় তা বলাও যায় না। 

এজন্য আপনাদের সকলকে বলছি জাহাজ ভ্রমন করার ক্ষেত্রে আপনারা সবকিছু আগে থেকে গুছিয়ে নিবেন। যে জিনিসগুলা আপনার প্রয়োজন পড়বে সেই জিনিসগুলো আপনি সাথে ক্যারী করতে চাচ্ছেন সেগুলোকে একবারে গুছিয়ে ব্যাগে নিতে হবে। যদিও জাহাজ ট্যুর প্যাকেজের ভিতর সব কিছু সুবিধা একসাথে থাকে তবুও আপনি নিজের জন্য কিছু শুকনো খাবার-দাবার নিতে পারেন । আমরা তাড়াহুড়া করে অনেক ধরনের ভুল করে ফেলি কিন্তু আমাদের ভ্রমণটি যদি সুন্দর করে তুলতে চায় তাহলে কোন ভুল করা যাবে না। নির্ভুলভাবে আমাদের সব কাজ সম্পন্ন করতে হবে। তারপরে আমরা একটি সুন্দর মেমোরিয়াল ট্যুর দিতে পারবো।

সুন্দরবন একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বৈচিত্র। সুন্দরবন ভ্রমণের উপযুক্ত সময় হলো শীতকাল শীতকালে যদি আপনারা ভ্রমণে চান সেক্ষেত্রে সেখানকার পরিবেশ পরিস্থিতি খুবই শান্ত থাকে। শীতকালে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। শীতকালের আবহাওয়া অনেক বেশি সুন্দর থাকে অনেক ফুল পশু পাখি গাছপালা দেখা যায়। সুন্দরবনে যেহেতু ফুল, পশুপাখি, মাছ, গাছপালা ইত্যাদিতে ভরা। তো শীতকালে যাওয়াটাই মনে হয় সব থেকে ভালো হয়। শীতকালীন কিন্তু ভ্রমণের ব্যাপারটাই অন্যরকম। 

সুন্দরবন ভ্রমণে যাওয়ার জন্য খুলনা বাগেরহাট মংলা থেকে গিয়ে গরম জল হারবারিয়া দিয়ে একটি ট্রলার নিয়ে সুন্দরবনের চারপাশটা কিন্তু ঘুরে আসতে পারেন। অথবা সাতক্ষীরা শ্যামনগর দিয়েও কিন্তু সুন্দরবনে যাওয়া যায়। ভুলেও কিন্তু একা ঘুরতে যাওয়ার মত সিদ্ধান্ত নিবেন না। কারণ একা যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি অনেক ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন। সেখানে ভালো গাইডলাইন দরকার ভালো একজন দিক নির্দশনাকারী দরকার। যেটা আপনাকে সঠিক গন্তব্য স্থানে পৌঁছাতে সাহায্য করবে। 

তবে আপনি যদি একটি গ্রুপ প্যাকেজ নিয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে এসব নিয়ে আর টেনশন করতে হবে না সকল ধরনের সুবিধা নিয়েই তারা কিন্তু আপনাকে একটি ভালো ভ্রমণের ব্যবস্থা করে দিবে। শীতকালে ভ্রমণের জন্য কিন্তু উপযুক্ত সময়। এই সময়টিতে ভ্রমণের জন্য কম বেশি সকল মানুষই প্রস্তুত থাকে।শীতকালে চারিদিকে ফলে ফুলে ভরা থাকে আর পরিবেশটা নিস্তব্ধ থাকে আবহাওয়াগুলো ঠান্ডা থাকে যে কারণে শীতকালীন ভ্রমণটা আরো সৌন্দর্যময় হয়ে ওঠে। গরম কালে ভ্রমণে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু অনেক ধরনের সমস্যা হয়। যেমন অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘুরায়, বমি বমি হয়, গা হাত পা ঘেমে যাই, অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে বাহিরে যাওয়া এই রিস্ক হয়ে যাই। 

তাই গরমকালে ভ্রমণে খুব একটা মানুষ বের হয় না সকল মানুষই কিন্তু অপেক্ষায় থাকে কখন শীতকাল আসবে আর মানুষ ভ্রমণে বের হবে। এই সময়টাই কিন্তু সব থেকে বেশি মানুষ ভ্রমণ করে থাকে। শীতের আবহাওয়াতে ভ্রমন করতে কোন ক্লান্তি লাগেনা বরং আরো বেশি ভালো লাগে। তাই সবাই শীতকালে বেশি বেশি ভ্রমণ করুন। ট্যুর প্যাকেজ গুলোতে একসাথে অনেকগুলো সুবিধা দেয়া থাকে যেখানে আপনি 

• একজন ভালো গাইড লাইন সেবা পাচ্ছেন, 
• একজন দিকনির্দেশক কারী পাচ্ছেন, 
• নিরাপত্তা কর্মী পাচ্ছেন, 
• একটা কেবিন পাচ্ছেন, 
• খাওয়া দাওয়ার সুবিধা পারছেন, 
• থাকার সুব্যবস্থা পাচ্ছেন, 
• ঘোরাঘুরির বিভিন্ন জায়গায় স্থানগুলোতে দর্শন করতে পারছেন, 
• কোথায় কিভাবে যেতে হবে, 
• কোথায় বিপদ-আপদ আছে সেগুলো সম্পর্কে দিকনির্দেশক কারী আপনাকে বলে দিবে। 
• আপনারা ট্যুর প্যাকেজ নিয়ে ট্যুরে গেলে অবশ্যই দিকনির্দেশককারী যে দিকনির্দেশনা দিবে সেগুলো মেনে চলার চেষ্টা করবেন তাহলেই আপনারা ভালো একটা ট্যুর দিতে পারবেন।

সুন্দরবন ট্রিপের জন্য সাশ্রয়ী প্যাকেজ ২০২৫ গুলোতে কিন্তু অনেক ধরনের সুবিধা একসাথে দিয়ে থাকে। এজন্য ট্যুর প্যাকেজ নেওয়া ভালো। ট্যুর প্যাকেজে সব সুবিধা থাকার কারণে আলাদা আলাদা ভাবে কোথায় যাবেন কি খাবেন কি করবেন সেগুলো নিয়ে ভাবা লাগেনা। এজন্য আমি মনে করি ট্রিপে যাওয়ার জন্য একটি প্যাকেজ নেওয়াই ভালো। যাদের এই ট্যুর প্যাকেজ সম্পর্কে ধারণা নাই তারা আজকের এই পোস্টটি পড়ে অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন বলে আমি মনে করি। 

সুন্দরবন টুর প্যাকেজ নিয়ে এরপর আর কোন প্রশ্ন আপনাদের মনে থাকতেই পারে না। আজকের পোস্টটিতে আমি সুন্দরবন টুর প্যাকেজ সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি যেটি থেকে আপনারা সব বিষয়গুলো সম্পর্কে ক্লিয়ার হতে পারেন। আজকের সুন্দরবন ট্যুরের বিষয়টি সম্পর্কে আপনারা যদি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে আপনাদের এই নিয়ে আর কোন মত ভেদাভেদ থাকবে না। 

কোন সমস্যা থাকবে বলে মনে হয় না। এই ট্যুর প্যাকেজ সম্পর্কে আগে আপনাকে জানতে হবে বুঝতে হবে তারপর আপনি চিন্তা করে দেখবেন যে একা যাওয়াটা আপনার পক্ষে কতটুকু যুক্তিসঙ্গত এবং ট্যুর প্যাকেজ নিয়ে যাওয়াটা আপনার পক্ষে কতটুকু যুক্তিসঙ্গত।