ভুল একাউন্টে টাকা চলে গেলে করণীয় - ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার ভুলে গেলে টাকা ফেরতের নিয়ম

অনলাইন সার্ভিস গুলা এসে আমাদের জীবন কে যতটা সহজ করে দিয়েছে ততটা ই কিন্তু জটিল ও করতে পারে। কারণ আমাদের তাড়াহুড়ার জন্য কিন্তু একটি ভুল অনেক বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাড়াহুড়া করে একাউন্টে টাকা দিতে গিয়ে যদি বা ভুলক্রমে বা অন্য একাউন্টে টাকা চলে যায়,তাহলে কিন্তু আপনাদের যা যা করতে হবে আর সে গুলো আজ কে এই আর্টিকেল টি তে ভুল একাউন্টে টাকা চলে গেলে করণীয় আপনারা জানতে পারবেন।
ভুল একাউন্টে টাকা চলে গেলে করণীয়
যে কোনো সমস্যা হওয়ার আগে আমাদের সমস্যার সমাধান জেনে রাখা উচিৎ। তাহলে সমস্যা হলে ও কোনো প্যারা নেওয়া লাগবে না। আজকের এই আর্টিকেল টি পড়লে আপনারা নিজেরাই নিজেদের সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। আজকের পোস্টে আপনাদের জন্য থাকছে ভুল একাউন্টে টাকা চলে গেলে করণীয়, ডাচ বাংলা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার দেখার নিয়ম, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার ভুলে গেলে টাকা ফেরতের নিয়ম, চেক বই অ্যাকাউন্ট নাম্বার ইত্যাদি।

পোস্টের সূচিপত্রঃ ভুল একাউন্টে টাকা চলে গেলে করণীয় - ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার ভুলে গেলে টাকা ফেরতের নিয়ম

ভুল একাউন্টে টাকা চলে গেলে করণীয়

বর্তমানে কিন্তু ব্যাংক একাউন্ট গুলো অনলাইন সার্ভিস দিয়ে থাকে। আর অনলাইন সার্ভিস দেওয়ার ফলে মানুষ এর কিন্তু অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা সুযোগ পেয়েছে। তারা অনলাইনের মাধ্যমে ব্যাংক একাউন্ট চেক করা সহ বিভিন্ন ধরনের লেনদেন করতে পারে। ভুল একাউন্টে টাকা চলে গেলে করণীয় তবে অনলাইন এর মাধ্যমে ব্যাংক লেনদেন করা কিন্তু যেমন ভালো তেমন খারাপ। আপনি যদি একটু ভুল করে থাকেন তাহলে কিন্তু অনেক সমস্যায় পড়তে পারেন। আপনি এখান থেকে যে সুবিধা গুলো পাচ্ছেন শুধু মাত্র সেটি দেখলে হবে না। এখান থেকে কিন্তু অনেক ধরনের অসুবিধা ও রয়েছে। 

ব্যাংকে করা একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করতে গিয়ে অন্য একাউন্টে যদি চলে যায় তাহলে প্রাথমিক ভাবে আপনি জানাতে পারেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন যে আপনার সাথে কোন রকম ফ্রড হয়েছে তাহলে কিন্তু আপনা কে হেল্প করবে এবং আপনি কিন্তু এখান থেকে পুলিশ এর সাহায্য নিয়ে টাকা টি পেতে পারেন। ভুল একাউন্টে টাকা চলে গেলে করণীয় প্রথমত আপনি থানায় একটি জিডি করবেন। থানায় এই জিডি করার পর সেই কপি নিয়ে আপনি ব্যাংকে জমা দিবেন এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনা কে পরবর্তী স্টেপে কি করতে হবে সেটির নির্দেশনা দিয়ে দিবে। 

সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আপনি কাজ করতে পারেন অথবা পুলিশ কিন্তু আপনা কে হেল্প করবে। ভুল ক্রমে যে একাউন্টে টাকা চলে গেছে সে একাউন্টের লেনদেন এবং ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা কিন্তু আপনি বন্ধ করিয়ে দিতে পারেন। আপনি যদি ফ্রড হয়ে থাকেন তাহলে পুলিশ আপনা কে হেল্প করতে পারবে আর যদি দুর্ঘটনা বশত ভুল ক্রমে আপনি অন্য একাউন্টে টাকা টা ট্রান্সফার করে ফেলেন তাহলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি নিজে চাইলে সেই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে তার সাথে দেখা করে আপনি সেই টাকা টি ফেরত নিতে পারেন। 
আপনি যে একাউন্ট টি তে ভুল ক্রমে টাকা দিয়ে ফেলছেন সেই অ্যাকাউন্ট হোল্ডার এর নাম ঠিকানা খুঁজে বের করতে উক্ত ব্যাংক এর সাহায্য নিবেন। তার পর সেই ব্যক্তি কে খুঁজে বের করে তাকে রিকোয়েস্ট করবেন এবং বলবেন যে ভুল বশত উনার একাউন্টে আপনি টাকা টি ট্রান্সফার করে ফেলছেন এখন সেটি আপনি ফেরত নিতে চান। যদি সে কোন রকম চালাকি করার চেষ্টা করে তাহলে আপনি পুলিশের আশ্রয় নিবেন।

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার দেখার নিয়ম

ডাচ বাংলা ব্যাংক কিন্তু অনেক জনপ্রিয় এবং অনেক পরিচিত একটি ব্যাংক। এখানে কিন্তু সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ই আপনি পেয়ে যাবেন। তবে যারা নতুন ডাচ বাংলা একাউন্ট খুলেছেন বা পুরাতন ডাচ বাংলার গ্রাহক রয়েছেন,, তারা কিন্তু অনেকে ই অনেক ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন। যেমন ধরেন একাউন্ট নাম্বার ভুলে যেতে পারেন এমন ও হতে পারে। তাদের জন্য কিন্তু আজ কে আমারে এই আর্টিকেল টি করা। আপনারা চাইলে কিন্তু এখান থেকে খুব সহজে কি ভাবে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার দেখতে পারবেন সে বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। 

তো আপনারা দুই তিন ভাবে এই ব্যাংক একাউন্ট এর নাম্বার টি জানতে পারেন। প্রথমত হচ্ছে আপনি যদি একটি স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে থাকেন তাহলে কিন্তু ডাচ বাংলা ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনারা এই ডাচ বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নাম্বার টি দেখতে পারবেন। আবার আপনি চাইলে কিন্তু মেসেজের মাধ্যমে ও এই ডাচ বাংলা ব্যাংকের একাউন্ট নাম্বার টি চেক করতে পারবেন। অনেক সময় হয় যে অনেক দিন ধরে ব্যাংকের লেনদেন করা হচ্ছে না বিধায় কিন্তু অ্যাকাউন্ট নাম্বার টি ভুলে যেতে পারেন। 

সে ক্ষেত্রে কিন্তু মেসেজ অপশন খোলায় আছে অথবা আপনারা সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে কিন্তু আপনার অ্যাকাউন্ট নাম্বার টি তারা বের করে দিবে। ডাচ বাংলা ব্যাংকের শাখাই আপনি যদি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার টি হারিয়ে গিয়েছে বলে জানান তাহলে তারা আপনার একটি এনআইডি কার্ড এবং মোবাইল নাম্বার চাইতে পারে। সেটি দিয়ে তারা কিন্তু খুব সহজে আপনার অ্যাকাউন্ট নাম্বার টি বের করে দিতে পারবে। 

এ ছাড়া ও আপনারা যদি মেসেজ এর মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট নাম্বার বের করতে চান তাহলে BAL লিখে স্পেস দিয়ে আপনার অ্যাকাউন্ট নাম্বার টি টাইপ করে ৩২২৫ এই নাম্বারে পাঠিয়ে দিবেন। এবং এই নাম্বারে পাঠানোর পর কিন্তু আপনার ব্যাংক একাউন্টের নাম্বার টি আপনার ফোনের মেসেজে চলে আসবে। অ্যাকাউন্ট নাম্বার ভুলে গেলে ভয় পাবার কোন কারণ নাই আপনারা নিজেরা যদি এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে রাখেন তাহলে নিজেরা ই কিন্তু এই প্রবলেম এর সলিউশন বের করতে পারবেন।

ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার ভুলে গেলে টাকা ফেরতের নিয়ম

অনলাইনের এই বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা গুলো এসে কিন্তু মানুষের অনেক ধরনের উপকার ও করেছে আবার অনেক ধরনের সমস্যায় ও ফেলেছে। মানুষ যে সব সময় এখান থেকে উপকৃত হয় এমনটা না। কখনো কখনো বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়ে থাকেন। তো আপনার যদি এমন কোন সমস্যা হয়ে থাকে যে ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার ভুলে অন্য কোথা ও টাকা চলে গেছে। ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার ভুলে গেলে টাকা ফেরতের নিয়ম সেটি কি ভাবে আপনি ফেরত পাবেন সেটি বুঝতে পারছেন না। তাহলে কিন্তু আজ কে আপনা কে আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। 
ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার ভুলে যদি অন্য কোথা ও টাকা চলে যায়, তাহলে সেই টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য আপনা কে আগে কোন অ্যাকাউন্ট টি তে আপনি ভুল ক্রমে টাকা দিয়ে ফেলেছেন সেটি খোঁজ খবর নিতে হবে। এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কে সেটি জানাতে হবে। এর পর আপনি ওই অ্যাকাউন্ট হোল্ডার কে খুঁজে বের করবেন। আপনার যদি সত্যি ই এমন কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু অবশ্য ই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনা কে সাহায্য করবে। এবং আপনি চাইলে কিন্তু থানায় একটি জিডি ও করতে পারেন। থানা পুলিশ এসে তদন্ত করে আপনার টাকা টি ফেরত দিতে পারবেন। 

ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার ভুলে গেলে টাকা ফেরতের নিয়ম  এসব ঝামেলা যদি আর পোহাতে না চান তাহলে আপনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষর সাথে কথা বলে নিজে কিন্তু খোঁজ খবর নিয়ে ওই অ্যাকাউন্ট হোল্ডার এর সাথে আপোসে ব্যাপার টি মিটমাট করে আপনার টাকা টি ফেরত নিতে পারেন। আপনি তাকে রিকোয়েস্ট করতে পারেন যে ভুল ক্রমে এই অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার একাউন্টে টাকা চলে গিয়েছে এখন আমি সেটি ফেরত নিতে চাই। তাহলে কিন্তু সহজে ব্যাপার টা মিটে যেতে পারে। তবে টাকা দেওয়ার আগে অবশ্য ই অ্যাকাউন্ট নাম্বার দেখে টাকা দিতে হবে কারণ একটি ভুলের জন্য কিন্তু অনেক সময় অনেক বড় ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।

চেক বইয়ে একাউন্ট নাম্বার কোনটা

অধিকাংশ মানুষের ই কিন্তু আর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকে। তবে অনেকে ই আছেন যারা নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার পর সেখান থেকে চেক বই নিয়ে বুঝতে পারেন না যে চেক বইয়ের অ্যাকাউন্ট নাম্বার টা কোথায় থাকে বা চেক বই সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে চান। তারা কিন্তু আজ কে আমারে আর্টিকেল টি পড়বেন। আজ কে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব এমন একটি গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় যেটি নতুন যারা অ্যাকাউন্ট খুলেছেন বা চেক বই নিয়েছেন তাদের জন্য অনেক বেশি হেল্প ফুল হবে।

চেক বইয়ের অ্যাকাউন্ট নাম্বার কোথায় থাকেন এটি অনেকেই অজানা থাকতেই পারে তো চলুন আজ কে আপনাদের সাথে সেটি শেয়ার করব। বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকের কিন্তু চেক বইয়ের পাতা বিভিন্ন রকমের ও হয়ে থাকে। তবে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার টি সব চেক বইয়ের পাতাতে ই থাকে আপনারা একটু ভালো ভাবে মনোযোগ দিয়ে দেখলে বা পড়লে বুঝতে পারবেন যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার থেকে কোথায় থাকে। কোনো কোনে চেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার টি একদম নিচের দিকে দেওয়া থাকে। আপনারা একটু ভালো ভাবে খেয়াল করবেন তাহলে বুঝতে পারবেন। 

 প্রথমে দেখবেন আপনার বাম পাশে প্রথম যে সংখ্যা টি রয়েছে সেটি কিন্তু আপনার ব্যাংকের রাউটিং নাম্বার এবং দ্বিতীয় নাম্বারে যে নাম্বার টি দেওয়া থাকবে সেটি হলো আপনার একাউন্ট নাম্বার এবং তৃতীয় নাম্বারে যে নাম্বার টি দেওয়া থাকবে সেটি হলো আপনার চেক নাম্বার। কিন্তু বিভিন্ন কাজে ধরনের উপর ভিত্তি করে চেক দেওয়া হয়। তো আপনি ব্যক্তি গত ভাবে চেক নিচ্ছেন নাকি অন্যান্য ব্যবসায়ী কাজের জন্য নিয়েছেন সেটি তো আপনা কে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কে জানাতে হবে। এবং তার পরে কিন্তু আপনার সেই ধরনের ই একটি চেক বুক দেওয়া হবে। তো আপনার যদি ব্যক্তি গত চেক হয় তাহলে আমি উপরে শেয়ার করলাম সেই প্রসেস টি ফলো করবেন।

ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার চেক

আপনার যদি ইসলামী ব্যাংকে একটি একাউন্ট থেকে থাকে এবং আপনি যদি না জেনে থাকেন যে কি ভাবে ইসলামী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নাম্বার চেক করতে হয়। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য ই আপনি আজ কে আর্টিকেল টি থেকে জানতে পারবেন ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার কি রকম পদ্ধতির মাধ্যমে চেক করা যায়। ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট চেক করার জন্য আপনা কে কিন্তু বার বার ব্যাংকে যাওয়া লাগবে না। আপনি কিন্তু ঘরে বসে কম্পিউটার অথবা ফোনের মাধ্যমে যে কোন একটি অ্যাপস ব্যবহার করে এই ইসলামী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নাম্বার চেক করতে পারবেন। অথবা আপনি মেসেজের মাধ্যমে কিন্তু ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার টি বের করে নিতে পারবেন। 

ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট চেক করার দুইটা অ্যাপস রয়েছে। আপনারা সেলফিন apps ব্যবহার করে ইসলামী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট চেক করতে পারেন অথবা আপনারা আইবিবিএল আইস্মার্ট অ্যাপস টি দিয়ে ও কিন্তু চেক করতে পারবেন। আপনারা চাইলে ই মেসেজের মাধ্যমে ফোনে টাইপ করে ও কিন্তু ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার টি বের করে নিতে পারবেন। ইসলামী ব্যাংকের অ্যাপস ব্যবহার করার জন্য আপনাদের কে কিন্তু অবশ্য ই প্লে স্টোর থেকে আইডিবিএল ismart অ্যাপস এবং সেলফিন অ্যাপস টি ডাউনলোড করতে হবে। 
যে কোনো একটি ব্যবহার করে আপনারা কিন্তু নাম্বার বের করতে পারবেন। তো এই জন্য প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড করা এই অ্যাপস টি তে আপনারা মোবাইল নাম্বার আর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার টি কানেক্টেড করে নিবেন। অথবা আপনারা মেসেজের মাধ্যমে লিখতে পারেন IBB space BAL লিখে আর ১৬২৫৯ এই নাম্বারে পাঠিয়ে দিবেন। তাহলে কিন্তু আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার টি আপনার ফোনের মেসেজে চলে আসবে। আপনারা আপনাদের সুবিধার্থে apps অথবা ওয়েবসাইট অথবা মেসেজ যে কোনো একটি ব্যবহার করে কিন্তু নাম্বার বের করতে পারেন. আবার আপনারা চাইলে কিন্তু সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে ও যোগাযোগ করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার টি বের করে দিতে পারেন।

ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে দরখাস্ত লেখার নিয়ম

আপনি যদি কোনো কারণে ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে দরখাস্ত লিখতে চান এবং কি ভাবে লিখবেন সেটি যদি না জেনে থাকেন, তাহলে আজ কে আমার এই আর্টিকেল টি পড়লে বুঝতে পারবেন। আমি আজকে আর্টিকেলে ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে বা অন্যান্য আর যে কোন সমস্যায় আপনারা কি ভাবে একটি দরখাস্ত লিখে সেই সমস্যা যে সমাধান করতে পারেন সেটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে দরখাস্ত লেখার জন্য আপনা কে প্রথমে দরখাস্তের মেইন বিষয় গুলো ঠিক রাখতে হবে। 

যেমন ধরেন ম্যানেজারের ঠিকানা লিখবেন, আবেদনের তারিখ লিখবেন, মহাশয় লিখবেন, দরখাস্তের বিষয় লিখবেন, মোবাইল নাম্বার লিখবেন এবং আপনার পরিচয় টি লিখবেন। আপনি যে বিষয় টি নিয়ে এই দরখাস্ত করতে চাচ্ছেন সেটি ক্লিয়ার করে উল্লেখ করবেন এবং দরখাস্তের ভেতরের মূল বিষয় বস্তু গুলো ঠিক রাখবেন। আমি নিচে একটি উদাহরণের মাধ্যমে আপনাদের কে বুঝিয়ে দিচ্ছি।
ব্যাংক ম্যানেজার
তারিখ
ব্যবস্থাপক
.......ব্যাংক...
ঢাকা ২৯৫০, মিরপুর ৩
বিষয়ঃ ব্যাংক................
মহাশয়,
বিনীত নিবেদন এই যে আমি আপনার..............
.................
অতএব আপনার নিকট.......
নাম: মিনা
মোবাইল নাম্বারঃ...
ব্যাংক ম্যানেজার এর কাছে দরখাস্ত লিখতে চাইলে এই ভাবে লিখবেন এবং এখানে যে বিষয় গুলো আপনারা উল্লেখ করতে চাইছেন,যে বিষয় গুলো নিয়ে আপনারা দরখস্তু টি করতে যাচ্ছেন সে বিষয় গুলো বিস্তারিত ভাবে লিখবেন।

ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর জন্য আবেদন পত্র

আপনি যদি ব্যাংকের স্টেটমেন্ট নিতে চান তাহলে কিন্তু অবশ্যই ব্যাংকে আবেদন করে আপনি ব্যাংক স্টেটমেন্ট পেতে পারেন। অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকের সুবিধা ভিন্ন ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। তো কিছু কিছু ব্যাংক আছে যে গুলো তে স্টেটমেন্ট নেওয়ার জন্য আপনা কে অবশ্যই আবেদন করতে হবে। আবার কিছু কিছু ব্যাংকে স্টেটমেন্ট চাইলে বের করে দেবে। তো চলুন আমরা আজ কে স্টেটমেন্টের জন্য কি ভাবে আবেদন করতে হবে সেই বিষয় টি সম্পর্কে আলোচনা করি। আবেদন করার জন্য আপনা কে মেইন বিষয় গুলো ঠিক রাখতে হবে। যেমন প্রথমে তারিখ দিবেন, তার পর বরাবর, ম্যানেজার, তার পর ব্যাংকের নাম, তার পর ঠিকানা, তার পর বিষয় টি উল্লেখ করবেন। তার পর মহাশয় এই লিখে বা তার মূল বিষয় বস্তু টি দিয়ে দিবেন আমি একটি উদাহরণের মাধ্যমে আপনা কে বুঝিয়ে দিচ্ছি।

তারিখ
ব্যাংক ম্যানেজার
.......ব্যাংক...
ঢাকা ৩০৯, মিরপুর ৭
বিষয়ঃ ব্যাংক................
মহাশয়ী,
বিনীত নিবেদন এই যে আমি আপনার..............
..................
অতএব আপনার নিকট.......
নাম: লিমা
মোবাইল নাম্বারঃ...
ব্যাংক থেকে স্টেটমেন্টের জন্য আপনি যে আবেদন টি করতে চাচ্ছেন। সেই বিষয় গুলোর সম্পর্কে এখানে উল্লেখ করবেন এবং স্টেটমেন্ট কিন্তু ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের যাবতীয় লেনদেন, দিন, তারিখ সব কিছু ই লেখা থাকে। এই ব্যাংক স্টেটমেন্ট কিন্তু আমাদের অনেক প্রয়োজনীয় একটি গুরুত্ব পূর্ণ জিনিস এবং এই স্টেটমেন্ট আমাদের যাবতীয় লেনদেনের বিষয় বস্তু গুলো কে ক্লিয়ার করে থাকে। তাই ব্যাংক স্টেটমেন্ট নেওয়ার জন্য আপনারা এই ভাবে আবেদন করবেন।

লেখক এর শেষ মন্তব্য

এখানে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো ভুল একাউন্টে টাকা চলে গেলে করণীয় সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হলো সে গুলো হয়তো অনেকেই অজানা ছিল,অনেক কিছু ই জানতেন না। তারা কিন্তু এই আর্টিকেল টি থেকে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এ বিষয় গুলো কিন্তু আমাদের জেনে রাখা অবশ্য ই জরুরি। আমাদের অনেক সময় অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। সে জন্য আমাদের আগে থেকে এ বিষয় গুলো জেনে রাখতে হবে। আমরা যে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার আগে প্রবলেম গুলো সলভ করতে শিখো রাখবো। 

তাহলে আমাদের পরবর্তীতে কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। আমাদের নিজেদের প্রবলেম আমার নিজেরা ই সলভ করে নিব। অনলাইনে যুগে কিন্তু এখন প্রত্যেক টি মানুষ অনলাইন সার্ভিসের মাধ্যমেই ব্যাংকের লেনদেন গুলো করেন। তো সে ক্ষেত্রে আমাদের যে ভুল ত্রুটি গুলো হয়। আমাদের যে সমস্যা গুলো সম্মুখীন হতে হয় সেগুলো থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদের সমস্যা গুলো সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে রাখা ভালো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url