দাগ নম্বর দিয়ে জমির মালিকানা যাচাই - নাম দিয়ে জমির মালিকানা যাচাই

আপনি কি দাগ নম্বর দিয়ে জমির মালিক কে সেটি খুঁজে বের করতে চাচ্ছেন বা এমন কিছু জমি সংক্রান্ত বিষয় যেগুলো আপনি জানেন না সেগুলো সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হলে কিন্তু আজকে আমার এই আর্টিকেল টি আপনাদের কে পুরো মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। কারণ আজকের আর্টিকেল এ আমি আপনাদের সাথে দাগ নম্বর দিয়ে জমির মালিকানা যাচাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
দাগ নম্বর দিয়ে জমির মালিকানা যাচাই
এমন অনেকেই আছেন যাদের কাছে শুধুমাত্র জমির খতিয়ান নম্বর বা দাগ নম্বর রয়েছেন তারা এটি দিয়ে জমির আসল মালিক কে খুঁজে বের করতে চাচ্ছেন কিন্তু পারছেন না। তারা আজ কে আমার এই আর্টিকেল থেকে পুরো বিষয় সম্পর্কে একেবারে ক্লিয়ার হয়ে যাবেন। এ জন্য আপনারা সাথে থাকবেন। আর আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হিসেবে আপনাদের জন্য থাকছে দাগ নম্বর দিয়ে জমির মালিকানা যাচাই এবং দাগ নম্বর ও খতিয়ান নম্বর দিয়ে জমির ম্যাপ ইত্যাদি জমি সংক্রান্ত বিষয়।

পোস্টের সূচিপত্রঃ দাগ নম্বর দিয়ে জমির মালিকানা যাচাই - নাম দিয়ে জমির মালিকানা যাচাই 

দাগ নম্বর দিয়ে জমির মালিকানা যাচাই

জমি সংক্রান্ত বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনি যদি জানতে আগ্রহী হন বা যদি কোন কিছু বুঝে না থাকেন তাহলে আপনারা আজ কে আমার আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তাহলে আশা করি বিষয় গুলো ক্লিয়ার হতে পারবেন। তো আপনাদের এমন অনেকে আছেন যাদের শুধু মাত্র জমির দাগ নম্বর আছেন কিন্তু জমির আসল মালিক কে সেটা জানেন না। দাগ নম্বর দিয়ে জমির মালিকানা যাচাই তো তারা কিন্তু একটি ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে জমির আসল মালিক কে খুঁজে বের করতে পারেন। অথবা আপনাদের নিকটবর্তী কোন ভূমি অফিস থাকলে সেখানে যেয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জমির আসল মালিক কে খুঁজে বের করতে পারবেন। 

তবে আপনারা যদি মনে করেন যে অনলাইন থেকে আপনারা নিজেরা নিজেদের জমির মালিক গুলো কে খুঁজে বের করবেন। তাহলে কিন্তু একটি ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে। দাগ নম্বর বা খতিয়ান নাম্বার দিয়ে যদি অনলাইনে আপনি জমি মালিকানা খুঁজে বের করতে চান তাহলে কিন্তু আপনা কে বেশ কিছু প্রসেস ফলো করতে হবে এবং এই প্রসেস গুলো যদি ফলো করে আপনারা কাজ টি করতে পারেন তাহলে কিন্তু জমির আসল মালিক কে খুব সহজে খুঁজে বের করতে পারবেন। দাগ নম্বর দিয়ে জমির মালিকানা যাচাই তো চলুন আমরা দেখে নেই সে প্রসেস গুলোর ভিতরে কি কি স্টেপ আমাদের ফলো করতে হবে।
  • ১.জমির আসল মালিক কে খুঁজে বের করার জন্য আপনাদের একটি ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
  • ২.এ জন্য প্রথমে আপনাদের কে যে কোন একটি ব্রাউজার সিলেক্ট করতে হবে।
  • ৩.ব্রাউজার টি ওপেন করার পর আপনারা সেখানে লিখবেন dlrms.land.gov.bd
  • ৪.সার্চ দেওয়ার পর আপনাদের সামনে খতিয়ান নামে একটি অপশন আসবে আপনারা সেখানে ক্লিক করবেন।
  • ৫.এর পর আপনাদের কে সব গুলা ডিটেলস ফিলাপ করতে হবে।
  • ৬.যেমন প্রথমে আপনা কে বিভাগ সিলেক্ট করতে বলবে। আপনি কোন বিভাগে আছেন সে টি সিলেক্ট করে দিবেন।
  • ৭.তার পর জেলা সিলেক্ট করতে বলবে আপনি কোন জেলা তে অবস্থান করছেন সেই জেলা টি সিলেক্ট করবেন।
  • ৮.তার পর উপজেলা সিলেক্ট করতে বলবে আপনি কোন উপজেলার ভিতরে রয়েছেন সে টি সিলেক্ট করে দিবেন।
  • ৯.তার পর মৌজা নম্বর চাইবে সে টি সিলেক্ট করে দিবেন। এর পর আরো কিছু ডিটেলস এর জন্য আপনা কে অনুসন্ধান করতে বলবে আপনি ওই লেখার উপরে ক্লিক করবেন।
  • ১০.তার পরবর্তী অপশনে আপনারা দেখতে পাবেন সেখানে দাগ নাম্বার এবং মালিক এর নাম চাইবে আপনারা সেখান থেকে আপনাদের যে দাগ নম্বর টি দিয়ে আপনারা মালিক কে খুঁজে বের করতে চাচ্ছেন সেই দাগ নম্বর টি দিয়ে দিবেন।
এর পর সব কিছু পুরো ডিটেলস যদি আপনি ঠিক ভাবে ফিলাপ করে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনি জমির যে আসল মালিক রয়েছেন সে টি দেখতে পাবেন। জমি দাগ নম্বর থেকে মালিক খুঁজে বের করার এই প্রসেস টি কিন্তু আপনি অনলাইনে ওয়েবসাইটে গিয়ে ও করতে পারেন আবার প্লেস্টোর থেকে একটি অ্যাপস ডাউনলোড করে সেটির মাধ্যমে কিন্তু খুঁজে বের করতে পারেন। 

এ ছাড়া কিন্তু আপনি এখান থেকে দেখতে পারবেন যে ওই দাগে বা ওই মালিক এর অধীনে কত টুকু জমি এখানে রেজিস্টার করা আছে। চাইলে এখান থেকে কিন্তু খতিয়ান এর একটি সার্টিফাইড কপি ও বের করে নিতে পারেন। কারণ এই খতিয়ান এর সার্টিফাইড কপি কিন্তু আমাদের বিভিন্ন দরকারি কাজে আসতে পারে। জমি রিলেটেড যেহেতু কাজ গুলো অনেক বেশি সেনসিটিভ হয়। তাই আমাদের সব সময় এই বিষয় গুলোর উপরে অধিক সতর্ক থাকতে হয়।

দাগ ও খতিয়ান নং

বাংলাদেশ প্রপার্টি ওনার চিহ্নিত করার জন্য খতিয়ান নম্বর ও দাগ নম্বর ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ এর প্রত্যেক টা জমির জন্য কিন্তু আলাদা আলাদা মালিক রয়েছেন এবং এই মালিকদের চিনে রাখা কিন্তু আমাদের পক্ষে সম্ভাব হয় না। এই জন্য তাদের কে চিহ্নিত করার জন্য এবং তাদের জমির এই আসল মালিক কে খুঁজে বের করার জন্য ই কিন্তু দাগ নম্বর খতিয়ান নম্বর জিনিস ব্যবহৃত হয় থাকে। 
এক জন জমির মালিক কিন্তু সারা জীবন বেঁচে থাকেন না বা সারা জীবন এর জন্য কিন্তু ওই জমিটি তার অধীনে থাকবে না তার বংশধর যত বাড়বে জমি জায়গার ভাগ তত বাড়বে আর তখন কিন্তু ওই মালিক কে খুঁজে বের করা অনেক বেশি অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। তো এই কারণে যদি ওই জমির একটি দাগ নম্বর থাকে বা খতিয়ান নম্বর থাকে বা মালিক টি যদি হারিয়ে ও যেয়ে থাকে তাও কিন্তু ওই দাগ নম্বর বা খতিয়ান নম্বর এর মাধ্যমে ওই মালিক কে খুঁজে বের করা সম্ভব হবে।

দাগ ও খতিয়ান নং চেক

জমির আসল মালিক কে সে টি খুঁজে বের করার জন্য অবশ্য ই কিন্তু আপনার এই দাগ নম্বর বা খতিয়ান নম্বর লাগবে। তো আপনারা যদি দাগ নম্বর বা খতিয়ান নম্বর দিয়ে জমির আসল মালিক কে খুঁজে বের করতে চান। তাহলে কিন্তু অবশ্য ই একটি অ্যাপস বা ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে বের করতে পারবেন। আপনাদের কাছে যদি শুধু দাগ নম্বর বা খতিয়ান নম্বর থাকে এবং আপনারা চাচ্ছেন এই জমির আসল মালিক কে সে টি খুঁজে বের করবেন। তাহলে কিন্তু আপনি অবশ্য ই ওই দাগ নম্বর বা খতিয়ান নম্বর নিকটবর্তী ভূমি অফিসে গিয়ে বের করে নিতে পারেন আসল মালিক কে। 

অথবা নিজের একটি ফোন বা কম্পিউটার এর মাধ্যম দিয়ে ওয়েবসাইট অথবা একটি অ্যাপস এর মাধ্যমে আপনারা জমির আসল মালিক কে খুঁজে বের করতে পারবেন। আপনি যদি ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে খুলতে চান। তাহলে প্রথমে যে কোন একটি ব্রাউজার সিলেক্ট করে সেখানে গিয়ে লিখবেন dlrms.land.gov.bd সার্চ দেওয়ার পর আপনাদের সামনে খতিয়ান নামে একটি অপশন আসবে আপনারা সেখানে ক্লিক করবেন। এর পর আপনাদের কে সব গুলা ডিটেলস ফিলাপ করতে হবে। যেমন প্রথমে আপনা কে বিভাগ সিলেক্ট করতে বলবে। আপনি কোন বিভাগে আছেন সে টি সিলেক্ট করে দিবেন।

তার পর জেলা সিলেক্ট করতে বলবে আপনি কোন জেলা তে অবস্থান করছেন সেই জেলা টি সিলেক্ট করবেন। তার পর উপজেলা সিলেক্ট করতে বলবে। আপনি কোন উপজেলা এর ভিতরে রয়েছেন সে টি সিলেক্ট করে দিবেন। তার পর মৌজা নম্বর চাইবে সে টি সিলেক্ট করে দিবেন। এর পর আরো কিছু ডিটেলস এর জন্য আপনা কে অনুসন্ধান করতে বলবে আপনি ওই লেখার উপরে ক্লিক করবেন। তার পরবর্তী অপশনে আপনারা দেখতে পাবেন। 

সেখানে খতিয়ান নাম্বার চাইবে আপনারা সেখান থেকে আপনাদের যে খতিয়ান নম্বর টি দিয়ে আপনারা মালিক কে খুঁজে বের করতে চাচ্ছেন সেই খতিয়ান নম্বর টি দিয়ে দিবেন। এর পর সব কিছু পুরো ডিটেলস যদি আপনি ঠিক ভাবে ফিলাপ করে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনা কে জমির যে আসল মালিক রয়েছেন সে টি দেখতে পাবেন। এর পরবর্তীতে নেক্সট বাটনে ক্লিক করলে আপনারা জমির দাগ সম্পর্কিত তথ্য দেখতে পাবেন। খতিয়ান যে প্রসেস গুলো আমরা উপরে শেষ করে আসলাম সেম প্রসেসে কিন্তু দাগ নম্বর ও আপনারা চেক দিতে পারবেন।

নাম দিয়ে জমির মালিকানা যাচাই

জমি জায়গা কেনার ক্ষেত্রে বা জমি জায়গা বিক্রির ক্ষেত্রে কিন্তু অবশ্য ই জমির মালিকানা যাচাই করা ১০০% জরুরি। তো আমাদের অবশ্য ই এটা জানতে ই হবে। নাম দিয়ে জমির মালিকানা যাচাই এ জন্য আপনারা সব সময় বৈধ জমি কেনার ক্ষেত্রে কিন্তু মালিকানা যাচাই করে নিবেন। আপনি যদি নাম দিয়ে জমির আসল মালিক কে খুঁজে বের করতে চান। তাহলে আপনাদের কে অবশ্য ই একটি ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এ জন্য প্রথমে আপনাদের কে যে কোন একটি ব্রাউজার সিলেক্ট করতে হবে। ব্রাউজার টি ওপেন করার পর আপনারা সেখানে লিখবেন eporcha.gov.bd ।

সার্চ দেওয়ার পর আপনাদের সামনে সার্ভে খতিয়ান নামে একটি অপশন আসবে। আপনারা সেখানে ক্লিক করবেন। এর পর আপনাদের কে সব গুলা ডিটেলস ফিলাপ করতে হবে। যেমন প্রথমে আপনা কে বিভাগ সিলেক্ট করতে বলবে। আপনি কোন বিভাগে আছেন সে টি সিলেক্ট করে দিবেন। তার পর জেলা সিলেক্ট করতে বলবে। আপনি কোন জেলা তে অবস্থান করছেন সেই জেলা টি সিলেক্ট করবেন। তার পর উপজেলা সিলেক্ট করতে বলবে। আপনি কোন উপজেলার ভিতরে রয়েছেন সে টি সিলেক্ট করে দিবেন। তার পর মৌজা নম্বর চাইবে সে টি সিলেক্ট করে দিবেন। 

এর পর আরো কিছু ডিটেলস এর জন্য আপনা কে অনুসন্ধান করতে বলবে আপনি ওই লেখার উপরে ক্লিক করবেন। তার পরবর্তী অপশনে আপনারা দেখতে পাবেন সেখানে দাগ নাম্বার এবং মালিক এর নাম চাইবে আপনারা সেখান থেকে মালিক এর নাম সিলেক্ট করবেন। এর পর সব কিছু পুরো ডিটেলস যদি আপনি ঠিক ভাবে ফিলাপ করে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনি জমির যে আসল মালিক রয়েছেন সে টি দেখতে পাবেন। নাম দিয়ে জমির মালিকানা যাচাই বা নাম থেকে মালিক খুঁজে বের করার এই প্রসেস টি কিন্তু আপনি অনলাইন এর ওয়েবসাইটে গিয়ে ও করতে পারেন। 
আবার প্লেস্টোর থেকে একটি অ্যাপস ডাউনলোড করে সেটির মাধ্যমে কিন্তু খুঁজে বের করতে পারেন। বর্তমানে কিন্তু অনলাইনে যুগ এসে এই কাজ গুলো অনেক বেশি সহজতর হয়ে গেছে। কারণ আগেকার দিনে মানুষ যদি জমি সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে ঝামেলায় পড়তো তাহলে তাদের কে প্রাথমিক ভাবে ভূমি অফিসে বা বিভিন্ন অফিস আদালতে যেয়ে খোঁজ খবর নিতে হতো। কিন্তু এখন অনলাইন এর যুগে তারা কিন্তু এটি ঘরে বসে ই ফোন বা কম্পিউটার এর মাধ্যমে করতে পারছে শুধু তাই নয় তারা নিজেরা যখন এই কাজ গুলো করছে তখন নিজের মত করে কিন্তু ব্যাপার টা ক্লিয়ার করে নিতে পারছে।

দাগ নাম্বার দিয়ে জমির ম্যাপ

আপনার কাছে যদি এমন একটি জমি থাকে যেটির কোন মালিক নাই। তবে শুধু মাত্র একটি দাগ নম্বর রয়েছে বা দাগ নম্বর এর একটি কপি রয়েছে। তাহলে কিন্তু আপনি ওই দাগ নম্বর এর মাধ্যমে ই আপনার ওই জমির মালিক কেই খুঁজে বের করতে পারবেন। মৌজা নাম্বার থেকে কিন্তু খতিয়ান বা দাগ নম্বর বের করা যায়। আবার দাগ নাম্বার দিয়ে কিন্তু জমির ম্যাপ বের করা যায়। জমির ম্যাপ বের করার ক্ষেত্রে কিন্তু দাগ নাম্বার এর ভূমিকা অপরিসীম। কারণ একটি জমির ম্যাপ যখন আপনি খুঁজে পাবেন না তখন কিন্তু যদি দাগ নম্বর থাকে সেই দাগ নম্বর এর মাধ্যমে সেটি খুব সহজেই আপনারা বের করে নিতে পারবেন।

দাগ ও খতিয়ান নং বাংলাদেশ

বাংলাদেশ এ দাগ নম্বর ও খতিয়ান নম্বর হচ্ছে জমির মালিক চেনার একটি সহজ উপায়। বাংলাদেশ গভমেন্ট প্রপার্টি বাদ দিয়ে বাকি সব জমি গুলোর কিন্তু অনেক মালিক থেকে থাকে। তো সে ক্ষেত্রে কিন্তু সব মালিক কে চেনা বা কার কোন টি জমি সে টি কিন্তু বোঝা যায় না। এ জন্য ই কিন্তু যে জমি মালিক তার নাম দিয়ে দাগ নম্বর দেওয়া হয় এবং এই দাগ নম্বর এর মাধ্যমে কিন্তু জমির আসল মালিক কে চেনা যায়। মনে করেন আপনার কাছে একটি জমির খতিয়ান নম্বর রয়েছে কিন্তু আপনি ওই জমির আসল মালিক কে তাকে চিনেন না। 

সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি ওই খতিয়ান নম্বর বা দাগ নম্বর দিয়ে জমির আসল মালিক কে খুঁজে বের করতে পারবেন। এবং বুঝতে পারবেন যে আগে ওই জমির মালিক কে ছিল। বাংলাদেশ এর যত গুলো জমি জায়গা রয়েছে সব গুলো ই কিন্তু মালিক রয়েছেন এবং এই মালিকদের কে যে নামে বা যে নাম্বারের মাধ্যমে চেনা যাবে সেই নাম্বার গুলো কিন্তু খতিয়ান ও দাগ নম্বর হিসেবে ই পরিচিত।

জমির দাগ নাম্বার

বাংলাদেশ এর মাটি তে যত গুলা জায়গা জমি রয়েছে সে গুলোর কিছু টা গভমেন্ট প্রপার্টি এবং কিছু টা একক মালিকানাধীন। এর মানে হচ্ছে কিছু জমির মালিক হচ্ছে শুধু মাত্র সরকার ওই জমি গুলো তে সরকার ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তির কোন অধিকার নেই এবং কিছু জমি আছে যাদের মালিক রয়েছেন এবং তারা চাইলে তাদের বংশধরেরা ও সেই জমি ব্যবহার করতে পারে। গভমেন্ট প্রপার্টি বাদ দিয়ে যে জমি গুলো রয়েছেন সে গুলো তো অনেক মালিক থাকতে ই পারে। 
তো এই মালিকদের কে চেনার জন্য যে দাগ নম্বর ব্যবহার করা হয় সে টি আসলে জমির দাগ নম্বর। এই দাগ নম্বর এ দিয়ে ই কিন্তু বোঝা যায় যে ওই জমিটির আসল মালিক কে বা ওই জমি টি কার নামে রেজিস্টার রয়েছে। জমির দাগ নাম্বার অনেক ইম্পরট্যান্ট একটি পার্ট কারণ জমি জায়গা সংক্রান্ত ব্যাপার এ অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয়। 

এই জন্য ই কিন্তু সকল জমির মালিক কে এক এক করে দেখে বা সবাই কে তারা এখন বর্তমানে ওই জমির মালিক রয়েছেন ভবিষ্য তে কিন্তু তাদের বংশধর যারা থাকবেন বা তাদের ছেলে মেয়ে আর নাতি নাতনিরা ও কিন্তু এই জমির মালিক হবেন। তো সে ক্ষেত্রে এ দের কে কিন্তু চিনে রাখা সম্ভব হয় না এই জন্য ই কিন্তু জমির দাগ নম্বর ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই দাগ নম্বরের মাধ্যম দিয়ে ই এক জন জমির সঠিক মালিক কে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়।

লেখকের শেষ মন্তব্য

আজ দাগ নম্বর দিয়ে জমির মালিকানা যাচাই কিন্তু আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনেছি কারণ এই বিষয় গুলো আমাদের প্রত্যেক জনের ই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হলে ও লাগবে। কারণ এটি জমি জায়গা সংক্রান্ত গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়। জমি জায়গার ব্যাপারে আমাদের কিন্তু অবশ্য ই এই জিনিস গুলো জেনে রাখা উচিত। কারণ আমাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় জমি জায়গা সংক্রান্ত বিষয় গুলো নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয়। তো আমরা যদি এ বিষয় গুলো সম্পর্কে আগে থেকে অবগত থাকি বা কোনো বিষয় সম্পর্কে যদি ভালো ভাবে জেনে রাখি তাহলে কিন্তু আমাদের পরবর্তী তে কোন ঝামেলা পোহা তে হয় না। এবং আমরা আজ কে যে বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনেছি তার ভিতরে কিন্তু প্রত্যেক টি বিষয়ে জমি জায়গা সংক্রান্ত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url