ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টেটমেন্ট ডাউনলোড করবেন কিভাবে
বাংলাদেশ এ যেহেতু বিভিন্ন ধরন এর ব্যাংক রয়েছে আর এই ব্যাংকিং সেবা গুলোর ধরন
ও ভিন্ন ভিন্ন। আপনারা হয় তো অনেকে ই জানেন না বা অনেকে ই জানতে আগ্রহী আছেন ডাচ
বাংলা ব্যাংক স্টেটমেন্ট কি ভাবে ডাউনলোড করবেন। তাদের জন্য আজকের আমার এই
আর্টিকেল টি করা। আমি মনে করি আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা পুরো পুরি ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টেটমেন্ট ডাউনলোড এই বিষয় টা
নিয়ে একদম ক্লিয়ার হয়ে যাবেন।
আপনারা চাইলে কিন্তু আজ কের পর থেকে নিজেরা নিজেদের ব্যাংক স্টেটমেন্ট গুলা
ডাউনলোড করতে পারবেন আপনার হাতে থাকা ফোন টির মাধ্যমে দিয়ে। ব্যাংক স্টেটমেন্ট
কিন্তু আমাদের জন্য অনেক গুরুত্ব পূর্ণ একটি জিনিস। আর ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টেটমেন্ট ডাউনলোড এই জিনিস টি সম্পর্কে জেনে
রাখা কিন্তু আমাদের সকলের ই উচিত।
পোষ্টের সূচিপত্রঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টেটমেন্ট ডাউনলোড করবেন কিভাবে
ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টেটমেন্ট ডাউনলোড করবেন কিভাবে
ইন্টারনেট এর যুগে সব কিছু পসিবল শুধু মাত্র একটি স্মার্ট ফোন থাকলে ই। এখন মানুষ
ঘরে বসে অনলাইন এর মাধ্যমে সমস্ত কাজ সম্পন্ন করতে পারছে। আগে কার দিনে মানুষ
ব্যাংক এর স্টেটমেন্ট নেওয়ার জন্য বা ব্যাংক লেন দেন করার জন্য কিন্তু ব্যাংকে
গিয়ে তার পর লেন দেন করে থাক তো। কিন্তু এখন বর্তমানে আপনি চাইলে নিজে ই ঘরে বসে
নিজের স্মার্ট ফোন এর মাধ্যমে কিন্তু স্টেটমেন্ট নিতে পারবেন।
হয় তো অনেকে ই জানে না যে ইন্টারনেট থেকে কি ভাবে স্টেটমেন্ট ডাউনলোড করা যায়
বা স্টেটমেন্ট কি আদৌ নিজে নিজে বের করা পসিবল? তাদেের জন্য বলবো হ্যাঁ অবশ্য ই
পসিবল। আজ কাল নেট এর মাধ্যমে সব কিছু ই সম্ভব হচ্ছে।
আর আপনি ও চাইলে কিন্তু আপনার স্টেটমেন্ট টি আপনি নিজের মতো করে বের করে নিতে
পারবেন। শুধু মাত্র একটি স্মার্ট ফোন থাকলে এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে। বিভিন্ন
রকম ব্যাংক এর স্টেটমেন্ট গুলা ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে বের করতে হয়। বাট আমরা আজ কে
দেখব ডাচ বাংলা ব্যাংক এর স্টেটমেন্ট গুলা কি ভাবে বের করতে হয়। ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টেটমেন্ট ডাউনলোড করবেন যেভাবেঃ
- প্রথমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট এর নেট ব্যাংকিং এ গিয়ে যে ব্যাংক একাউন্ট টি থাকবে সেটি লগ ইন করে নিবেন। এর পর সেখানে আপনার ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে আইডি টা লগ ইন করবেন।
- এর পর আইডি টা যখন লগইন হয়ে যাবে। তখন আপনার হোম পেজ এর উপর এর দিকে দেখবেন একটি মিনি আইকন আছে সেখান কার এ্যারো চিহ্ন তে ক্লিক করবেন।
- এখন আপনি কত তারিখ থেকে শুরু করে কত তারিখ পর্যন্ত স্টেটমেন্ট টি নিতে চাচ্ছেন সেটির সেই তারিখ গুলো আপনা কে এখানে উল্লেখ করে দিতে হবে।
- উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে - ধরেন আপনি ১৫ তারিখ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত লেন দেন এর যে স্টেটমেন্ট টি রয়েছে ওই টি নিতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনা কে শুরু ১৬ তারিখ দিতে হবে ১৫ এবং শেষ তারিখ দিতে হবে ২৫।
- এ ছাড়া ও সেখানে আরো কিছু ইনফরমেশন চাইতে পারে আপনি সে গুলো ফিল আপ করবেন। করার পর আপনা কে সাবমিট করার জন্য একটি অপশন দিবে,, আপনি সাবমিট করে দিবেন।
- সাবমিট করার পর আপনি কিন্তু আপনার স্টেটমেন্ট টি পেয়ে যাবেন। এখন চাইলে আপনার স্টেটমেন্ট টি ওখান থেকে প্রিন্ট এর মাধ্যমে বের করতে পারবেন অথবা চাইলে কিন্তু একটি স্ক্রিনশট ও নিতে পারবেন।
- এই ডাচ বাংলা ব্যাংক এর স্টেটমেন্ট বের করা যতটা সহজ। ঘরে বসে আপনারা কিন্তু চাইলে অন্যান্য ব্যাংক এর স্টেটমেন্ট গুলো নিতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে সার্চ করে দেখে নিতে পারেন তার পর খুব সহজে নিজে ই স্মার্ট ফোন দিয়ে স্টেটমেন্ট নিতে পারবেন।
পাসওয়ার্ড ছাড়া ব্যাংক স্টেটমেন্ট কিভাবে ডাউনলোড করব
বাংলাদেশ এর ভিতরে কিন্তু অনেক গুলো ব্যাংক রয়েছে এবং ব্যাংক গুলোর সিকিউরিটি এত
বেশি যে আপনারা চাইলে ও এখান থেকে কার ও কোনো ইনফরমেশন চুরি করে কিছু করতে পারবেন
না। ফিঙ্গার প্রিন্ট বা সিগনেচার এই গুলা হচ্ছে বেশি ইম্পর্টেন্ট একটি ব্যাংকিং
একাউন্ট এর জন্য। এই গুলা ছাড়া কেউ আপনার স্টেটমেন্ট পর্যন্ত চেক করে দেখতে
পারবেনা। পাসওয়ার্ড ছাড়া ব্যাংক স্টেটমেন্ট চেক করা কি আদৌ সম্ভব? আসলেই সম্ভব
না! কারণ পাসওয়ার্ড ছাড়া ব্যাংক এর স্টেটমেন্ট যদি চেক করা যেত তাহলে কিন্তু এক
জন আরেক জন এর ব্যাংক স্টেটমেন্ট নিয়ে অনেক কিছু করতে পারতো।
সিকিউরিটির জন্য এটা allow করা হয় না। ব্যাংক থেকে শুধু মাত্র যার একাউন্ট সে
তার ইউজার আইডি নাম্বার পাসওয়ার্ড দিয়ে স্টেটমেন্ট নিতে পারবে। যেহেতু ব্যাংক
একটি সেনসিটিভ জায়গা এখানে মানুষ তার অর্থ সঞ্চয় করে জমা করে রাখে। জমাকৃত টাকা
টি আমানত স্বরূপ ব্যাংক এর কাছে গ্রাহকরা জমা করে রাখে। তাই তারা সিকিউরিটির জন্য
এমন ব্যবস্থা করছে যে শুধু মাত্র যার একাউন্টে সে তার ইউজার আইডি নাম্বার
পাসওয়ার্ড দিয়ে স্টেটমেন্ট নিতে পারবে বা ব্যাংকের লেনদেন করতে পারবে।
মোবাইল অ্যাপ থেকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট ডাউনলোড
মোবাইল অ্যাপ থেকে ও কিন্তু ব্যাংক এর স্টেটমেন্ট পাওয়া যায়। এটা হয় তো অনেকে
ই জানে না। অনেক এর অজানা থাকতে ই পারে তবে এখন যেহেতু জামানা পাল্টেছে তাই মানুষ
এর কাজ কামে ও নতুনত্ব এসেছে। আচ্ছা আমরা প্রথমে জানব যে ব্যাংক স্টেটমেন্ট আসলে
কি?? ব্যাংক স্টেটমেন্ট হচ্ছে - এমন একটি জিনিস যে টি দ্বারা আপনি পুরো বছর বা
মাস জুড়ে সেখানে কত টাকা কত,, তারিখে দিয়েছেন বা জমা করেছেন সে গুলো হচ্ছে
সঞ্চয় কৃত অর্থ গুলো কে আপনারা সেখানে দেখতে পাবেন।
এই স্টেটমেন্ট এর মাধ্যমে মানুষ বুঝতে পারে যে আসলে সে কত টাকা ইনকাম করতেছে বা
কত টাকা সে জমা করছে বা কত টাকা সে এখান থেকে উঠিয়ে খরচ করছে। তার একটা হিসাব এর
জন্য এই স্টেটমেন্ট টি রাখা হয়। ব্যাংক যেহেতু একটি আমানত স্বরূপ গ্রাহক এর অর্থ
গুলো কে জমা রাখে তাই সিকিউরিটির জন্য তাদের কে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা এবং
সার্ভিস দিতে হয় । আপনারা চাইলে কিন্তু এই ব্যাংক স্টেটমেন্ট গুলো স্মার্টফোন এর
মাধ্যম দিয়ে ওয়েবসাইটে গিয়ে সেখানে নেট ব্যাংকিং পোর্টাল থেকে ব্যাংকে
স্টেটমেন্ট এ বের করে নিতে পারবেন।
অথবা আপনি play store বা অন্য কোনো ওয়েব সাইট থেকে যে ব্যাংক এর স্টেটমেন্ট টি
আপনি নিতে চাচ্ছেন সেই ব্যাংক এর পোর্টাল টি ডাউনলোড করে সেখান থেকে স্টেটমেন্ট
বের করে নিতে পারেন। তবে স্টেটমেন্ট বের করার জন্য আপনাদের কে বেশ কিছু ট্রিকস
ফলো করতে হবে। অনলাইন ব্যাংকিং পোর্টাল এর মাধ্যমে আপনার কিন্তু ৪ ভাবে এই
স্টেটমেন্ট টি বের করতে পারবেন। যেমনঃ
- ১.নেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে।
- ২.যে ব্যাংক এর স্টেটমেন্ট নিবেন সেই ব্যাংক এর অ্যাপ ব্যবহার করে।
- ৩.ইমেইল এর মাধ্যমে ব্যাংক এর স্টেটমেন্ট বের করতে পারবেন।
- ৪.এটিএম এর মাধ্যমে ব্যাংকের স্টেটমেন্ট বের করতে পারবেন
- ৫.তবে আজ কে আমরা এই ৪ টির ভিতর থেকে শুধু মাত্র মোবাইল অ্যাপ থেকে কি ভাবে আমরা ব্যাংক স্টেটমেন্ট ডাউনলোড করতে পারবো সে টি দেখাবো।
- এর জন্য প্রথমে আপনি নেট ব্যাংকিং পোর্টালে যাবেন।
- এর পর সেখানে আপনার ইউজার আইডি নাম্বার পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করবেন।
- এর পর হোম পেজে আপনি একটি স্টেটমেন্ট মেনু দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করবেন।
- এরপর আপনি কত তারিখ থেকে কত তারিখ পর্যন্ত লেনদেন টি দেখতে চাইছেন সেটির তারিখ উল্লেখ করবেন।
- এর পর আপনার আরো কিছু ইনফরমেশন চাইতে পারে আপনি সে গুলো ফিল আপ করে সাবমিট করে দিবেন।
- এখন সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে আপনি সেখান থেকে স্টেটমেন্ট টি প্রিন্ট করে নিতে পারেন অথবা একটি স্ক্রিন শট নিয়ে রাখতে পারেন।
- মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে কিন্তু ব্যাংক এর স্টেটমেন্ট বের করা খুবই সহজ এবং এটি আপনি নিজে ই করতে পারবেন।
পুরাতন ব্যাংক স্টেটমেন্ট কিভাবে পাওয়া যায়
অনেকে ই আছেন যে অনেক সময় লেন দেন করার যে হিসাব গুলা ঠিক রাখতে পারে না। তবে
স্টেটমেন্ট এর মাধ্যমে কিন্তু আপনি পুরা মাস এর বা পুরা বছর এর বা বিগত কয়েক বছর
এর লেন দেন এর একটি কপি নিতে পারবেন। স্টেটমেন্ট মূলত আয় এর লেন দেন এর হিসাব
রাখার একটি উপায়। স্টেটমেন্ট এর মাধ্যমে আপনি আপনার পুরো ব্যাংক লেনদেন এর একটি
হিসাব নিতে পারবেন। তবে অনেক সময় বর্তমান হিসোব রাখতে রাখতে পুরাতন হিসাব গুলো
ভুলে যাই। পুরাতন ব্যাংক স্টেটমেন্ট আমাদের অনেক কাজে ও লেগে থাকে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ ব্যাংক সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়ম
তো সে ক্ষেত্রে এই পুরাতন ব্যাংক স্টেটমেন্ট টি আমরা কি ভাবে পেতে পারি। তো আজ কে
আমি আপনাদের সাথে এই পুরাতন ব্যাংক স্টেটমেন্ট কি ভাবে পাওয়া যাবে এই
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় টি নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো। তো সবাই সাথে থাকুন আর
মনোযোগ দিয়ে আর্টিকেল টি পড়তে থাকুন। পুরাতন হোক বা নতুন!! ব্যাংক স্টেটমেন্ট
নেওয়ার জন্য আপনারা ৪ ধরন এর উপায় অবলম্বন করতে পারেন। যেমনঃ
- ১.নেট ব্যাংকিং স্টেটমেন্ট সেবা।
- ২.মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে ব্যাংকিং স্টেটমেন্ট সেবা।
- ৩.ইমেইল এর মাধ্যমে ব্যাংকিং স্টেটমেন্ট সেবা।
- ৪.এবং সর্বশেষ যে টি আপনার এটিএম থেকে ব্যাংকিং স্টেটমেন্ট সেবা পেতে পারেন।
নেট ব্যাংকিং
নেট ব্যাংকিং স্টেটমেন্ট সেবা পাওয়ার জন্য আপনাদের কে ওয়েবসাইট থেকে নেট
ব্যাংকিং পোর্টাল সার্চ করে সেখানে গিয়ে আপনার ইউজার আইডি নাম্বার পাসওয়ার্ড
দিয়ে লগ ইন করবেন। এর পর আপনার হোম পেজ এর যে মিনি স্টেটমেন্ট লেখা অপশন টি আসবে
সেখানে গিয়ে কত তারিখ থেকে কত তারিখ পর্যন্ত স্টেটমেন্ট নিতে চাচ্ছেন সেই তারিখ
গুলা দিয়ে দিবেন। এর পরে ও আপনার আরেক টি তথ্য যদি চেয়ে থাকে সে গুলো দিবেন।
তার পর এটা সাবমিট করে দিলে আপনি আপনার স্টেটমেন্ট টি পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে
আপনি আপনার স্টেটমেন্ট টির একটি স্ক্রিনশট অথবা প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
মোবাইল অ্যাপস
মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে আপনারা যদি ব্যাংক স্টেটমেন্ট নিতে চান তাহলে সে
ক্ষেত্রে আপনি যে ব্যাংক এর স্টেটমেন্ট নিবেন সেই ব্যাংক এর একটি অ্যাপস ডাউনলোড
করবেন। যে কোন ব্রাউজার থেকে আপনারা এই অ্যাপস টি ডাউনলোড করে নিবেন। এর পর
অ্যাপস টি ওপেন করে আপনি আপনার ইউজার আইডি নাম্বার পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করবেন
। লগ ইন করার পর আপনার সামনে যে স্টেটমেন্ট অপশন আসবে সেটি তে ক্লিক করে আপনার
প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো সাবমিট করবেন। সাবমিট করার পর আপনার সামনে স্টেটমেন্ট টি
শো করবে সেখান থেকে আপনি চাইলে স্ক্রিন শট নিয়ে অথবা যে কোন উপায়ে স্টেটমেন্ট
টি ওখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
ইমেইল
আপনি যদি ইমেইল এর মাধ্যমে ব্যাংক স্টেটমেন্ট সেবা নিতে চান তাহলে আপনা কে প্রথমে
আপনার যে নিবন্ধিত ইমেইল টি থাকবে সেটির ইনবক্সে যাবেন। তার পর ইনবক্স থেকে আপনি
আপনার ব্যাংক এর স্টেটমেন্ট সহ যে ফাইল টি থাকবে সে টি ওপেন করবেন। ওপেন করার পর
সেখানে ব্যাংক স্টেটমেন্টে যাবেন। গিয়ে আপনার ইউজার আইডি নাম্বার পাসওয়ার্ড
দিবেন দিয়ে লগ ইন করবেন। তার পর হোম পেজে স্টেটমেন্ট লেখা আসলে সেখানে গিয়ে
বাকি তথ্য গুলো দিয়ে আপনি সাবমিট করবেন। এর পর দেখতে পাবেন আপনার সামনে পি ডিএফ
ফাইল টি ওপেন হয়ে যাবে ব্যাংক স্টেটমেন্ট সহ। সেখান থেকে আপনি চাইলে pdf ফাইল সহ
স্টেটমেন্ট টি ডাউনলোড করে নিতে পারেন অথবা একটি স্ক্রিন শট নিতে পারেন।
এটিএম
এটিএম এর মাধ্যমে এই স্টেটমেন্ট সেবা পাওয়ার জন্য আপনা কে প্রথমে এটিএম বুথে
যেতে হবে। এটিএম বুথে যাওয়ার পর পিন লিখে আপনার প্রয়োজনে স্টেটমেন্ট টি সেখান
থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।
উপরোক্ত এই সেবা গুলো আপনারা তখন ই পাবেন যখন ওই ব্যাংকে গ্রাহক এর স্টেটমেন্ট
সেবা গুলা ওপেন করা থাকবে। যদি কোন ভাবে এই মাধ্যম গুলো দিয়া আপনি আপনার এই
স্টেটমেন্ট না নিতে পারেন তাহলে সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। সে
ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি অনেক পুরাতন ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও নিতে পারবেন। ব্যাংকে না
গিয়ে ও কিন্তু আপনি ব্যাংকিং পোর্টালে গিয়ে সেখানে ব্যাংক এর কাছে একটি
রিকুয়েস্ট দিতে পারেন এই পুরাতন স্টেটমেন্ট নেওয়ার জন্য।
ব্যাংক স্টেটমেন্ট টাইম কিভাবে বের করব
অনেক এর এই ব্যাংকিং বিষয়ে ধারণায় নাই আবার অনেকে ই হচ্ছে ব্যাংকিং বিষয়ে অনেক
কিছু ই জানেন না। তো আজ কে আমি তাদের জন্য কিছু গুরুত্ব পূর্ণ তথ্য শেয়ার করব।
অনেকে আছেন হ্যাঁ ব্যাংকে না গিয়ে ব্যাংক স্টেটমেন্ট বের করতে চান বা ব্যাংক
স্টেটমেন্ট এ কি টাইম দেওয়া আছে সেটি দেখতে চান বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট টি কতদিন
আগে বা কতদিন আগ পর্যন্ত এই ব্যাংক স্টেটমেন্ট গুলো আমি নিয়েছি সেগুলোর টাইম
দেখতে চান।
তো যারা ব্যাংক এর এই স্টেটমেন্ট কি ভাবে বের করতে হয় জানে না তারা উপরে আমার এই
পোস্ট টি পড়লে পুরো পুরি ক্লিয়ার ভাবে বুঝতে পারবেন যে কি ভাবে একটি ব্যাংক
স্টেটমেন্ট ব্যাংকে না গিয়ে ও বের করা যায়। বা কিভাবে এই ব্যাংক স্টেটমেন্ট
টাইম দেখবেন সেটি ও শেয়ার করব। ব্যাংক স্টেটমেন্ট টাইম দেখার জন্য আপনারা যখন
ব্যাংক স্টেটমেন্ট টি বের করবেন।
আরো পড়ুনঃঅনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
তখন সেখানে একটি অপশন থাকে ওই অপশন টি যখন আপনারা চালু করে দিবেন তখন ব্যাংক
স্টেটমেন্ট টি কত দিন, কত তারিখ থেকে কত তারিখ পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে বা কোন সময়ে
বের করা হয়েছে সে গুলো সব কিন্তু উল্লেখ করা থাকে। আপনারা চাইলে এই ভাবে টাইম টি
বের করে নিতে পারেন অথবা আপনারা নিজেরা খেয়াল রাখতে পারেন যে স্টেটমেন্ট টি আসলে
কখন বের করা হচ্ছে সেখানে কিন্তু টাইম দেওয়া থাকে।
টাইম ডিউরেশন যে সব জায়গায় সেট করতে হয় এমনটা ও না। ব্যাংক থেকে যখন আপনি
স্টেটমেন্ট টি নিবেন তখন তারা এমনি সেখানে স্টেটমেন্ট এর সাথে টাইম উল্লেখ করে
দেয়। তবে আপনি যখন নিজে বের করবেন ব্যাংক স্টেটমেন্ট টি,,তখন সেখানে টাইম
ডিউরেশন অপশন টি চালু করে দিবেন তাহলে আপনি নিজে যে স্টেটমেন্ট বের করবেন সেখানে
ও কিন্তু টাইম দেওয়া থাকবে। এখানে ব্যাংকের স্টেটমেন্ট টাইম বের করার জন্য
আপনাদের কে কিন্তু আলাদা করে নতুন কিছু শেখা লাগবে না বা কিছু করা লাগবে না। শুধু
মাত্র টাইম ডিউরেশন অপশন টি ঠিক রাখবেন তাহলে ই হবে।
লেখক এর শেষ মন্তব্য
আজ কে কিন্তু আমরা ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টেটমেন্ট ডাউনলোড বা বেশ কয়েক টি গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে
জেনেছি। আশা করি আজকের পর থেকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা ব্যাংক রিলেটেড এই ধরনের
সমস্যা গুলোয় পড়বেন না। আপনারা নিজেরা নিজেদের স্টেটমেন্ট গুলো নিজের হাতে থাকা
ফোন এর মাধ্যমে কিন্তু বের করে নিতে পারবেন। আপনারা হয় তো অনেকে ই জানতেন না যে
কি ভাবে নিজের ফোন থেকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট বের করা যায়।
ব্যাংক এর স্টেটমেন্ট নেয়ার জন্য অধিকাংশ মানুষ ব্যাংকে গিয়ে লেনদেন করে থাকেন।
তবে বর্তমানে মোবাইল এর মাধ্যমে ব্যাংকিং এ সব ধরনের সেবা কম বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
আপনারা চাইলে এই সেবা গুলো ফোন এর মাধ্যমে ই গ্রহণ করেত পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url