ফ্রিল্যান্সিং এ টাকা পাওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি
ফ্রিল্যান্সিং এখন অনলাইন জগৎ এর বাদশা বলা যায়। কারণ এখন প্রত্যেক টি মানুষ এই
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ছে। এই ফ্রিল্যান্সিং এ টাকা পাওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি বা কোন কাজে
বিদেশীদের থেকে কাজ এর অর্ডার নিয়ে তাদের কাজ টি করে দেওয়ার বদলে বিদেশীরা
কিন্তু একটি বৈদেশিক মুদ্রা পারিশ্রমিক হিসেবে এদের কে দিয়ে থাকে।
তবে অনেকে ই আছে যারা এই ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে ইনকাম করলে ও কিসের মাধ্যমে এই
পেমেন্ট টি তারা নিবে বা কোন মেথডে পেমেন্ট কি নিলে কোন ঝামেলায় পড়তে হবে না।
এটা নিয়ে অনেকে ই অনেক দুশ্চিন্তা করেন। আজ কে তাদের জন্য আমার এই আর্টিকেল টি
করা আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারবেন যে ফ্রিল্যান্সিং এ টাকা পাওয়ার
সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি। এছাড়া ও ব্যাংক একাউন্ট সম্পর্কিত আরো অনেক তথ্য
আজ কে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তো সাথে থাকবেন এবং আমার আর্টিকেল টি মনোযোগ
সহকারে পড়বেন।
পোস্টের সূচিপত্রঃ ফ্রিল্যান্সিং এ টাকা পাওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি
ফ্রিল্যান্সিং এ টাকা পাওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি
ফ্রিল্যান্সিংয়ে টাকা পাওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো পেওনিয়ার। বর্তমানে
কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এখন অনলাইন জগৎ এ কাজ খুজছে বা কাজ করছে। অনলাইন কাজের ভিতর
ফ্রিল্যান্সিং কিন্তু অন্যতম। ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে মানুষ স্বাবলম্বী হচ্ছে। এমন
অনেক যুবক, যুবতী ও গৃহীণি রয়েছে যারা এই ফ্রিল্যান্সিং থেকে নিজেদের ক্যারিয়ার
গড়েছে। তারা তাদের পার্সোনাল লাইফ এর ব্যক্তি গত কাজ করার পরে ও কিন্তু
ফ্রিল্যান্সিং করে অনেক ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে।
তবে এই ফ্রিল্যান্সিং এ টাকা পাওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি বা কি করে তারা যে অর্থ গুলো উপার্জন করছে সেই অর্থ গুলা তারা
কিসের মাধ্যমে নিবে এটি কিন্তু অনেক গুরুত্ব পূর্ণ একটি বিষয়। অনেক সময় দেখা
যায় যে এই ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা গুলো তারা উইথড্র দিতে গেলে অনেক ধরনের
সমস্যায় পড়তে হয়। তাই বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখা উচিত যে ফ্রিল্যান্সিং করে এত
কষ্ট করে উপার্জন করা টাকা গুলো যেন আমরা ভালো ভাবে আমাদের কোন একটি মাধ্যম থেকে
পেমেন্ট টি নিয়ে তারপর ব্যাংক একাউন্ট এ ট্রান্সফার করে নিতে পারি।
বৈদেশিক মুদ্রা যখন আপনারা পেমেন্ট হিসেবে নিবেন তখন কিন্তু সরাসরি ব্যাংক
একাউন্ট বা মোবাইল সার্ভিস এ গুলো তে নিতে পারবেন না। আপনাদের কে প্রথম পর্যায়ে
পেমেন্ট এর যে কোন একটি গেটওয়ে মেথড বেছে নিতে হবে। যেমনঃ ধরেন example স্বরূপ
PayPal, পেওনিয়ার, উইস বা স্ক্রিল এর মতো গেটওয়ে। যে গুলা তে পেমেন্ট
ট্রান্সফার করে নিতে হবে।
এরপর এখান থেকে যে কোনো একটি ব্যাংক সার্ভিস এর মাধ্যমে বা মোবাইল ব্যাংকিং
বিভিন্ন সার্ভিস রয়েছে সে গুলোর মাধ্যমে ও কিন্তু আপনি এখান থেকে টাকা
ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন। তবে আপনাদের কে আর ও একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে রাখি
এখানে কিন্তু পেপাল যে গেটওয়ে মেথড টি রয়েছে এটি কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে এখনো
অফিসিয়াল ভাবে রেজিস্টার হয় নি তাই এটি তে বর্তমানে আপনারা টাকা ট্রান্সফার করে
নিতে পারবেন না।
অনেকে ই কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এর পেমেন্ট নেওয়ার জন্য এই গেটওয়ে মেথড টি
ব্যবহার করে থাকে। তবে অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সাররা কিন্তু এই পেওনিয়ার গেটওয়ে মেথড
টি ব্যবহার করে থাকে পেমেন্ট নেওয়ার জন্য। এটি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অনেক
জনপ্রিয় একটি মেথড। কারণ এই পেওনিয়ার গেটওয়ে মেথড টি তে অন্য মেথড গুলো থেকে ও
অনেক কম চার্জ করা হয়।
ফ্রিল্যান্সাররা তাদের সমস্ত শক্তি মেধা খাটিয়ে এই ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে থাকে
তাই তারা যেখানে সুবিধা পাবে তারা সেখান থেকে ই এটি উইথড্র করবে। তবে অধিকাংশ
ফ্রিল্যান্সাররা এই পেওনিয়ার টি ব্যবহার করে থাকে। এই মেথডটির মাধ্যমে তারা
সরাসরি এখান থেকে ব্যাংক এর টাকা টি ট্রান্সফার করে নিতে পারে। এখান থেকে আবার
মোবাইল সার্ভিস গুলো তে ও কিন্তু ট্রান্সফার করা যায়।
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ব্যাংক একাউন্ট
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কিন্তু ব্যাংক একাউন্ট থাকা অবশ্য জরুরি। কারণ
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার পর আপনি এখান থেকে যে অর্থ গুলো উপার্জন করবেন সে গুলো
আপনার ট্রান্সফার করে নেওয়ার জন্য অবশ্য ই একটি ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করতে হবে।
এখানে যে কাজ গুলো করে আপনি পারিশ্রমিক হিসেবে যে টাকা টা পাবেন সেটি কিন্তু
সরাসরি আপনি নিতে পারবেন না।
এজন্য আপনা কে যে কোনো একটি গেটওয়ে মেথড সিলেক্ট করতে হবে এবং সেটি থেকে
ট্রান্সফার করে ব্যাংক একাউন্টে নিতে হবে। তো বাংলাদেশে যেহেতু জনপ্রিয় একটি
গেটওয়ে মেথড রয়েছে। যেটি থেকে খুব সহজে ই টাকা ট্রান্সফার করা যায়। তো আপনারা
চাইলে সেটি থেকে আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা টি ট্রান্সফার করে নিতে পারেন।
ইউসিবি ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
ইউসিবি ব্যাংক একাউন্ট কি ভাবে খুলতে হয় বা খোলার সঠিক নিয়ম কোন টি অনেকে ই হয়
তো বা জানেন না। যারা জানে না তারা তাদের জন্য আজ কে আমি শেয়ার করব কি ভাবে সঠিক
নিয়মে একটি ইউসিবি ব্যাংক একাউন্ট খোলা যায়। এর জন্য কিন্তু আপনা কে বেশ কিছু
প্রসেস ফলো করতে হবে এবং সেই প্রসেস গুলোর সঠিক নিয়মেই করতে হবে।
- প্রথমে এক টি অ্যাপস ডাউনলোড করতে হবে।
- অ্যাপ টির নাম হলো uclick অ্যাপ। এটি আপনারা যে কোন ব্রাউজার থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
- এর পর অ্যাপস টি ওপেন করে নিতে হবে।
- ওপেন করার পর সেখানে ক্রেডিট কার্ড সার্ভিস বা সেভিংস সার্ভিস দেওয়া থাকবে। সেখান থেকে নো বাটনে ক্লিক করে কন্টিনিউ করতে হবে।
- এর পর সেভিংস অ্যাকাউন্ট নামে যে অপশন টি আসবে সেটি তে যেতে হবে।
- এখানে যে ডিটেলস গুলো চাইবে সেই ডিটেলস গুলো একের পর এক দিতে হবে। যেমন: এন আইডি কার্ড এর নাম্বার চাইবে,, জন্ম তারিখ চাইবে,, ফোন নাম্বার বা ইমেইল নাম্বার চাইবে সব গুলো দেওয়ার পর কন্টিনিউ করতে হবে।
- এরপর আপনি যে মোবাইল নম্বর টি দিবেন সেটি তে একটি ওটিপি চলে আসবে,, কাউকে না দেখিয়ে সাথে সাথে সেখানে বসিয়ে দিবেন।
- বিঃ দ্রঃ ওটিপি কখনো কারো সাথে শেয়ার করতে হয় না।
- এর পর লগিন এর জন্য আপনা কে একটি পিন সেট করতে বলবে।
- আপনি আপনার পছন্দ মতো যে কোন চার সংখ্যার একটি পিন বসিয়ে দিবেন। ভেরিফাই এর জন্য কিন্তু পিন টি আবার চাইতে পারে অবশ্য ই মনে রাখবেন।
- এখন আপনার যে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলা লাগবে সে গুলো আপনা কে আপলোড করতে হবে।
- ফাস্ট আপনার এন আইডি কার্ড টি আপলোড করতে হবে।
- এরপর আপনার একটি ছবি দিতে হবে।
- এবার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিস টা আপনার একটি সিগনেচার করতে হবে।
- সব গুলো ইনফরমেশন দেওয়া হয়ে গেলে আপনি কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করবেন।
- যদি আপনার সব ইনফরমেশন গুলা ঠিক ঠাক থাকে তাহলে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের সমস্ত ডিটেলস আপনার সামনে চলে আসবে।
- এর পর আরো কিছু ডিটেলস অ্যাড করতে হবে।
- যেমন আপনি ছেলে নাকি মেয়ে এটি সিলেক্ট করতে হবে।
- তার পর আপনি বিবাহিত নাকি অবিবাহিত এটি সিলেক্ট করতে হবে।
- তার পর যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার স্ত্রীর নাম দিতে হবে।
- তার পর আপনি কোন প্রফেশনে আছেন সেটি ও সিলেক্ট করতে হবে।
- এরপর আবারো আপনি আপনার মোবাইল নাম্বার টি দিয়ে কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করবেন।
- এই ইউসিবি ব্যাংক থেকে যদি আরো কিছু সুবিধা নিতে চান তাহলে নিচের অপশন গুলো আপনা কে ফিল আপ করতে হবে।
- চেক বই বা ডেবিট কার্ড বা এটিএম কার্ড নিতে চাইলে yes বাটনে ক্লিক করে সুবিধা মত একটি ব্রান্স বেঁচে নিতে হবে।
- এর আগে যদি ইউসিবি ব্যাংকে কোন একাউন্ট থেকে থাকে তাহলে সে একাউন্ট নাম্বার টি বসা তে হবে।
- এরপর কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করে আপনার নমিনি পরিচয় দিতে হবে।
- নমিনির নাম ঠিকানা তার সাথে কি সম্পর্ক তার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার দিয়ে কন্টিনিউ করতে হবে।
- এরপর নমিনির এনআইডি কার্ড এর ছবি এবং নমিনীর ছবি আপলোড করতে হবে। কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করলে সেখানে কিছু শর্ত দেওয়া থাকবে আপনি শর্ত গুলোর প্রতি সম্মতি জানাবেন। এবং নেক্সট এ চলে যাবেন।
- এরপর আপনার সকল তথ্য সামনে চলে আসবে ঠিক থাকলে সে টি সাব মিট করে দিবেন এবং সাব মিট করার পর সেখানে কিছু টাকা ডিপোজিট করতে হয়। আপনি কিছু টাকা ডিপোজিট করে দিবেন। এর পর আপনার অ্যাকাউন্ট টি হয়ে গেলে আপনি একটি কংগ্রাচুলেশন মেসেজ পাবেন। যে টি থেকে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার অ্যাকাউন্ট টি সফল,ভাবে সাকসেস ফুল হয়েছে।
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কোন ব্যাংক ভালো
ফ্রিল্যান্সাররা কিন্তু তাদের মেধা শক্তি কে কাজে লাগিয়ে এই অনলাইন জগৎ এ
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে থাকে। তাই তারা চাই ভালো সার্ভিস দিয়ে থাকে এমন ব্যাংক
গুলোর সাথে সংযুক্ত হতে। এমন ই কিছু ব্যাংক আছে যে গুলো থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর
পেমেন্ট গুলা সহজে ই ট্রান্সফার করে নেওয়া যায়। যেমনঃ
- ডাচ বাংলা ব্যাংক,
- সিটি ব্যাংক,
- ব্যাংক এশিয়া,
- ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ইত্যাদি।
অনেক ভালো এবং এটি থেকে ফ্রিল্যান্সাররা সহজে ই তাদের পেমেন্ট ট্রান্সফার করতে
পারে। তাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ই এই সার্ভিস গুলো ই তারা ব্যবহার করে থাকেন। এ
ছাড়া ও কিন্তু পেওনিয়ার গেটওয়ে মেথড টি অনেক বেশি জনপ্রিয়। ফ্রিল্যান্সিং
কাজের পেমেন্ট কিন্তু সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে নেওয়া যায় না। এজন্য গেটওয়ে কোন
মেথড ব্যবহার করতে হয়। পেপাল এবং পেওনিয়ার এই দুইটা মেথড অনেক বেশি জনপ্রিয়
হওয়া শর্তেও কিন্তু পেপালে পেমেন্ট নেওয়া যায় না ।
কারণ বাংলাদেশের পেপাল ম্যাথড টি এখনো পর্যন্ত অফিসিয়াল ভাবে রেজিস্টার হয়নি।
তাই বর্তমানে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের পেমেন্ট টি পেওনিয়ারের মাধ্যমে নিয়ে থাকেন
এবং এখান থেকে খুব সহজে ই কিন্তু মোবাইল ব্যাংকিং বা উপরে উল্লেখিত যে কোন
ব্যাংকের মাধ্যমে পেমেন্ট টি সহজে ট্রান্সফার করে নিতে পারেন। ডাচ বাংলা ব্যাংক,
সিটি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া ইত্যাদি ব্যাংক গুলো তে কিন্তু খুব
সহজে ই কোন ঝামেলা ছাড়া ই ফ্রিল্যান্সিং কাজের পেমেন্ট ট্রান্সফার করে নেওয়া
যায়।
মার্কেট প্লেস গুলো তে এই ব্যাংক গুলো অনেক দিন যাবত থাকার কারণে কিন্তু এই গুলো
তে পেমেন্ট নেওয়া আর ও বেশি সুবিধা জনক। এই ব্যাংক গুলা বলা যায়- এক প্রকার
মানুষের বিশ্বাস জিতে নিয়েছে। ব্যাংক গুলো সার্ভিস ভালো হওয়ার কারণে কিন্তু এখন
মানুষ সহজে ই এই ব্যাংক গুলোর সাথে লেনদেন করতে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার
ডাচ বাংলার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিন্তু বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে এর ভিতর বর্তমানে
চলমান রয়েছে চার প্রকারের একাউন্ট। যেমনঃ
saving account
এই সেভিংস একাউন্ট দ্বারা নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য তারা কিছু অর্থ জমিয়ে
রাখে। অনেক সময় দেখা যায় যে নিজেদের স্বপ্ন গুলো পূরণ করার জন্য পরিমাণ মতো
অর্থ থাকে না। তো সে জন্য এই স্বপ্ন টা কে একটু একটু করে পূরণ করার জন্য অর্থ
গুলো কে জমিয়ে নিজের কাছে রাখা কিন্তু সম্ভব হয় না এর জন্য এই মূলত সেভিংস
অ্যাকাউন্ট করা হয়।
সেভিংস একাউন্টে জমাকৃত টাকার উপরে কিন্তু সুদের হার ও দেওয়া হয়। মানে আমি বোঝা
তে চাচ্ছি আপনি আপনার সেভিংস একাউন্টে যত গুলো পরিমানে টাকা রাখবেন তার তার উপরে
ভিত্তি করে কিন্তু আপনা কে সুদের টাকা দেওয়া হবে।
current account
এই কারেন্ট অ্যাকাউন্ট টি মূলত একটি চলতি অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টে আপনি নিজের
মতো করে টাকা রাখতে পারবেন এবং আপনার সুযোগ বুঝে আপনি আবার এটি কে উঠিয়ে নিতে
পারবেন। এই চলতি একাউন্ট আপনা কে কোন সুদ দিবে না। শুধু মাত্র আপনি যে টাকা টুকু
এখানে জমা করবেন সেটি আপনি আবার নিজের ইচ্ছা মত উঠিয়ে নিতে পারবেন।
Recurring deposit account
এই অ্যাকাউন্ট টি তে প্রত্যেক মাসে একটি ফিক্সড এমাউন্ট জমা করতে হয়। এটি পাঁচ
বছর বা ১০ বছরের হতে পারে। তবে এই অ্যাকাউন্ট টি তে আপনি একটি নির্দিষ্ট সময়ে যে
টাকা গুলো জমা করবেন সে গুলোর উপরে কিন্তু সুদের হার দিয়ে আপনার ওই নির্দিষ্ট
সময় শেষে আপনা কে সুদ সহ আপনার জামাকৃত টাকা টি ফেরত দেওয়া হবে। আপনি চাইলে
কিন্তু আপনার নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার আগে ও এই টাকা টি উঠিয়ে নিতে পারেন। তবে
সে ক্ষেত্রে আপনি কোন সুদ পাবেন না। শুধু মাত্র জমা কৃত টাকা টুকু ই ফেরত পাবেন।
Fixed deposit account
এটি ফিক্সড হওয়ার কারণে এখানে যে সময় টি দেওয়া থাকবে মানে পাঁচ বছর কি,, ১০
বছরের জন্য এটি ফিক্সড করা হয়ে থাকে। এই সময়ের আগে আপনি কোন ভাবে এই ডিপোজিট
ভাঙতে পারবেন না। আপনি এখানে শুধু মাত্র নির্ধারিত সময়ে টাকা টি জমা দিতে পারবেন
এবং এর নির্দিষ্ট সময় শেষ কালে আপনি এখান থেকে ফিক্সড অ্যামাউন্ট সুদ সহ উঠিয়ে
নিতে পারবেন।
ইউসিবি ব্যাংক শাখার তালিকা
বর্তমানে জনপ্রিয় একটি ব্যাংক হচ্ছে ইউসিবি। বাংলাদেশ এর অনেক গুলো শাখা রয়েছে।
এই ইউসিবি ব্যাংক শাখার তালিকা টি নিন্মে উল্লেখ করা হলোঃ
- বান্দরবান জেলায় বান্দরবান নামে একটি ইউসিবি ব্যাংক এর শাখা রয়েছে।
- বরিশাল জেলায় বরিশাল নামে একটি ইউসিবি ব্যাংক এর শাখা রয়েছে ।
- ভোলা জেলায় ভোলা নামে একটি ইউসিবি ব্যাংক এর শাখা রয়েছে।
- বগুড়া জেলায় বগুড়া নামে একটি ইউসিবি ব্যাংক এর শাখা রয়েছে।
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় বাঞ্ছারামপুর নামে একটি ইউসিবি ব্যাংক এর শাখা রয়েছে।
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কাসবা নামে আরো একটি ইউসিবি ব্যাংক এর শাখা রয়েছে।
- চন্দনপুর জেলায় চন্দনপুর নামে একটি ইউসিবি ব্যাংক এর শাখা রয়েছে।
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ নামে একটি ইউসিবি ব্যাংক এর শাখা রয়েছে।
- চট্টগ্রাম জেলায় আগ্রাবাদ নামে একটি ইউসিবি ব্যাংক এর শাখা রয়েছে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
আজকে আমি আপনাদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি আশা করি আমার
আলোচনা থেকে আপনারা একটু হলে ও উপকৃত হয়েছেন। আজকের বিষয়বস্তু হিসাবে আপনাদের
জন্য ছিল ফ্রিল্যান্সিং এ টাকা পাওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি , ইউসিবি
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম, ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার,
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট গুলা সব থেকে ভালো ইত্যাদি। এ
বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের অনেকের ই হয় তো বা জানা ছিল না। যারা এই বিষয় গুলো
নিয়ে ইন্টারেস্টেড এবং এ বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে আগ্রহী,, তারা আজ কে আমার এই
আর্টিকেল টি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়লে আাশা করি বুঝতে পারবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url