ফাইবার গীগ তৈরি করার সঠিক নিয়মাবলি ২০২৫

ফাইবার গিগ কিন্তু একটি অনলাইন পরিষেবা মূলক সার্ভিস। এখানে আপনারা বিভিন্ন রকমের সার্ভিস পেয়ে যাবেন। ফাইবার গিগ সম্পর্কে কিন্তু অনেকে ই অনেক কিছু জানেন না। তবে তাদের ইচ্ছা আছে যে ওয়েব সাইট থেকে কিছু একটা করার তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি ফাইবার গীগ তৈরি করার সঠিক নিয়মাবলি ২০২৫ জেনে নিন।
ফাইবার গীগ তৈরি করার সঠিক নিয়মাবলি ২০২৫
আপনারা আজকের আর্টিকেল থেকে অনেক কিছু ই জানতে পারবেন। ফাইবার গীগ তৈরি করার সঠিক নিয়মাবলি ২০২৫-এ ফাইবার গিগ তৈরি করা সঠিক নিয়মাবলী, ফাইবার গিগ কি,কত ধরনের ফাইবার গিগ পাবলিশ করা যায় ইত্যাদি। ফাইবার গিগ সম্পর্কে যাদের একেবারে কোন ধারণা নেই। আশা করি তাদের আজকের পর ফাইবার গিগ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আর কোন সমস্যা হবে না। তো আপনারা সাথে থাকুন আর পড়তে থাকুন আজকের পোস্ট টি। আজকের পোস্টের মূল আলোচনা শুরু করা যাক।

পোষ্টের সূচিপত্রঃ ফাইবার গিগ তৈরি করার সঠিক নিয়মাবলি ২০২৫

ফাইবার গিগ তৈরি করার সঠিক নিয়মাবলি ২০২৫

ফাইবার গিগ কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এর একটি মার্কেট প্লেস এর নাম। এখানে হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। ফাইবার গীগ তৈরি করার সঠিক নিয়মাবলি ২০২৫ এই ফ্রিল্যান্সিং করে কিন্তু তরুণ দের বিভিন্ন ধরনের বেকারত্ব ঘুচছে এবং তারা এই পেশায় বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে। এই ফ্রিল্যান্সিং কিন্তু তারা ঘরে বসে ই করতে পারছে। এতে করে তাদের সময় বা অন্যান্য কাজের কোন ক্ষতি হচ্ছে না। তারা এটি তাদের পার্ট টাইম হিসেবে,ফুল টাইম হিসেবে,পেশাদার হিসেবে তারা এই কাজ গুলো করতে পারতেছে। এখান থেকে তারা আর্ন করতে পারছে। এটাকে তাদের আর্নিং এর মূল সোর্স হিসেবে নিচ্ছে। তবে ফ্রিল্যান্সিং এর এই মার্কেট প্লেসে কাজ করার জন্য আপনাদের কে আগে একটি ফাইবার গিগ একাউন্ট তৈরি করতে হবে। এই ফাইবার গিগটি আপনারা কয়েক টি ধাপে তৈরি করতে পারবেন ফাইবার গীগ তৈরি করার সঠিক নিয়মাবলি ২০২৫। যেমনঃ
  • এর জন্য গিগের একটি শিরোনাম দিতে হবে ওভারভিউ বিভাগে গিয়ে। এই গিগ টি শুরু করতে হবে "I will "word টি দিয়ে। এখানে গিগ টি তে যে কোন কিছু লিখতে বা গিগ টি সাজাতে আপনাদের কে অবশ্যই i will এই word টি ব্যবহার করতে হবে। 
  • উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় I will design template for your company. এভাবে করে এই গিগ টি তে যত গুলা শব্দ ব্যবহার করবেন সব গুলো তেই I will শব্দ টির সাথে মিল রেখে সাজাতে হবে। গিগ টি সম্পূর্ণ ভাবে সাজানো হয়ে গেলে। গিগের উপ বিভাগ এবং বিভাগ,কাজের ধরন, কি কাজ করতে আগ্রহী এই সব কিছু নির্ধারণ করতে হবে। 
  • যেমন ধরেন আপনি কি ধরনের কাজ করতে চাচ্ছেন সেটা এখানে উল্লেখ করতে হবে। এর পরবর্তী ধাপে গিগ এর মেটা ডেটা তে যত গুলো অপশন থাকবে সব গুলো বুঝে শুনে ফিল আপ করতে হবে। আপনার যদি কোন ধরনের অসুবিধা হয় বা আপনি কোন কিছু যদি বুঝতে না পারেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু পুরাতন ডিজাইনার দের কাজের ধরন গুলো দেখে নিতে পারেন। 
  • তারা কিভাবে একটি গিগ তৈরি করছে বা কিভাবে তারা কাজের ধরন গুলো সিলেক্ট করেছে,কিভাবে তারা গিগে ট্যাগ এর ব্যবহার করছে। পুরো বিস্তারিত ডিটেলস গুলো আপনারা ভালো ভাবে দেখে নিতে পারেন। তবে আপনি লেখার ক্ষেত্রে কিন্তু কোথাও থেকে কপি করে বা কারো লেখা দেখে ই সেম টু সেম লিখতে পারবেন না। এটি তে কিন্তু আপনার একাউন্টে সমস্যা হতে পারে। লেখা চুরির অপরাধে কিন্তু লিগাল অ্যাকশন নেওয়ার আইন রয়েছে। তো আপনি সে ক্ষেত্রে আপনারা কারো লেখা চুরি করতে পারেন না। অন্যের লেখা দেখে শুধু মাত্র আইডিয়া টুকু নিয়ে আপনারা কাজ করতে পারেন।
  • এর পরবর্তী ধাপে আপনা কে বিস্তারিত ভাবে বেশ কিছু ডিটেলস দিতে হবে। প্রথমে গিগের প্যাকেজ তৈরি করতে হবে। এ জন্য আপনি এক টি অথবা তিন টি প্যাকেজ তৈরি করে নিতে পারেন। এটি আপনি আপনার সুবিধা মতো করবেন। তবে গিগের প্যাকেজ তৈরির ক্ষেত্রে কিন্তু তিন টি করলে ভালো হয়। এর পর এই প্যাকেজ টি থেকে ক্লাইন্টরা কি কি ধরনের সেবা পাবে এবং এটি কত দিন পর্যন্ত থাকবে। এটির expiry date উল্লেখ করতে হবে। এক কথায় প্যাকেজিং এর পুরো ডিটেলস গুলা এখানে উল্লেখ করে দিতে হবে। 
  • প্যাকেজিং তৈরি পর এই প্রসেস টা করতে হবে। এখানে কিন্তু সব কিছু আলাদা আলাদা ভাবে ডিটেলস আকারে আপনা কে বর্ণনা করতে হবে। তো সে ক্ষেত্রে এখান থেকে আপনি এক টি ফাইবার গিগ প্যাকেজিং এর জন্য কত টাকা করে মূল্য নির্ধারণ করতে চাইছেন সেটি উল্লেখ করতে হবে। আর তার পাশা পাশি আপনি এক্সট্রা কোন সুবিধা যদি দিতে চান সেটি ও আপনা কে আলাদা ভাবে এই অপশন গুলো তৈরি করে নিতে হবে। এই প্রসেস গুলো শেষ হলে আপনি পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য কন্টিনিউ বাটনে প্রেস করবেন।
  • এই ধাপে আপনার গিগ টির বিষয়ে ডিসক্রিপশন লিখতে হবে। ডিসক্রিপশন মানে কি সেটা তো আমরা সকলে ই বুঝি। কিন্তু এই গিগ তৈরির বিষয় টিতে ডিসক্রিপশনে আমরা কি কি তথ্য লিখব সেটা আপনারা যদি না বুঝতে পারেন তবে আপনারা গুগল এ সার্চ দিয়ে দেখে নিতে পারেন। এখান থেকে বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া নিয়ে আপনি আপনার ডিসক্রিপশন টি সাজাতে পারেন।
  • আপনার গিগ টি একটি ক্লায়েন্ট কেনার পর কি ধরনের সেবা পাবে এবং এই সেবা টি কত দিন পর্যন্ত থাকবে এই সেবা গুলো কোন কোন কাজের জন্য ব্যবহার করা হবে সেই সমস্ত বিষয়ে উল্লেখ করতে হবে। গিগ তৈরির পর ক্লাইন্ট রা কিন্তু বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করে থাকে। সেই প্রশ্ন গুলোর সঠিক উত্তর আপনাদের কে দিতে হবে। চাইলে এখানে কিছু এক্সট্রা question answer দিয়ে রাখতে পারেন।
  • এখানে কিছু সোর্স বা তথ্যের দরকার হতে পারে। এ গুলো আপনার ক্লাইন্ট আপনার রিকোয়ারমেন্ট বিভাগে গিয়ে অর্ডার করতে গেলে খুজবে। তখন আপনি যদি এই রিকোয়ারমেন্ট বিভাগে আগে থেকে এই তথ্য গুলো দিয়ে রাখেন তাহলে কিন্তু ক্লায়েন্ট রা কাজের বিস্তারিত দেখে খুশি হয়ে আপনার কাছ থেকে কিনতে চাইবে। 
  • এই ইনফরমেশন গুলো দেখে যদি কোন ক্লায়েন্টের পছন্দ হয় তাহলে সে নিবে। আর যদি না পছন্দ হয় বা আপনার তথ্য গুলোর সাথে কো অপারেট করতে না চায় তাহলে আপনার গিগ টি সে অর্ডার করবে না। তবে আপনার এই গিগ টি অর্ডার করার জন্য যদি কোন ওয়েব ডিজাইনার আসে এবং আপনার গিগ টি অর্ডার করতে চাই তাহলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনা কে তার ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো যেমন ডোমেইন হোস্টিং, ছবি, নিবন্ধন ইত্যাদি পাঠাতে হবে।
  • ফাইবার গীগ তৈরি করার সঠিক নিয়মাবলি ২০২৫ এতক্ষণ আমরা আপনার তথ্য গুলো কে বিস্তারিত ভাবে লিখে জানালাম। এবার হচ্ছে আপনাদের কে দেখিয়ে ক্লায়েন্ট দের কে কাজের বিস্তারিত বোঝাতে হবে। এর জন্য কিছু ছবি সিলেক্ট করতে হবে। গিগ তৈরির জন্য বিশেষ কিছু ছবি থাকে সেই ছবি গুলো দিলে ক্লায়েন্ট রা আপনার গিগের প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং এখানে কাজ করতে চাইবে। 
  • এখানে গিগ তৈরির ছবি গুলো সিলেক্ট করার সময় বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে কারণ ভালো কোয়ালিটি সম্পন্ন ছবি যদি আপনি এখানে না দিয়ে থাকেন। তাহলে কিন্তু আপনার ক্লাইন্ট হাত ছাড়া হয়ে যাবে। আপনি যদি ক্লায়েন্ট কে ধরে রাখতে চান তাহলে আপনা কে অবশ্যই কোয়ালিটি ফুল একটি ছবি সিলেক্ট করতে হবে। তবে এই ছবি টি যেন কাজের ধরন গুলার সাথে মিল থাকে। 
  • কারণ আপনি এখানে যে সেবা গুলো প্রদান করবেন আপনার সেলার দের কে সেই সেবা গুলোর সাথে যদি ছবির অমিল থাকে তাহলে কিন্তু buyer রা সন্দেহ করে এখান থেকে চলে যাবে। আপনি আপনার buyer দের যদি আপনার কাজের প্রতি আকৃষ্ট করতে চান তাহলে তাদের কোয়ালিটি তে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। তারা কি ধরনের কাজ বেশি পছন্দ করে বা কোন ধরনের কাজের 
  • প্রতি তারা বেশি আকৃষ্ট হয় এই সব গুলো আপনাদের কে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে। আপনার সেবা গুলো আপনি যে পেজ টি তে লিখেছেন তার পাশা পাশি ছবি টি কাজের সাথে মিল রেখে যদি আপনি আপলোড করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার ক্লাইন্ট রা ছবি দেখে সেবার সাথে মিল পেলে কিন্তু আপনার এখানে অর্ডার করতে আসবে। 
  •  ক্লায়েন্ট দের চাহিদার উপর লক্ষ্য রেখে সব সময় চেষ্টা করতে হবে। তারা কি চাচ্ছে, কি ধরনের সেবা পেতে চাচ্ছে,কি ধরনের সেবা তারা নিতে চাই সেগুলো খেয়াল রাখতে হবে। এ পর্যন্ত সব কয়টি ধাপ যদি আপনি সঠিক ভাবে সঠিক নিয়ম মেনে প্রসেস টি ফলো করে করতে পারেন। তাহলে কিন্তু আপনার গিগ টি পাবলিশ হয়ে যাবে। আর গিগ টি পাবলিশ হওয়ার পর ফাইবার থেকে আপনা কে একটি লিঙ্ক দিয়ে দিবে। লিংকটি নিয়ে আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন।

ফাইবার গীগ কি

ফাইবার গিগ হচ্ছে একটি সার্ভিস বা সেবা। এই ফাইবার গিগ মূলত একজন ফ্রিল্যান্সার ব্যবহার করে থাকে। ফাইবার গিগে যেসব সুবিধা গুলো প্রদান করা হয় সে গুলো একজন ফ্রিল্যান্সার তার ফাইবারে সার্ভিস গুলোর সেল করার জন্য ই কিন্তু দিয়ে থাকে। এক জন ফ্রিল্যান্সার তার পেজে ফাইবার গীগ যে সার্ভিস গুলো থাকে সে গুলো বিস্তারিত ভাবে লিখে একটি পেজের ভিতর দিয়ে থাকেন সেটা কেই মূলত ফাইবার গিগ বলা হয়। ফ্রিল্যান্সিং একটি মার্কেট প্লেস এর নাম ই হচ্ছে ফাইবার গীগ। ২০১০ সালের দিকে মার্কেটে এসেছিল এই ফাইবার গিগ টি। 

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে এই ফাইবার টি কিন্তু অনেক বেশি জনপ্রিয়। এটি এমন একটি মার্কেট প্লেস যেখানে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের অনলাইন সার্ভিস সেল করতে পারে আবার চাইলে কিনতে ও পারে। এই ফাইবার মার্কেট প্লেস টি তে আগে ৫ থেকে ৬ ডলারের মতো কাজ করা যেত কিন্তু বর্তমানে এটি আরো উন্নত হয়েছে। এখন এই ফাইবার মার্কেট প্লেস টি তে ৮ থেকে ১০ ডলারের ও বেশি কাজ করা যায়। এই ফাইবার মার্কেট প্লেস টি উন্নত হওয়ার কারণে কিন্তু দিন দিন মানুষের চাহিদা বেড়ে ই চলেছে এবং মার্কেট প্লেস টি আরো বেশি উন্নত লেভেলের কাজ শুরু করেছে। এখন বর্তমানে এই মার্কেট প্লেসে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যায় বা পাওয়া যায়। 

ফাইবার গিগ একাউন্ট তৈরি মাধ্যমে কিন্তু আপনারা এখান থেকে বেঁচ তে বা কিন তে পারবেন। ফ্রিল্যান্সাররা এই ফাইবার গিগ দিয়ে বিদেশি দের সাথে কাজ করে। এখান থেকে ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে বহুৎ বেকার যুবক দের এখান থেকে বেকারত্ব দূর হচ্ছে। বেশির ভাগ মানুষ ই এখন ফাইবার গিগ বা অনলাইন জগ তে ওয়েব সাইট গুলো তে বেশি ঢুকছে। কারণ এখান থেকে যত টা ভালো ইনকামের একটি পন্থা তৈরি করা যাচ্ছে। এই অনলাইন ওয়েব সাইট গুলো থেকে যত টা সোর্সের একটি আশা তারা করতে পারতেছে অন্য কিছু তে কিন্তু এ রকম কিছু হচ্ছে না। 
তাই তারা এই ফাইবার গিগ অ্যাকাউন্ট দ্বারা সাফল্যের চিন্তা করতেছে। ফাইবার গিগ দিয়ে কিন্তু হ্যাঁ ভালো একটি ইনকাম করা যায়। এখানে কাজ গুলো সম্পর্কে আপনাদের কে আগে বিস্তারিত ভাবে পড়তে হবে, জানতে হবে তারপর আপনারা এখান থেকে অনেক কিছু ই করতে পারবেন। এই মার্কেট প্লেস টি থেকে আপনারা প্রডাক্ট কিনতে বা বেচতে ও পারবেন। এখানে এক ধরনের কিছু পাবলিক আছে যারা সেল করার জন্য এই ফাইবার গিগ একাউন্ট টি ব্যবহার করে থাকে আবার কিছু পাবলিক আছে যারা শুধুমাত্র ব্যবহার করে থাকেন প্রোডাক্ট কেনার জন্য। 

ফাইবার গিগ অ্যাকাউন্ট,টি কিন্তু আপনা কে আগে খুলে নিতে হবে। এই ফাইবার গিগ অ্যাকাউন্ট টি সঠিক নিয়ম মেনে যদি আপনারা খুলতে পারেন এবং সঠিক নিয়ম মেনে যদি পাবলিশ করতে পারেন তাহলে আপনার সাফল্য কেউ আটকে রাখতে পারবে না কারণ এই ফাইবার একাউন্ট টি খোলার যে প্রসেস সেটা সঠিক নিয়ম মেনে আপনাকে ফলো করতেই হবে। তাহলে আপনি এই ফাইবার গিগ অ্যাকাউন্ট দ্বারা কোন কিছু করতে পারবেন। ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও কিন্তু এখান থেকে আপনি করে নিতে পারেন।

কত ধরনের গিগ পাবলিশ করা যায়

ফাইবার গিগ অনলাইন একটি পরিষেবা সার্ভিসের নাম। এটি মূলত ফ্রিল্যান্সাররা ব্যবহার করে থাকেন। একজন ফ্রিল্যান্সার তার ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য এই গিগ টি পাবলিক করতে পারে। যদি নতুন পর্যায়ে কোনো ফ্রিল্যান্সার এই অ্যাকাউন্ট তৈরি করে থাকে এবং এটি পাবলিশ করতে চাই তাহলে প্রথম পর্যায়ে এসে সে এখান থেকে পাবলিশ করতে পারবে ৭ টি পর্যন্ত। পরবর্তী তে লেভেল ১ পর্যন্ত পৌঁছালে তখন আবার দশ টি করে গিগ পাবলিশ করতে পারবেন। সে যত বেশি উপর এর লেভেলে উঠবে তত বেশি তার গিগ পাবলিশ করার ক্ষমতা বেড়ে যাবে। 

যদি এক লেভেল পর্যন্ত যায় তাহলে দশ টি গিগ পাবলিশ করতে পারবে, যদি দুই লেভেল পর্যন্ত যায় তাহলে ২০টি গিগ পাবলিশ করতে পারবে, যদি ৩ লেভেল পর্যন্ত যায় তাহলে ত্রিশটি পর্যন্ত গিগ পাবলিশ করতে পারবে। একটি গিগ পাবলিশ করার ক্ষেত্রে সঠিক ভাবে তথ্য গুলো সাজাতে হয় এবং পাবলিশ করার আগে সব কিছু দেখে শুনে বুঝে ভালো ভাবে চেক করে তারপর পাবলিশ করতে হয়। এক টি গিগ অ্যাকাউন্ট তৈরির ক্ষেত্রে যে যে প্রসেস গুলা ফলো করতে হয় সেই গুলো সব ঠিক রেখে একটি সুন্দর ইমেজ সেট করে কিন্তু এটি পাবলিশ করতে পারেন। 

পাবলিশ করার আগে কি কি সেবা আপনারা দিচ্ছেন, কি কি সেবা এখান থেকে ক্রেতারা পাবে, সবকিছু কিন্তু সুন্দর মতো সাজাতে হবে। ফাইবার গিগ টি যদি আপনি ভালো ভাবে সাজিয়ে পাবলিশ করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনি অনেক বেশি আপনার কাজ টা কে ডেভলপ করতে পারবেন। আর এখান থেকে কাজ করে আর্নিং করতে পারবেন। অবশ্য ই খুব ভালো একটা আর্নিং করতে পারবেন। পাবলিক করার আগে যদি আপনি আপনার কাজ এর কোয়ালিটি দেখে ভালো করে পাবলিশ করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার আর কোন দিকে ফিরে তাকানো লাগবে না। 

এই ফাইবার গিগ কিন্তু বর্তমানে অনেক বেশি উন্নত হয়েছে। আগে ফাইবার গিগ দিয়ে ৫ থেকে ৬ ডলারের মতো কাজ করা যেত। আর এখন বর্তমানে সেই গিট টি তে ৮ থেকে ১০ ডলারের মত কাজ করা যায়। আপনি এখানে যত বেশি ভালো করে আপনার ইনফরমেশন গুলো দিতে পারবেন এতে তত বেশি গ্রাহক আপনার কাছে এই আপনার গিগ টির প্রোডাক্ট কিনতে আসবেন এবং আপনি যত ভালো প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন আপনার এখান থেকে আপনি তত বেশি লাভবান হবেন। বর্তমানে কিন্তু ফাইবার গিগ একটি অনেক বেশি জনপ্রিয় একটি সাইট। 
এখানে কিন্তু ক্লায়েন্টের চাহিদার উপরে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে। একটি ক্লাইন্ট কি ধরনের সেবা পছন্দ করে বা কি ধরনের সেবা পেলে তারা এখানে কাজ করবে বা আপনার থেকে অর্ডার দিবে আপনি সেই সব গুলো বিশেষ ভাবে খেয়াল রেখে,ই কাজ,টি শুরু করবেন। আপনি এখানে যে তথ্য গুলো দিবেন সেগুলোর প্রতি ও কিন্তু বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখবেন। কোন ভুল যেন না হয় বা কোন দিক থেকে কোন ত্রুটি যেন না হয়। একটু সন্দেহ,জনক কিছু দেখলে কিন্তু আপনার ক্লাইন্ট আপনার কাছ থেকে হাত ছাড়া হয়ে যাবে। 

এজন্য আপনার গিগ একাউন্ট টি কে সুন্দর ভাবে সাজাতে পারলে কিন্তু আপনার ক্লায়েন্ট এমনি এমনি চলে আসবে। আপনি এখানে যে ছবি টি সেট করবেন এবং আপনার কাজের যে ধরণ গুলো থাকবে এবং আপনি এখানে যে সেবা গুলো প্রদান করতে পারবেন সেই গুলোর সাথে সম্পূর্ণ মিল রেখে আপনি কাজ টি যদি পাবলিশ করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার এখানে ক্লায়েন্টের অভাব পড়বে না। আপনার প্রোডাক্ট টি আপনি সেল করতে পারবেন এবং ক্লাইন্ট সহজে আগ্রহের সঙ্গে আপনার এখানে অর্ডার করতে আসবে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

ফাইবার গিগ সম্পর্কিত আপনাদের অনেকের অনেক ধরনের প্রশ্ন ছিল। ফাইবার গীগ তৈরি করার সঠিক নিয়মাবলি ২০২৫ বা আজকের পর আপনাদের এই সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে বলে মনে হয় না। কারণ আজ কে আমি যত টা সম্ভব চেষ্টা করেছি সহজ ভাবে এই উপায় গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ফাইবার গিগ তৈরি করার সঠিক নিয়মাবলী টি আমি একদম সাজিয়ে গুছিয়ে বলার চেষ্টা করেছি। আপনারা যদি একেবারে ই নতুন হয়ে থাকেন ফাইবার গিগ অ্যাকাউন্ট তৈরি সম্পর্কে কিছু ই না জানেন তবু ও কিন্তু আজকের এই আর্টিকেল টি পড়ার পর আপনি নিজে একটি ফাইবার গিগ অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url