ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার ১৮ টি প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৫
ড্রাইভিং কিন্তু অনেক মানুষেরই অনেক শখের একটি জিনিস তবে ড্রাইভিং শুধুমাত্র
পারলেই বা ইচ্ছা হলে করতে পারবেন না ড্রাইভিং লাইসেন্স ড্রাইভিং করার জন্য
আপনাদেরকে অবশ্যই লাইসেন্স থাকতে হবে আর এই ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে গেলে কিন্তু
আপনাদেরকে পরীক্ষা দিতে হবে আর পরীক্ষায় প্রস্তুতি নিতে গেলে আপনাদেরকে অবশ্যই
আমার আর্টিকেলটি ফলো করতে হবে।
আজকে আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারবেন ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার ১৮ টি প্রশ্ন
এবং উত্তর সম্পর্কে। ড্রাইভিং এর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষাটি অনেক বেশি
জরুরী তাই আপনাদের অবশ্যই আগে থেকে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে আর পরীক্ষার
প্রস্তুতি নিতে গেলে আপনাদেরকে অবশ্যই সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কে ও ড্রাইভিং লাইসেন্স
পরীক্ষার প্রশ্ন কেমন হতে পারে সেসব সম্পর্কে আগে থেকে জেনে রাখতে হবে। আজকে আমি
আপনাদের সাথে সেই ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব
তো চলুন শুরু করা যাক আজকের আলোচনা।
পোষ্টের সূচিপত্রঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার ১৮ টি প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৫
ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার ১৮ টি প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৫
১. প্রশ্নঃ মটর ড্রাইভিং লাইসেন্স কাকে বলে?
উঃ সব জায়গাতে ব্যবহার করা যায় এমন একটি মোটর বাইক চালানোর জন্য ইসুকৃত বৈধ
দলিল যেটি লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ দিয়ে থাকে সেটিকে ই মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে।
২. প্রশ্নঃ সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ গুলো কি কি?
উঃ অতিরিক্ত আর জোরে গাড়ি চালালে দুর্ঘটনা হয়, ওভার টেকিং করলে দুর্ঘটনায়
শিকার হতে হয়, একসাথে অনেক বেশি যাত্রী বা জিনিসপত্র বহন করলে দুর্ঘটনার চান্স
থাকে ৮০%, অতিরিক্ত বেশি আত্মবিশ্বাসের সাথে রোডে চলাচল করা ঠিক নয় এর থেকেও
দুর্ঘটনা হতে পারে।
৩. প্রশ্নঃ গাড়ি এক্সিডেন্ট এর পর একজন আদর্শ চালকের কি কি করণীয় থাকে?
উঃ চালকের উচিত প্রাথমিকভাবে ওই আহত ব্যক্তিকে নিকটস্থ হসপিটালে ভর্তি করে তার
চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং তারপর থানায় গিয়ে একটি রিপোর্ট ডায়েরি করা।
৪. প্রশ্নঃ যানবাহন চলাচলের সর্বোচ্চ গতিসীমা কত নির্ধারণ করে দিয়েছে আইন
অনুযায়ী?
উঃ অল্প অল্প ওজনের ভিতরে মটর ফিট করা যানবাহন গুলোর জন্য সর্বোচ্চ গতিসীমা
নির্ধারণ করা হয়েছে ঘন্টায় ৭০ মাইল। মোটর সাইকেলের জন্য ও কিন্তু ৭০ মাইল
নির্ধারণ করা। মাঝারি ওজনের কিছু বহন করার ক্ষেত্রে ৩৫ মাইল ঘন্টায় এবং ভারী
কিছু বহনের ক্ষেত্রে ঘন্টায় ৩০মাইল।
৫. প্রশ্নঃ অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কাকে বলে?
যারা স্যালারির বদলে ডাইভিং করে তারাই শুধুমাত্র ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কাজ
করতে পারে না। তবে অপেশাদার ড্রাইভ যারা করে তাদের কিন্তু কোন ড্রাইভিং
লাইসেন্সের দরকার হয় না। তারা এমনি মোটর সাইকেল, সাইকেল বা অন্যান্য যানবাহন
গুলো লাইসেন্স ছাড়াই চালাতে পারে।
৬. প্রশ্নঃ সর্বনিম্ন কত বয়স হলে একজন ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে পারবে?
উঃ যদি কোন ব্যক্তি পেশাদার ভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে চাই তাহলে তার কমপক্ষে
২০ বছর বয়স হতে হবে। এবং যদি কোন ব্যক্তি অপেশাদার হয়ে থাকে তাহলে তার ক্ষেত্রে
১৮ বছর হলেই সে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে পারবে।
৭. প্রশ্নঃ প্রাইভেট সার্ভিস মোটরযান কাকে বলে?
উঃ যে মোটরযান গুলো নিজেদের ব্যক্তিগত কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাকে
প্রাইভেট সার্ভিস মোটরযান বলে।
৮. প্রশ্নঃ ট্রাফিক সাইন চিহ্ন কত প্রকার?
উঃ ট্রাফিক সাইন চিহ্ন তিন প্রকার।
৯. প্রশ্নঃ রোড সাইন চিহ্ন গুলো কি কিঃ
উঃ তথ্য মূলক ট্রাফিক চিহ্ন , সতর্কতামূলক ট্রাফিক চিহ্ন, বাধ্যতামূলক ট্রাফিক
চিহ্ন।
১০. প্রশ্নঃ লাল বৃত্তাকার চিহ্ন দ্বারা কি বোঝানো হয়?
উঃ লাল বৃত্তাকার চিহ্ন মানেই নিষিদ্ধ এলাকা। ওই পাশ দিয়ে কোন কিছুর প্রবেশ
নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাই সেখানে লাল বৃত্তাকার চিহ্ন দিয়েছে।
১১. প্রশ্নঃ নীল বৃত্তাকার চিহ্ন দ্বারা কি বুঝানো হয়?
উঃ নীল বৃত্তাকার চিহ্ন মানে সেই এলাকা দিয়ে প্রবেশ করা যাবে।
১২. প্রশ্নঃ লাল রঙের ত্রিভুজ আঁকার চিহ্ন দিয়ে কি বুঝানো হয়?
উঃ লাল রংয়ের ত্রিভুজ আঁকার চিহ্ন মানেই একটি সতর্ক সংকেত।
১৩. প্রশ্নঃ নীল রঙে আয়তক্ষেত্র চিহ্ন দ্বারা কি বোঝানো হয়?
উঃ নীল রঙে আয়তক্ষেত্র দেখলে বুঝতে হবে এটি সাধারণ তথ্য মূলক চিহ্ন।
১৪. প্রশ্নঃ সবুজ রঙের আয়তক্ষেত্র চিহ্ন দ্বারা কি বোঝানো হয়?
উঃ সবুজ রঙের আয়তক্ষেত্র চিহ্নটি দ্বারা পথ চারীদের পথ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
১৫. প্রশ্নঃ ট্রাফিক সিগনাল কত প্রকার?
উঃ ট্রাফিক সিগনাল তিন প্রকার।
১৬. প্রশ্নঃ ট্রাফিক সিগনাল গুলো কি কি?
উঃ আলোক সংকেত, শব্দ সংকেত এবং বাহুর সংকেত।
১৭. প্রশ্নঃ ট্রাফিক সিগনালে কি কি রংয়ের লাইট ব্যবহার করা হয়ে থাকে?
উঃ ট্রাফিক সিগনালে তিন রঙের লাইট ব্যবহার করা হয়ে থাকে যেমনঃ লাল, সবুজ ও হলুদ।
১৮. প্রশ্নঃ ট্রাফিকে লাল, সবুজ ও হলুদ বাতি দ্বারা কি বোঝানো হয়?
উঃ ট্রাফিকের লাল বাতি জ্বললে সেখানে থামতেই হবে, আর যখন যাওয়ার অনুমতি দেয়া
হয় তখন সবুজ বাতি জ্বলে, হলুদ বাতিটি জ্বালানো হয় থামতে বলার প্রস্তুতি নেওয়ার
জন্যই।
ড্রাইভিং লাইসেন্স মৌখিক পরীক্ষার প্রশ্ন
ড্রাইভিং লাইসেন্সের মৌখিক পরীক্ষায় ট্রাফিক সম্পর্কিত বা ড্রাইভিং সম্পর্কিত
বেশ কিছু প্রশ্ন তারা করে থাকে।
- ১. ট্রাফিক চিহ্ন কত প্রকার?
- ২. ট্রাফিক চিহ্ন গুলো কি কি?
- ৩. ট্রাফিক চিহ্ন দ্বারা কি বোঝানো হয়?
- ৪. ট্রাফিক সিগনালে কি কি রং এর লাইট ব্যবহার করা হয়?
- ৫. ট্রাফি কে চলাচলের নিয়ম গুলো কি কি?
- ৬. যানবাহনের বিভিন্ন রকমের যন্ত্রপাতির নাম কি?
- ৭. লাইসেন্সের জন্য তার প্রাপ্ত বয়স হয়েছে কিনা? ৮. তিনি ড্রাইভিং এর জন্য শারীরিক ভাবে ফিট আছেন কিনা?
- এছাড়া ও কিন্তু মৌখিক ভাবে তারা আরো অনেক কিছু প্রশ্ন করতে পারে। আপনাদের কে অবশ্যই এই সম্পর্কে আগে থেকে ধারণা রেখে তারপর মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে আপনাদের কে হলে যেতে হবে পরীক্ষার জন্য।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন এবং উত্তর (বি আর টি)
১. প্রশ্নঃ রাস্তার মাঝ বরাবর ডাবল হলুদ রং দিয়ে লাইন আঁকানো দ্বারা কি বোঝানো
হয়?
উঃ ডাবল হলুদ লাইন দ্বারা আইল্যান্ড কে বোঝানো হয়।
২. প্রশ্নঃ ডান দিকের এই চিহ্ন কারা ব্যবহার করেন?
উঃ যে গাড়িগুলা ওভারটেক করে থাকে।
৩. প্রশ্নঃ রাস্তার মাঝ বরাবর সাদা লাইন দ্বারা কি বুঝানো হয়?
উঃ এটা দ্বারা বোঝানো হয় যে এই পাশ দিয়ে ওভারটেক করা যাবে না।
৪. প্রশ্নঃ অনেক গুলো ছোট ছোট সাদা লাইন দ্বারা কি বোঝানো হয়?
উঃ এটার মানে হচ্ছে এই পাশ দিয়ে ওভারটেক করা যাবে।
৫. প্রশ্নঃ intersection কাকে বলা হয় ?
উঃ যে স্থানে অনেক গুলো রাস্তা একসাথে মিলিত হয় সেটি কেই ইন্টার সেকশন বলে।
৬. প্রশ্নঃ একজন চালকের ইন্টার সেকশন এ যাওয়ার আগে কি কি করণীয় থাকে?
উঃ চালকের ইন্টার সেকশন এ যাওয়ার আগে অবশ্যই ধীর গতিতে এগিয়ে যেতে হবে।
৭. প্রশ্নঃ একজন চালকের ইন্টার সেকশনে যাওয়ার পরে কি করনীয় থাকে?
উঃ চালক যেন ইন্টার সেকশনে যাওয়ার সাথে সাথেই গাড়িটি থামাতে পারে সেই
প্রস্তুতুতি নেওয়া উচিত।
৮. প্রশ্নঃ লাল বাতি বন্ধ হওয়ার পর সবুজ বাতি জ্বলে উঠলে কোন পাশের লোকজন আগে
রাস্তা পার হতে পারবে?
উঃ যে গাড়ি গুলা সোজা যেতে চাই সেইগুলাই আগে সুযোগ পাবে।
৯. প্রশ্নঃ কোন কোন জায়গা গুলোই হর্ণ বাজানো নিষিদ্ধ?
উঃ গ্রাম গঞ্জের এলাকা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোর্ট,অফিস, আদালত ইত্যাদি জায়গা
গুলোতে হর্ন বাজানো নিষিদ্ধ।
১০. প্রশ্নঃ কোন জিনিস ইঞ্জিন ঠান্ডা রাখে?
উঃ পানি এবং হাওয়া গাড়ির ইঞ্জিনকে ঠান্ডা করে রাখে।
১১. প্রশ্নঃ যদি গরম রেডিওটারের ভিতরে ঠান্ডা পানি ঢালা হয় তাহলে কি ইঞ্জিন কোন
ক্ষতি হবে?
উঃ অবশ্যই ক্ষতি সম্ভাবনা রয়েছে আপনার ইঞ্জিনটি কিন্তু ব্লক হয়ে যেতে পারে।
১২. প্রশ্নঃ একটি রেডিয়টরের সাথে কয়টি হোজ পাইপ যুক্ত থাকে?
উঃ একটি রেডিয়েটরের সাথে দুইটি হোজ পাইপ থাকে।
১৩. প্রশ্নঃ কি কি কারনের জন্য ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়?
উঃ ইঞ্জিনের তার লুছ থাকলে, ইঞ্জিনিয়ার ভিতর বাতাস ঢুকলে বা তেল না থাকলে।
১৪. প্রশ্নঃ স্কিডিং কত প্রকার? এবং কি কি?
উঃ স্কিডিং তিন প্রকার।
- চার চাকার স্কিডিং,
- পেছনের দিকের দুই চাকার স্কিডিং,
- সামনের দিকের দুই চাকার স্কিডিং।
১৫. প্রশ্নঃ রাস্তায় হঠাৎ গাড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ কি?
উঃ ইঞ্জিন নষ্ট হওয়া। ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেলে বা কোনো তার কেটে গেলে হঠাৎ করে মাঝ
রাস্তায় গাড়ি বন্ধ হয়ে যায়।
এছাড়াও আরো অনেক ধরনের প্রশ্ন রয়েছে যেগুলো ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার আগে
আপনাদের কে প্রিপারেশন নিতে হবে।
ট্রাফিক চিহ্ন এবং ড্রাইভিং টেস্ট নির্দেশিকা
- ট্রাফিক চিহ্ন তিন প্রকার।
- ১. তথ্য মূলক ট্রাফিক চিহ্ন ,
- ২. সতর্কতামূলক ট্রাফিক চিহ্ন,
- ৩. বাধ্যতামূলক ট্রাফিক চিহ্ন।
এই ট্রাফিক চিহ্ন গুলো সম্পর্কে আগে থেকে সবাই কে অবগত হতে হবে। কারণ ট্রাফিক
চিহ্ন দ্বারা অনেক কিছু বোঝানো হয়। এগুলো বুঝতে না পারলে রাস্তায় প্রতি পদে পদে
বিপদে পড়তে হবে। তাই আগে থেকে এগুলো সম্পর্কে জেনে রাখবেন। ড্রাইভিং টেস্টের
জন্য আপনাদের কে অবশ্যই প্রস্তুত হতে হবে আর পরীক্ষার প্রশ্ন এবং উত্তর সম্পর্কে
ধারণা রাখতে হবে। নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষার হলে পৌঁছাতে হবে এবং সাথে প্রয়োজনীয়
কাগজপত্র নিতে হবে।
ড্রাইভিং টেস্টের জন্য পরীক্ষা নেওয়ার পাশাপাশি কিন্তু গাড়ি চালিয়ে দেখাতেও
বলে থাকে। তাই আমাদের উচিত সকল ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে তারপর পরীক্ষার দেওয়ার কথা
চিন্তা করা। ড্রাইভিং পরীক্ষায় মৌখিক এবং লিখিত কিছু প্রশ্ন দেওয়া থাকে।
সেগুলোর উপর ভিত্তি করেই কিন্তু পরীক্ষা নেওয়া হয়। আপনি পেশাদার ভাবে ড্রাইভিং
লাইসেন্স নিতে চাচ্ছেন নাকি অপেশাদার ভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে চাচ্ছেন। সেই
সকল কিছু ডিসাইড করার পর পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে। আর ড্রাইভিং লাইসেন্স
কিন্তু বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে আপনাকে দেয়া হবে।
ট্রাফিক চিহ্ন কত প্রকার
একজন ভালো ড্রাইভার এর ক্ষেত্রে কিন্তু ট্রাফিক সম্পর্কিত বিষয়গুলো
বিস্তারিতভাবে জানা আবশ্যিক জরুরি আর আমি মনে করি যে ট্রাফিক সম্পর্কিত বিষয়গুলো
না জানলে আপনি রাস্তায় ভালোভাবে চলাচল করতে পারবেন না বা আপনার সমস্যা হতে পারে
বা অন্য সমস্যা হতে পারে সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ভালো একজন আদর্শ ড্রাইভার হতে
গেলে ট্রাফিক চিহ্ন সংকেত বা সাইনগুলো সম্পর্কে জানতে হবে আজকের এই পোস্টে আপনারা
ট্রাফিক চিহ্ন সম্পর্কিত বেশ কিছু অজানা তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। ট্রাফিক
চিহ্ন তিন প্রকারের হয়ে থাকে। যেমনঃ
- ১. তথ্য মূলক ট্রাফিক চিহ্ন
- ২. সতর্কতামূলক ট্রাফিক চিহ্ন
- ৩. বাধ্যতামূলক ট্রাফিক চিহ্ন।
এই বাধ্যতামূলক ট্রাফিক চিহ্নের ভিতরে আবার ২টা ভাগ রয়েছে। যেমনঃ হ্যাঁ বাচক
বাধ্যতামূলক ট্রাফিক চিহ্ন ও না বাচক বাধ্যতামূলক ট্রাফিক চিহ্ন।
না বাচক বাধ্যতামূলক ট্রাফিক চিহ্নের মধ্যে রয়েছে
- ১. সাইকেল প্রবেশ নিষেধ,
- ২. ধীর গতিসম্পন্ন যান চলাচল নিষেধ ,
- ৩. ডানে মোড় নিষেধ ,
- ৪. হর্ন বাজানো নিষেধ ,
- ৫. আর সর্বোচ্চ গতিসীমা ( ৪০) ,
- ৬. পথচারী চলাচল নিষেধ ,
- ৭. রিক্সা প্রবেশ নিষেধ ,
- ৮. সর্বোচ্চ উচ্চতা সীমা 4.4m ও 14'.6"
- ৯. সর্বোচ্চ প্রস্থ সীমা 2.0 m ও 6'.6"
- ১০. সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য সীমা 10m
- ১১. ইউ টার্ন নিষেধ ,
- ১২.ওভার টেকিং নিষেধ ,
- ১৩. সর্বোচ্চ ওজন সীমা 5,5t
- ১৪.পার্কিং নিষেধ থামানো নিষেধ ,
- ১৫. প্রাণী চলাচল নিষেধ ,
- ১৬. ঠেলাগাড়ি প্রবেশ নিষেধ ,
- ১৭. বিস্ফোরণ বহনকারী যান চলাচল নিষেধ ,
- ১৮. ট্রাক চলাচল নিষেধ।
যেখানে এই না বাচক বাধ্যতামূলক ট্রাফিক চিহ্ন থাকবে সেইখান গুলোতে আসলে সবকিছুই
প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকে এজন্য সেখান দিয়ে প্রবেশ না করাই ভালো। সেখানে যানবাহন,
পশুপাখি, প্রাণী, মানুষ সব কিছুর প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়ে থাকে এবং এগুলো নিষিদ্ধ
করার পাশাপাশি কিন্তু একটা করে চিহ্ন দেওয়া থাকে যেগুলো থেকে আপনারা দেখলে বুঝতে
পারবেন সেখানে মানুষ চলাচল বা গাড়ি-ঘোড়া, পশুপাখি চলাচল কিভাবে নিষিদ্ধ করা
হয়েছে।
যে চিহ্নগুলো সেখানে দেয়া থাকে তার ভিতরে মানুষ, পশু, পাখি বা গাড়ি ঘোড়ার
চিহ্ন দিয়ে তার উপর দিয়ে একটা করে দাগ দেওয়া থাকে সেটা দেওয়া দেখলে আপনারা
বুঝবেন যে সেখান দিয়ে মানুষ চলাচল বা পশুপাখি চলাচল, অন্যান্য যানবাহন চলাচল
বন্ধ আছে।
এখন আসি হ্যাঁ বাচক বাধ্যতামূলক ট্রাফিক চিহ্ন গুলোতে যেমন
- ১. কেবল সামনের দিকে চলুন- একটা গোলাকার বৃত্তের ভিতরে উপরের দিক বরাবর একটা তীর চিহ্ন দেওয়া থাকলে সেটা থেকে বুঝবেন যে আপনাকে কেবলমাত্র সামনের দিকে যাওয়ার জন্য অনুমতি প্রদান করছে।
- ২. বামে মোড় নিন- এরপর ওই একই রকম গোলাকার বৃত্তের ভিতর তীর চিহ্নটি যদি বাম দিক বা ডান দিকে ঘুরানো থাকে তাহলে বুঝবেন যে আপনাকে ডানে-বামে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করছে।
- ৩. বামে ঘেঁসে চলুন - একই রকম তীর চিহ্ন দ্বারা বোঝানো হবে যে বামে একটু ঘুরে যেতে হবে।
- ৪. সম্মুখে বামে মোড় - সামনে বামের দিকে মূল রয়েছে এটা বুঝিয়েছে।
- ৫. ছোট গোল চক্কর - ছোট একটি গোল চক্কর রয়েছে যেটিতে প্রবেশ করা যাবে।
- ৬. উভয় পাশ দিয়ে যাওয়া যাবে - এখানে তীর চিহ্ন দ্বারা বোঝানো হবে উভয় পাশ দিয়ে আপনারা যেতে পারবেন।
- ৭. কেবল মাত্র সাইকেল - এই চিহ্নটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে শুধুমাত্র এখান দিয়ে সাইকেল যেতে পারবে।
- ৮. জাতীয় গতিসমা প্রযোজ্য - এখান দিয়ে সর্বোচ্চ গতি করা হয়েছে ৬০। এর বেশি গতি নিয়ে এখান দিয়ে যাওয়া যাবে না।
- এই হ্যাঁ বাচক বাধ্যতামূলক ট্রাফিক চিহ্নগুলো দ্বারা আপনারা বুঝবেন যে এই রোড দিয়ে আপনারা প্রবেশ করতে পারবেন। আর কি কি প্রবেশ করতে পারবে সেগুলোও কিন্তু এখানে চিহ্নর ভিতরে দেওয়া থাকবে।
লেখক এর শেষ মন্তব্য
উপরে আমরা আজকের এই আর্টিকেল থেকে কিন্তু অনেক অজানা তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছি।
আজকের পোস্টে আমরা জেনেছি ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন উত্তর সম্পর্কে,
ট্রাফিক চিহ্ন এবং ড্রাইভিং টেস্ট সম্পর্কিত অনেক অনেক তথ্য। এই তথ্যগুলো কিন্তু
আমাদের প্রতিনিয়ত কোন না কোন কাজে অবশ্যই লাগে। এগুলো সাধারণ জ্ঞানের ভিতর
থাকে।
আবার আপনারা যখন বিসিএস পরীক্ষা বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষা দিতে যাবেন তখন
কিন্তু এই সাধারণ জ্ঞানের ভেতর থেকেই এই প্রশ্নগুলো আপনাদের কে দেওয়া হবে। আর
সহজ প্রশ্নগুলোই আপনাদের কে ঘুরিয়ে পেচিয়ে দিবে। আপনারা যদি আগে থেকেই সম্পর্কে
ধারণা রাখেন তাহলে কিন্তু আপনাদের পরীক্ষা গুলা অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url