দীপাবলির ইতিহাস এবং তাৎপর্য ২০২৫ - দীপাবলি কেন পালন করা হয়

হিন্দু ধর্মের নতুন একটি প্রতিবেদনে আপনাকে স্বাগতম! দীপাবলি হিন্দু ধর্মের একটি বড় উৎসবের মধ্যে একটি এই দিনে চারিদকে নানা আলোয় আলোকিত করে আতোষ, বাজি, দিয়ে উৎসব পালিত করে। আজ আমরা সেই দীপাবলির ইতিহাস এবং তাৎপর্য ২০২৫ জানবো।
দীপাবলির ইতিহাস এবং তাৎপর্য ২০২৫
দীপাবলি ইতিহাস সুপ্রাচীন এটি বহুবছর পূর্ব হতেই পালিত হয়ে আসছে। আজ আমরা সেই ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানবো। কেনো আমরা দীপাবলি উৎসবটি পালন করবো বা এর থেকে আমাদের কি ফল প্রাপ্ত করবো। তাই আপনিও যদি দীপাবলির ইতিহাস এবং তাৎপর্য ২০২৫ সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতে চান তাহলে পুরো প্রতিবেদনটি পড়ুন।

পোষ্টের সূচিপত্রঃদীপাবলির ইতিহাস এবং তাৎপর্য ২০২৫ - দীপাবলি কেন পালন করা হয়

দীপাবলির ইতিহাস এবং তাৎপর্য ২০২৫

দীপাবলি বা দেওয়ালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব। এটি মূলত আলোর উৎসব হিসাবে পরিচিত এবং প্রতি বছর কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে উদযাপিত হয়। ২০২৫ সালে দীপাবলি উদযাপিত হবে ১ নভেম্বর (শনিবার)।দীপাবলির ইতিহাস হাজার বছরের পুরনো এবং এটি শুধু ধর্মীয় নয়, বরং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীপাবলির ইতিহাস এবং তাৎপর্য ২০২৫ জেনে নিন। 

দীপাবলির ইতিহাস

দীপাবলির ইতিহাস এবং প্রথা বিভিন্ন ধর্মীয় কাহিনি ও উপাখ্যানের সঙ্গে জড়িত।
  • রামায়ণের সঙ্গে সম্পর্ক
  • দীপাবলির ইতিহাসের একটি বড় অংশ রামায়ণ মহাকাব্যের সঙ্গে জড়িত।
  • রামচন্দ্র যখন ১৪ বছরের বনবাস শেষে এবং রাবণকে পরাজিত করে অযোধ্যায় ফিরে আসেন, তখন অযোধ্যাবাসীরা আনন্দে প্রদীপ জ্বালিয়ে তাঁকে বরণ করেন।
  • এই কাহিনি অনুযায়ী, দীপাবলি আলোর মাধ্যমে অন্ধকারকে দূর করার প্রতীক।
  • কৃষ্ণের সঙ্গে সম্পর্ক
  • দীপাবলির একটি কাহিনি ভগবান কৃষ্ণের সঙ্গে সম্পর্কিত।
  • তিনি এই দিনে নরকাসুর নামে এক অসুরকে পরাজিত করে পৃথিবীকে তার অত্যাচার থেকে মুক্ত করেন।
  • তাই দীপাবলি সত্য ও ধর্মের বিজয় উদযাপনের প্রতীক।
  • লক্ষ্মী দেবীর পূজা
  • দীপাবলিতে মা লক্ষ্মী পূজার একটি বড় ভূমিকা রয়েছে।
  • বিশ্বাস করা হয় যে, দীপাবলির রাতে লক্ষ্মী দেবী পৃথিবীতে আসেন এবং তিনি যে ঘর পরিষ্কার, সজ্জিত, এবং পবিত্র থাকে, সেই ঘরে প্রবেশ করেন।
  • তাই ধনসম্পত্তি এবং সমৃদ্ধির জন্য এই রাতে লক্ষ্মী পূজা করা হয়।
  • শিখ ধর্মের সঙ্গে সম্পর্ক
  • শিখ ধর্মাবলম্বীদের জন্যও দীপাবলি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।
  • এই দিনে ষষ্ঠ শিখ গুরু গুরু হরগোবিন্দজি মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের বন্দিত্ব থেকে মুক্তি পান।
  • এটি বন্দি মুক্তি দিবস (Bandi Chhor Divas) নামে পরিচিত।
  • জৈন ধর্মে দীপাবলি
  • জৈন ধর্মাবলম্বীদের মতে, এই দিনেই ভগবান মহাবীর নির্বাণ (মোক্ষ) লাভ করেছিলেন। তাই এটি জৈনদের জন্যও একটি পবিত্র উৎসব।

দীপাবলির তাৎপর্য

দীপাবলির তাৎপর্য শুধু ধর্মীয় নয়, বরং এটি মানবজীবনের বিভিন্ন দিকেও প্রভাব ফেলে।
  • ১. আলোর উৎসব
  • দীপাবলি অন্ধকারকে দূর করে আলোয় ভরিয়ে দেয়ার প্রতীক।
  • এটি ইঙ্গিত দেয় যে, সত্য, জ্ঞান এবং ধর্মের আলো সব সময় অন্ধকারকে পরাজিত করে।
  • ২. ধন-সম্পদ এবং সমৃদ্ধির প্রতীক
  • লক্ষ্মী পূজার মাধ্যমে মানুষ ধন-সম্পদ, সমৃদ্ধি এবং ভালোবাসার প্রার্থনা করে।
  • ব্যবসায়ীরা এই দিনে নতুন খাতা খোলেন এবং ব্যবসায়িক সাফল্যের প্রার্থনা করেন।
  • ৩. সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করা
  • দীপাবলির সময় পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং প্রতিবেশীরা একত্রিত হয়ে আনন্দ উদযাপন করেন।
  • এই উৎসব সামাজিক বন্ধনকে মজবুত করে এবং মানুষের মধ্যে একতা বৃদ্ধি করে।
  • ৪. আত্মশুদ্ধি ও পবিত্রতা
  • দীপাবলির আগে ঘরবাড়ি পরিষ্কার এবং সজ্জিত করা হয়, যা মানুষের মনে পবিত্রতা এবং শুদ্ধতার অনুভূতি জাগ্রত করে।
  • এটি একটি নতুন শুরুর প্রতীক।
  • ৫. কৃষির সঙ্গে সম্পর্ক
  • দীপাবলি নতুন ফসল তোলার মৌসুমের শেষে উদযাপিত হয়।
  • এটি কৃষকদের জন্য একটি আনন্দময় সময়, যখন তারা তাদের ফসল কাটার পর বিশ্রাম নেন এবং উৎসব পালন করেন।

দীপাবলি অর্থ

দীপ শব্দের অর্থ হলো আলো, আর আবলি শব্দের অর্থ সারি। দীপাবলি শব্দের অর্থ হলো ‘আলর সারি’। অক্টোবর বা নভেম্বরের মাঝামাঝি দেওয়ালি হয় গ্ৰেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী। কার্তিক মাসের ১৫ তারিখে হয় হিন্দু মতে। দীপাবলি হলো দিওয়ালি, বানান দিভালি, দীপাবলি অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব হিন্দু, জৈন এবং শিখ ধর্মের। দিওয়ালি নামটি সংস্কৃত শব্দ দীপাবলি থেকে এসেছে। উৎসবটি সাধারণত অন্ধকারের উপর আলোর বিজয়ের প্রতীক। দীপাবলি মানে হলো প্রদীপের সারি। এই দীপাবলি উৎসবটি পালিত হয় বিশেষ করে ভারত ও ভারতের প্রতিবেশী দেশ নেপালে। 

এছাড়াও যেখানে যেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা বসবাস করে সেই দেশেও দীপাবলি আচার- অনুষ্ঠান পদ্ধতিতে পালন করা হয়। এই উৎসব আনন্দ, উদ্দীপনা নিয়ে আসে। দীপাবলি উৎসব উদযাপিত হয় কার্তিক মাসের অমাবস্যায় অনেক প্রদীপ জ্বালিয়ে। এই বিশেষ দিনে প্রদীপের মিটমিট করে আলোকিত হয় অমাবস্যার রাতে। প্রত্যেকে তাদের ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বালিয়ে সাজিয়ে তোলে পুরানো প্রথা অনুযায়ী। দীপাবলি সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির উৎসব। 
দীপাবলির প্রস্তুতি শুরু হয় দশেরার পর থেকেই। আমাদের জীবনে এক নতুন উদ্যম নিয়ে আসে দশেরার সমাপ্তি ও দীপাবলির শুরু। ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য রং ও সাজসজ্জার কাজ শুরু হয় দীপাবলি আসার অনেক দিন আগে থেকেই। পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয় অনেক দোকান ও অফিসে। তৈরি হয় নানান ধরনের নতুন মিষ্টি ও নতুন জামা। এর মাধ্যমে আগমনের সূচনা হয় মা লক্ষ্মীর।

দীপাবলি কেন পালন করা হয়

দুর্গা পূজার ১৮ দিন পর হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিটি লোকের বাড়ির কোন অমাবস্যার সন্ধ্যায় প্রদীপের আলোয় ঝলমল করে ওঠে। হিন্দু ধর্মে বলা হয় আলোর উৎসবকে, দীপাবলি বা দিওয়ালি উৎসব।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত এ উৎসবটি উদযাপন করে থাকেন সব হিন্দু নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে। দীপাবলির দিন হিন্দুরা ঘরের প্রতিটি কোন আলোকিত করে তোলে জীবনের সব অন্ধকারকে দূরে সরে আলোকে আমন্ত্রণ জানানোর অভিলাষে। 

এছাড়াও আরও অনেকের নানা রকম নানান ধরনের মতামত। এই দিনটিতে ভগবানের অবতার রাম পিতৃসত্য পালনে ১৪ বছর বনবাসে কাটানোর পর নিজ রাজ্য অযোধ্যায় ফিরে আসেন। আলো দিয়ে ভরিয়ে রাখে অমাবস্যার সেই রাতকে অযোধ্যাবাসী। হিন্দুরা পালন করে দীপাবলি উৎসব সেই দিনটিকে স্মরণ করে। আরো একটি কারণ হচ্ছে এই দিনটিকে আলো দিয়ে ভরিয়ে তোলার। এই দিনে লক্ষ্মী ও গনেশ পূজার আয়োজন করেন বড় করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। 
আলোকিত করে তোলা হয় প্রতিটি পথ ধন সম্পদের এই দেবদেবীকে শ্রদ্ধা জানাতেও। আলোর এই উৎসবটি পালন করা হয় স্বর্গের দেবতাকে মর্ত বা এই পৃথিবীকে বরণ করে নিতে। তাছাড়াও হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, আনন্দ, উন্নতি, নতুন স্বপ্ন, নতুন আশা, জীবনে সুখ, শান্তি, দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি উজ্জ্বলতর করে তুলতে আলোর কোন বিকল্প নেই। তাই প্রতীকী অর্থে আলোর পথকে স্বাগত জানান তারা আলোর উৎসবের মাধ্যমে। দীপাবলিকে শুভ শক্তির বিজয়ের প্রতীক এবং অশুভ শক্তিকে পরাজিত হিসেবে ধরা হয়। তাই জীবনের সব ধরনের অন্ধকারকে দূরে সরে দিয়ে প্রতিবছর এ তিথিতে আলোর উৎসব উদযাপন করা হয়।

দীপাবলি পুজো রাতে পালন করা হয় কেন

হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, দেবী লক্ষ্মীর সবচেয়ে প্রিয় সময় হল রাতের সময়। অমাবস্যা হয় দীপাবলির দিনে। যখন খুব অন্ধকার থাকে এবং চাঁদ দেখা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে দেবী লক্ষ্মীকে স্বাগত জানানো হয় দীপাবলির রাতে ঘরে ঘরে বিভিন্ন প্রদিপ জ্বালিয়ে। দীপাবলি সাধারণ অমাবস্যার রাতে পালন করা হয়। সব ধর্মাবলম্বীরা সর্বপ্রথম প্রদীপ জ্বালিয়ে আলোকিত করে রাখেন এই চারদিকে নিকষ অন্ধকার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। 

নিকষ অন্ধকারেই অশুভ শক্তি ও অশুভ আত্মা সক্রিয় হয়ে ওঠে। ঘরের প্রতিটি কোনায় বাতি বা প্রদীপ জ্বালানো হয়ে থাকে এই অশুভ শক্তিকে দুর্বল করতে। দীপাবলির মাহাত্ম্য হলো দীপাবলি আলোর উৎসব নামে পরিচিত। এটি উদযাপন করা হয় পাঁচ দিনে। রাম এবং সীতার অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তনকে চিহ্নিত করতে। এটি কার্তিক অমাবস্যার দিনে উদযাপিত হয়। 

এটি মাসের সবচেয়ে অন্ধকার রাত। আলোর বিজয় প্রদর্শনের জন্য উদযাপিত হয় আলোর উৎসব অন্ধকারের উপর। দীপাবলি উৎসবটি অন্ধকারের উপর আমাদের অভ্যন্তরীণ শক্তি ও বিজয়ের প্রতীক। এটি প্রজ্ঞা এবং ইতিবাচকতাকে আলিঙ্গন করার কথা মনে করিয়ে দেয়।

আলোর উৎসব দীপাবলি

বিজয়ীর উৎসব হলো দীপাবলি। পুরাণের যেসব গল্প প্রচলিত রয়েছে দীপাবলির ইতিহাসের সঙ্গে। তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় রাম, লক্ষণ ও সীতার অযোধ্যায় ফেরার কাহিনী। এছাড়াও আরও অনেক কাহিনী দীপাবলির সাথে জরিয়ে আছে। রামায়ণ মতে, আলো জ্বলে এই দিনে অযোধ্যায়। তারা উৎসবে মেতেছিল। রামচন্দ্র এই দিনে অযোধ্যায় পৌঁছেছিলেন লঙ্কাকাণ্ড সমাধা করে। তা শুনে শান্তির প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলেন ভারতবর্ষের প্রতিটি সন্তান। আলো জ্বেলে ছিলেন ঘরে ঘরে কোটি কোটি সীতার আনন্দে। কেউ কেউ বলেন, আমারা আসলে নরকাসুরে জয়ের ঘটনা স্মরণ করি দীপাবলির আলো জ্বেলে। শ্রী কৃষ্ণের হাতে নিহত হয়েছিলেন এিলোকের এাস নরকাসুর এক অমাবস্যার রাতে। 

আবার ফিরে আসেন ষোল হাজার বন্দিনী নারী মুক্তি পেয়ে সংসারে। এই দিনে আবার দিনের আলো দেখতে পেয়েছিলেন বিভিন্ন ঋষিরা । সেদিন আলোয় আলোয় অপরূপা সেজেছিল কলঙ্কমুক্ত পৃথিবী। আবার কেউ কেউ বলেন, অন্ধকার রাতে আলো জ্বেলে একদিন উৎসবে মেতেছিল ভারতের দরিদ্রতম মানুষটিও। কারণ সংবাদ এসেছিল সেই চতুর্দশী সন্ধ্যায়ই। পলায়নের পথ খুঁজে পরাজিত শকেরা। তাদের উৎখাত করতে সমর্থ হয়েছেন স্বদেশে রাজা বিক্রমাদিত্য। 
ভারতবর্ষ শুনে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিল। তারই স্মারক এ আলো। আবার এর অন্য রকম কাহিনীও শোনা যায়।মহাবলী ছিলেন প্রজারঞ্জক। তিনি অনেক শক্তিশালী বটে। দেবতারাও শঙ্কিত তার ভয়ে। কিন্তু তাকে ভালোবাসে প্রজারা। মহাবলীর সামনে হাজির হলেন ভীত প্রার্থনায় বিষ্ণু বামনবেশে।প্রজাদের পীড়াপীড়িতে পরে মহাবলীকে নিজের রাজধানীতে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিলেন বিষ্ণু প্রতিবছর এক দিনের জন্য। সেই দিনটি দীপাবলি বা দিওয়ালি। লোকজন নরপতিকে নিজেদের মধ্যে ফিরে পেয়েছিলেন বলেই প্রজারা সেদিন আলোর উৎসব করেছিল। 

ত্রিলোককে নিশ্চিন্তে আলো জ্বালাতে দিয়েছিলেন দীপাবলি অমাবস্যার রাতে পালন করা হয় মহামায়া এই দিনে অসুর বধ করে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সর্বত্র প্রদীপ জ্বালিয়ে আলোকিত করে রাখেন চারদিকে নিকষ অন্ধকার থাকে আর এই অন্ধকার থেকে মুক্তি পেতে। অশুভ শক্তি ও অশুভ আত্মা নিকষ অন্ধকারেই সক্রিয় হয়ে ওঠে। ঘরের প্রতিটি কোনায় বাতি বা প্রদীপ জ্বালানো হয় এই অশুভ শক্তিকে দুর্বল করতে। আলোর উৎসব দীপাবলি কোথাও বিজয় উৎসব, কোথাও এদিনে লক্ষ্মী পূজা। কোথাও পূর্বপুরুষের স্মৃতিতর্পণ।

দীপাবলি ঘোষণা কে করেন

লর্ড আরউইন ১৯২৯ সালে দীপাবলি ঘোষণা করেন। দীপাবলি ঘোষণার মাধ্যমে ঘোষণা করেছিলেন যে আধিপত্যের মর্যাদা দেওয়া হবে ভারতকে।তাদের পুত্রের উপাধি অমর করার জন্য অনুরোধ করেন সত্যভামা কৃষ্ণকে। যখন কৃষ্ণ প্রদীপ জ্বালিয়ে দিনটিকে দীপাবলি হিসেবে ঘোষণা করেন।

লেখকের শেষ মন্তব্য

দীপাবলির ইতিহাস এবং তাৎপর্য ২০২৫ উৎসব মন্দের ওপর ভালোর জয়ের ইঙ্গিত দেয়। প্রত্যেকের জীবনে আনন্দ নিয়ে আসে এই দীপাবলি। এছাড়াও নতুন জীবন যাপনের উদ্যম নিয়ে আসে এই দীপাবলি। কিছু মানুষ আছে যারা এই শুভ দিনে জুয়া খেলে এবং তাদের সময় কাটায় সুখ থেকে দূরে। দীপাবলির দিনে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন অনেক আনন্দ ও মজার সাথে দিনটি উপভোগ করে। সেই দিনটিত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভালো সময় কাটানো যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url