হৃদরোগ প্রতিরোধের উপায় - হৃদরোগের কারণ ও প্রতিকার
আসসালামু আলাইকুম , সুপ্রিয় পাঠক আপনারা সবাই কেমন আছেন । আশা করি সুস্থ আছেন ।
আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাকে স্বাগতম আশাকরি উপরের টাইটেল দেখে বুঝতে পেরেছেন যে
আজকের আলোচনা কি নিয়ে । আজকে এই প্রতিবেদনে আমি আপনাদের সাথে হৃদরোগ প্রতিরোধের উপায় নিয়ে আলোচনা
করব । এই যে হৃদ রোগ প্রতিরোধের উপায় এবং এই বিষয়টি আপনি জানতে চাইলে সম্পন্ন
প্রতিবেদনটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
হৃদরোগ বর্তমানে একটি বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে আমাদের মাঝে তাই উক্ত সমস্যার কবল
থেকে নিজেকে কিভাবে মুক্ত রাখবেন। হৃদরোগ প্রতিরোধের উপায় তা নিয়ে সমস্ত তথ্য গুলো জেনে নিন একটি
আর্টিকেলে। আমরা আজ এই রোগর লক্ষণ, করণ এবং প্রতিকার সমস্ত কিছু নিয়েই আলোচনা
করবো তাই চলুন আমরা এখন মূল আলোচনায় ফোকাস করি।
পোস্টের সূচি পত্রঃ হৃদরোগ প্রতিরোধের উপায় - হৃদরোগের কারণ ও প্রতিকার
হৃদরোগ প্রতিরোধের উপায়
হৃদরোগ (Heart Disease) হলো এমন একটি রোগ যা হৃদযন্ত্র এবং রক্তনালীগুলোর ওপর
প্রভাব ফেলে। এটি বিশ্বের অন্যতম মৃত্যুর কারণ এবং বাংলাদেশেও এর প্রকোপ বৃদ্ধি
পাচ্ছে। তবে, সঠিক জীবনযাপন এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মেনে চললে হৃদরোগের ঝুঁকি
উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। হৃদরোগ প্রতিরোধের উপায় গুলো হলোঃ
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- ধূমপান এবং অ্যালকোহল পরিহার করুন।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখ।
- স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন।
- রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ কর।
- মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখ।
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।
- ওষুধ সঠিকভাবে গ্রহণ কর।
হৃদরোগ হচ্ছে এক মারাত্মক রোগ। এই রোগ থেকে বাঁচতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলা
দরকার, যাতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যেমনঃ ধূমপান না করা এবং নিয়মিত
ব্যায়াম করা বা হাঁটা,খাদ্য বেশ পরিবর্তন করা, কাঁচা ফল ও শাকসবজি বেশি বেশি
খাওয়া । চর্বি যুক্ত খাবার না খাওয়া , ভাজা খাবার , মসলাযুক্ত খাবার , পাস্টফুড
না খাওয়া। এই সকল কাজ করে আমরা হৃদরোগ প্রতিকার করতে পারি।
হার্ট অ্যাটাক এর পূর্ব লক্ষণ
আমরা উপরের অনুচ্ছেদ দেখে বুঝতে পারছি যে আজকের আলোচনার বিষয় কি?। তাই চলুন
দেরি না করে মূল আলোচনায় ফিরে যাই । এখন আমরা জানবো হার্ট অ্যাটাক এর পূর্ব
লক্ষণ। প্রথমত হার্ট অ্যাটাক করলে বুকে অসহনীয় ব্যাথা অনুভূত হয় । বিশেষ করে
বুকের মাঝখানে পছন্দ ব্যথা অনুভব করা যায় , প্রাথমিকভাবে অ্যান্টাসিড ওষুধ খেলেও
কমে না । বুকের ব্যথা বামদিকে বা সারা বুকে চড়িয়ে যেতে পারে । ব্যথা অনেক সময়
গলা এবং বাম হাতে ছড়িয়ে যায়।
রোগী প্রচন্ডভাবে ঘামতে থাকে এবং বুকে বাড় চাপ অনুভব করে । রোগীর যদি আগে থেকেই
ডায়াবেটিস থাকে তাহলে তার বুকের কোন ব্যথা ছাড়াই হার্ট এটাক হতে পারে । তাই
রোগী কিছু বোঝার আগেই সর্বনাশ হয়ে যায় । এইজন্য ডায়াবেটিস রোগী কোনো অসুবিধা
না করলেও নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চেক-আপ করাতে হয় ।
হৃদরোগর কারণ ও প্রতিকার
উপরের আলোচনা আমরা জেনেছি যে , হার্ট অ্যাটাকে পূর্ব লক্ষণ এখন আমরা আলোচনা করব
হৃদরোগের কারণ ও প্রতিকার নিয়ে । সুপ্রিয় পাঠক বিন্দু আপনারা আমাদের সাথে থেকেই
হৃদরোগের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানার জন্য অনুরোধ রইল চলুন শুরু করা জাক ।
বাংলাদেশের হৃদর , বিশেষ করে করোনরি (coronory) হৃদরোগের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে ।
হৃৎপিণ্ড রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন এবং খাবারের সারবস্তু অর্থাৎ পুষ্টিকর পদার্থ
রক্তনালির এর মধ্য দিয়ে দেহের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেয়।
নিজের কাজ সঠিকভাবে করার জন্য অর্থাৎ তার হৃৎপেশীর অক্সিজেন এবং পুষ্টি অর্জনের
জন্য হৃৎপিন্ডের তিনটি প্রধান রক্তনালী আছে । এগুলোর মধ্যে অনেক সময় তোর চর্বি
জমে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে । প্রলে পাম গাতি রোগ হার্ট অ্যাটাক হয় ।
বর্তমান সময়ে হার্ট অ্যাটাককে শুধু 40-60বছর বয়সী লোকেরাই আক্রান্ত হচ্ছে না ,
অনেক সময় তরুণ রাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে । এই রোগের সাথে দেহের ওজন বেড়ে
যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে ।
রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে , অস্বাস্থ্যকর খাদ্যব্যাশ যেমন অধিক
তেল যুক্ত খাবার (বিরিয়ানি, তেহারি,ইত্যাদি) , ফাস্টফুড (বার্গার, বেশ বা চিকেন
প্যাটিস ইত্যাদি) খাওয়া, অলস জীবনযাপন এবং শারীরিক পরিশ্রম না করার ফলে এই রোগ
দেখা যায় । অলসতার কারনে আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বেধে থাকে তাই
নিয়মিত সাস্থকর খাবার এবং সুষম খাবার খেতে হবে । প্রতিদিনের খাদ্য ভ্যাস মেনে
চল্লে আপনার বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পায়ওয়া যায় ।
হার্ট অ্যাটাক এর প্রাথমিক চিকিৎসা
সুপ্রিয় পাঠক বিন্দু ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি যে হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ।
সম্পর্কে আলোচনা করেছি, এখন আমরা হার্ট অ্যাটাক এর প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে
আলোচনা করব।তাহলে চলুন শুরু করা জাক, প্রথমত হঠাৎ রোগীর হার্ট অ্যাটাক হলে তাকে
আরাম দায়ক স্থনে রাখতে হবে। আশেপাশে হাসপাতাল থাকলে দ্রুত নিয়ে যেতে হবে।
হার্ট অ্যাটাক রোগীর শ্বাস নিতে কষ্ট হলে তাকে সিপিআর দিতে হবে। আশেপাশে বায়ু
চলাচলের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। তার পরে রোগীকে হাতের কাছে হার্ট অ্যাটাক এর ঔষধ
থাকলে তা খাইয়ে দিতে হবে।রোগীর আগে যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে সেই রোগীকে বাঁচানো
কষ্টকর হয়ে পড়ে তার জন্য রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা দিতে হবে
হার্ট অ্যাটক প্রতিরোধের উপায়
সুপ্রিয় পাঠক সকালে আমরা ইতিমধ্যে উপযুক্ত অনুচ্ছেদের মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাক এর
প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে জেনেছি এখন আমরা হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের উপায়
সম্পর্কে আলোচনা করবো। চলুন তাহলে আমরা হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের উপায় জেনে নেই।
উচ্চ রক্তচাপের প্রতিকারের টাটকা ফল এবং শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। দেহের
ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে শারীরিক পরিশ্রম করা ভাবলাম করা প্রয়োজন।
হার্ট অ্যাটাকের অবস্থায় দেখা দিলে অবহেলা না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব
ইমারজেন্সি করে ডাক্তার পরামর্শ নেওয়া দরকার।করো নারী হৃদরোগ এক মারাত্মক হৃদরোগ
এই রোগ থেকে বাঁচতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলা দরকার যাতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা
যায় যেমন ধূমপান না করা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা বা হাঁটা, খাদ্য বেশ পরিবর্তন
করা, কাঁচা ফল ও শাকসবজি বেশি বেশি খাওয়া, চর্বিযুক্ত খাবার না খাওয়া ভাজা
খাবার,মসলাযুক্ত খাবার,পাস্টফুড না খাওয়া ইত্যাদি।
হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার
এতক্ষন আমরা হার্ট অ্যাটাক এর প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জেনেছি এখন আমরা জানবো
কোন কোন খাবার, হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার। চলুন শুরু করা জাক। হার্টের জন্য
সবুজ শাকসবজি, লাল জাতীয় ফলমূল এবং স্বাস্থ্যকর খাবার অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু
হার্টের রোগীদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর খাবার হচ্ছে মাদক সেবন ও নেশা করলে হৃদ
যন্ত্রের ক্রিয়া ও হৃৎস্পন্দন সাধারণ মন থেকে বৃদ্ধি পায়। ফলে মাদক সেবী কিছুটা
মানসিক আনন্দ এবং প্রশান্তি পেলেও তার হৃদযন্ত্রে অনেক ক্ষতি হয়।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের মাদক আসক্তির কারণ ও প্রতিকার
সিগারেটের তামাক অথবা জর্দার নিকোটিনের বিষক্রিয়া শরীরের অন্য অংশের মতো
হৃৎপেশীর ক্ষতি করে সঠিক খাদ্য নির্বাচনের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখা যায়।
মেদ সৃষ্টিকারী খাদ্য যেমন:- তেল, চর্বি, অতিরিক্ত শর্করা পরিহার করা এবং সুষম
খাদ্য গ্রহণ করতে হবে । প্রতিদিন নিয়মিত বিয়াম করতে হবে তবেই সুস্থ শরীর আর
সুন্দর মন হতে পারবে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
আমরা ইতোমধ্যে উপযুক্ত নিচ্ছেন গুলোর মাধ্যমিক হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কিত সকল তথ্য
নিয়ে আলোচনা করেছি।আশা করি তথ্যগুলো আপনার জন্য অনেক ভূমিকা পালন করবে।মানুষ
পৃথিবীতে জন্ম হওয়ার আগ থেকেই তার হৃদপিণ্ড কাজ করা শুরু করে এবং মৃত্যুর পূর্ব
মুহূর্ত পর্যন্ত নির্দিষ্ট গতিতে চলতে থাকে মানুষের বাঁচা মরার হৃদপিন্ডের ভূমিকা
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখার জন্য সঠিক জীবনদারা এবং খাদ্য
নির্বাচনের প্রয়োজন রয়েছে।
নানা ধরনের তেল বা চর্বি জাতীয় খাদ্য হৃদ যন্ত্রের কার্যক্রমে ব্যাহত হয়
করে।রক্তের কোলেস্টেরল হৃদপিন্ডে রক্তনালিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যন্ত্রের
ক্ষতি করে থাকে। তাই আমরা সকলে চেষ্টা করব সঠিকভাবে সঠিক নিয়ম মেনে চলার। এতক্ষন
আমাদের সাথে থেকে পুরো প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য জন্য ধন্যবাদ ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url