কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান

আসসালামু আলাইকুম, সুপ্রিয় পাঠক আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাকে স্বাগতম। উপরে টাইটেলটি দেখে আশা করি বুঝতে পারছেন আজকের আলোচনার মূল বিষয় বস্তু আসলে কি? হ্যা আজ আলোচনা করবো বাংলাদেশ সেরা পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান এর নাম সমূহ এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ।
কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান
ভ্রমণ মানব জীবনে মনে খোরাক যোগান দিয়ে থাকে সাথে একটি শিক্ষার অংশ। যদি আপনেও কক্সবাজার যাওবার জন্য প্লান করতেছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিন। নিম্নে বিস্তারিত ভাবে  কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান নাম জানবো চলুন আর দেরি না করি।

পোস্টের সূচিপত্র : কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান

কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান

কক্সবাজার বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত।কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য ১২০ কিলোমিটার।কক্সবাজার যে নামটি সুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে সাগরের বুকের নীল জলো রাশির শব্দ।এ সৈকতে আছে আরো অনেক সুন্দর জায়গা।কক্সবাজার বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত।এটি চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার সদর দপ্তরে ররেছে।একানে আছে সারি বেধে ঝাউ বাগান, বালুর কোমল বিছানা, সামনে বিশাল সমুদ্র সৈকত। 

কক্সবাজার গেলে  কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান সকালে-বিকেলে সমুদ্রতীরে সকলেরই বেড়াতে মন চাইবে। নীল জলরাশি আর শোঁ শোঁ শব্দে মনোমুগ্ধকর করাকে সমুদ্র সৈকতের নাম কক্সবাজার বলে। অপরূপ সুন্দরময় বিশ্বের বড় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। যারা পরিবার, ফ্রেন্ড,সবাই মিলে বেড়াতে চান তাদের জন্যই হলো এই প্রতিবেদনটি।তবে অন্যদিকে কক্সবাজার ভ্রমেণর স্থান সনাক্তকরণের ক্ষেত্রে যেই ১০ টি স্থানের নাম তালিকায় না থাকলেই নয়। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম বালুকনায় প্রাকৃতিক অখণ্ডনীয় সমুদ্র সৈকত।

সমুদ্রের সৌন্দর্য  কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান উপভোগ করতে একাধিক মানুষ ভিড় করেন কক্সবাজারে।একটা সময় কক্সবাজার পানোয়া নামেও পরিচিত ছিল যার আক্ষরিক অর্থ হলো হলুদ ফুল। তবে এর আরও একটি প্রাচীন নাম ছিলো পালংকি। এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে আদিবাসীদের কিছু আংশিক কার্যকলাপ ফুটে উঠেছে,তার মধ্যে ছিলো ঝিনুক, শামুক এবং কাঠযাতীয় সম্পুর্ন ও কাচা বাসের ব্যবহার ও বটে। 
দীপ থেকে সমুদ্রের নীল জলরাশীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। নানা রকমের প্রবাল দেখতে সেন্টমার্টিন দীপ এ ভ্রমণ করাটা ও অসাভাবিক কিছু নয়।পরিশেষে বলা যায় কক্সবাজার না গেলে আপনি বুঝতেই কতটা সুন্দর সময় স্থান। কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থানের নাম
  • ১. সুগন্ধা বিচ
  • ২. লাবনী পয়েন্ট
  • ৩. মহেশখালী দ্বীপ
  • ৪. ইনানী পয়েন্ট
  • ৫. রামু বৌদ্ধ মন্দির
  • ৬. বার্মিচ মার্কেট
  • ৭. হিমছড়ি জলপ্রপাত এবং সৈকত
  • ৮. পাটুয়ারটেক বিচ
  • ৯. ফিসওয়ার্ড
  • ১০.ঝাউ বন

কক্সবাজার কিসের জন্য বিখ্যাত

কক্সবাজার বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক বালুকাময় সমুদ্র সৈকত হওয়ার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত । কক্সবাজার তার নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের জন্য বিখ্যাত।কক্সবাজার এতে সুন্দর সুন্দর বৈচিত্রময় দৃশ্য আছে দেখলে দুচোখ জুরিয়ে যায়।কক্সবাজারে দেখার মতো এমন কিছু জিনিস আছে যেগুলো বললে শেষ হবার নয়।তবে কক্সবাজার মিস্টি পানের জন্য বিখ্যাত।
  • বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত
  • সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য
  • হিমছড়ি ও ইনানী বিচের মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
  • মহেশখালী দ্বীপ
  • সেন্টমার্টিন দ্বীপ
  • বিভিন্ন প্রকারের সামুদ্রিক খাবার
  • বৌদ্ধ মন্দির এবং প্যাগোডা
  • ঝাউবন এবং বালুকাবেলা
  • মনোরম আবহাওয়া

কক্সবাজার জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি

সালাউদ্দিন আহমেদ তিনি ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য।জনাব স আ ম শামসুল হুদা চৌধুরী তিনি ছিলেন একজন নীতিবাচক সদাচরণ শিক্ষনীয় শিক্ষক।জনাব মুমিনুল হক সৌরভ সে একজন ক্রিকেটার বাংলাদেশ জাতীয় টিমের একজন বর্তমান প্লেয়ার ঘরোয়া টিমে চট্টগ্রাম বিভাগে খেলার আগে পূবে ঢাকা বিভাগে খেলেছেন।জনাব কামাল হোসেন চৌধুরী একজন মুক্তিযোদ্ধা।

জনাব সুনীল কৃষ্ণ দে তিনি ফুটবলার।জনাব মোশতাক আহমদ যিনি ছিলেন একজন অতুলনীয় শিক্ষক এবং তার পাশাপাশি একজন মুক্তিযোদ্ধা ও বটে।সুসান্ত ত্রিপুরা তিনি ছিলেন একজন পেশাদার ফুটবল খেললোয়ার এবং বাংলাদেশের নিয়মিত প্লেয়ার।নুরুল হুদা যিনি ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধাদের কাতারের প্রথম সারির সাহসী ব্যাক্তি যার কারনে বাংলাদেশে সরকার তাকে বীর প্রতিক খেতাব প্রদান করে।আনিসুর রহমান জিকু তিনি একজন বাংলাদেশের পেশাদার ফুটবলার যিনি এখন বাংলাদেশের জাতীয় দলে টিমের হয়ে খেলছেন।

কক্সবাজার ভ্রমণ গাইড

কক্সবাজার যে নামটি সুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে সাগরের বুকের নীল জলো রাশির শব্দ সারি সারি ঝাউবন, বালুর নরম বিছানা, সামনে বিশাল সমুদ্র দেখা যায়। কক্সবাজার গেলে সকালে-বিকেলে সমুদ্রতীরে সবারি বেড়াতে মন চাইবে। নীল জলরাশি আর শোঁ শোঁ গর্জনের মনোমুগ্ধকর সমুদ্র সৈকতের নাম হলো কক্সবাজার। সেখানে সবাই তার পরিবার ফ্রেন্ডদের নিয়ে ঘুরতে যায়।মহেশখালী, কুতুবদিয়া, সোনাদিয়া, মাতার বাড়ি, শাহপরী, সেন্টমার্টিন, কক্সবাজারকে করেছে আরো অতুলনীয় সুন্দরময় ও আকর্ষনীয়। 

এই জেলার বুকের উপর দিয়ে বয়ে গেছে মাতা মুহুরী, বাঁকখালী, রেজু, কুহেলিয়অ ও নাফ নদী। পর্যটন, মৎস্য, শুটকিমাছ, বনজসম্পদ,শামুক, ঝিনুক ও সিলিকাসমৃদ্ধ বালুর জন্য কক্সবাজারের অবস্থান তাই যারা ভ্রমণ করতে যায় তাদের কাছে সবার উপরে।সমুদ্রে নামার আগে অবশ্যই জোয়ার-ভাটার সময় জেনে নিতে হবে।গোসলের জন্য জোয়ারের সময় নামা নিরাপদ।

এ সময় তাই জোয়ারের সময় নির্দেশিত থাকে, এবং সবুজ পতাকা ওড়ানো থাকে।ভাটার সময়ে সমুদ্রে স্নান বিপজ্জনক কারণ ভাটার টানে হারিয়ে যেতে পারে অনেকেই।তাই এ সময় বিচ এলাকায় ভাটার সময় লাল পতাকালেখাসহ ওড়ানো থাকলে সমুদ্রে নামা যাবেনা। কোনোভাবেই দূরে যাওয়া যাবেন না।কক্সবাজারে যারা ঘুরতে যায় তাদের বিচ ফটোগ্রাফার ছবি তুলে থাকে।
প্রায় কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এসব ছবি প্রিন্ট করে নেগেটিভসহ তাদের হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে দেয়। লাল লাল পোশাক পরা বিচ ফটোগ্রাফারদের কাছে রয়েছে একটি করে আইডি কার্ড।বেশ কয়েকটি স্টুডিও এ কাজের সঙ্গে জড়িত আছে। সরকারি রেট অনুযায়ী ফোরআর সাইজের ছবি ৩০টাকা। এসব বিচ ফটোগ্রাফারদের কাছ থেকে আগে আইডি কার্ড দেখে তারপর ছবি তুলে নেওয়া ভালো।

কক্সবাজার অফ সিজন কখন

কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত সময় হলো নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি,ও ফেব্রুয়ারি এ-ই চারটি মাস কক্সবাজারে কোলাহল ময় হয়ে থাকে।কেননা এ সময়টায় বৃষ্টি কম হয় এবং গরম কম থাকে মানুষ জনদের ভীড়ও বেশি থাকে সবার ছুটি থাকে সবার পরিক্ষা শেষ হয় শীতকাল থাকে ঘুরতে আরাম হয় সবাই এ-ই সময়টাতে ঘুরতে আশার চিন্তা ভাবনা করে। এ সময় ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত সময়।আর অফ সিজন হচ্ছে বৃষ্টির সময় এবং এই চার মাসের বাইরে যে সময়টা থাকে অই সময়গুলো হচ্ছে অফ সিজন। অফ সিজনে এ-ই সময় রুমের দাম থাকে কম মানুষ জনের ভীড় তাকে কম,যাতায়াতের জ্যাম বেশি থাকেনা।সে ক্ষেত্রে আমরা অফ সিজন ব্যবহার করা হয়।

কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন ভাড়া কত

কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন এর ভারা ৬৫০ টাকা। বাংলাদেশের যে কোনও স্থান থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে যেতে হবে কক্সবাজার। কক্সবাজার থেকে গাড়িতে চড়ে টেকনাফ তারপর টেকনাফ থেকে যেতে হবে সি-ট্রাক তারপর জাহাজ অথবা ট্রলারে চড়ে পৌছাবেন সেন্টমার্টিনে। কক্সবাজার তো গেলেন তারপর বাসে লাগতে পারে ৩০-৫০ টাকা, ট্যাক্সিতে ৪০-৬০ টাকা অথবা রিজার্ভ মাইক্রোবাসে টেকনাফ যেতে ভাড়া লাগতে পারে ৫০০-১০০০ টাকা (৮-১০ সিট)।

প্রতিদিন সকাল থেকে কক্সবাজার-টেকনাফ রুটে এইসব গাড়ি চলাচল করে। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে সকাল থেকে প্রতিদিন আসা-যাওয়া করে সি-ট্রাক,নাফসি জাহাজ,এবং কেয়ারি সিন্দাবাদ।সুন্দর এসব জাহাজের পাশাপাশি ট্রলার ও চলাচল করে এই সমুদ্র রুটে। আপনার পছন্দ মত যান-বাহনে যেতে পারেন। তবে নিরাপদ জলযান হিসেবে কেয়ারি সিন্দাবাদ এবং নাফসি জাহাজই নির্ভরযোগ্য।
এসব জাহাজে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যেতে সময় লাগে দুই ঘণ্টা। তবে প্রতিদিনই বিকাল ৩টায় এসব জাহাজ সেন্টমার্টিনে যায়। শীত মৌসুমে সমুদ্র শান্ত থাকে এবং গ্রীষ্ম-বর্ষা মৌসুমে সমুদ্র উত্তালপাতাল ঢেউ থাকে, তখন চলাচলে অনেক ঝুঁকি থাকে।

 মন্তব্য

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সুন্দর রূপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার।কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতটি পৃতিবীর দীর্ঘতম বড় সমুদ্র সৈকত।পুরো সমুদ্র সৈকতের বালুকনার বিশাল সমা হারে ,নেই কোনো কাদার অস্তিত্ব।১২০ কিলোমিটারের সমুদ্র সৈকত ঘিরে প্রাচীন ঐতিহ্য এবং দর্শনীয় স্থানের কারণে প্রতি বছর কক্সবাজারে ছুটে আসেন অধীক মানব জাতি।সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকরা ভিড় করেন কক্সবাজারে।সমুদ্র ছাড়াও কক্সবাজারে রয়েছে দেখারমত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ঐতিহ্য বাহি বস্তু।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url