ফ্রিল্যান্সিং করে যেসব কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন
ফ্রিল্যান্সিং করে যেসব কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন?ফ্রিল্যান্সিং কি?
ফ্রিল্যান্সিং মূলত মুক্ত পেশা।একটু ঘুরিয়ে বলা যায়,নির্দিষ্ট কোন প্রতিষ্ঠানের
অধীনে না থেকে কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে।যার ফলে ফ্রিল্যান্সাররা ঘরে বসে
নিজের ইচ্ছা মতো কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারে।যারা ফ্রিল্যান্সিং করে তাদেরকে
ফ্রিল্যান্সার বলা হয়।
যদি কোন বিষয়ে দক্ষতা না থাকে তাহলে সে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে পারবে না তাই
ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে দক্ষতা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজকের ব্লগে
ফ্রিল্যান্সিং করে যেসব কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন সেই বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
পোস্টের সূচিপত্রঃফ্রিল্যান্সিং করে যেসব কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন
ফ্রিল্যান্সিং করে যেসব কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন
এমনি কিছু কাজের নাম নিম্নে তুলে ধরা হলো যেগুলো করে আপনি অল্প সময়ে বেশি টাকা
ইনকাম করতে পারবেন কিন্তু আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে সবার আগে যেটি প্রয়োজন
তা হলো কোনো একটি বিষয়ের ভালো দক্ষতা এবং একটি মার্কেট নির্বাচন করাঃ ১৮৮৯ সালে
Walter Scott নামক এক লেখকের বইতে ফ্রিল্যান্সিং শব্দটির সূচনা হয়। ঐ সময়ে যে
ফ্রিল্যান্সিং ব্যবস্থা ছিল সেটা অফলাইন ব্যবস্থা।
কিন্তু বর্তমান যে ফ্রিল্যান্সিং ব্যবস্থাটি আছে সেটা অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং
ব্যবস্থা। অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং করে মূলত এক দেশের লোক অন্য দেশের কোম্পানির বা
ক্লাইনটের কাজ করে থাকে যার বিনিময়ে সে টাকা পায়। অনলাইন ফ্রিল্যান্সিংয়ের
সূচনা হয় ১৯৯৮ সালে গুরু নামক মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে।বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের
প্রচলিত বেশ কিছু ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং করে যেসব কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং করে যেসব কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন নিম্নে কিছু মার্কেটপ্লেসের
নাম তুলে ধরা হলোঃ-
এখন নিম্নে কিছু স্কিল এর নাম তুলে ধরা হল যেগুলো করে আপনি খুব কম সময়ে বেশি
টাকা আয় করতে পারবেনঃ
১.মাইক্রোসফট অফিসঃ বর্তমান microsoft excel দক্ষ কর্মীর চাহিদা অনেক
বেশি।এই কাজ ডাটা এন্ট্রি তুলনায় একটু কঠিন।মাইক্রোসফট এক্সেল এ দক্ষ কর্মী অনেক
বেশি সময় লাগার কাজটি কম সময়ে করতে পারে।এই কাজটি করার মাধ্যমে সে অল্প সময়ে
অনেক বেশি টাকা আয় করতে পারবে।তাই যারা কম সময়ে বেশি টাকা আয় করতে চান তারা
মাইক্রো সফট এক্সএল এর উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।
২.ট্রান্সক্রিপসশনঃ যারা ভাষান্তর কাজে পারদর্শী তারা এ কাজটি করতে
পারেন। বর্তমানে ট্রান্সক্রিপশন কাজের চাহিদা অনেক বেশি তাই যারা নতুন
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান তারা ট্রান্সক্রিপশন কাজটি শিখতে পারেন।এই কাজে আপনি যত
বেশি ভাষা জানবেন তত বেশি আয় করতে পারবেন।যেমন: ইংরেজি,আরবি ইত্যাদি।
৩.গ্রাফিক্স ডিজাইনঃবর্তমানে প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর চাহিদা
অনেক বেশি। আপনি প্রফেশনাল গ্রাফিক্সের ডিজাইনার হতে পারলে কোনো কোম্পানিতে চাকরি
খুঁজতে বেশি কষ্ট করতে হবে না এছাড়াও আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে
পারবেন। তাই আপনি যদি কোন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে চান তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইনের
উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সইং এ সবথেকে ডিমান্ডল সেক্টর কোনটি
প্রযুক্তি নিভর এই বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বতমান
সময়ে ফ্রিল্যান্সিং অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সবচেয়ে বেশি এই সেক্টরে কাজ
করছে যুব সমাজ। নিম্নে কিছু ডিমান্ডেবল সেক্টর তুলে ধরা হলোঃ-
- ডিজিটাল মার্কেটিং।
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট।
- ভিডিও এডিটিং।
- কনটেন্ট রাইটিং।
১.ডিজিটাল মার্কেটিংঃ বর্তমান যুগ ডিজিটাল মার্কেটিং যুগ।বতমান সময়ে
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে কোনো পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপণ দেওয়া হয়।এই বিজ্ঞাপন
গুলো সোসাল মিডিয়া,ইমেইল, SEO এর মাধ্যমে করা যায়।মানুষ কোনো পণ্য কেনার আগে সে
পণ্য সম্পর্কে জানতে অনলাইনে সার্চ করে এছাড়াও বর্তমান সময়ে মানুষজন অনলাইন
থেকে কেনাকাটা করতে পছন্দ করে তাই আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ঘরে বসে
ইনকাম করতে পারি।
২.ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ
করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করছে।কোন একটা ওয়েবসাইট তৈরি করা থেকে শুরু করে এবং
সেটি ইন্টারনেটে লাইভ করা পর্যন্ত যে কাজগুলো করা হয় তাকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
বলে। যে এই ওয়েবসাইটগুলো তৈরি করে তাকে ওয়েব ডেভেলপার বলে।এই কাজটি বর্তমান
সময়ে ঘরে বসে আয় করার একটি ভালো পন্থা।
৩.ভিডিও এডিটিংঃ বর্তমান সময়ে ভিডিও এডিটিং একটি জনপ্রিয় পেশা। ভিডিও
এডিটিং এর কাজ করে অনেকেই ঘরে বসে ইনকাম করছে।মোবাইল বা ক্যামেরা দ্বারা কোন কিছু
ভিডিও করে সেই ভিডিওটাকে এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহার মাধ্যমে মডিফাই করে দর্শকের
সামনে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করাকে ভিডিও এডিটিং বলে।যে ব্যক্তি ভিডিও এডিটিং করার
কাজ করে তাকে ভিডিও এডিটর বলা হয়।একজন ভালো এডিটর হতে হলে অবশ্যই ধৈর্যশীল হতে
হবে।তাকে ভিডিও এডিটিং এর সিক্রেট এবং ইফেক্ট গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞান রাখতে
হবে,তা না হলে সে ভালো মানের ভিডিও এডিটর হতে পারবে না।
আরো পড়ুনঃ ডেবিট ও ক্রেডিট বলতে কি বুঝায়
৪.কনটেন্ট রাইটিংঃ আপনি যদি কোনো একটা বিষয়ের উপর লেখালেখি করতে
ভালোবাসেন বা লেখালেখির প্রতি আগ্রহী থাকেন। তাহলে আপনার জন্য কনটেন্ট রাইটিং
ভালো অপশন।কন্টেন রাইটিং এর চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে, এর চাহিদা কোনদিন কমবে
না।কনটেন্ট রাইটারদের মূল কাজ কন্টেন্ট তৈরি করা যেগুলো অডিয়েন্সরা পছন্দ
করবে।বর্তমান সময়ে এর ডিমান্ড অনেক।
ফ্রিল্যান্সিং এ আয় করার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কততম
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের একটা ট্রেন্ডিং বিষয়ে হয়ে উঠেছে ফ্রিল্যান্সিং।কোন
ব্যক্তিকে ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে সর্বপ্রথম তাকে কোন একটি বিষয়ের উপর দক্ষ
থাকতে হবে।যেমনঃ- ডাটা এন্ট্রি,গ্রাফিক্স ডিজাইন,কন্টেনরাইটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
ইত্যাদি। এখনকার সময়ে চাকরি পাওয়া একটা কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই
বর্তমান বাংলাদেশের বেকারত্বের হার অনেক বেশি এ জন্য তরুণেরা বেকারত্বের সমস্যা
দূর করার জন্য কোন একটি বিষয়ের উপর স্কিল অর্জন করছে এবং এই ইস্কিল নির্ভর
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করছে।
যেহেতু বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং একটা ট্রেন্ডিং বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সেহেতু,
সবার মনে একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খায়।প্রশ্নটি হলোঃ-ফ্রিল্যান্সিংয়ে এ আয়ের দিক
থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত? উত্তরটি হলঃ ফ্রিল্যান্সিং এর দিক থেকে বাংলাদেশের
অবস্থান দ্বিতীয়।এতে করে বোঝা যায় ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান অনেকটা
ভালো। ভবিষ্যৎ এ বাংলাদেশের পক্ষে এই সেক্টর থেকে ভালো কিছু করা সম্ভব।
একজন ফ্রিল্যান্সারের মাসিক আয় কত
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং, যেহেতু একটা জনপ্রিয় বিষয় হয়ে উঠেছে তাই অনেকেই
ফ্রিল্যান্সিং করতে চাই এবং সবার মনে এই ফ্রিল্যান্সিং বিষয় নিয়ে কিছু প্রশ্ন
থাকে। প্রশ্নগুলোর মধ্যেও অন্যতম একটি প্রশ্ন হলোঃ একজন ফ্রিল্যান্সারের মাসিক
আয় কত? একজন ফ্রিল্যান্সারের মাসিক আয় নির্ভর করে সম্পূর্ণ তার কাজের উপর।
ফ্রিল্যান্সিং মূলত মুক্ত পেশা। কোন ব্যক্তি এই কাজ নিজের ইচ্ছা মতো করতে পারে,
যত বেশি কাজ করবে তত বেশি আয় হবে।
একজন ফ্রিল্যান্সারে মাসিক আয় কত তা সঠিকভাবে বলা যায় না।একজন পেশাদার
ফ্রিল্যান্সারের মাসিক আয় ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা হয়ে থাকে। কিন্তু যারা ফ্রিল্যান্সিং
সেক্টরের নতুন তাদের প্রথমত ইনকাম কম হতে পারে ধীরে ধীরে সেটি বাড়তে থাকে।আশা করি
একজন ফ্রিল্যান্সারের মাসিক আয় কত এ বিষয়ে মোটামুটি একটা ধারণা পেয়েছেন।
লেখক এর শেষ মন্তব্য
আপনি যদি একজন পেশাদার ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে আপনাকে কোন একটি বিষয়ের উপর
দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং করে যেসব কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন যতদিন ইন্টারনেটের ব্যবস্থা থাকবে ততদিন ফ্রিল্যান্সিং এর
কাজও থাকবে। ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য রাখতে হবে। আপনি যখন নতুন
ফ্রিল্যান্সিং এ যুক্ত হবেন তখন কিছুদিন হয়তো কাজ নাও পেতে পারেন এর জন্য ধৈর্য
হারালে হবে না, কাজের প্রতি ধৈর্য রাখতে হবে। অনেকেই প্রথমত কাজ না পেয়ে ধৈর্য
হারা হয়ে এই কাজ ছেড়ে দেয়। তাই ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে ধৈর্য রাখা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url