অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

আজকের আমাদের আলোচনা বিষয় হচ্ছে  অনলাইনে  ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম।বর্তমান যুগ হচ্ছে আধুনিক যুগ।বর্তমানে ঘরে বসে কাজ করা যায় না এমন কোনো কাজ নাই। কেউ যদি ব্যাংক না গিয়ে একাউন্ট খুলতে চাও তাহলে পোস্ট আপনাদের জন্য। মানুষের বিভিন্ন কাজের জন্য বা আর্থিক লেনদেন এর জন্য ব্যাংক একাউন্ট প্রয়োজন হয়। কিন্তু কাজে জন্য বা হাতে সময় না থাকা কারণে ব্যাংক গিয়ে  অনলাইনে  ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম বা একাউন্ট খোলা সম্ভব হয় না।
অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
কিভাবে আমরা  অনলাইনে  ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং কোন কোন ব্যাংক এবং কোন ব্যাংক একাউন্ট খুললে আমরা সুযোগ- সুবিধা পাব এবং কোন কোন মাধ্যম অনুসারে করে খুললে আমাদের সুবিধা হবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।আমাদের সাথে থাকবেন।

পোস্টের সূচিপত্রঃ অনলাইনে  ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

শিরোনাম

উপরোক্ত আলোচনা আমরা জানতে পারি যে আজকের বিষয়বস্ত কি।আজকে আমাদের বিষয়বস্তু হচ্ছে অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম।বর্তমানের আর্থিক দেন বা অর্থের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাইট হচ্ছে ব্যাংক প্রতিষ্ঠান। আমরা যে কাজ করি না কেন বর্তমানে সবার থেকে ব্যাংক একাউন্ট থাকা প্রয়োজন।কিন্তু অনেকে ব্যাংক একাউন্ট করতে চাইলে ব্যস্ততা বা হাতে সময় না থাকা কারণে একাউন্ট করতে পারে না।ব্যাংক একাউন্ট খোলা নিয়ে অনেকে চিন্তা ও দৌড়াদৌড়ি কাজ মনে। আজকের আমরা অনলাইনে কিভাবে ঝামেলা ছাড়া একাউন্ট খুলব এবং কি কি লাগবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো আমাদের সাথে থাকবেন।

অনলাইনে  ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। এই ডিজিটাল যুগে ঘরে বসে কাজ করা এমন কাজ খুব কম আছে । অনলাইনে  ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম বা ব্যাংক একাউন্ট করার জন্য সফটওয়্যার, ওয়েবসাইট রয়েছে এখানে ব্যাংক কিছু নিয়মরীত লিখা থাকে। আগে আমাদের জানতে হবে আমরা কোন ব্যাংক একাউন্ট করব। 

যে ব্যাংক একাউন্ট করব, সে ব্যাংক ওয়েবসাইটে আমাদের প্রবেশ করতে হবে।আমরা যে ব্যাংক একাউন্ট করব সে ব্যাংক নিয়ম অনুসারে একটা ফ্রম থাকে। যেটা আমাদেরকে পূরণ করতে হবে।ফ্রমটি সম্পূর্ণ হলে তারপর সাবমিট করতে হবে।আবার অনেক ব্যাংক অনলাইন আবেদন করার পর ব্যাংক গিয়ে একাউন্ট টি চালু করতে হয়।

ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য কি কি লাগে 

বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ।ব্যাংক একাউন্ট করতে হলে কিছু নিয়ম জানতে হয়। কিন্তু আমরা অনেক জানি বা অনেকে জানি না। আগেকার মানুষকে একাউন্ট করার জন্য অনেক ঝামেলা করতে হতো।যে একাউন্ট করবে তার ও নমিনি উভয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স,বিদ্যুৎ বিল, জন্মসনদের ফটোকপি, ফরম ইত্যাদি । যে একাউন্ট করবে তার ও নমিনি উভয়ের সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি। 

কিন্তু আমার কোন ব্যাংককে একাউন্ট করব,আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কোন ব্যাংক সু্যোগ সুবিধা ভালো । এছাড়া আমরা যদি সুদমুক্ত ব্যাংক চাই,তাহলে ইসলামী ব্যাংক বেছে নিতে পারি।আমরা ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারি।মানুষকে একাউন্ট করার জন্য অনেক ঝামেলা করতে হতো অনেকে কাগজ পত্র প্রয়োজন হতো। কিন্তু এখন এসব ঝামেলা করতে হয় না।আমরা ঘরে বসে অনলাইন মাধ্যমে একাউন্ট খুলতে পারি।
যে ব্যাংক একাউন্ট করব সে ব্যাংক ওয়েবসাইট গিয়ে ফরম্যাট দেওয়া থাকে ফরম্যাট টা পূরণ করে সাবমিট করলে একাউন্ট তৈরি হয়ে যায়। অনলাইনের একাউন্ট জন্য তেমন কাগজপত্র কিছু লাগে না।নিজের বা যার নামে একাউন্ট করা হয় তার জাতীয়পরিচয়পত্র (NID) আর অ্যাক্টিভ একটা মোবাইল নাম্বার দিলে হয়।একইভাবে অনলাইন মাধ্যমে বিদেশে একাউন্ট করতে পারি। বাংলাদেশে অনলাইনের একাউন্ট করা যাবে যে ব্যাংক গুলো তার নিচে দেওয়া হলো।
  • ইসলামী ব্যাংক।
  • এশিয়া ব্যাংক।
  • ডাচ বাংলা ব্যাংক।
  • আইএফআইসি ব্যাংক।
  • মিডল্যান্ড ব্যাংক।
  • মিউচুয়াল ব্যাংক।
  • ন্যাশনাল ব্যাংক।
  • সোনালী ব্যাংক।
  • সিটি ব্যাংক।
  • সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক।
  • ইউসিবি ব্যাংক।
  • EBL ব্যাংক।
  • ঢাকা ব্যাংক।
  • সাউথইস্ট ব্যাংক।
লিমিটেড ইত্যাদি এছাড়া বাংলাদেশে আরও অসংখ্যক ব্যাংক রয়েছে আমরা অনলাইনের মাধ্যমে একাউন্ট খুলতে পারি।

সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলা নিয়ম

আমাদের বাংলাদেশে অনেক ব্যাংক রয়েছে। কিন্তু সোনালী ব্যাংককের সাথে বেশি ভাগ মানুষ পরিচিত। তাই সোনালী ব্যাংক কে বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান মনে হয়। সোনালী ব্যাংক অনলাইন মাধ্যমে একাউন্ট করা যায়। সোনালী ব্যাংকে অনলাইন সেবা চালু করা হয়েছে,যা আগে মতো মানুষকে ব্যাংক গিয়ে কষ্ট করে একাউন্ট খুলতে হয় না।আমাদের আগে জানতে হবে আমরা কি একাউন্ট করব।
সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতেকিছু ডকুমেন্ট লাগবে। সোনালী ব্যাংক অনলাইন একাউন্ট করতে হলে আমাদেরকে অ্যাপটি মোবাইল ফোন এ ডাউনলোড করতে হবে। আমরা কি একাউন্ট করব তাই আগে নিবাচন করে নিতে হবে। অ্যাপটি প্রবেশ করে মোবাইল ফোন দিয়ে যে তথ্য দেওয়া থাকবে সেগুলো দিয়ে অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করতে পারি।

ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

আজকের আমরা জানব ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট কিভাবে করব।ঘরে বসে কিভাবে অনলাইন একাউন্ট করা যায়। বাংলাদেশের অনেকে গুলো বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে তার মধ্যে তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যাংক হলো ইসলামি ব্যাংক। যা মানুষকে সেবা দিয়ে থাকে। আজকের আমরা জানব কিভাবে ঘরে বসে অনলাইন মাধ্যমে শাখা না গিয়ে কিভাবে একাউন্ট খুলব। 

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যাংকিং সেবা ব্যাপকভাবে সহজ এবং দ্রুত হয়েছে। যার মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকগুলি ডিজিটাল রূপান্তরের অংশ হয়ে উঠেছে, যার মাধ্যমে আপনি এখন ঘরে বসে অনলাইন মাধ্যমে ইসলামি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারি।একাউন্টটি খোলার ইসলামী ব্যাংক অ্যাপ (cell Fin islami bank) লিখে ডাউনলোড করতে হবে। 
কিছু অনুমতি প্রয়োজন হয় যেমন ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, এবং লোকেশন। যেগুলো আমাদেরকে দিতে হবে।আমাদের প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন:ছবি,NID,ইমেইল এড্রেস, এবং একটি প্রোফাইল ছবি আপলোড করতে হবে। ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য আমাদের মোবাইল নাম্বার ও একটি পিন সেট করা হয় এবং ৬ সংখ্যার পিন দিতে যেটা দিয়ে আমরা আমাদের একাউন্ট লগইন করতে পারব। আমরা বিভিন্ন এধরনের একাউন্ট করতে পারি এগুলো অনলাইন মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রয়োজনে সুযোগ সুবিধা নিতে পারি।

ব্যাংক একাউন্ট করতে কত টাকা লাগে

আমরা জানি ব্যাংক একাউন্ট করার জন্য গ্রাহকদের সঞ্চয়ী হিসাব খোলার জন্য ৫০০ টাকা এবং চলতি হিসাবের জন্য ১০০০ জমা হবে। ৫০০ টাকা নিচে এক টাকা কম হবে না।আমাদের একাউন্ট করতে হলে আমাদের কম হলে ৫০০ টাকা লাগবে। আমাদের টাকা পরিমাণ আমাদের একাউন্ট উপর নির্ভর করে। আমরা যদি সেভিংস একাউন্ট করি তাহলে আমাদের ১০০০ হাজার টাকা লাগবে। কারেন্ট একাউন্ট প্রাথমিক আমানত ১০০০ টাকা লাগতে পারে। আমাদের একাউন্ট উপর নির্ভর করে টাকা পরিমাণ। আমরা আমাদের সুযোগ সুবিধা উপর নির্ভর করে একাউন্ট করতে পারি।

সেভিংস একাউন্ট খোলা জন্য কোন ব্যাংক ভালো

আমরা জানি আসলে সবগুলো ব্যাংক একাউন্ট একই রকমের। কিন্তু আমাদের ব্যবসায় বাণিজ্য জন্য যেটা সুবিধা মনে হয়। আমরা একাউন্ট করতে পারি। আমরা সেভিংস একাউন্ট জন্য সোনালী ব্যাংক ভালো মনে করতে পারি । কেননা এটি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ব্যাংক। আমরা আমাদের সুযোগ সুবিধা উপর নির্ভর করে সোনালী করতে পারি। কেননা সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যাংক। যার ফলে অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। সোনালি ব্যাংক একাউন্ট করতে তেমন ঝামেলা হয় না। তাই সেভিংস একাউন্ট জন্য সোনালী ব্যাংক ভালো ব্যাংক মনে হয়।

উপসংহার

উপরোক্ত আলোচনা মাধ্যমে বুঝতে পারি, ব্যাংক একাউন্ট করার মাধ্যমে আমাদের অনেকে সুযোগ সুবিধা রয়েছে। যার মাধ্যমে যখন ইচ্ছা তখন টাকা তুলতে পারব। এছাড়া আমরা যখন ইচ্ছা তখন টাকা রাখতে পারব।ব্যাংক করার ফলে জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নতি আশা করা সম্ভব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url