সাইবার সিকিউরিটি গুরুত্বপূর্ণ কেন
হ্যালো, নতুন একটি প্রতিবেদনে আপনাদের স্বাগতম! আজ আমরা সোশাল মিডিয়া সম্পর্কিত
নিরাপত্তার নিয়ে কথা বলবো। সাইবার সিকিউরিটি গুরুত্বপূর্ণ কেন তা নিয়েই বিস্তারিত
আলোচনা জানবো। যদি আপনিও সাইবার সিকিউরিটি গুরুত্বপূর্ণ কেন এই বিষয়ে জানতে আগ্রহী হোন তাহলে পুরো প্রতিবেদনটি
মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সাইবার সিকিউরিটি মূলত সোশাল মিডিয়া সম্পর্কিত হয়ে থাকে এছাড়াও অনান্য আনুষঙ্গিক
বিষয়ও রয়েছে। সাইবার সিকিউরিটি গুরুত্বপূর্ণ কেন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়েই থাকছে
বিস্তারিত আলোচনা। তাই সাইবার সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে চোখ রাখুন নিম্নে
উল্লেখিত সকল অনুচ্ছেদ। তাই চলুন আর দেরি না করে আমারা মূল আলোচনায় ফোকাস করি।
পোস্টের সূচিপত্রঃ সাইবার সিকিউরিটি গুরুত্বপূর্ণ কেন
সাইবার সিকিউরিটি গুরুত্বপূর্ণ কেন
সাইবার সিকিউরিটি আমাদের বিভিন্ন তথ্যগুলোকে রক্ষা করে। কোনো হ্যাকার যদি এই
তথ্যগুলোকে চুরি করে তাহলে আমারা বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি। এছাড়াও
আমাদের বিভিন্ন ব্যবসায়ীক সংস্থা প্রতিদিন তাদের গ্ৰাহকদের তথ্য এবং ব্যবসার
গুরুত্বপূর্ণ ডেটা সংরক্ষিত করে রাখে। সাইবার সিকিউরিটি ব্যবসায়িক
প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন হ্যাকারদের হাত থেকে রক্ষা করে এবং তাদের ব্যবসার
গোপনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সাইবার সিকিউরিটি গুরুত্বপূর্ণ কেন একটি বড় সাইবার আক্রমণ ব্যবসার সুনাম নষ্ট
করতে পারে, ফলে গ্ৰাহকরা তাদের উপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলতে পারে।
এছাড়াও সাইবার আক্রমণের কারণে প্রতিদিন অনেক মানুষ এবং ব্যবসা অর্থনৈতিক ক্ষতির
সম্মুখীন হতে পারেন। সাইবার সিকিউরিটি এই আক্রমণের শিকার থেকে বাঁচাতে সাহায্য
করে।তাই এইসব ঝামেলার কারণে সাইবার সিকিউরিটি ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুর। জাতীয়
নিরাপত্তার সুরক্ষা একটি দেশের নিরাপত্তা শুধু সামরিক শক্তির উপর নির্ভরশীল। সাইবার সিকিউরিটি গুরুত্বপূর্ণ কেন বা একটি
সাইবার সিকিউরিটি ব্যবস্থা দেশের গুরুত্বপূর্ণ ডেটা, বিভিন্ন সামরিক গোপন তথ্য
এবং সিস্টেম গুলোকে রক্ষা করে। সাইবার আক্রমণ শুধু ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িকের
ক্ষতির কারণ নয়, এটি একটি দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো এবং বিভিন্ন
যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত করতে পারে।
সাইবার সিকিউরিটি কি
সাইবার সিকিউরিটি হলো কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও সিস্টেমকে বিভিন্ন হ্যাকারের হাত
থেকে রক্ষা করার একটি ডিভাইস মাএ। এই সাইবার আক্রমণ গুলো বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।
আমাদের বিভিন্ন ডিভাইস গুলোতে আমরা সাইবার আক্রমণের শিকার হতে পারি এবং বিভিন্ন
ভাবেই আমাদের সিস্টেম সাইবার হামলা আস্তে পারে। আমাদের এই সব আক্রমণের হাত থেকে
রক্ষা পাওয়ার জন্য সাইবার নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।কারন এটি ডাটা এবং
তথ্য অপরাধীদের কাছ থেকে নিরাপদ রাখতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ ব্যাংক সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়ম
আমাদের এই সব ডেটা গুলো যেকোনো সময় খারাপ হয়ে যেতে পারে। ইন্টারনেট ব্যবহার
করার ক্ষেত্রে আমরা অনেক ধরনের সাইবার হামলার সম্মুখীন হতে পারি। আর ইন্টারনেট এই
সাইবার হামলা কিংবা হুমকির হাত থেকে বাঁচার জন্য আমাদের অবশ্যই সাইবার সিকিউরিটি
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।এতে আমরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পূর্ণ
সুরক্ষিত রাখতে পারব।
সাইবার সিকিউরিটি বাংলাদেশ
আমাদের দেশের ডিজিটাল ডিভাইস ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধই
দমন সংক্রান্ত কার্যক্রম সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণ করার এবং যেকোন তথ্য প্রযুক্তি
সংক্রান্ত রাষ্ট্রীয় সংকটকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা মোকাবেলার নিমিও
সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। বিভিন্ন ধরনের
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো করার জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের জন্য পরিদর্শন
করা।
তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক হুমকি মোকাবেলায় জন্য এবং এ সংক্রান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত
করণের লক্ষ্যে কর্মকৌশল প্রণয়নে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। বিভিন্ন প্রযুক্তির
ব্যবহারিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কার্যক্রম
বাস্তবায়নের নিমিত্তে বিভিন্ন ধরনের সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শ ও নির্দেশনা
প্রদান করা এবং সাইবার সিকিউরিটির প্রতি হুমকিস্বরূপ পর্যবেক্ষণ করতে ও
সংশ্লিষ্টদের এই বিষয়ে অবহিত করতে হবে।
আরো পড়ুনঃঅনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
জাতীয় নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, বহিঃসম্পরক, জনস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা অথবা
প্রয়োজনীয় এবং অপরিহার্য সেবার প্রতি সাইবার সিকিউরিটি হুমকি বিষয়ে সক্রিয়
ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকল্পনা মালিক প্রস্তুত করতে হবে। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য
নিয়োজিত ব্যক্তিদের নির্দেশিকা প্রণয়ন করতে হবে। প্রতিপালনের জন্য নির্দিষ্ট
মানদণ্ড প্রস্তুত করা।
সাইবার সিকিউরিটি ক্যারিয়ার
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা চাকরি পাওয়ার ক্ষমতা ছাড়াও খুব দ্রুত ক্যারিয়ার
ভালো ভাবে গড়তে পারেন। তারা নিজেদের পছন্দমতো নিজের অবস্থান খুঁজে বের করার জন্য
বিভিন্ন ধরনের বিকল্পের সন্ধান পেয়ে থাকেন। তাই তারা যেকোনো একটিকে বেছে নিয়ে
পেশার ও নিজের উন্নয়ন ঘটাতে পারেন, এছাড়াও দক্ষতা বাড়াতে পারেন এবং ব্যক্তিগত
পরিসর আরও বড় করতে পারবেন।
কর্মক্ষেত্রে সাইবার নিরাপত্তায় মেধাবীদের অভাবের কারণে ব্যবসা বা শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান নতুন উপায় বের করে যার মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা ক্যারিয়ারকে আরও
সাশ্রয়ী করা যায। সাইবার নিরাপত্তা ক্যারিয়ারে আগ্ৰহী ব্যক্তিদের জন্য প্রতিদিন
নতুন অনুদান এবং বৃত্তি পাওয়া যায়। সাইবার সিকিউরিটি আমাদের ডিজিটাল দুনিয়ার
জন্য নিরাপত্তা। সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট হয়ে ক্যারিয়ার গড়তে বিভিন্ন কোর্স
সম্পর্কে জানতে হবে।
সাইবার সিকিউরিটি প্রযুক্তি কি
সাইবার সিকিউরিটি হলো নিরাপত্তা কারণ এটি তথ্য প্রযুক্তিতে প্রয়োগ করা হয়। এর
মধ্যে রয়েছে এমন সমস্ত প্রযুক্তি যা ডেটা সঞ্চয় করে। ডেটা নেটওয়ার্ক এবং
নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত বা অন্তর্ভুক্ত সমস্ত ডিভাইস, যেমন বিভিন্ন রাউটার এবং
সুইচ। সমস্ত রাউটার প্রযুক্তি ডিভাইস এবং অনুমোদিত ব্যবহার এবং ভাংচুরের বিরুদ্ধে
সুরক্ষিত হওয়ার দরকার। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের সম্পদ চুরি, চাঁদাবাজি ,
পরিচয় চুরি, ব্যক্তিগত তথ্য গোপনীয়তা এবং সাইবার অপরাধীদের সাধারণ কার্যক্রম
থেকে উচিত।
জনসাধারণকে সাইবার ক্রাইমের কাজ থেকে রক্ষা করা উচিত। আমাদের বিভিন্ন গোপনীয়
বিষয় সাইবার হ্যাকাররা আক্রমণ করতে পারে। এছাড়াও কম্পিউটার যারা ব্যবহার করেন
তারাও হ্যাকিং এর শিকার হবেন। সাইবার সিকিউরিটি প্রযুক্তি সম্পর্কে না জানলে সকল
ধরনের সমস্যা পড়তে পারেন।
সাইবার সিকিউরিটি বিশ্লেষক এর কাজ কি
সাইবার নিরাপত্তা হলো কম্পিউটার সিস্টেম নেটওয়ার্ক এবং প্রোগ্ৰামগুলোকে এই ধরনের
আক্রমণ থেকে রক্ষা করা। সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা হ্যাকারদের হাত থেকে রক্ষা
করার জন্য এমন প্রোগ্ৰাম তৈরি করে যা এই ধরনের ক্ষতিকারক আক্রমণ থেকে সিস্টেমকে
রক্ষা করে। সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা সাইবার হুমকি প্রতিরোধ, সনাক্তকরণের এবং
পরিচালনা করতে বিভিন্ন প্রযুক্তি এবং প্রক্রিয়া ব্যবহার করে একটি সংস্থাকে রক্ষা
করতে সহায়তা করে। সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক হিসাবে আইটি অবকাঠামো বিভিন্ন
অপরাধমূলক কার্যকলাপ থেকে রক্ষা করবেন।
সাইবার সিকিউরিটি বিশ্লেষক ক্রমাগত ভাবে কোম্পানি নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা বাড়ানো
এবং তার সংবেদনশীল তথ্য রক্ষা করার উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করতেছেন। সাইবার
সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট এর জন্যও দায়ী,কনফিগারিং টুলস, এটি ভাইরাস সফ্টওয়্যার,
পাসওয়ার্ড প্রোটেক্ট এবং দুর্বলতা ব্যবস্থাপনা সফ্টওয়্যার আকারে নিয়ে আসতে
পারে। সাইবার বিশেষজ্ঞরা কম্পিউটার সিস্টেম নেটওয়ার্কের এবং প্রোগ্ৰাম গুলোকে এই
সাইবার আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে।
সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন ধরনের সিস্টেম কে হ্যাকারের থেকে রক্ষা করার
জন্য এমন এমন বিশেষ ধরনের প্রোগ্ৰাম তৈরি করে যা এই ধরনের ক্ষতিকারক আক্রমণ থেকে
রক্ষা করে। এই সাইবার বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক, খুচরা বিক্রেতা,
স্বাস্থ্য সেবা এবং সরকারি সংস্থা গুলির মধ্যে অনেক ভূমিকা পাওয়া যায়। আপনি যদি
একটি প্রতিষ্ঠানের ফাইল এবং নেটওয়ার্ক সুরক্ষিত করতে এবং তার কার্যকলাপ
নিরীক্ষনের আশা করতে পারেন। একজন সাইবার বিশেষজ্ঞদের অনেক কাজ করতে হয়,তারা
দরকারি জিনিস সংরক্ষণ করে রাখে। সাইবার বিশেষজ্ঞরা আমাদের অফিসের বিভিন্ন দরকারি
ফাইল সংরক্ষণ করে রাখে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
আশা করি আপনারা সাইবার সিকিউরিটি কি বা সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে সব ধারণা পেয়ে
গেছেন। আপনি যদি সাইবার সম্পর্কে খুব বেশি না জানেন তাতে সমস্যা নেই। তবে আপনাকে
নিজেকে এবং তার সাথে অন্যকেও নিরাপদ রাখতে হবে। একজন সাধারণ ব্যবহারকারী হিসেবে
খুব সাবধানে রাখতে হবে এবং সাইবার সিকিউর রাখতে কিছু তথ্য জানা প্রয়োজন।
সাইবার সিকিউরিটি সংক্রান্ত সার্ভিস, পন্য এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়ে ব্যবহৃত
কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের মান নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের সবাইকে
সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে ভালো জানতে হবে। তাহলে আমরা কোন হ্যাকারের সম্মুখীন
হবে না। সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে। সাইবার
সিকিউরিটি সম্পর্কে সবার ভালো ধারণা থাকতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url