টিকিটের নাম পরিবর্তন করার নিয়ম জেনে নিন
আজকে আমি আপনাদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আমাদের চলার
পথে অনেকের অনেক ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। যদি এই অজানা বিষয় গুলো সম্পর্কে আমরা
আগেই জেনে রাখি তাহলে তো সমস্যা হওয়ার কথা নাহ। অনেকেই আছেন টিকিটের নাম পরিবর্তন করার নিয়ম দরকার পড়ে থাকে।
আমরা আজকে যে বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো তাহলো টিকিটের নাম পরিবর্তন
করার নিয়ম, লোকাল ট্রেনের নাম, বাংলাদেশের সকল ট্রেনের নাম,বেসরকারি ট্রেনের
তালিকা ইত্যাদি। অনেকেই তো বাংলাদেশে কতগুলা ট্রেন আছে সেটাও জানে না,অনেকে আবার
নাম জানে না। তো যারা এসব বিষয়ে জানেন না তাদের জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে।
বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করা হলো।
পোস্টের সূচিপত্রঃ টিকিটের নাম পরিবর্তন করার নিয়ম
টিকিটের নাম পরিবর্তন করার নিয়ম
টিকিটের নাম পরিবর্তন করে অন্য কেউ সেই টিকিট টি নিয়ে সফর করতে পারার এই নিয়মটা
আগে ও ছিলো। কিন্তু আগে এই নিয়মটা এত বেশি জটিল ছিলো যে বলার বাহিরে। অনেক
স্ট্রগল করতে হতো এই প্রসেস টা ফলো করতে। অনেক বেশি জটিলতার কারণে ঐ ব্যক্তি নাম
টিকিটের নাম পরিবর্তন করার নিয়ম না করে টিকিটটা বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক বলে মনে করতো।
কিন্তু রেল মন্ত্রী একটি নতুন নিয়মের কথা জানিয়েছে ।
যেখানে ট্রেনের টিকিট কাটার পরে যদি ঐ ব্যক্তির কোনো সমস্যার কারণে তিনি যেতে না
চায় বা তার বদলে অন্য কাউকে পাঠাতে চায়, তাহলে ট্রেনটি যে নির্ধারিত সময়ে আসার
কথা ছিলো সেই সময় থেকে ১ দিন ( ২৪ ঘন্টা) আগে প্রমাণ পত্র সাথে নিয়ে আসন- সংরক্ষণ
কেন্দ্রতে গিয়ে প্রমাণ পত্র সবগুলো দেখাইতে হবে। তারপর পুরাতন যে নামটি রয়েছে
সেটিকে পাল্টে নিতে হবে। নাম পরিবর্তন করার পর ওখানের যিনি chief reservation
supervisor থাকবেন তাকে আপনার পরিচয়পত্র টি বাধ্যতামূলক দেখাতেই হবে।
টিকিটের নাম পরিবর্তন করার নিয়ম বা নাম পরিবর্তন করতে বেশ ঝামেলা পেহাতে হতো আগেকার দিনে সেজন্য তো টিকিটের
নাম পরিবর্তন না করে মানুষ টিকিটায় তাই বাতিল করে দিতো। ওটায় যে ঝামেলা আর যে
পরিমাণে সময় নিয়ে অন্যের পিছু ঘুরতে হয় তাতে অন্য একটা নতুন টিকিট নিয়ে নেওয়া টাই
বেশি সহজ মনে করতো সবাই। কিন্তু এখন নিয়ম কানুন সবটা সাধারণ জনগণের সাধ্যের মধ্যে
করছে।
তাই এখন কার দিনে টিকিটের নাম পরিবর্তন অনেকটা সহজ। সাধারণ জনগণ যদ ঠিক সময়ে সঠিক
সুবিধাটা না পায় তাহলে তেমন নিয়ম রেখে কি লাভ? জনগণের ভালোর জন্যই তাদের সেই
অনুযায়ী কাজ করা উচিৎ বলে আমি মনে করি।
লোকাল ট্রেনের নাম
রেল গাড়ি বা ট্রেন হইলো এক ধরন এর রেল পরিবহণ যেইটা কিছু সংখ্যক সংযুক্ত জিনিস
বা যানবাহন এর একটা সারি নিয়েই গঠিত। অথবা যেইটা মালামাল পরিবহন বা যাত্রী
পরিবহন এর জন্যই একটা রেল রোড যেটি কিনা ট্র্যাক এর উপর দিয়ে চলাচল করে।
বাংলাদেশের লোকালয়ে যে ট্রেন গুলো চলে সে গুলোই মূলত লোকাল ট্রেন। যেমনঃ
- ১. বলাকা কমিউটার ।
- ২. দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার
- ৩. মহুয়া কমিউটার ।
- ৪. টাঙ্গাইল কমিউটার ।
- ৫. কালিয়াকৈর কমিউটার ।
- ৬. ঢাকা কমিউটার ।
- ৭. তুরাগ এক্সপ্রেস-১ ।
- ৮. রাজশাহী এক্সপ্রেস ।
- ৯. তুরাগ এক্সপ্রেস-২ ।
- ১০. ভাওয়াল এক্সপ্রেস ।
উপরোক্ত ট্রেনগুলো লোকাল ট্রেন নামেই পরিচিত। এগুলো বাংলাদেশের গ্রাম্যপথ ধরেই
চলে। লোকাল ট্রেন আন্তঃনগর ট্রেন এসবের বৈশিষ্ট্য গুলে প্রায় একই রকম।
বাংলাদেশের সকল ট্রেনের নাম
বাংলাদেশে নিবন্ধিত ট্রেনের নাম সমূহ- আন্তর্জাতিক ট্রেন, মেইল ও কমিউটার ট্রেন,,
লোকাল ট্রেন, আন্তঃনগর ট্রেন ইত্যাদি।এগুলোর মধ্যে ও অনেক ভাগে বিভক্ত আছে। যেমনঃ
- আন্তর্জাতিক ট্রেনের মধ্যে আছে বন্ধন এক্সপ্রেস, মিতালি এক্সপ্রেস, মৈত্রী এক্সপ্রেস।
- মেইল ও কমিউটার ট্রেন এর মধে আছে ঢাকা মেইল,চট্টগ্রাম মেইল,কর্ণফুলী কমিউটার, রাজশাহী এক্সপ্রেস, উত্তরবঙ্গ মেইল (বন্ধ)সুরমা মেইল,নোয়াখালী এক্সপ্রেস,জালালাবাদ এক্সপ্রেস (বন্ধ),মহানন্দাএক্সপ্রেস,কুশিয়ারা এক্সপ্রেস(বন্ধ),বগুড়া কমিউটার,পদ্মরাগ কমিউটার,নকশিকাথা কমিউটার,সাগরিকা এক্সপ্রেস,উত্তরা এক্সপ্রেস (বন্ধ),ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস,কাঞ্চন কমিউটার,মহুয়া কমিউটার,দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার,জামালপুর কমিউটার, বেতনা কমিউটার,ভাওয়াল এক্সপ্রেস, রাজশাহী কমিউটার,রাজশাহী কমিউটার,রামসাগর এক্সপ্রেস,দিনাজপুর কমিউটার,পার্বতীপুর কমিউটার,বুড়িমারী কমিউটার সহ আরও কয়েকটা আছে।
- লোকাল ট্রেনের মধ্যে আছে বলাকা কমিউটার, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, মহুয়া কমিউটার,টাঙ্গাইল কমিউটার, কালিয়াকৈর কমিউটার, ঢাকা কমিউটার, তুরাগ এক্সপ্রেস-১, রাজশাহী এক্সপ্রেস, তুরাগ এক্সপ্রেস-২, ভাওয়াল এক্সপ্রেস ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃঅনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
- আন্তঃনগর ট্রেনের মধ্যে আছে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস,চট্টলা এক্সপ্রেস, বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস,চিলাহাটি এক্সপ্রেস,বুড়িমারী এক্সপ্রেস,কক্সবাজার এক্সপ্রেস,পর্যটক এক্সপ্রেস। বাংলাদেশের অনেক ধরনের ট্রেন চলে থাকে। তার মধ্যে আন্তঃনগর ট্রেন ও মেইল কমিউটার ট্রেন গুলে সবচেয়ে বেশি চলে।
বেসরকারি ট্রেনের তালিকা বাংলাদেশ
বাংলাদেশে অনেক সরকারি বেসরকারি ট্রেন আছে এর মধ্যে সরকারি আছে অল্প আর বেসরকারির
সংখ্যা বেশি। বেসরকারি ট্রেন গুলোঃ
- সুবর্ণ এক্সপ্রেস,
- মহানগর গোধূলি,
- মহানগর প্রভাতী,
- তিস্তা এক্সপ্রেস,
- পারাবত এক্সপ্রেস,
- উপকূল এক্সপ্রেস,
- জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস,
- পাহাড়ীকা এক্সপ্রেস,
- মহানিকা এক্সপ্রেস,
- উদয়ন এক্সপ্রেস,
- মেঘনা এক্সপ্রেস,
- অগ্নিবীনা, তৃণা,
- উপবন এক্সপ্রেস,
- এগার সিন্ধুর প্রভাতি,
- কালনী এক্সপ্রেস,
- এগার সিন্ধুর গোধূলি,
- হাওর এক্সপ্রেস,
- কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস,
- বিজয় এক্সপ্রেস,
- সোনার বাংলা এক্সপ্রেস,
- মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস,
- জামালপুর এক্সপ্রেস,
- সুবর্ণচর এক্সপ্রেস,
- টাঙ্গুয়ার এক্সপ্রেস ইত্যাদি।
এছাড়াও কিন্তু বাংলাদেশে ২৪টি ট্রেন লিজ বাতিল করা হয়েছে। এখানে প্রাথমিকভাবে
জানা যায় যে চুক্তি করার পরে শর্ত মানেনি বলেই লিজটি বাতিল করে দিয়েছে। তবে এখনো
পর্যন্ত যে ২৪টি ট্রেনের লিজ বাতিল করা হয়েছিলো তার তালিকা প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
তার সাথে বাংলাদেশ রেলওয়ে সুস্পষ্ট কোনো কারণ বা ব্যাখ্যা দেয়নি। ১২ নভেম্বর
চুক্তি বাতিল করার তথ্যটা রেলওেয়ে পরিচালক গণমাধ্যমে জানিয়ে দেয়।
আরো পড়ুনঃ কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান
মোঃ নাহিদ হাসান খান গনমাধ্যম পরিচালক বলেন ট্রেন এর যে চুক্তিটি ছিলো সেটি আজকে
থেকে বাতিল করা হলো। আজ থেকে এই সিদ্ধান্তই কার্যকর করা হলো। কিন্তু কি কারণে বা
কি জন্য ট্রেন লিজ বাতিল করছে জানার আগ্রহ প্রকাশ করলে তিনি চুপ থাকেন। রেলওয়ের
সূত্র ধরে জানা যায় , যে ছাত্র লীগের নেতা রিপন ও তার ফ্যামিলি মেম্বর দের
মালিকানাধীন অনেকগুলো কোম্পানিতে পরিচালিত হচ্ছে বাতিল হয়ে যাওয়া সেই ২৪টি ট্রেন
লিজ ।
লেখকের শেষ মন্তব্য
ট্রেনের টিকিটের নাম পরিবর্তন করার নিয়ম বিষয়ে অনেকেরই এসব তথ্য গুলো অজানা ছিলো হয়তো। অনেক সময় কিন্তু এসব
বিষয়বস্তু সম্পর্কে হঠাৎ দরকার পড়তেই পারে। তাই সব কিছু আগে থেকে জেনে রাখা ভালো।
বাংলাদেশে কত গুলা ট্রেন আছে বা তার কত গুলা ভাগ আছে। সেগুলোও জেনে রাখা ভালো।
জেনারেল পুলিশ ইন্সপেক্টর বাংলাদেশের বিশেষায়িত একটি ইউনিট যেটি বাংলাদেশ পুলিশ
এর অধীনে রয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ কমলাপুর হেডকোয়ার্টার কিন্তু ঢাকাতে অবস্থিত।
বাংলাদেশ পুলিশ রেলওয়েতে চব্বিশ টা থানা, তেতত্রিশ টা ফাড়ি ও ৬ টি জেলা রয়েছে।এসব
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান হিসেবে হলেও থাকা খুবই দরকার। ট্রেনের
মধ্যে সরকারি বেসরকারি আবার কিছু কিছু তো বন্ধ ও রয়েছে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url