আজকের এলপিজি গ্যাসের দাম বাংলাদেশ - বসুন্ধরা গ্যাস সিলিন্ডার দাম

সাইবার সিকিউরিটি গুরুত্বপূর্ণ কেন আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকা বৃন্দ আশা করি আপনারা সকলে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আচ্ছা আমাদের বাংলাদেশের প্রতিনিয়ত যে হারে জিনিসের দাম বাড়ছে তাতে কি আসলে আমরা সকলে খুশি? অবশ্যই না। আমাদের নিত্যদিনে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ভিতরে গ্যাস কিন্তু অন্যতম। গ্যাসের ব্যবহার কিন্তু আমাদের প্রতিদিনই কোন না কোন কাজে লেগেই থাকে। তাই আজকের এলপিজি গ্যাসের দাম বাংলাদেশ বা গ্যাসের দাম বাড়লেও আমাদের সেটা ব্যবহার করতে হয় আর গ্যাসের দাম কমলেও আমাদেরকে সেটা ব্যবহার করতে হয়।

আজকের পোস্টে আপনাদের সাথে গ্যাসের দাম সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। তো চলুন দেখি নেই আজকের পোষ্টের বিষয়বস্তুগুলো আজকের এলপিজি গ্যাসের দাম বাংলাদেশ এলপিজি গ্যাসের দাম, সিলিন্ডার গ্যাসের দাম, ওমেরা গ্যাস সিলিন্ডার দাম, বসুন্ধরা গ্যাস সিলিন্ডার দাম, যমুনা গ্যাস সিলিন্ডার দাম, বেক্সিমকো গ্যাস সিলিন্ডার দাম ইত্যাদি।

বাংলাদেশে সব থেকে ভালো গ্যাসের মধ্যে এলপিজি গ্যাস অন্যতম। এইজন্য কিন্তু এলপিজি গ্যাসের ব্যবহার ব্যাপক প্রচলন। এলপিজি গ্যাসের ব্যবহার যেরকম বেশি সেরকম দামও দিনে দিনে বাড়ছে। প্রত্যেক একমাস পরপর এলপিজি গ্যাসের দাম পরিবর্তন করা হয়। আজকের এলপিজি গ্যাসের দাম বাংলাদেশ সেপ্টেম্বরে এলপিজি ১২ কেজি গ্যাসের দাম ১৪২১ টাকা ছিল। পরে অক্টোবর মাসে দামটা আবার পরিবর্তন করে ১২ কেজিতে ৩৫ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। মানে ১২ কেজি এলপিজি গ্যাসের দাম ছিল ১৪৫৬ টাকা । 

পরবর্তী মাসে ১২ কেজিতে আরো ৪৪ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছিল। আর ডিসেম্বর মাসে ১২ কেজিতে আরো ৫০ টাকা দাম বাড়ানো হয়। সব মিলিয়ে এলপিজি গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫৫০ টাকা। এলপিজি গ্যাস বাংলাদেশের সব থেকে বেস্ট গ্যাস সিলিন্ডারের তালিকায় রয়েছে। এটি একটি নামকরা গ্যাস সিলিন্ডার।

আমাদের বাংলাদেশে কিন্তু দুই ধরনের গ্যাস ব্যবহৃত হয়ে থাকে একটা হচ্ছে সরকারি গ্যাস যেটা পাইপ লাইনের মাধ্যমে আসে আর দ্বিতীয় টা হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাস যেটা লোহার কোন একটা বোতল ভরে রাখা হয়। বাংলাদেশের সিলিন্ডার গ্যাসের দাম কিন্তু একটু বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সিলিন্ডার গ্যাস গুলোর মধ্যে রয়েছে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার, ওমেরা গ্যাস সিলিন্ডার, বসুন্ধারা গ্যাস সিলিন্ডার, যমুনা গ্যাস সিলিন্ডার, বেক্সিমকো গ্যাস সিলিন্ডার ইত্যাদি। সরকারি পাইপ লাইনের গ্যাস থেকে কিন্তু সিলিন্ডার গ্যাসের দাম অনেকটাই বেশি।

যেমন ধরেন এলপিজি সাড়ে 12 কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম হচ্ছে ১৫৫০ টাকা, ওমেরা ১২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম হচ্ছে ১৪৪২ টাকা, বসুন্ধরা ২৫ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম হচ্ছে ৩০০৫ টাকা, যমুনা ১২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম আগে ছিল ১৪০০ টাকা পরবর্তী মাসে দাম ১৪৪২ টাকা, বেক্সিমকো ১২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১৪০০ থেকে ১৪৪২ টাকা পর্যন্ত করে বিক্রি করা হচ্ছে তবে কোন কোন জায়গায় এর থেকে বেশি চড়া দামেও বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশের জিনিসপত্রের দাম যে পরিমাণে বাড়ছে তাতে করে আমাদের অল্প পরিমাণে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার মতই জিনিস নিতে হবে। এটা কেন বলছি? বাংলাদেশের দিনদিন জিনিসপত্রের দাম অনেকটাই বেড়ে চলেছে যেটা আমাদের সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। ওমেরা গ্যাস সিলিন্ডার কিন্তু বাংলাদেশে তৈরি হয়। ওমেরা গ্যাস সিলিন্ডার এর দাম আগের মাসের থেকে এই মাসে আরও বেশি হয়েছে। 

গত মাসে ওমেরা ১২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ছিল ১৪৩৩ টাকা। এর পরের মাসে দাম বেড়ে হয়েছে ১৪৮২ টাকা। আর এখন বর্তমানে ওমেরা ১২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১৪৪২ টাকা, ২৫ কেজি ওমেরা গ্যাস সিলিন্ডারের দাম হচ্ছে ৩০০৫ টাকা, ৩৫ কেজি ওমেরা গ্যাস সিলিন্ডারের দাম হচ্ছে ৪২০৬ টাকা, সর্বশেষ হচ্ছে ৪৫ কেজি ওমেরা গ্যাস সিলিন্ডারের দাম 5408 টাকা। ওমেরা গ্যাস সিলিন্ডার কিন্তু বাংলাদেশের দুইবার পুরষ্কৃত হয়েছে।

বসুন্ধরা গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবহার কিন্তু বাংলাদেশে ব্যাপক হারে ব্যবহার বাড়ছে। বসুন্ধরা গ্যাস সিলিন্ডার টি যথেষ্ট পরিমাণে নিরাপদ আর তাই এই গ্যাস সিলিন্ডার এত বেশি জনপ্রিয়। স্থানভেদে কিন্তু এই গ্যাসের দাম কম বেশি হতে পারে। কোন কোন জায়গায় এর দাম অনেক বেশি আবার কোন কোন জায়গায় এর দাম অনেক কম। দেশ এবং দেশের বাহিরে এই গ্যাস সিলিন্ডার অনেক বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। এই গ্যাস সিলিন্ডারের কিন্তু অনেক বেশি জনপ্রিয়তা রয়েছে। 

বর্তমানে এই গ্যাস সিলিন্ডারের ১২ কেজি দাম হলো ১৪৪২ টাকা, ২৫ কেজির দাম হলো ৩০০৫ টাকা এবং ৩৫ কেজির দাম হল ৪২০৬ টাকা। বসুন্ধরা গ্যাস অনেক বেশি ব্যবহারের কারণে এটি মানুষের মুখে মুখে রটে গেছে। বসুন্ধরা গ্যাস যদি ভালো না হতো তাহলে এটার কোম্পানি কিন্তু ডাউন হয়ে যেত তবে সেটা না হয়ে এটা আরো দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। এর পরিচিতি জনপ্রিয়তা সব কিছুই বাড়ছে। ধরতে গেলে এখনো পর্যন্ত আমাদের বাড়িতে বসুন্ধরা আর যমুনা গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবহার বেশি হয়ে থাকে তবে শুধু আমাদের বলে না গ্রাম গঞ্জের প্রত্যেকটা ঘরে ঘরেই কিন্তু বসুন্ধরা যমুনা এই গ্যাস গুলা বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে।

আগেকার দিনে মানুষ রান্নাবান্নার কাজে চুলা ব্যবহার করত কিন্তু এখন যুগ জামানা পাল্টেছে। তাই মানুষের কাজের ধরনের ও অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে। গ্যাস সিলিন্ডার যেন এখন মানুষের নিত্যদিনের কাজের সঙ্গী হয়ে উঠেছে বাসা বাড়িতে অথবা যে কোন প্রতিষ্ঠানের রান্নাবান্নার কাজে কিন্তু এখন গ্যাসটাই বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন ধরেন যমুনা গ্যাস সিলিন্ডার কিন্তু বাসা বাড়িতে গৃহস্থলীর কাজে প্রচুর পরিমাণে মানুষ ব্যবহার করে থাকে। 

গ্যাস সিলিন্ডার বলতেই দাম কখনো বাড়বে কখনো কমবে এটাই স্বাভাবিক। তবে যমুনা গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কিছুটা কমে আসছে আগের থেকে। বর্তমানে ৫.৫ কেজি যমুনা গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ৬৬০ টাকা, ১২ কেজি যমুনা গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১৪৪০ টাকা, ৩৫ কেজি যমুনা গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ৪২০০ টাকা এবং সর্বশেষ ৪৫ কেজি যমুনা গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ৫৪০০ টাকা। ধরতে গেলে কিন্তু যমুনা গ্যাস সিলিন্ডার যেসব মানুষদের আর্থিক সমস্যার কারণে গ্যাসের দামটা বেশি হলে তারা ব্যবহার করতে পারেনা বা কিনতে পারেনা তাদের জন্য কিন্তু যমুনা গ্যাস একদম পারফেক্ট দামেও একদম ঠিক আছে।

আমাদের বাংলাদেশে বেশ কিছু গ্যাস সিলিন্ডারের ভিতরে বেক্সিমকো কিন্তু অন্যতম। বেক্সিমকো গ্যাস সিলিন্ডারের দাম অন্য গ্যাসের মতই কম বেশি হয়ে থাকে কখনও কম কখনো বেশি। অনেক সময় দেখা যায় যে স্থান ভেদে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কম বেশি হয়ে থাকে। শহরে অঞ্চল বা গ্রাম অঞ্চল বা অলি গলিতে যে দোকানগুলোতে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা হয় তারা নিজেদের মতো করে একটা দাম বলে কাস্টমারদের কাছে বিক্রি করে থাকে। 

যেমন বেক্সিমকো গ্যাস সিলিন্ডার যদি আপনি অনলাইন প্যাকেজ এর মাধ্যমে নিতে চান তাহলে ১২ কেজি সিলিন্ডার প্লাস গ্যাসের দাম পড়বে ৩৯৮২ টাকা। যা বর্তমানে অন্যান্য জায়গায় ১২ কেজি বেক্সিমকো গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ধরা হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৪৪২ টাকা বা ১৪৫০ টাকা। এই দাম ছাড়াও অনেক অনেক জায়গায় এর থেকেও অনেক কম দামে ১২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের জিনিসপত্রের দামের সাথে সাথে গ্যাস সিলিন্ডারের একটা নির্ধারিত দাম করে দিয়েছিল। কিন্তু প্রত্যেক এক মাস পরপর এটার দাম কম বেশি হতেই থাকে। সরকারি গ্যাসের থেকে কিন্তু এই গ্যাস সিলিন্ডার গুলো অনেকটাই ভালো এর থেকে বিপদের আশঙ্কা কম থাকে। বাংলাদেশের গ্যাস সিলিন্ডার এখন ঘরে ঘরে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।