ফেসবুক ভেরিফাইড করবেন যেভাবে

সুপ্রিয় পাঠক সকল আরও একটি নতুন প্রতিবেদনে আপনাদের স্বাগতম! আজ আমরা আলোচনা করবো সোশাল মিডিয়া সম্পর্কিত ফেসবুক ভেরিফাইড করবেন যেভাবে। সকল তথ্য জানুন একটি প্রতিবেদনে আশা করবো আজকের তথ্য গুলো দ্বারা আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।
ফেসবুক ভেরিফাইড করবেন যেভাবে
সোশাল মিডিয়া সম্পর্কিত তথ্য এবং গোপন কিছু টিপস সিয়ার করবো। তাই প্রতিবেদনে শুরু হতে শেষ সাথেই থাকুন। এবং জেনে নিন ফেসবুক বা ফেসবুক ভেরিফাইড করবেন যেভাবে সম্পর্কিত অজানা তথ্য গুলো। তাই চলুন আর দেরি না করে আমরা মূল আলোচনায় ফোকাস করি। ফেসবুক ভেরিফাইড করবেন যেভাবে সকল তথ্য গুলো কয়েকটি অনুচ্ছেদের মাধ্যমে তুলে ধরা হলো।

পোস্টের সূচিপত্রঃফেসবুক ভেরিফাইড করবেন যেভাবে

ফেসবুক ভেরিফাই করে কীভাবে

খুব সহজেই যদি ফেসবুকে নামের পাশে নীল বৃওাকারে সাদা একটি টিক চিহ্ন দেখা যায় তাহলে কেমন হয়? ফেসবুক ভেরিফাইড করবেন যেভাবে আপনি একজন জনপ্রিয় ব্যাক্তি হিসেবে আপনার নামের পাশে ব্লু- ব্যাজ তো থাকতেই পারে। ফেসবুক বলছে , ব্লু-ব্যাজ প্রোফাইল বা পেইজের পোস্ট ব্যবহারকারীদের কাছে গ্ৰহনযোগ্য করতে সাহায্য করবে। সহজেই ফেসবুক প্রোফাইল ভেরিফাইড করা যায় সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, তারকা হিসেবে। এছাড়াও ফেসবুক পেইজ ভেরিফাইড করা সম্ভব নির্ধারিত ক্যাটাগরির। আপনার ফেসবুক ভেরিফাইড করতে ঠিকানার ভেরিফিকেশন ব্যাজ রিকোয়েস্ট ওয়েবপেজে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে আপনি প্রোফাইল না পেজ কোনটি ভেরিফাইড করবেন, তা উল্লেখ করে নির্ধারিত ফরম পূরণ করতে হবে ফেসবুকে। 
নির্ধারিত ফরমে কিছু তথ্য দিতে হবে ফেসবুকের কাছে আপনার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য। আপনি ফ্রিতেও ফেসবুক ভেরিফাইড করতে পারবেন। ফেসবুক ভেরিফাইড করবেন যেভাবে প্রথমে সেটিংসে যান। অ্যাকাউন্টে যান। ট্যাপ করুন যাচাইকরণের অনুরোধে। আপনার পুরো নামটি লিখতে হবে। শনাক্তকরণ প্রয়োজনীয় তথ্য এবং সমর্থনকারী লিঙ্কগুলি প্রদান করুন। ফেসবুক ভেরিফাইড করতে আপনার অ্যাকাউন্ট অবশ্যই একটি ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট হতে হবে এবং মেনে চলতে হবে ফেসবুকের নামকরণের মানদণ্ড। প্রোফাইলে সক্ষম থাকতে হবে দ্বি- ফ্যাক্টর প্রমাণীকরন। পূর্বে পোস্ট করার ইতিহাসের মতো নূন্যতম অ্যাকাউন্ট কার্যকলাপ পূরণ করতে হবে এবং অনুসরণ করতে হবে সমস্ত প্রাসঙ্গিক পরিসেবার শর্তাবলী।

ভেরিফাই কি

কোনো প্রোফাইল বা পেজের পাশে ভেরিফাইড ব্যাজ থাকলে বোঝা যায় যে Facebook নিশ্চিত করেছে। যে এই পেজ বা প্রোফাইলটি ব্যক্তি বা ব্রান্ডের প্রতিনিধিত্ব করছে সেই ব্যক্তি বা ব্রানটি আসল। সেই ব্যক্তি বা ব্র্যান্ডকে উল্লেখযোগ্য ও অনন্য হতে হত ভেরিফাইড ব্যাজ পাওয়ার জন্য। কোনো প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অবদানকারী সাধারণত চাকরি, পাসপোর্ট, লাইসেন্স বা অন্য প্রদও তথ্যাদি সঠিক আছে কি না তা পুলিশ কর্তৃক যাচাই করাকে ভেরিফিকেশন বলে। 

ভেরিফিকেশনের তথ্যাদির সত্যতা যাচাইয়ের পাশাপাশি প্রার্থীর চারিএিক ও সামাজিক বিভিন্ন অবস্থান সম্পর্কেও তথ্য নেওয়া হয়। যাচাইকৃত ব্যাজ হল ব্রান্ডের আসল পৃষ্ঠা এবং লোকেদের প্রোফাইল খুঁজে পেতে টুল সাহায্য করে। যাচাইকৃত যদি একটি পৃষ্ঠা বা প্রোফাইল ব্যাজ থাকে, যে এটি কাকে বলে তা প্রতিনিধিত্ব করে আমরা তা নিশ্চিত করেছি। এটি প্রকৃত পৃষ্ঠা বা প্রোফাইল নাও হতে পারে যদি এই ব্যাজটি সেখানে না থাকে। আপনারা যদি ভেরিফাইড করতে না পারেন তাহলে নিচের কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করুন:
  • নির্ধারিত ফরমে ফেসবুকের কাছে আপনার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য কিছু তথ্য দিতে হবে।
  • জাতীয় পরিচয় পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পানি বিদ্যুৎ বিলের অনুলিপি আপলোড করতে হবে।
  • এরপর আপনাকে প্রোফাইল বা পেজ যাচাইয়ের জন্য বিভাগ নির্বাচন করে আপনি কোন দেশে বসবাস করেন সেটি লিখতে হবে।
  • এবার আপনার বন্ধু বা অনুসারীর সংখ্যা জানানোর পাশাপাশি আপনার জনপ্রিয়তা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে সাবমিট অপশনে চাপ দিতে হবে। চাপ দিলেই আপনার ফেসবুকের কাছে আবেদন চলে যাবে।
  • ভেরিফায়েড ব্যাজ যুক্ত করে দেবে ফেসবুক আপনার আবেদনটি পর্যালোচনা করে।
  • আপনার আবেদনটি বাতিলও করতে পারে সামাজিক যোগাযোগের সাইটটি।

ফেসবুক ভেরিফাই চিহ্ন

ফেসবুক ভেরিফাই চিহ্ন হচ্ছে ব্লুটিক। ব্লুটিক মানে যাচাই করা এবং পেজটি খাঁটি হয়েছে কিনা। সোশ্যাল মিডিয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষী বিশ্বে , ব্লুটিক্স স্ট্যাটাস একটি লোভনীয় সিম্বল। এটি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার এবং অন্যান্য সহ সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে উপলব্ধ। আপনিও নীল টিক যাচাইকৃত প্রতীক পেতে পারেন আপনার ব্যবসার জন্য। ট্যাক কয়েকটি ভিন্নতায় আসে। যেমন: ক্লাসিক, মজবুত, উজ্জ্বল নীল কখনোও ব্যর্থ হয় না। অত্যন্ত স্টিকি টেপের ছোট বিন্দু ও অদৃশ্য এবং ডবল সাইডেড আঠালো বিন্দু। ঠিক নীল ট্যাকের মতো মিউজিয়াম পুঁটি। যদিও একটি ট্রেড সিক্রেট ব্লু- ট্যাকের সঠিক রেসিপিটি। 

এতে কি রয়েছে আমরা মোটামুটি ভাবে কাজ করতে পারি। অনেক সামাজিক মিডিয়া প্লাটফর্মগুলি অ্যাকাউন্টের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং পরিচয় যাচাই করার জন্য ব্যবহার করে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের স্ত্রুল করতে করতে নিশ্চয়ই ব্লু টিক দেখতে পান সেলিব্রিটি বা রাজনীতিবিদদের নামের পাশে। এক ধরনের যাচাইটরন এই ব্লু টিক, যে অ্যাকাউন্টটি আসল। হাজার একটা অ্যাকাউন্ট থাকে সেলিব্রিটিদের নামে। কিন্তু সঠিক অ্যাকাউন্টটি ফলো করেছেন কি না আপনি তা এই ব্লু টিক দেখেই বুঝতে পারেন।‌ বিশেষ্য সামাজিক মিডিয়া একটি নীল রঙের টিক চিহ্ন যা নির্দেশ করে। তিনি সাইটের একজন খাঁটি এবং বিশ্বস্ত ব্যবহারকারী যে ব্যক্তি একটি পোস্ট জমা দিয়েছেন।
মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, ব্লু ব্যাজ নেওয়া যাবে সরকারি সংস্থার দেওয়া পরিচয়পত্র দিয়ে। এর ফলে পরিচয় নকল করে ব্যবহারকারীর আর কোনো ধরনের ভুয়া অ্যাকাউন্ট থাকলেও সেই অ্যাকাউন্টটি ব্যবহারকারী ফেসবুকে নিজের সঠিক পরিচয়ের জন্য সহায়ক হবে। এ সেবা যারা নেবেন তারা সরাসরি সেবা পাবেন এই ফেসবুকের গ্ৰাহক সহায়তা কেন্দ্র থেকে।

ফেসবুক ভেরিফাইড পেজ এর সুবিধা

ভেরিফায়েড ব্যাজ থাকলে বোঝা যায় কোন পেজ বা প্রোফাইলের পাশে ফেসবুক নিশ্চিত করেছে। যে এই পেজ বা প্রোফাইলটি যে ব্যক্তি বা ব্রানটি প্রতিনিধিত্ব করছে সেই ব্যক্তি বা ব্রানটি আসল। আগে ব্যক্তি বা ব্র্যান্ডকে উল্লেখযোগ্য ও অন্যান্য হতে হত ভেরিফায়েড ব্যাজ পাওয়ার জন্য। আগের শর্তাবলী ও যোগ্যতাকে উপস্থাপন করে আমাদের, এমন ভেরিফাইড ব্যাজ থাকা ইউজারদের দেখতে পারেন আপনি। লোকজনের ও ব্রান্ডের আসল পেজ এবং প্রোফাইল খুঁজে পেতে সাহায্য করা ভেরিফাইড হলো একটি টুল। যদি কোন পেজ বা প্রোফাইলের ভেরিফায়েড ব্যাজ থাকে আমরা নিশ্চিত করি যে এটি যার কথা বলেছে তারই প্রতিনিধিত্ব করেন। 

যদি সেখানে ভেরিফায়েড ব্যাজ না থাকে তাহলে সেটি আসল পেজ বা প্রোফাইল নাও হতে পারে। ভেরিফায়েড পেজ এবং প্রোফাইল গুলোর থেকে স্টোরি , পোস্ট এবং অন্যান্য কনটেন্ট গুলো ভেরিফাই করে না ফেসবুক। আমরা ভেরিফায়েড ব্যাজ ব্যবহার করি না সাধারণত লোকজন, বিখ্যাত ব্যক্তি বা ব্র্যান্ডকে অনুমোদন বা শনাক্ত করার জন্য। একটি ভেরিফায়েড পেজ বা প্রোফাইল মালিকানা ট্রান্সফার করতে বা এর উদ্দেশ্য পরিবর্তন করতে পারেন না। 
কয়েকটি জিনিস পোস্ট হওয়ার আগে সেগুলো রিভিউ করা হয়। যেমন, নাম, বিভাগ এবং নিজের বিষয়ে তথ্য আপডেটের মত এডিট গুলো। ব্যাজ হটানো যেতে পারে মালিকানা ট্রান্সফার এবং তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তনগুলোর কারণে। উপস্থাপন করে আমাদের আগের যোগ্যতা শর্তাবলীকে। আপনি এরপরও দেখতে পারেন ভেরিফায়েড ব্যাজ থাকা ইউজারদের। যদি কোন প্রোফাইল বা পেজের ভেরিফায়েড ব্যাজ থাকে। তাহলে যে এটি যার কথা বলেছে তারই প্রতিনিধিত্ব করে বলে আমরা নিশ্চিত করি‌।

লেখকের শেষ মন্তব্য

এই উপরের কয়েকটি বিষয় ভালো করে অনুসরণ করলে আপনি সঙ্গে সঙ্গেই যে কোন প্রোফাইল বা পেজ ভেরিফায়েড হয়ে যাবে, এমন নয়। কিন্তু এই তথ্য গুলো দিলে অন্যান্য সাধারণ ব্যবহারকারীদের পেজের মালিক বা যিনি পরিচালনা করেছেন, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবেন। নির্ধারিত ফরমে ফেসবুকের কাছে আপনার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য আপনাকে কিছু তথ্য দিতে হবে। 

আপনি যদি উপরের ধাপগুলো অনুসরণ বা মেনে চলেন তাহলে আপনার কোন সমস্যা হবে না আশা করি। এখন আমাদের দেশে দিন দিন ফেসবুক ইউজারদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আমাদের ভেরিফাইড ব্যাজ ব্যবহার করতে হবে। তাহলে আমরা বলতে পারবো জে এটি আসল না নকল। আমরা যদি উপরের ধাপগুলো অনুসরণ করি তাহলে আমরা খুব সহজেই ফেসবুক ভেরিফায়েড করতে পারব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url