শুস্ক তকের জন্য কোন ক্রিম ভালো মেয়েদের

শিশুর ঘুমের জন্য সেরা পদ্ধতি সুপ্রিয় পাঠক, আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আজকের এই প্রতিবেদনে আপানাদের স্বাগতম। আজকের এ-ই প্রতিবেদনটি মেয়েদেরশুস্ক তকের জন্য কোন ক্রিম ভালো মেয়েদের সবচেয়ে ভালো। বিশেষ করে মেয়েদের মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ক্রিম সম্পর্কে জানানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

ত্বক একদম শুষ্ক হয়ে যাওয়া, ময়েশ্চার কমে গিয়ে স্কিন খসখসে লাগা, চামড়া সাদা সাদা হয়ে উঠে আসা- এই ধরনের নানা সমস্যা হয়ে থাকে ড্রাই স্কিনের।খসখসে ও শুষ্ক ত্বক নিয়ে ভুগছেন? আমরা আপনার সমস্যার কথাগুলো জানি। আপনি যদি বছরের পর বছর ধরে আপনার ত্বকে সামান্য একটু মেকআপ এর ব্যবহারের কারণে আরো শুস্ক তকের জন্য কোন ক্রিম ভালো মেয়েদের শুস্ক , সেনসিটিভ হয়ে যায় তাহলে আজকের লিখাটি আপনার জন্য।

বায়োটিক বায়ো কোকোনাট হোয়াইটেনং অ্যান্ড ব্রাইটেনিং ক্রিম এই ক্রিমটি শুস্ক ত্বকের জন্য খুবেই ভালো। শুস্ক তকের জন্য কোন ক্রিম ভালো মেয়েদের এই ক্রিমটি একটু তেলতেলে ক্রিম যার কারনে ত্বকের পোর ব্লক করে দিতে সহায়তা করতে পারে। তাই যাদের মুখ তেলতেলে ভাব তাদের এই ক্রিমটি না ব্যবহার করাই উত্তম। শুষ্ক হয়ে যাওয়া, ময়েশ্চার কমে গিয়ে স্কিন খসখসে লাগা, চামড়া সাদা সাদা হয়ে উঠে আসা- এই ধরনের নানা সমস্যা হয়ে থাকে ড্রাই স্কিনের।

তাই ড্রাই থেকে অতিরিক্ত ড্রাই স্কিন যাদের, শীতকাল আসলে তাদের তো দুশ্চিন্তার শেষ নেই। শীতে সবারই ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োজন হয় আর যাদের এমনিতেই শুষ্ক ত্বক তাদের জন্য শীতে প্রয়োজন এক্সট্রা কেয়ার।কেননা শুষ্ক ত্বকের যত্নের জন্যে সঠিক ময়েশ্চারাইজার সিলেকশন নিয়ে আমরা অনেকে কনফিউশনে থাকি। শুষ্ক ত্বকের যত্নে কোন ময়েশ্চারাইজারটি আপনার জন্য বেস্ট চয়েজ হতে পারে।যেমন

শুস্ক তকের জন্য কোন ক্রিম ভালো মেয়েদের মার্কেটে তো বিভিন্ন ধরনের ক্রিম এবং ময়েশ্চারাইজার পাওয়া যায়। কিন্তু কোনটা ভালো হবে আবার কোনটা ভালো হবে না, কোনটাতে কোনো হার্মফুল উপাদান নেই, কোনটা স্কিনকে বেশিক্ষণ ধরে ময়েশ্চারাইজড রাখবে, এই ধরনের অনেক প্রশ্ন আমাদের মাথায় অনেক সময় ঘুরপাক খেয়ে থাকে , তাই না? এই কনফিউশনগুলো দূর করতে আজকের রিভিউ আর্টিকেলটি কিছুটা হলেও আপনাকে হেল্প করবে। চলুন তাহলে যেনে নেই

• Lilac Brightening Moisturizer
• Jergens Softening Musk Moisturizer
• CeraVe Moisturizing Cream for Normal To Dry Skin

অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ডিপ ময়েশ্চারাইজেশনের জন্য যে ময়েশ্চারাইজার গুলো আছে, সেগুলো আপনাদের জন্য বাজেটে হচ্ছে না।তাদের জন্য Lilac Brightening Moisturiser একটি পারফেক্ট অপশন।কারন দামে কমে মানে ভালো। এবং এই ক্রিমের জেল টাইপ লাইট টেক্সচারটা ত্বকে খুব উপকারী। সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে হালকা টেক্সচারের হওয়া সত্ত্বেও খুব ভালোভাবেই স্কিনের ময়েশ্চারাইজেশন আর হাইড্রেশন ধরে রাখতে সাহায্য খুব করেছে।যাদের স্কিনে পিগমেন্টেশন, সানবার্ন, মেছতা কিংবা অন্য দাগ আছে সেগুলো দূর করতে সহায়তা করে।আনইভেন স্কিনটোনের সমস্যা থাকলে সেটা ঠিক করতেও খুবই কার্যকরী।

ড্রাই স্কিনে ময়েশ্চারাইজেশনের সাথে সাথে আপনারা যারা সফট, স্মুথ স্কিন পেতে চান আর সুন্দর ত্বকের সাথে সুন্দর স্মেল যারা প্রিফার করেন, তাদের জন্য খুবই ভালো একটি অফশন হল Jergens Softening Musk Moisturizer। এটি ডিপ ময়েশ্চারাইজেশনের সাথে সাথে এটি ত্বককে রাখবে হাইড্রেটেড আর স্মুথ।এতে আছে ভিটামিন ই ও ইল্যুমিনেটিং হাইড্রালুসেনস, যা ড্রাই স্কিনকে কোমল এবং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।আরেকটি সুখবর হলো নরমাল আর ড্রাই স্কিন, এই দুই ধরনের স্কিনের জন্যে খুবই উপযোগী।

ড্রাই স্কিনে ময়েশ্চারাইজেশনের সাথে সাথে যারা সফট ও স্মুথ স্কিন পেতে চান আর সুন্দর ত্বকের সাথে সুন্দর স্মেল যারা প্রিফার করেন, তাদের জন্য খুবই ভালো একটি অপশন হল Jergens Softening Musk Moisturizer। এটি ডিপ ময়েশ্চারাইজেশনের সাথে সাথে এটি ত্বককে রাখবে হাইড্রেটেড এবং স্মুথ।এতে আছে ভিটামিন ই এবং ইল্যুমিনেটিং হাইড্রালুসেনস, যা ড্রাই স্কিনকে কোমল করবে আর উজ্জ্বল বাড়ায়।অন্য দিকে আরেকটি সুখবর হচ্ছে নরমাল টু ড্রাই স্কিন, এই দুই ধরনের স্কিনের জন্যেই এটি উপযোগী ময়েশ্চারাইজার।

অনেকে মনে করেন থাকেন যে, তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেওয়া শুধুমাত্র ত্বকের মধ্যে তেলের অতিরিক্ত উপস্থিতির জন্য প্রয়োজন। তবে দেখা যায় , এই ধরনের ত্বক সমস্যা বিশেষভাবে যে সমস্যা সৃষ্টি করে সেটি সমস্ত পরিবেশে বেশ সাধারণ ।একে সঠিকভাবে যত্ন নেওয়া ও সম্মানিত উপায়ে পরিচর্যা নেওয়া যেন আরও কঠিন হয় না, তা হলো স্বাস্থ্যকর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা।তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ওয়াটার বেজড কিংবা জেলজাতীয় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।কেননা এগুলোতে তেলের পরিমাণ কম, তাই তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুবই মানানসই হয়ে থাকে। 

স্বাভাবিক ত্বকে যেকোনো ধরনের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেকেই মনে করেন, তৈলাক্ত ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করলেও চলবে।কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কেননা যেকোনো ধরনের ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।একজন শুষ্ক ত্বকের ব্যক্তি যতবার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন, ঠিক ততবারই তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সেই ব্যক্তি ব্যবহার করতে পারবেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য যে ধরনের ময়েশ্চারাইজার মানানসই হয়, সেই গুলো বেছে নিলে অবশ্যই মুখে অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব থাকবে না।

সাধারণ ফেসওয়াশ বা ক্লিনজার ত্বকের আর্দ্রতা শুষে নিয়ে তা শুকনো করে তোলে। তাই এমন ক্লিনজার বেছে নিবেন যা ত্বকের স্বাভাবিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।ড্রাই স্কিনের ফেসওয়াশ এর জন্য হিমালায়া কিংবা নিউট্রিজিনা কোম্পানির হাইড্রেটিং ফেসওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে।এবং ফেসওয়াশ ব্যবহারের পর ময়েশ্চারাইজার লাগানো কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। এবং রোদ্দুরে বেরোনোর আগে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নেওয়াটা উচিত।আর রাতে শোয়ার আগে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে ক্লিনজার লাগাতে হবে অবশ্যই।

ব্রণ ত্বকের সৌন্দর্য ও উজ্জ্বলতাকে নষ্ট করে। ব্রণ চলে যায় ঠিকই কিন্তু রেখে যায় দাগ ও ক্ষত। এমনকি ত্বকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গর্তও দেখা দেয় ব্রণ হওয়ার কারণে।এজন্যই বিশ্বব্যাপী কমবেশি সবার কাছেই ব্রণ একটি বিরক্তিকর ও আতঙ্কের। তাহলে কি ব্রণ থেকে বাঁচার কোন উপায়ই নেই?কেন থাকবেনা অবশ্যই আছে।সেইজন্য দরকার ত্বকের সঠিক যত্ন ও নিজের স্কিনের টাইপ অনুযায়ী সঠিক প্রোডাক্ট বাছাই করতে হবে । আর সেজন্য আপনাকে ডাক্তারের কাছ থেকে অবশ্যই পরামর্শ নেওয়া জরুরি । এবং নিজের স্কিন টাইপ অনুযায়ী বেছে নিবেন সঠিক প্রোডাক্ট গুলো। যেমনঃ

অয়েলি, কম্বিনেশন আর একনি প্রোন স্কিনে ব্রণের প্রবণতা থাকে অনেক বেশি। এই সমস্যার সমাধানে বায়োজিনে আছে Novaclear Acne Cream. যা আপনার স্কিনের ব্রণ, ইম্পিউরিটিস, মেকআপ ও ময়লা দূর করে থাকে।

ত্বকের পরিচর্যায় ক্লিনজারের কোনো বিকল্প নেই।আর অপরিচ্ছন্ন ও তেল চিটচিটে ত্বকের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্রণের প্রবণতা দেখা যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করতে পারেন Novaclear Acne Cleanser. যা আপনার স্কিনকে ডিপলি ক্লিন করে এবং স্কিনের পোরস থেকে অতিরিক্ত সিবামের নিঃসরণ বন্ধ করে থাকে।এর ফলে ত্বক তেল চিটচিটে হয় না এবং ব্রণের প্রবণতা কমে যায়।

নরম্যাকনে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ক্লিনজিং ফেসিয়াল জেল বাজারে অনেক ধরনের ক্লিনজার আছে যা ত্বকে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে ব্যবহার করতে পারেন Normacne Anti-Bacterial Cleansing Facial Gel.যা ক্ষতি কিংবা জ্বলাপোড়া করা ছাড়াই আপনার স্কিনের অয়েলি ভাব ও ব্রণ নিয়ন্ত্রণ রাখবে আর ত্বকে ফিরিয়ে আনবে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা।এরকম আরো বিভিন্ন ধরনের ময়েশ্চারাইজার আছে যা ব্রনের হাত থেকে তককে রক্ষা করবে।আপনি অবশ্যই বাছাই করে ব্যবহার করবেন।

একোন ত্বকের চেয়ে শুষ্ক ত্বক যত্নে রাখাটা কিছুটা কঠিন। কারণ এটি খুব তাড়াতাড়ি ময়েশ্চার হারিয়ে শুষ্ক হয়ে পড়ে।তাই স্কিন কেয়ার রুটিনে ময়েশ্চারাইজার অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। কেননা ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই না করলে ফেইসওয়াশ বা ক্লেঞ্জার যাই ব্যবহার করুন না কেন কিছুক্ষণ পর ত্বকে রুক্ষতা ফিরে আসবে এবং ড্রাইনেস এর পাশাপাশি আরো অনেক স্কিনের সমস্যা দেখা যাবে।

বিশেষভাবে যাদের ড্রাই স্কিন তারা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করলে এধরনের সমস্যা বেশি ফেস করে থাকেন।ড্রাই স্কিনের জন্য আপনি, CeraVe Moisturizing cream এতে আছে তিন ধরনের সেনসিয়াল সেরামাই যা স্কিন কেয়ারে সহায়তা করে এটি ব্যবহার করতে পারেন কারন এ-ই ক্রিমটিকে ব্যবহারের ফলে আপনার স্কিনে ড্রই নেস দূর করবে।

শুস্ক তক নিয়ে আমরা অনেকেই দুশ্চিন্তায় পরে যাই।তাই আপনাদের জন্য হিমালয় গ্রুপের আরেকটি প্রোডাক্ট হল হিমালয় নাইট ক্রিম। শুষ্ক ত্বকের জন্য এই ক্রিমটি অনেক বেশি কার্যকরী হয়ে থাকে । ত্বক ময়োশ্চারাইজ করে অন্যরকম একটা গ্লো নিয়ে আসবে আপনার ত্বকে।

এমনিতেই ড্রাই স্কিনে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, তার উপর শীত আসলে তো কথাই নাই। ড্রাই থেকে এক্সট্রিম ড্রাই স্কিন হলে সঠিক ময়েশ্চারাইজার সিলেক্ট করে নিলেই আপনি হয়ে যাবেন চিন্তামুক্ত। আশা করি বুঝতে পেরেছেন, শুষ্ক ত্বকের যত্নে কোন ময়েশ্চারাইজারটি আপনার জন্য বেস্ট চয়েস হবে। এছাড়াও আরও অনেক ময়েশ্চারাইজার আছে, যেগুলো শুষ্ক ত্বকের জন্য বেশ কার্যকরী।