ওয়ালটন কম্পিউটার দাম 2025 - ওয়ালটন কম্পিউটার কিস্তিতে
বর্তমান ওয়ালটন কোম্পানি ওয়ালটন কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে দারুন
সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। ওয়ালটন কম্পিউটার ২০২৪ ক্যাশব্যাক অফার ক্রিয়েতাদের
মধ্য দারুন সারা ফেলছে। এখন ওয়ালটন কম্পিউটার দাম 2025 - ওয়ালটন কম্পিউটার কিস্তিতে সম্পর্কে জানবো ।
এই অফারে ওয়ালটন কম্পিউটার কিনে ১০০% ক্যাশব্যাক পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। নগদ মূল্য
এবং কিস্তিতে কেনার ফলে এই ক্যাশব্যাক পাওয়ার সুযোগ মিলছে। তাই আজকের ব্লগে
ওয়ালটন কম্পিউটার দাম 2025 - ওয়ালটন কম্পিউটার কিস্তিতে কিভাবে কিনবেন সে বিষয়ে
আলোচনা করা হবে।তাই জানতে সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ুন।
পোস্টের সূচিপত্রঃওয়ালটন কম্পিউটার দাম 2025 - ওয়ালটন কম্পিউটার কিস্তিতে
ওয়ালটন কম্পিউটার দাম 2025 - ওয়ালটন কম্পিউটার কিস্তিতে
দেশব্যাপি ডিজিটালাইজেশনে ওয়ালটন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ক্রিতেরা যাতে
খুব সহজে ওয়ালটন পণ্য হাতে পেতে পারেন সেজন্য ওয়ালটন কোম্পানি নানা রকম সুযোগ
সুবিধা দিয়ে থাকে। যেমনঃ- কিস্তিতে ওয়ালটন কম্পিউটার কেনার সুযোগ দিয়ে থাকে
এছাড়াও ঈদের সময়ে অফার দিয়ে থাকে। ঈদের ফিতরের অফারে কেউ কোনো ওয়ালটন পণ্য কিনলে
কোনোরকম ডাইনপেমেন্ট ছাড়া ১মাসের কিস্তিতে সম পরিমাণ টাকা দিয়ে ওয়ালটন পণ্য ক্রয়
করতে পারে। এখন আমরা ওয়ালটন কম্পিউটার দাম 2025 জানবো।
ওয়ালটন কম্পিউটার দাম 2025
ওয়ালটনের রয়েছে ৭টি সিরিজের মোট ১৬ টি মডেলের ডেস্কটপ এবং ৩ টি সিরিজের
অল-ইন-ওয়ান ওয়ালটন ইউনিফাই পিসি। ডেস্কটপের মূল্য ১০,০০০ টাকা থেকে ২,৪৯,৫০০ টাকা
পর্যন্ত এবং পিসির মূল্য ৪৮,৫৫০ টাকা থেকে ৬৮,৫০০ টাকা পর্যন্ত। নিম্নে কিছু
ওয়ালটন
কম্পিউটারের মডেলের নাম তুলে ধরা হলোঃ-
- 1. WDPC101571:Intel10Generation core-i3-10105,SSD- 256 NVMe,Ram-2666MHZ
- 2. WDPC710023 : Intel core i3-7100 Processor, HDD-1 TB, SSD-256GB M.2 NVMe
- 3. WDPC740025 : Intel core i5-7400 Processor, Ram-8 GB, HDD- 1TB 7200 rpm
ওয়ালটন কম্পিউটার কিস্তিতে নেওয়ার প্রক্রিয়া
ওয়ালটন কম্পিউটার কিস্তিতে কিনলে ৩,৬,৯,১২ মাস। এই চার ধরণের কিস্তিতে তারা
ওয়ালটন পণ্য দিয়ে থাকে এখন টাকাটা ডেবিট কার্ড এবং হাতেহাতে (Hand cash) দেওয়ার
মাধ্যমে কিস্তি পরিশোধ করা যায়।তাই আমরা জানবো ডেবিট কার্ড এবং হাতেহাতে(Hand
cash) দেওয়ার মাধ্যমে কত (%) লাভ এবং প্রতিমাসে কত টাকা কিস্তি দিতে হবে। তাই
চলুন জেনে নিই।ধরি, আমি WDPC101571 এই মডেলের কম্পিউটারটি কিনলাম যার মূল্য
৪৭,৭৫০ টাকা।কিস্তির মাধ্যমে কম্পিউটার কিনলে ৩০% ডাইন পেমেন্ট কাটার পর যে টাকা
অবশিষ্ট থাকে তার উপর লাভ্যাংশ ধরা হয়।
সুতরাং কম্পিউটারের দাম ৪৭,৭৫০ টাকা হলে ৩০% ডাইন পেমেন্ট কাটার পর অবশিষ্ট টাকার
পরিমাণ ১৪,৩২৫ টাকা। আমি যদি WDPC101571 এই কম্পিউটার কিনি তাহলে ৩ মাস,৬ মাস,৯
মাস এবং ১২ মাস মেয়াদের মধ্যে কত মাসের কিস্তি নিলে প্রতি মাসে কি পরিমাণ কিস্তি
প্রদান করতে হবে তার জেনে নিই।
- ১. ৩ মাসের কিস্তিতে কম্পিউটার কিনলে
- ৩০% বা ১৪,৩২৫ টাকা ডাইন পেমেন্ট কাটার পর বাকি থাকে ৩৩,৪২৫ টাকা তাহলে (০)% লাভ্যাংশ হারে প্রতি মাসে কিস্তি প্রদান করতে হয় ১১১৪২ টাকা।
- ২. ৬ মাসের কিস্তিতে কম্পিউটার কিনলে
- ৩০% বা ১৪,৩২৫ টাকা ডাইন পেমেন্ট কাটার পর বাকি থাকে ৩৩,৪২৫ টাকা তাহলে (৩)% লাভ্যাংশ হারে প্রতি মাসে কিস্তি প্রদান করতে হয় ৫৭৩৮ টাকা।
- ৩. ৯ মাসের কিস্তিতে কম্পিউটার কিনলে
- ৩০% বা ১৪,৩২৫ টাকা ডাইন পেমেন্ট কাটার পর বাকি থাকে ৩৩,৪২৫ টাকা তাহলে (৬)% লাভ্যাংশ হারে প্রতি মাসে কিস্তি প্রদান করতে হয় ৩,৯৩৭ টাকা।
- ৪. ১২ মাসের কিস্তিতে কম্পিউটার কিনলে
- ৩০% বা ১৪,৩২৫ টাকা ডাইন পেমেন্ট কাটার পর বাকি থাকে ৩৩,৪২৫ টাকা তাহলে (৮)% লাভ্যাংশ হারে প্রতি মাসে কিস্তি প্রদান করতে হয় ৩০০৯ টাকা।
- এখন আমরা জানবো, কিভাবে ওয়ালটন কম্পিউটার কিনলে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কিস্তি পরিশোধ করবেন এবং কত (%)লাভ দিতে হবেঃ
- ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে যদি কিস্তি পরিশোধ করতে চাই তাহলে ৬ মাস, ৯মাস এবং ১২ মাস এই তিন ধরনের মেয়াদী কিস্তি নেওয়া যায়।
- ১. ৬ মাস মেয়াদে কম্পিউটার কিনলে
- ৩০% বা ১৪,৩২৫ টাকা ডাইন পেমেন্ট কাটার পর বাকি থাকে ৩৩,৪২৫ টাকা তাহলে (০)% লাভ্যাংশ হারে প্রতি মাসে কিস্তি প্রদান করতে হয় ৫৫৭১টাকা।
- ২. ৯ মাস মেয়াদে কম্পিউটার কিনলে
- ৩০% বা ১৪,৩২৫ টাকা ডাইন পেমেন্ট কাটার পর বাকি থাকে ৩৩,৪২৫ টাকা তাহলে (৩)% লাভ্যাংশ হারে প্রতি মাসে কিস্তি প্রদান করতে হয় ৩,৮২৬ টাকা।
- ৩. ১২ মেয়াদে কম্পিউটার কিনলে
- ৩০% বা ১৪,৩২৫ টাকা ডাইন পেমেন্ট কাটার পর বাকি থাকে ৩৩,৪২৫ টাকা তাহলে (৬)% লাভ্যাংশ হারে প্রতি মাসে কিস্তি প্রদান করতে হয় ২৯৫৩ টাকা।কম্পিউটারের দামের উপর ভিত্তি করে কিস্তির আকার পরিবর্তন হবে এবং এখানে আমরা ৩০% ডাইন পেমেন্ট ধরে, নিছিলাম।
ওয়ালটন ল্যাপটপ প্রাইস ইন বাংলাদেশ
বর্তমানে বাংলাদেশে যেসব কোম্পানি অগ্রসর হচ্ছে তার মধ্যো ওয়ালটন অন্যতম।
বাংলাদেশে নতুন এবং পুরাতন উভয় রকমে কম্পিউটার পাওয়া যায়। বর্তমান বাংলাদেশের
ওয়ালটন ল্যাপটপের দাম ৮৫০০ টাকা থেকে শুরু যা দিয়ে শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস
এবং অফিশিয়াল বিভিন্ন কাজের জন্য ব্যাবহিত হয়।
এবং নতুন কন্ডিশনের ল্যাপটপ কিনতে চাইলে ল্যাপটপের দাম ২৮,৫০০ টাকা থেকে শুরু,
যাতে ব্যাক লাইট ডিসপ্লে, এসএসডি,হার্ড ডিস্ক এবং এএমডির ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স
সহ বিভিন্ন উন্নত ফিচার যুক্ত রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের ওয়ালটন ব্রান্ডের আরও
ল্যাপটপ পাওয়া যায় যেগুলো বিভিন্ন মডেল, সিরিজের ল্যাপটপ, কনফিগারেশন, ডিসপ্লে
সাইজ,গ্রাফিক্স,কার্ড,ষ্টোরেজ ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারের দাম পরিবর্তন
হয়।
ওয়ালটন ল্যাপটপ কেমন
ওয়ালটন ল্যাপটপ খুব ভালো। ওয়ালটন ল্যাপটপের গ্রাফিক্স পারফরম্যান্স খুবই ভালো এবং
এর ডিসপ্লে ভিডিও কোয়ালেটি খুব ভালো। এছাড়াও ওয়ালটন ল্যাপটপের সিপিইউ খুবই ফাস্ট।
ওয়ালটন ল্যাপটপের অপারেশন মুড অনেক ফাস্ট। ওয়ালটন ল্যাপটপগুলোর দাম এবং
কনফিগারেশন অন্যান্য ব্রান্ডের ল্যাপটপ থেকে খুব একটা কম বা বেশি না।
কিন্তু কোনো ভারি কাজ করার জন্য ভালো কোনো ব্রান্ডের ল্যাপটপ প্রয়োজন। বাজেট এবং
দেশীয় পণ্য হিসেবে ওয়ালটন অনেক ভালো ল্যাপটপ।তবে আমি চয়েস করবো ভালো কোনো
ব্রান্ডের ল্যাপটপ কেনার। কারণ: ল্যাপটপের কোনো পার্টস নষ্ট হলে সেগুলো খুব সহজে
যেকোনো কম্পিউটার পার্টসের দোকান বা অনলাইন থেকে ক্রয় করা যায়।
বর্তমানে ওয়ালটনের কয়টি সিরিজের ল্যাপটপ আছে
আমরা ইতি মধ্যে ওয়ালটন ল্যাপটপ কেমন সে সম্পর্কে ধারণা পেলাম এখন আমরা জানবো
বর্তমানে ওয়ালটনের কয়টি সিরিজের ল্যাপটপ আছে।তাই চলুন দেরি না করে জেনে নিই।
বর্তমান ওয়ালটনের ৫ টি সিরিজের ল্যাপটপ মার্কেটে চালু আছে।সেগুলো হলোঃ প্রিলিউড
সিরিজ,কেরোন্ডা, ট্যামারিন্ড,প্যাশন ও ওয়্যাক্স জাম্বো এই ৫ টি সিরিজের ল্যাপটপ
মার্কেটে চালু আছে। কোন সিরিজের ল্যাপটপ কোন কাজের জন্য ভালো তার তুলে ধরা হলোঃ-
- ১.প্রিলিউড সিরিজঃ প্রিলিউড সিরিজের ল্যাপটপটি মূলত সাধারণ ব্যবহারকারী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই সিরিজের ল্যাপটপটি ওয়েব ব্রাউজিং, মাল্টিমিডিয়া ইত্যাদি কাজের জন্য উপযুক্ত।
- ২.কেরোন্ডা সিরিজঃ কেরোন্ডা সিরিজের ল্যাপটপটি কনটেন্ট রাইটিং,গ্রাফিক্স ডিজাইন, পেশাদার গেমিং, মাল্টিমিডিয়া ইত্যাদি উচ্চ কর্মদক্ষতা এবং আকর্ষণীয় মূলক কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়।
- ৩.ট্যামারিন্ড সিরিজঃ ট্যামারিন্ড সিরিজের ল্যাপটপটি উন্নত ফিচার এবং শক্তিশালী হার্ডওয়ার এর সমন্বয়ে তৈরি।যা গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মতো কাজের জন্য ব্যাবহৃত হয়।
- ৪.প্যাশন সিরিজঃ প্যাশন ফ্রিজের ল্যাপটপটি ব্যবহারকারীদের মধ্য কর্মদক্ষতা এবং সামর্থের মধ্যেও ভারসাম্য প্রদান করে। এটি দিয়ে মাল্টিমিডিয়া, হালকা গেমিং ইত্যাদি কাজে ব্যাবহৃত হয়।
- ৫. ওয়্যাক্স জাম্বোঃ এটি বাংলাদেশের ওয়ালটন নতুন সিরিজের ল্যাপটপ। এটি অনেক সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায়।
ওয়ালটন ল্যাপটপের মূল্য তালিকা
বর্তমান বাংলাদেশে পুরাতন এবং নতুন উভয় কন্ডিশনের ল্যাপটপ পাওয়া যায়। বর্তমান
কম্পিউটারের দাম ৮,৫০০ টাকা থেকে শুরু যা ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা অনলাইন
ক্লাস,ওয়েব ব্রাউজিং এবং অফিসিয়াল সাধারণ কাজের জন্য ব্যবহার করা যায়।কিন্তু
নতুন কন্ডিশনের ল্যাপটপ কিনতে হলে ২৮,৫০০ থেকে শুরু যাতে ব্যাকলাইট ডিসপ্লে,
এএমডি প্রসেসরে, এসএসডি হার্ড ডিস্ক এবং এএমডির ইন্ট্রিগেটেড গ্রাফিক্স সহ
বিভিন্ন উন্নত ফিচার যুক্ত রয়েছে।
এছাড়াও, বাংলাদেশে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেল, সিরিজের ল্যাপটপ পাওয়া
যায়, তবে কনফিগারেশন, ডিসপ্লের সাইজ এবং রেজোলিউশন, গ্রাফিক্স কার্ড, র্যাম,
স্টোরেজ ইত্যাদি বিষয়ের উপর নির্ভর করে ওয়ালটন ল্যাপটপের দাম পরিবর্তিত হয়।
লেখকের শেষ মন্তব্য
আমরা ব্লগটির মাধ্যমে ওয়ালটন কম্পিউটার দাম 2025 এবং ডেস্কটপ সম্পর্কিত সকল তথ্য
তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।যেমনঃ আশা করি,ওয়ালটন ল্যাপটপের বিভিন্ন ফিচার এবং ওয়ালটন
কোন সিরিজের ল্যাপটপ কেমন সে সম্পর্কিত সকল তথ্য জানাতে পেরেছি।এতক্ষণ সাথে থাকার
জন্য, ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url