সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে - দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে

আমাদের দেশের প্রায় বড় একটা অংশের লোকজন অস্বাস্থ্যকর বা আনফিট। আপনার কি ওজন বৃদ্ধির কোনো সঠিক উপায় জানার সন্ধান করছেন? সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে বৃদ্ধি ঘটে এসব তথ্য জানতে আগ্রহী? এবং দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য আগ্রহী তাহলে আজকে তথ্য গুলো জানা আপনার জন্য জরুরি। কেনো জরুরি তা নিয়েই আজকের পুরো প্রতিবেদনে থাকছে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা।
সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে
বাংলায় সুন্দর একটি প্রবাদ রয়েছে স্বাস্থ্যই সকলের মূল যদিও এই প্রবাদটির সার কথা ওজন বৃদ্ধি করাকে পুরোপুরি সাদৃশ্য নয় তবুও আংশিক সাদৃশ্য রয়েছে। আমরা সকলে জানি যে আমাদের উচ্চতা অনুযায়ী শরীরের বিএমআই (বডি ম্যাস্ক ইনডেক্স) অনুয়ায়ী আমাদের ওজন কত হবে তা নির্ভর করে যদি বিএমআই অনুযায়ী ওজন কম হয় তাহলে ওজন বাড়ানো সঠিক এবং বেশি থাকলে নানা ধরনের শারীরিক ব্যায়াম করে ওজন কমানো উচিত। যাইহোক সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে বা দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে আজকের আলোচ্য বিষয় আমাদের ওজন বৃদ্ধি নিয়ে তাই আমরা নিম্নবর্গের তথ্য গুলোর মাধ্যমে সঠিক তথ্য জানবো।

পোস্টের সূচিপত্রঃসকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে - দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে

সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে

একজন স্বাস্থ্য সচেতন ব্যাক্তি প্রতিদিনের সকালকে কিভাবে শুরু করে বা শুরু করা উচিত হবে তা সমস্ত তথ্য আমরা জানবো। সকাল যদি আপনে স্বাস্থ্য সম্মত ভাবে শুরু করতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের বিকাশ ঘটবে উন্নত ভাবে। তাই আমাদের প্রত্যেক ব্যাক্তির এসব তথ্য জানা জরুরি একটি বিষয়। আজকের আলোচনায় রয়েছে সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে এসব বিষয়ে সঠিক পরামর্শ। 

সুতরাং আপনেও যদি স্বাস্থ্য সচেতন হোন এবং সঠিক উপায়ে ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আজকের অনুচ্ছেদটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। সুতরাং চলুন আমরা বেশি কথা না বলে মূল আলোচনা জেনে নিই।সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে  বা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। এগুলো হলো:

  • ড্রাই ফ্রুটস: কাজু, বাদাম, কিশমিশের মতো শুকনো ফল খালি পেটে খেলে ওজন বাড়তে ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার: দুধ, মিষ্টি দই, কিংবা ওটমিলের মতো খাবারে উচ্চ ক্যালোরি থাকে, যা খালি পেটে খেলে ওজন বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
  • ফলের রস: কলা, আম, কিংবা পাকা পেঁপের মতো মিষ্টি ফলের রস খেলে শরীরে বাড়তি ক্যালোরি যোগ হয়, যা ওজন বাড়াতে পারে।
  • প্রোটিন শেক: খালি পেটে প্রোটিন শেক খেলে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয় এবং ওজন বৃদ্ধি পায়।পারে।
বিঃদ্রঃ তবে খেয়াল রাখতে হবে যে প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক ক্রিয়াকলাপের উপর নির্ভর করে ওজন বাড়ে বা কমে। তাই ভারসাম্যপূর্ণ ডায়েট এবং নিয়মিত ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ন্য।

দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে তারা খুব অল্প সময়ের মধ্যে বা দ্রুত ওজন বাড়াতে চান। সেসব ব্যাক্তির সমস্যার কথা মেনেই আজ আমরা এই অনুচ্ছেদে সেসব বিষয়ে আলোচনা করবো। দ্রুত ওজন বাড়া নিয়ে কোনো ধরনের সংশয় নেই বা প্রতিক্রিয়া নেই। যদি আপনেও আপনার শরীরের দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে ভাবতেছেন তাহলে আজকের অনুচ্ছেদেটি আপনার জন্য হতে চলেছে। 
আপনে কোনো রকম বাধাবিঘ্ন ছাড়ায় যেসব বিষয় অবলম্বন করলে আপনার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে সেসব তথ্য নিয়েই আজকের আলোচনা করবো। সুতরাং সঠিকভাবে জানতে অনুচ্ছেদটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। নিম্নবর্গের আমরা খুব সুন্দরভাবে দ্রুত ওজন বাড়ানোর টিপস তুলে ধরেছি তা জেনে নিন।দ্রুত ওজন বাড়াতে চাইলে কিছু নির্দিষ্ট খাবার খাওয়া যেতে পারে যা উচ্চ ক্যালোরি এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। নিচে দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে এমন কিছু খাবার উল্লেখ করা হলো:
  • পুষ্টিকর প্রোটিন ডিম: ডিম প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বির একটি ভালো উৎস, যা দ্রুত ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
  • মুরগির মাংস: মুরগির মাংসে প্রোটিন এবং ক্যালোরির পরিমাণ বেশি থাকে, যা ওজন বাড়াতে সহায়ক।
  • মাছ: বিশেষ করে চর্বিযুক্ত মাছ যেমন স্যামন ওজন বাড়াতে কার্যকর।
  • কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার:চাল: চালের তৈরি খাবার যেমন ভাত ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
  • পাস্তা ও ব্রেড: এই ধরনের খাবার উচ্চ কার্বোহাইড্রেটযুক্ত, যা দ্রুত ওজন বাড়াতে সহায়ক।
  • ফ্যাট বা চর্বিযুক্ত খাবার:বাদাম এবং বাদামের মাখন: এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ক্যালোরি থাকে।
  • অলিভ অয়েল বা মাখন: খাবারের সাথে মাখন বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে ক্যালোরি বাড়ে।
  • ফল এবং শাকসবজি:কলার মতো মিষ্টি ফল: কলা সহজেই হজম হয় এবং এতে ক্যালোরি বেশি।
  • আলু ও মিষ্টি আলু: এই সবজিগুলো কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালোরিতে সমৃদ্ধ, যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
  • দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য: পুরো দুধে ফ্যাট এবং ক্যালোরি বেশি থাকে, যা ওজন বাড়াতে সহায়ক।
  • দই এবং পনির: দুগ্ধজাত পণ্যগুলিতে প্রচুর ক্যালোরি থাকে, যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
  • স্মুদি এবং প্রোটিন শেক:বাড়তি প্রোটিন শেক এবং স্মুদি খেলে দ্রুত ক্যালোরি যোগ হয়।
বিঃদ্রঃ তবে, ওজন বাড়ানোর সময় স্বাস্থ্যকর এবং ভারসাম্যপূর্ণ খাবার বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিয়মিত ব্যায়ামও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো শরীরে মাংসপেশি বৃদ্ধিতে সহায়ক।
ওজন বৃদ্ধির জন্য নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম আছে যা শরীরে মাংসপেশি তৈরি করতে এবং ওজন বাড়াতে সহায়ক। এসব ব্যায়াম নিয়মিত করলে আপনার শরীরের পেশিগুলো সুগঠিত হবে এবং ওজন বাড়বে। 

কিছু কার্যকর ব্যায়াম

ওজন তোলার ব্যায়াম (Weight Training)ডাম্বেল এবং বারবেল: এই ওজন তোলার ব্যায়ামগুলো পেশির গঠন এবং বৃদ্ধি করতে খুবই কার্যকর। যেমন:ডাম্বেল প্রেস ।
  1. ডেডলিফ্ট: এটি একটি পূর্ণ শরীরের ব্যায়াম, যা একাধিক পেশির গঠন করতে সাহায্য করে।
  2. বেঞ্চ প্রেস: চেস্টের পেশি বৃদ্ধি করতে সহায়ক।
  3. বডি ওয়েট এক্সারসাইজ (Bodyweight Exercises)পুশ-আপস: চেস্ট, কাঁধ এবং বাহুর পেশি শক্তিশালী করতে সহায়ক।
  4. পুল-আপস: পিঠ এবং বাহুর পেশি গঠনে সাহায্য করে।
  5. ডিপস: কাঁধ এবং ট্রাইসেপের পেশি শক্তিশালী করতে সহায়ক।
  6.  ক্যালোরি বার্ন কমানো (Minimize Cardio)ওজন বাড়াতে চাইলে কার্ডিও ব্যায়ামের পরিমাণ কিছুটা কমিয়ে আনতে পারেন, তবে পুরোপুরি বাদ দেওয়া ঠিক নয়। হালকা কার্ডিও যেমন হাঁটা বা হালকা জগিং করতে পারেন।
  7.  লেগ এক্সারসাইজ (Leg Exercises)স্কোয়াট: লেগস এবং গ্লুটসের পেশি গঠন এবং ওজন বাড়াতে খুবই কার্যকর।
  8. লাংগেস: এটি কোর, লেগ এবং গ্লুটসের পেশি শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
  9. . কোর এক্সারসাইজ (Core Exercises)প্ল্যাঙ্কস: কোর পেশি শক্তিশালী করতে সহায়ক।
  10. এব ক্রাঞ্চেস: পেটের পেশি শক্তিশালী করতে এবং মাংসপেশি তৈরি করতে সহায়ক।
  11. পুষ্টি ও বিশ্রাম:প্রচুর প্রোটিন এবং ক্যালোরি গ্রহণ: সঠিক পুষ্টি ও পর্যাপ্ত ক্যালোরি না পেলে ব্যায়াম থেকে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আসবে না।
  12. পর্যাপ্ত বিশ্রাম: পেশি পুনর্গঠন এবং বৃদ্ধি পেতে বিশ্রাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই ব্যায়ামগুলো নিয়মিত করার পাশাপাশি ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে ওজন দ্রুত বাড়বে। একজন পেশাদার ট্রেইনারের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম শুরু করা সবসময় ভালো।

ওজন বাড়ে না কেন

আমাদের শরীরে শারীরিক কিছু সমস্যা জনিত কারণে আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে বিগ্ন ঘটে। আজকের দিনে একটি খুবই সাধারণ প্রশ্ন হচ্ছে ওজন বাড়ে না কেন? কি কারণ রয়েছে ওজন বৃদ্ধিতে সেসব বিষয়ে আজ আমরা সঠিক তথ্য জানবো। আশাকরবো আপনার প্রশ্নের যথাযথ উত্তর আপনি এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে জেনে যাবেন। 
এবং নিম্নোক্ত কারণ গুলো জেনে আপনিও সচেতনতা অবলম্বন করে খুব সহজেই আপনি আপনার ওজন বৃদ্ধি ঘটাতে পারেন। তাই প্রতি তথ্য সঠিকভাবে জানতে অনুচ্ছেদটি মনোযোগ সহকারে জানুন। সুতরাং চলুন আমরা অধিক কথা আর না বাড়িয়ে নিম্নবর্গের কারণ সমূহ গুলো জেনে নিই।ওজন না বাড়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে নিচে কিছু সাধারণ কারণ উল্লেখ করা হলো:
  1. পর্যাপ্ত ক্যালোরি গ্রহণ না করাওজন বাড়ানোর জন্য প্রতিদিনের ক্যালোরি খরচের চেয়ে বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করা প্রয়োজন। অনেক সময় পর্যাপ্ত খাবার খাওয়া হলেও, ক্যালোরি পরিমাণ যথেষ্ট না হওয়ার কারণে ওজন বাড়ে না।
  2. উচ্চ বিপাকীয় হার (High Metabolism)কিছু মানুষের শরীরে বিপাকীয় হার বেশি থাকে, যার ফলে তারা দ্রুত ক্যালোরি বার্ন করে। এ কারণে বেশি খেয়েও ওজন বাড়াতে সমস্যা হতে পারে।
  3. খাদ্যের মান ও পুষ্টিখাবারের ক্যালোরি, প্রোটিন, ফ্যাট, এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ সঠিকভাবে না মাপলে ওজন বাড়ানো কঠিন হতে পারে। শুধু বেশি খাওয়া নয়, বরং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
  4. অতিরিক্ত শারীরিক ক্রিয়াকলাপযদি কেউ প্রচুর পরিমাণে ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করেন, তাহলে তার শরীরে ক্যালোরির ঘাটতি হতে পারে, যা ওজন বাড়াতে বাঁধা সৃষ্টি করে।
  5. হরমোনগত সমস্যাথাইরয়েড বা অন্য কোনো হরমোনজনিত সমস্যা থাকলে ওজন বাড়তে পারে না। উদাহরণস্বরূপ, হাইপারথাইরয়েডিজম হলে শরীরের ওজন কমতে পারে।
  6. খাদ্যহীনতা বা ক্ষুধামন্দা (Appetite Loss)যদি ক্ষুধামন্দা থাকে বা সঠিক পরিমাণে খাবার খাওয়ার ইচ্ছা না হয়, তাহলে ওজন বাড়া কঠিন হয়।
  7. জিনগত কারণকিছু মানুষের জিনগত বৈশিষ্ট্যের কারণে তাদের শরীরের গঠন পাতলা থাকে এবং ওজন বাড়াতে সমস্যা হতে পারে।
  8. মানসিক চাপ বা উদ্বেগমানসিক চাপ, উদ্বেগ, বা অন্যান্য মানসিক সমস্যা থাকলে খাওয়ার ইচ্ছা কমে যেতে পারে, যা ওজন বাড়তে বাঁধা দেয়।
  9. স্বাস্থ্যগত সমস্যাযেমন, পাকস্থলী বা অন্ত্রের সমস্যা থাকলে শরীরে পুষ্টি শোষণে বাধা আসতে পারে, ফলে ওজন বাড়া কঠিন হয়।
  10. পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবপর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরের পেশি পুনর্গঠন এবং বৃদ্ধি কমে যায়, যা ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে বাঁধা হতে পারে।
যদি আপনি ওজন বাড়াতে চান এবং এসব কারণগুলোর কোনোটি আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়, তবে একজন পুষ্টিবিদ বা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। 

কোন বাদাম খেলে ওজন বাড়ে

আমরা সকলে জানি যে বাদাম আমাদের শরীরের ওজন বাড়ানোর জন্য ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু আমরা কোন বাদাম খেলে ওজন বাড়ে তা নিয়ে আমাদের মাঝে স্পষ্ট কোনো ধারনা নেই। তাই আজ আমরা এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে জানবো যে কোন কোন বাদাম আমাদের শরীরের ওজন বাড়াতে সহায়তা করে বা বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। যদি আপনেও এমন তথ্যের সন্ধান করছেন বা জানতে আগ্রহী তাহলে আজকের অনুচ্ছেদে রয়েছে আপনার জন্য সেসব অজানা তথ্য সমূহ।
বর্তমানে বাজারে বাদাম কয়েক প্রকার পাওয়া যায় এর মধ্যে থেকে কোন কোন বাদাম আমরা ওজন বাড়ানোর জন্য গ্রহণ করবো তা জানবো। বাদাম একটি পুষ্টিসম্পূর্ন খাবারের মধ্যে একটি তাই এটি নিয়মিত গ্রহণ করার ফলে আমরা খুব সহজেই শরীরের ওজন বৃদ্ধি ঘটাতে পারি তাই চলুন আমরা সেসব তথ্য সমূহ খুব সহজেই জেনে নিই।ওজন বাড়াতে বাদাম খুবই কার্যকর একটি খাবার। বাদামে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন, এবং ক্যালোরি থাকে, যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে নিচে এমন কিছু বাদাম উল্লেখ করা হলো যা ওজন বাড়াতে সহায়ক:

  1. আখরোট (Walnuts)আখরোটে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রচুর ক্যালোরি থাকে, যা ওজন বাড়াতে সহায়ক। এছাড়া এটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।
  2. কাজু (Cashews)কাজু বাদামে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফ্যাট, এবং ক্যালোরি থাকে। নিয়মিত কাজু খেলে ওজন বাড়ানো সহজ হয়।
  3. আমন্ড (Almonds)আমন্ডে প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বির ভালো উৎস রয়েছে। এটি খেলে মাংসপেশি গঠন এবং ওজন বাড়াতে সহায়ক হয়।
  4. পেস্তা (Pistachios)পেস্তা বাদাম ক্যালোরি এবং প্রোটিনে সমৃদ্ধ। এটি খেলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে, বিশেষ করে যদি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করা হয়।
  5. হ্যাজেলনাট (Hazelnuts)হ্যাজেলনাটে প্রচুর ফ্যাট এবং ক্যালোরি রয়েছে। এটি খেলে ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
  6. চিনাবাদাম (Peanuts)চিনাবাদাম প্রচুর প্রোটিন এবং ফ্যাটে ভরপুর। এটি খুবই সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী, তাই এটি নিয়মিত খেলে ওজন বাড়াতে সহায়ক হয়।
  7. ম্যাকাডেমিয়া (Macadamia Nuts)ম্যাকাডেমিয়া বাদাম ওমেগা-৭ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ক্যালোরিতে সমৃদ্ধ, যা ওজন বাড়াতে খুবই কার্যকর।

কীভাবে বাদাম খাওয়া উচিত

  • নিয়মিত খাবারের সাথে:সকালে নাশতার সাথে বা দুপুরে খাবারের আগে বা পরে বাদাম খেতে পারেন।
  • স্মুদি বা প্রোটিন শেক: বাদাম স্মুদিতে বা প্রোটিন শেকের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • স্ন্যাক্স হিসেবে: বাদামকে স্ন্যাক্স হিসেবে কাজু বা আমন্ড মাখন হিসাবে গ্রহণ করতে পারেন।
  • ওজন বাড়ানোর জন্য এসব বাদাম আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। বাদামের সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণে অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার খেলে দ্রুত ওজন বাড়বে।

লেখকের শেষ মন্তব্যঃ

স্বাস্থ্য নিয়ে আমাদের সকলেরই সচেতন হওয়া জরুরি তাছাড়া খুব সহজেই রোগ বাসা বাঁধতে পারে তাই এটি জরুরি একটি বিষয়। প্রতিদিন নিয়মিত সুসষম খাদ্য গ্রহণ করুন এবং শারীরিক ব্যায়াম করুন। সুস্বাস্থ্যে বলতে অতিরিক্ত ওজন বেশি বা কমকে বুঝায় না বরং রোগ মুক্ত শরীর বা রোগ প্রতিরোধে সক্ষম এমন শরীরকেই সুস্বাস্থ্যে বলে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার আমার সচেতনা অবলম্বন করে স্বাস্থ্য ঠিক রাখা উচিত হবে। পরিশেষে প্রতিবেদনটি আপনার কোন কোন তথ্য জানতে সহায়তা করেছে এবং কোন কোন বিষয়ে আরোও জানতে আগ্রহী তা আপনার মূল্যবান মতামত কমেন্ট সেকশানে জানিয়ে রাখুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url