নবজাতক শিশুর যত্ন - নবজাতক জন্মের পর করণীয়

সুপ্রিয় পাঠক সকল আশা করি সকলে ভালো আছেন। আজ আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে অবগত হবো এতক্ষণে আর্টিকেলের টাইটেল দেখে হয়তো জেনেছেন যে আজ আমরা নবজাতক শিশুর যত্ন নবজাতক জন্মের পর করণীয় সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত সমন্ধে বিস্তারিত জানবো। আশা করি তথ্য গুলো আপনাকে সহায়তা করবে একজন সচেতন গার্জিয়ান হতে।
নবজাতক শিশুর যত্ন
একটি শিশু যখন পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে সেই সময় থেকে শুরু করে পাঁচ বছর পর্যন্ত শিশুকে বিশেষ যত্নশীল হতে হয় তাহলে শিশুটির সঠিক পূর্ণ বিকাশ লাভ করবে তাই আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নিন কিভাবে আপনি আপনার নবজাতক শিশুর যত্ন নিবেন৷ এই সময়ে একটু অবহেলা কি পরিমাণ সমস্যা হতে বা কেনোই বা এই সময়কে চিকিৎসকগণ এত জোরদার যত্নশীল হতে বলেন বিস্তারিত আলোচনা জানুন এই আর্টিকেলে।

পোস্টের সূচিপত্রঃনবজাতক শিশুর যত্ন - নবজাতক জন্মের পর করণীয়

শিরোনাম

একজন শিশুর জন্মগ্রহণের পরে সময়কে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সময় বলা হয়ে থাকে। কারণ একটি শিশু বড় হয়ে কেমন আচার-আচরণ করবে তা শৈশবে সে প্রাপ্ত এবং মেধা বুদ্ধি, বিকাশে জন্য ও এই সময়টায় গুরুত্বপূর্ণ বলা হয়। আমরা কেনো বাচ্চার যত্ন নিবে,না যত্নশীল হয়ে কি সমস্যার দেখা দিতে পারে এবং কিভাবে কোন উপায় অবলম্বন করে যত্নশীল হবো আজ সমস্ত কিছু সঠিকভাবে জানবো।একটি নবজাতকে কিভাবে যত্ন নিতে এব্যাপারে ডাক্তারের মতবাদ কি, কোন কোন সতর্কতা মেনে চলতে হবে তা বিস্তারিত জানবো।। সুতরাং চলুন আমরা আর সময় নষ্ট না করে মূল আলোচনায় ফোকাস করি নিম্নবর্গের অনুচ্ছেদে গুলোর মাধ্যমে আমরা সেসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো জেনে নিই।

নবজাতক শিশুর যত্ন

একটি নবজাতক পিতা মাতার জন্য অনেক বড় একটি প্রাপ্তি বয়ে নিয়ে আসে। একটি নবজাতক শিশুর জন্মের পর থেকে শুরু করে প্রথম ১ মাসকে অতি সংবেদনশীল সময় বলে আখ্যায়িত করা হয়। কারণ প্রথমেই একমাস সময়েই শিশুর সঠিক পণ্য বিকাশের জন্য তৈরি হয়ে যায় তাই এই সময়কে অধিক গুরুত্বপূর্ণ সময় বলে বলা হয়। 
একটি নবজাতককে পূর্ণ বিকাশের মাধ্যমে বড়ো করানোর কি কি কৌশল অবলম্বন করতে হবে তা নিয়ে আজ আমরা বিস্তারিত আলোচনা জানবো। নবজাতক শিশুর যত্ন টিপস গুলো নিম্নবর্গের পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলোঃ
  • জন্মগ্রহণের পরপরেই নরম কাপর দিয়ে জড়িয়ে নিন এরপরে শিশুকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করুন।
  • জন্মগ্রহণের পরে শিশুকে ১ ঘন্টার মধ্যেই মায়ের দুধ পান করান এসময়ে চিনিজল,বা মধু খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন।
  • শিশুর নাভি নরম কাপর দিয়ে পরিষ্কার করুন।
  • শিশুকে শুষ্ক বা হালকা গরম স্থানে রাখতে হবে।
  • শিশুর শারীরিক স্বাস্থ্য ঠিক আছে কিনা তা ডাক্তারের নিকট পরামর্শ গ্রহন করুন।
  • শিশু জন্মগ্রহণ সময়ে তুলনামূলক ওজন কম বা বেশি হতে পারে এতে ভয়ের কিছু নেই তবে এই সময়ে ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী শিশুকে স্বযত্নে রাখতে হবে।
  • শিশুকে ঘনঘন মায়ের দুধ পান করান।
  • শিশুর জন্মের পর থেকে টানা তিন মাস স্নান না করানোই ভালো এমনটায় ডাক্তাদের পরামর্শ হয়ে থাকে তাই কয়েকমাস পরে শিশুকে স্নান করানো যেতে পারে।
  • শিশুকে ১০-১৫ দিন পর পর ডাক্তার দ্বারা স্বাস্থ্য পরিক্ষা করানো উচিত হবে আর যথা সম্ভব বাসস্থান সহ বস্তু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
  • শিশুকে মাঝে মধ্যে জিহ্বা নাভির দিকে বিশেষ রাখতে হবে।
  • শিশুকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে বাজারে ভেজা টিস্যু পাওয়া যায় বা নরম কাপর ব্যবহার করতে পারেন।
  • শিশুকে অতিরিক্ত শব্দ দূষণ বা অতিরিক্ত আলো থেকে দূরে রাখা উচিত হবে।
  • শিশুকে সুস্থতার সাথে বড় করতে বাবা-মাকে একটু সচেতনা অবলম্বন করতে হবে।

নবজাতক জন্মের পর করণীয়

আমরা সকলে কম বেশি জানি যে একটি নবজাতকের জন্মের পরর্বতী সময় কতটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই সময়ের উপরেই পরর্বতী জীবন কেমন হবে তা নির্ভর করে। যদি আমরা এই সময়কে অবহেলা করি তাহলে কতটা ভুল কাজ করবো তা বলার অবকাশ রাখে না। আমরা আজ জানবো ডাক্তারের পরামর্শকৃত উপায় সময় কোনো কোন উপায় অবলম্বন করে বাচ্চা যত্ন নিবো। 
আমরা এখনো হয়তো সঠিক উপায়ে বাচ্চাকে লালিত করার উপায় সমূহ না জেনে থাকলে সমম্যা নেই কারণ আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে থাকবে নবজাতক জন্মের পর করণীয় সেসব তথ্য সমূহ তাই চলুন আমরা সে-সব নবজাতক জন্মের পর করণীয় নিয়মাবলি গুলো জেনে নিই।
  • নবজাতকের জন্মের পরপরেই খেয়াল করুন বাচ্চা কান্না করতেছে কিনা।
  • নবজাতকের ওজন সঠিক আছে কিনা তা জেনে নিন।
  • এরপরে পরিষ্কার নরম কাপর দিয়ে বাচ্চাকে আবরিত করুন।
  • নবজাতকের নাভি সহ পুরো শরীল নরম কাপর বা ভিজা টিস্যু দিয়ে পরিষ্কার করুন।
  • নবজাতকে খুব দ্রুতই মায়ের দুধ পান করান পরবর্তী ৩ দিন কোনে প্রকার পানীয় সেবন থেকে দূরে রাখুন (চিনি,মধু) শুধু মায়ের দুধ পান করান।
  • এরপরে সবকিছু নবজাতকের স্বাস্থ্য ঠিকঠাক আছে কিনা ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করুন।
  • নবজাতকে যথাসম্ভব শুষ্ক হালকা গরম স্থানে রাখুন।
  • নবজাতকের আশেপাশে কোনো প্রকার শব্দ বা ধোঁয়া থেকে দূরে রাখুন।
  • নবজাতকের চোখ এবং পুরো শরীরের ত্বকের যত্নে দৃষ্টি রাখুন।
  • এসময়ে মাকে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন করুন। এবং মাঝে মাঝে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করুন।

গরমে নবজাতক শিশুর যত্ন

শিশু মানেই যেন অধিক যত্নশীল হওয়া তাই আমরা যদি জেনে যায় গরমে নবজাতক শিশুর যত্ন কিভাবে নিবো বা কেনোই নিবো। তাই চলুন গরমে আমরা একটি নবজাতকে কিভাবে লালিত করতে পারি বা কোনো কোনো উপায় অবলম্বন করলে আপনার নবজাতকে আপনি সঠিক উপায়ে রাখতে পারেন। 

গরমে কম বেশি আমাদের সকলেই সমস্যায় পড়তে হয় কিন্তু শিশুদের আরো কষ্ট লাভ করতে হয়। এসময়ে শিশুর শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয় গামাচি, লাল লাল র‍্যস, প্রভৃতি সমস্যা দেখা দেয়। তাই চলুন আমরা গরমে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে কিছু গরমকালীন টিপস্ সমূহ জেনে নিই। নিম্নবর্গের তা পয়েন্ট আকাড়ে তুলে ধরা হলোঃ
  • প্রতিনিয়ত শিশুকে জীবানু ধ্বংস কারী সাবান দিয়ে স্নান করতে হবে।
  • গরমে শিশুকে পানীয় বেশি রয়েছে এমন ধরনের শাক-সবজি, ফলমূল খাওয়াতে হবে।
  • প্রয়োজনে প্রতি সপ্তাহে শিশুকে স্যালাইন খাওয়ানো যেতে পারে। এছাড়াও লেবুর শরবত, তেঁতুল পানির শরবত,ডাবের পানি কম পরিশরে খাওয়ানো যেতে পারে।
  • শিশুকে প্রতিনিয়ত ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে এতে শিশুর ত্বক ভালো রাখতে সহায়তা করবে।
  • শিশুকে যথাসম্ভব রোদ থেকে দূরে রাখুন।
  • ঘামাচি দেখা দিলে কৃত্রিম পাউডার ব্যবহার করতে পারেন।
  • গরমে শিশুকে ধুলাবালি থেকে দূরে রাখুন।

গরমে বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো

আমরা সকলেই বাচ্চাকে অধিক সচেতনতা অবলম্বন করে থাকি। বাচ্চার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কে না চায় কিন্তু সঠিক তথ্য না জানার করণে আমরা বাচ্চার জন্য সেরা ক্রিম ব্যবহার করতে পারি না। যায়হোক গরমকালে বাচ্চাদের একটু অধিক যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন কারণ এসময়ে বাচ্চাদের নানা ধরনের সমস্যায় পরতে হয়। তাই যদি আমরা বাচ্চাদের ত্বক ভালো রাখতে সহায়তা করে এমন ভালো মানের ক্রিম সম্পর্কে অবগত হই তাহলে কেমন হয়। 
আশাকরবো তথ্য সমূহ আপনার আমার জন্য অনেক সাহায্যকারী ভূমিকা পালন করতে। আবার ক্রিম ব্যবহার করতে গেলে আমাদের এটাও জেনে রাখা উচিত যে যোনো ক্রিম যখন আমরা ব্যবহার করবো সেগুলোর কোনো সাইড - ইফেক্ট বা প্বার্শপ্রতিক্রয়া আছে কিনা, এটি ডাক্তার দ্বারা পরিক্ষিত কিনা। তাই আজ আমরা বাচ্চাদের কথা মাথায় রেখে কোনো প্রকার সমস্যায় যেনো না হয় অর্থ্যাৎ কোনো প্রকার প্বার্শপ্রতিক্রিয়া নেই এবং ডক্টর দ্বারা পরিক্ষিত এমন কিছু ক্রিম সম্পর্কে তুলে ধরবো। সুতরাং চলুন আমরা আর সময় নষ্ট না করে সেসব পরিক্ষিত ক্রিমের নাম গুলো বিস্তারিত জেনে নিই। নিম্নবর্গের তা তুলে ধরা হলোঃ
  • জনসন বেবি লোশন ক্রিম।
  • নেভিয়া ক্রিম।
  • ফেইস ক্রিম।
  • প্যারাসুট জ্যাস্ট ফর বেবি ক্রিম।
  • শিরা বাটার লোশন ক্রিম।
  • ইভোনো বডি ক্রিম।
  • কোডোমো ক্রিম।
  • সানস্কিন ক্রিম।
  • ময়েশ্চারাইজার ক্রিম।
  • হিমালয়া হারবাল বেবি লোশন ক্রিম।

শেষ কথা

শিশু জন্মগ্রহণ পরবর্তী সময়ে খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় এসময়ে অধিক সচেতনা অবলম্বন করতে হয়। পিতামাতাকে অধিক সজাগ দৃষ্টি রাখতে হয় কারণ এই সময়ের মাধ্যমে একটি শিশু পরবর্তী জীবনের সূচনা লাভ করে তাই এ সময় গুরুত্বপূর্ণ বলা হয়। আর গরমকাল বাচ্চাকে আরোও সজাগ দৃষ্টিতে রাখতে হয় কারণ এসময়ে বাচ্চার নানা বিদ সমস্যা দেখা দেয়।

সুতরাং পরিশেষে বলা চলে যে বাচ্চা বড় না হওয়া পযন্ত খুব সর্তকতা অবলম্বন করুন এতে বাচ্চার ভবিষ্যত মানসিক বিকাশ সুস্থ রাখবে। তাই নবজাতকের জন্মের পরে অবহেলা নয় সচেতনা মূল্যবোধ গড়ে তুলুন। নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করুন এবং তা প্রতিপালিত করুন এবং সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করুন। পরিশেষে নিয়মিত প্রয়োজনীয় তথ্য আপডেট জানতে এই সাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url