রামায়ণের সাতটি কান্ডের নাম - রামায়ণ এর বাংলা রচয়িতা কে

প্রিয় পাঠক বৃন্দ নতুন আর্টিকেলে আপনাকে অভিনন্দন! প্রতিনিয়ত ধর্মীয় তথ্য উপস্থাপনের মতো আজকেও নতুন একটি ধর্মীয় তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হবে আজকের এই আর্টিকেল মূল টপিক হচ্ছে রামায়ণ সম্পর্কিত কিছু অজানা তথ্য রামায়ণের সাতটি কান্ডের নাম, রামায়ণ কাহিনী সংক্ষিপ্ত, রামায়ণ এর বাংলা রচয়িতা কে প্রবৃতি তথ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। সুতরাং রামায়ণ সম্পর্কিত অজানা তথ্য রামায়ণের সাতটি কান্ডের নাম জানতে আজকের আর্টিকেলে চোখ রাখুন।
রামায়ণের সাতটি কান্ডের নাম
ত্রেতাযুগের রামায়ণ কাহিনীর সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে আজকের আর্টিকেলটি ফলো করুন। রাম অবতারের বিশেষ কারণ জানবো আমাদের সনাতনী হওয়ার তরুন রামায়ণ জানা একান্ত জরুরি একটি বিষয় কারণ আমাদের ধর্ম গ্রন্থ পাঠ করলে সেখান হতে জ্ঞান প্রাপ্ত করে জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে বিশেষ উপকারি হবে। আমরা এই আর্টিকেল পুরো জুরে রামায়ণের জানা অজানা সকল তথ্য রামায়ণের সাতটি কান্ডের নাম এবং রামায়ণ এর বাংলা রচয়িতা কে তুলে ধরার প্রচেষ্টা করবো আশা করি তথ্য জানলে আপনার ভালো লাগবে। তাই চলুন আমরা কথা আর না বাড়িয়ে রামায়ণের সাতটি কান্ডের নাম এবং রামায়ণ এর বাংলা রচয়িতা কে মূল আলোচনায় ফোকাস করা যাক নিম্নবর্গের কয়েকটি অনুচ্ছেদের মাধ্যমে রামায়ণ সম্পর্কিত তথ্য খুব সহজেই জেনে নিন।

পোস্টের সূচিপত্রঃরামায়ণের সাতটি কান্ডের নাম - রামায়ণ এর বাংলা রচয়িতা কে

রামায়ণের সাতটি কান্ডের নাম

প্রিয় পাঠক আজ আমরা এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে জানবো ত্রেতাযুগের পৌরাণিক কাহিনি সমূহ। রাম অবতার রুপে ভগবান যখন পৃথিবীতে অবতীর্ণ হোন তখন কার সময়কে কয়েকটি কান্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। আপনি যদি এখনও রামায়ণের সাতটি কান্ডের নাম না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই অনুচ্ছেদে চোখ রাখুন এবং সংক্ষিপ্ত আকারে তা জেনে নিন। সুতরাং আমরা আর কথা না বাড়িয়ে চলুন মূল আলোচনা শুরু করি। সাতটি কান্ডের নাম জানতে নিম্নবর্গের ফলো করুন কারণ নিম্নে রামায়ণের সাতটি কান্ডের নাম তা তুলে ধরা হলোঃ
  • আদি কান্ড।
  • অযোধ্যা কান্ড।
  • অরেণ্য কান্ড।
  • কিষ্কিন্ধ্যা কান্ড।
  • সুন্দর কান্ড।
  • লঙ্কা কান্ড।
  • উত্তর কান্ড।
আদি কান্ডঃ রামায়ণের সূচনায় রামায়ণের সাতটি কান্ডের নাম যে সকল কাহিনীর কথা উল্লেখ রয়েছে তাই সেই সময়কে আদি কান্ড বলা হয়। এই কান্ডে রামের জন্মের বা শৈশবের জীবন কাহিনির সূচনার কথা সকল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি রামায়ণের সূচনা কিভাবে এবং কেনো হলো তাহলে আপনি রামায়ণের আদি কান্ডটি ফলো করতে পারেন। কারণ সেখানেই সকল শুরুর ইতিহাস সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আদি কান্ডের মাধ্যমে রামায়ণের মূল কাহিনির শুরু হয়েছিল তাই এই সময়টি ছিল খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ বা তাৎপর্য পূর্ণ সময় তাই রামায়ণের সূচনা জানতে হলে আপনাকে পড়তে হবে রামায়ণের আদি কান্ড।
অযোধ্যাকান্ডঃ এটি রামায়ণের দ্বিতীয় কান্ড এই কান্ডে রাম অবতারের জন্ম গ্রহণ সহ শৈশব থেকে কৈশোরে এর কথা আলোচনা করা হয়েছে। ভগবান রাম কিভাবে গুরু গৃহে হতে শক্তিশালি এবং প্রতাপশালী হলো। তাঁর শিক্ষা গুরু কে ছিলেন এমন সকল তথ্য রয়েছে। এবং ভগবান রাম যখন ২৫ বছর পর অযোধ্যায় ফিরে আসেন এবং যুবরাজ ঘোষিত হয় এরে বিবাহ বন্ধন সহ আরো তথ্য সম্পর্কে এই কান্ডে আলোচনা করা হয়েছে। এই সময়ে ভগবান রামচন্দ্র অযোধ্যার প্রজাদের সকল দূর করে তাদের সুখময় সময় প্রদান করেছিলেন। অযোধ্যার সকলের প্রিয় ছিলেন ভগবান রাম। তাই অযোধ্যায় ভগবান কিভাবে জীবন পরিচালিত করেছিলেন এমন তথ্যের সঠিক ব্যাখা জানতে রামায়ণের অযোধ্যা কান্ডটি পড়ুন।

অরণ্যক কান্ডঃ এটি রামায়ণের তৃতীয় কান্ডের অন্তর্ভুক্ত এই পর্বে রাম চন্দ্র কিভাবে বনবাসে যেতে হয়েছিলো এবং বনে কোথায় হতে যাত্রা শুরু করেছিলেন এবং সেখানে গিয়ে কিভাবে দেবী অহল্যাকে পাথর হতে মুক্তি প্রদান আরো অনেক ঋষিদের আশ্রয়ে বসবাস এবং অনেক তপস্যার ফল স্বরুপ নানা ব্যাক্তিকে মুক্তি প্রদান করেছিলেন। এটি এক পূর্ব নির্ধারন করা হয়েছিল যা পরবর্তীতে বাস্তবতা পেয়েছে মাত্র। এই কান্ডে রাম চন্দ্রে বনের সকল ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

কিষ্কিন্ধ্যা কান্ডঃ এই পূর্ব মাতা সীতাকে অপহরণ করার পরের সকল কাহিনি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। কিভাবে রাম চন্দ্রের সাথে তাঁর পরম প্রিয় সেবক বা শিষ্য পবণ পুত্র মহাজ্ঞানী হনুমানের সাথে সাক্ষাৎ হলো এবং সেখানে বালীকে পরাজিত করে সুগ্রীব কিভাবে কিষ্কিন্ধ্যার রাজা করা হলো। এসব কাহিনীর ইতিহাস বিস্তারিত কিষ্কিন্ধ্যা কান্ডে আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে অনেক শক্তিশালী যুদ্ধাদের সাথে বসবাস করার কাহিনি কিষ্কিন্ধ্যা পর্বে আলোকপাত করা হয়েছে।

সুন্দর কান্ডঃ এই পর্বে রাম চন্দ্রে সাথে রাজা সুগ্রীবের সকল সেনাসহ কিছু শক্তিশালী যোদ্ধা একত্রিত হয়েছিল এবং পবণ পুত্র হনুমান মাতা সীতার নিকট রাম চন্দ্রের বার্তা পৌঁছে দিয়েছিলো। এই পর্বের যুদ্ধে সমস্ত পরিকল্পনা বা সূচনা করা হয়েছিল। এই পর্বে নীল সাগর পারি দেবার কাহিনী রাজা নল এবং নীল এর সমস্ত কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। এই পর্বে মাতা সীতা অপহরণ হবার পর প্রথম হনুমানের মাধ্যমে কথোপকথন হয়েছিল। ভগবান রামচন্দ্র মাতা সীতাকে অগ্রিম কিছু বার্তা জানিয়ে ছিলেন।

লঙ্কাকান্ডঃ এই পর্বে সমস্ত রকম যুদ্ধের রচনা শুরু হয়ে গেছিলো। যুদ্ধে কিভাবে রাবণের বধ করা হয়েছিলো এবং লঙ্কার রাজা কীভাবে বিভীষণকে করা হলো। এবং এই যুদ্ধের মাধ্যমে সমস্ত রাক্ষসগণ অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটে ছিলো। এবং সম্মানের সহিত বা বীরের ন্যায় রাম চন্দ্র মাতা সীতাকে লঙ্কা হতে উদ্ধার করে বনবাস শেষ করে পুনরায় অযোধ্যায় ফিরে আসেন। এটি সকল ইতিহাস যুদ্ধ সম্পর্কিত ছিলো। তাই রামায়ণের যুদ্ধের সকল ইতিহাস সঠিক ভাবে জানতে লঙ্কা কান্ড পাঠ করুন।
উত্তর কান্ডঃ রামায়ণের প্রত্যেকটি পর্বেই ছিলো বিশেষ পর্ব তথাপি রামায়ণের শেষ পর্ব উত্তর কান্ড ছিলে অন্য সব কান্ডের চেয়ে অন্যতম ইতিহাস কারণ এই পর্বে রাম চন্দ্র ১৪ বছরের বনবাস শেষ করে পুনুরায় অযোধ্যায় ফিরলে আবার শুরু হয় নতুন এক ইতিহাসের সূচনা। এই পর্বে আবার মাতা সীতার বনবাসের কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে সেখানে ঋষি বৈষ্ঠিরের গুরুর আশ্রম নিয়েও তুলে ধরা হয়েছে এবং রামায়ণের বাকি সময়টুকু এই পর্বে তুলে ধরা হয়েছে তাই এটি একটি বিশেষ পর্ব।

রামায়ণ এর বাংলা রচয়িতা কে

প্রিয় পাঠক সকল আজ আমরা এই নতুন অনুচ্ছেদের মাধ্যমে রামায়ণ এর রামায়ণ এর বাংলা রচয়িতা কে তা জানবো। আমরা রামায়ণের সারসংক্ষেপ সংক্ষিপ্ত আকারে নিম্নের অনুচ্ছেদের মাধ্যমে জেনে নিবো। কিন্তু এখন আমরা এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে আমাদের মাতৃভাষা বাংলায় বা আমাদের সুবিধার্থে সংস্কৃত হতে যে ব্যাক্তি বাংলায় অনুবাদ করেছে আমরা তাঁর নাম জানবো। 

আজও যদি কেউ রামায়ণ এর বাংলা রচিয়তা কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের অনুচ্ছেদের মাধ্যমে খুব সহজেই তা জেনে নিতে পারেন। সুতরাং চলুন আমরা অধিক কথা না বাড়িয়ে আমরা মূল আলোচনা শুরু করি। রামায়ণ একটি ত্রেতা যুগের পৌরাণিক কাহিনি তাই সনাতনী হওয়ার তরুন আমাদের পৌরাণিক ধর্মীয় ইতিহাস সম্পর্কে রামায়ণ এর বাংলা রচয়িতা কে জ্ঞান থাকা একান্ত জরুরি একটি বিষয়।
  • রামায়ণ প্রথম সংস্কৃত ভাষায় রচনা করেন ঋষি বাল্মিকী।
  • এরপরে রামায়ণ অনুবাদ রচনা করেন রত্নাকর।
  • এবং শেষে রামায়ণ বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন কৃত্তিদাস।
  • কৃত্তিদাসের রামায়ণের বাংলা নাম করণ ছিলো কৃত্তিবাসী বা শ্রীরাম পাঁচালী।
আমাদের মাঝে অনেক ব্যাক্তিই সংস্কৃত ভাষার উপর দক্ষতা কম রয়েছে তাই আমাদের সকলেই জেনে রামায়ণ পাঠ করতে পারে সকলের সুবিধার্থে কৃত্তিদাস রামায়ণকে বাংলায় অনুবাদ করছেন। পরিশেষে যদি প্রশ্ন হয় রামায়ণের রচিয়তা কে তাহলে উত্তর হবে ঋষি বাল্মিকী এবং বাংলায় প্রথম অনুবাদ করেন কৃত্তিদাস আশা করি সমস্ত তথ্য গুলো ভালোভাবে বুঝে ফেলেছেন।

রামায়ণ কাহিনী

ত্রেতা যুগের রাম অবতারের কাহিনীকে কেন্দ্র করে রামায়ণ রচিত হয়েছে। প্রথম থেকে শুরু করা যাক ত্রেতা যুগে লঙ্কা নগরীতে এক শিব ভক্ত বাস করতেন দশটি মাথা হওয়ার তরুক তাকে সকলে দশানন, এবং রাক্ষস কূলের স্রষ্ট হওয়ার জন্য তাকে রাবণ বলা হতো। তারা তিনটি ভাই ছিলেন বড় রাবণ মেজো বিভীষণ এবং ছোট কুম্ভকর্ণ তারা প্রত্যেকেই ছিলেন ধর্ম জ্ঞানী। কিন্তু একসময়ে অধিক জ্ঞানী এবং অধিক শক্তিশালী হওয়ার তরুন রাজা রাবণ ক্ষমতার অপব্যবহার শুরু করেন অহংকারী হয়ে উঠেন এবং ক্রমশই তার অধর্ম দিনে দিনে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এমতাবস্থায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য পৃথিবীতে রাম রুপে অবতরণ করেন। 

অযোধ্যা নগরীতে ধর্মীজ্ঞানী রাজা দশরথের পুত্র রুপে। রাজা দশরথের তিনটি রানী ছিলেন প্রথম রানী কৌশল্যা,মেজো রানী কৈকেয়ী এবং ছোট রানী সুমিত্রা। মাতা কৌশল্যার গর্ভে জন্ম গ্রহণ করেন রাম, কৈকেয়ী গর্ভে জন্ম গ্রহণ করে ভরত এবং মাতা সুমিত্রার গর্ভে জন্ম নেয় ভর লক্ষ্মণ এবং শত্রুঘ্ন। এর পরে চার ভাই একটু বড় হলে ব্রাহ্মচর্য্য আশ্রম পালন করতে বা শিক্ষা লাভ করতে গুরু গৃহে যান এবং ২৫ বছর পরে অধিক জ্ঞানী এবং অস্ত্র শিক্ষায় পারদর্শী হতে নিজ গৃহে প্রবেশ করেন। এমতস্থা চলাকালীন সময়ে সন্ন্যাসীদের উপরে রাক্ষসের উৎপাত বেড়ে যায়।
রাক্ষসদের থেকে পরিত্রাণ পাবার লক্ষ্যে ঋষি বিশ্বামিত্র সাহায্যের জন্য রামকে নিতে আসেন এবং রাজা হওয়ার তরুন রাজা দশরথও তাতে সম্মতি জানাই এবং রাম ও লক্ষ্মণ রাক্ষসকে বধ করার জন্য বেরিরে পরে এক গভীর বনে। আর সেই গভীর বনে বাস করতো এক মায়াবী রাক্ষসী তারকা। পরে রাম তারকাকে বধ করে ঋষিদের রক্ষা করেন। এর পরে রাম বিশ্বামিত্রের গুরু গৃহে থাকা অবস্থায় রাজা জনকের একখানা পত্র আসে। এরপরে রাজা জনকের রাজ্যে যায়। একটি কথা জেনে রাখা ভালো যে রাজা জনকের চারটি কন্যা সন্তান ছিল তাঁদের বিবাহের বা স্বয়ংবরে আয়োজন করে সেই কার্য শুভ করার জন্যই বিশ্বামিত্রকে নিমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছিল। 

যাইহোক এই কথা রাম এবং লক্ষ্মণ কিছুই জানতো না। রাজা জনকের স্বয়ংবরে সেখানে অনেক দেবতা সহ অনেক রাজপুত্র এবং রাবণ উপস্থিত ছিলেন একটি তথ্য স্বয়ংবরের সাথে একটি শর্ত জুড়ে দেওয়া ছিলো সেখানে বলা হয়েছিল যে যেব্যাক্তি শিবের এই ধনুক উঠিয়ে ছিলা পরাতে পারবে তাঁর সাথে রাজার প্রথন কন্যা সীতার বিবাহ হবে। এরপরে অনুষ্ঠান শুরু হলে সেখানে একে অংশ গ্রহণ করে প্রত্যকে ব্যাক্তি শেষে রাবণ অনেক অহংকারে সহিদ অংশ গ্রহন করলে সেও ব্যার্থ হয় এবং অনেক অপমানিত হয়ে স্থান ত্যাগ করে এরপরে রাজা জনক যখন দেখলো সেখানে একজনও শর্ত পূরণ করতে না পারলে খুব হতাশ হয়ে ভেঙে পরেন।

এরপরে গুরু বিশ্বামিত্র রামকে এক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করতে বলেন এবং তিনি মুহূর্তে ধনুক উঠিয়ে ছিলা পড়াতে গেলে ধনুক ভেঙে যায় এরপরে বিবাহ কার্য শুরু হলে এর মাঝামাঝি সময়ে পরশুরাম মহেন্দ্র পর্বত হতে সেই ধনুক ভাঙার কারণ জানতে অনুষ্ঠানে এসে উপস্থিত হোন এবং রামকে পরিক্ষা করতে শিবের ধনুকের মতোই আরোও একটি বৌষ্ণম ধনুকে বান সন্ধান করতে বলেন এবার রাম বিনয়ের সহিত কার্য সম্পাদন করলে রাম বলেন যে বান তিনি সন্ধান করেছেন তা কখনো বিথা যাবে না দুটি অপশন দেন প্রথমটি সমস্ত পূর্ণ নষ্ট এবং অপরটি মহেন্দ্র পর্বতে যাবার যোগঃ শক্তি নষ্ট। 


পরে পরশুরাম তিনি তাঁর সমস্ত পূর্ণকে নষ্ট করতে বলেন। এরপরে তিনি আবার পুনরায় মহেন্দ্র পর্বতে গিয়ে যোগ সাধনা করেন। এর মাঝে একটি তথ্য জেনে রাখা ভালো যে রাম পরশুরামের নিকট নিজের আসল স্বরুপ দেখিয়েছিলেন। এরপরে চার ভাই বিবাহ শেষ করে অযোধ্যায় বসবাস রত্র অবস্থায় মন্থরার কুপরামর্শে রানী কৈকেয়ী পূর্বের রাজার নিকট দুটি বর পাওনা ছিলে সেসময়ে সুয়োগ টার কাজ লাগান এবং রামকে চৌদ্দ বছরের জন্য বনবাসে যেতে হয়েছিল। রাম চন্দ্রের সাথে ভাই লক্ষ্মণ এবং মাতা সীতাও বনবাসে গিলে কিছু বছর কাটানোর পরে রাবণ মাতা সীতাকে অপহরণ করেন এবং রামের সাথে রাক্ষসকূলের মহাযুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধের রাক্ষস সকল সহ রাবণের বধ করেন। এবং মাতা সীতাকে সম্মানের সহিত সেখান হতে উদ্ধার করে পুনরায় অযোধ্যায় এসে রাজত্ব শুরু করেন। ( সংক্ষিপ্ত)

রামায়ণ সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নঃ রাম কত বছর বয়সে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ছিলেন?
উত্তরঃ ২৭ বছর বয়সে। পুরোপুরি ব্রাহ্মচর্য্য আশ্রম শেষে গৃহস্থ আশ্রম অনুযায়ী ২৫ বছর পরেই তিনি ২৭ বছর বয়সে তিনি মাতা সীতাকে বিবাহ করেন।
প্রশ্নঃ রাম রাবণের যুদ্ধ কতদিন হয়েছিল?
উত্তরঃ রামায়ণের সাতটি কান্ডের অন্তর্ভুক্ত লঙ্কা কান্ড হতে জানা যায় যে কেবল রাম এবং রাবণের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল ৯-১০ দিন। এবং যুদ্ধ শেষ রাবণ রামের হাতে বধ হোন।
প্রশ্নঃ রামের শিক্ষা গুরু কে ছিলেন?
উত্তরঃ রাজা দশরথের কূলগুরু ঋষি বাল্মিকী। তিনিই রামের সহ বাকি তিন ভাইরের শিক্ষা গুরু ছিলেন।
প্রশ্নঃ দশরথের কয়টি স্ত্রী ছিলো এবং তাঁদের নাম কি কি?
উত্তরঃ রাজা দশরথের তিনটি স্ত্রী ছিলেন। প্রথম কৌশল্যা, দ্বিতীয় কৈকেয়ী এবং তৃতীয় স্ত্রী সুমিত্রা।
প্রশ্নঃ মেঘনাদের স্ত্রীর নাম কি?
উত্তরঃ রাবণ পুত্র মেঘনাদের স্ত্রীর নাম ছিলো প্রমীলা।
প্রশ্নঃ রাম চন্দ্র কোন বংশীয় ছিলেন?
উত্তরঃ রাম চন্দ্র ছিলেন রঘী বংশীয়।
প্রশ্নঃ দেবী অহল্যা কে ছিলেন?
উত্তরঃ ঋষি গৌতম বুদ্ধের স্ত্রী ছিলেন অহল্যা দেবী।
প্রশ্নঃ রামায়ণ কোন যুগের কাহিনী?
উত্তরঃ রামায়ণ ত্রেতা যুগের পৌরাণিক কাহিনী রামায়ণ যা সর্ব প্রথম ঋষি বাল্মিকী রচনা করেন পরে বংলা ভাষায় অনুবাদ করেন কৃত্তিদাস।

উপসংহার

রামায়ণ আমাদের সবাতন ধর্মগ্রন্থের ত্রেতা যুগের পৌরাণিক একটি কাহিনি রামায়ণের সাতটি কান্ডের নাম যা সকলেই জানা একান্ত আবশ্যক। কারণ রামায়ণ পাঠের মাধ্যমে আমরা জানতে পারবো রাম চন্দ্রের আদর্শ ব্যাক্তির গুণাবলী, মহৎত্ব, ত্যাগ, ক্ষমা, বীরত্ব সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ মানব বৈশিষ্ট্য। তাই নিয়মিত ধর্ম গ্রন্থ পাঠ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন তাহলে আগামী প্রজন্ম হবে ধর্ম জ্ঞানী এবং নৈতিকতা। পরিশেষে ধর্মীয় আর্টিকেলটি আপনার কেমন লেগেছে তা কমেন্ট করে জানাবেন ভালো লাগলে প্রিয় মানুষদের নিকট তথ্য গুলো পৌঁছে দেবার অনুরোধ রইল। এবং নিয়মিত ধর্মীয় সকল তথ্য আপডেট জানতে এই সাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ সকলকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url