গীতা মাহাত্ম্য বাংলা - স্কুল কলেজে গীতা পাঠের নিয়ম
সুধি পাঠকবৃন্দ আজ আমরা নিয়মিত ধর্মীয় তথ্য উপস্থাপনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ
তথ্য নিয়ে কথা বলবো আজকের মূল টপিক গীতা মাহাত্ম্য বাংলা - স্কুল কলেজের গীতা
পাঠের নিয়ম জানবো। আপনি যদি এখনো সঠিক উচ্চারণ গীতার মাহাত্ম্য বাংলা - স্কুল
কলেজে গীতা পাঠের নিয়ম না জেনে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য। কারণ এই
আর্টিকেল সম্পন্ন শুর হতে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি খুব সহজেই গীতা
মাহাত্ম্য বাংলা - স্কুল কলেজে গীতা পাঠেরর নিয়ম পালন করতে পারবেন।
আমাদের হিন্দু ধর্মালম্বী ভাই বোন সকলেই ধর্ম জ্ঞান খুব জরুরি কারণ আপনি যদি
প্রিতা বা মাতা হোন তাহলে আপনের হাত ধরেই আগামী প্রজন্ম গড়ে উঠবে তাই আপনি
স্বয়ং নিজে ধর্মজ্ঞান লাভ করুন এবং বাচ্চাদের ছোট থেকেই ধর্মজ্ঞান প্রদান করুন।
আজ আপনি এই আর্টিকেল জুরে গীতা মাহাত্ম্য বাংলা - স্কুল কলেজে গীতা পাঠের নিয়ম
নিয়ে কিছু আজানা তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। সুতরাং অধিক কথা আর না বাড়িয়ে
চলুন আমরা গীতা মাহাত্ম্য বাংলা - স্কুল কলেজে গীতা পাঠেরর নিয়ম সম্পর্কে
জানি।
পোস্টের সূচিপত্রঃগীতা মাহাত্ম্য বাংলা - স্কুল কলেজে গীতা পাঠের নিয়ম
স্কুল কলেজে গীতা পাঠের নিয়ম
প্রিয় পাঠক আজ আমরা জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করাতে সাহায্য করবে এমন স্কুল
গীতা পাঠের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানবো। আজকের এই অনুচ্ছেদের মূল
আলোচনায় থাকছে স্কুল কলেজে গীতা পাঠের নিয়ম। আপনিও যদি আপনার জীবনকে সঠিক পথে
পরিচালিত করতে আগ্রহী হোন তাহলে আজকের অনুচ্ছেদে চোখ রাখুন। মানুষ মাত্রই
সামাজিক জীব এবং নানা সাংস্কৃতি নিয়েই এ সমাজ গড়ে উঠেছে।
আমাদের সমাজে নানা ধরনে সংস্কৃতি রয়েছে এর মধ্যে রয়েছে সামাজিক সংস্কৃতি,
ধর্মীয় সংস্কৃতি, রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রভৃতি। আমাদের এই প্রতিটি সংস্কৃতি
পালনের পূর্ব শুভ করার জন্য আমরা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অনুষ্ঠানের সূচনা করি
ধর্মীয় গীতা পাঠ দিয়ে এতে অনুষ্ঠানটি শুভ বলে বিবেচিত হয়। তাই স্কুল কলেজের
আমরা জ্ঞান অর্জন করি সেখানের সমাবশে বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাদের শুভ সূচনা
করতে সনাতনধর্মী সকলের গীতা পাঠ জানা একান্ত জরুরি।
আমরা হয় গীতা পাঠ করতে অনেকেই জানি কিন্তু সঠিক নিয়ম মেনে করতে পারবো কিনা এই
সংশয় মনে কাজ করে যদি আপনি এখনো গীতা পাঠের সঠিক নিয়ম অবলম্বন করতে ভয় কাজ করে
তাহলে আজকের অনুচ্ছেদে চোখ রাখুন। কারণ আজ এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে আমরা কেবল
স্কুল কলেজের না সকল জায়গায় গীতা পাঠ করার সঠিক নিয়ম কানুন সম্পর্কে বিস্তারিত
জানবো।
তাই কথা আর না বাড়িয়ে চলুন আমরা স্কুল কলেজের গীতা পাঠ করবার সঠিক নিয়ম
সম্পর্কে জেনে নিই। নিম্নোক্ত বিশেষ বা ধর্মীয় বিধান অনুয়ায়ী আলোকপাত করা হলো।
গীতা পাঠ করার পূর্বে একটি তথ্য জেনে রাখা ভালো যে প্রথমে ওঁ বলে গুরু প্রণাম
মন্ত্রটি পাঠ করে গীতার শ্লোক পাঠ করে পরিশেষে মাহাত্ম্য বলতে হয়। চলুন আমরা
সেসব নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিই।
ওঁ
গুরুর্ব্রহ্মা গুরুর্বিষ্ণু গুরুর্দেবো মহেশ্বরঃ
গুরুরেব পরং ব্রহ্মা তস্মৈময় শ্রীগুরুবেই নমঃ।।
ওঁ নমঃ শ্রী ভগবতে বাসুদেবায়ঃ
শ্রীমদ্ভাগবদ্ গীতা
অথ চতুর্থোহ্ধ্যায়ঃ জ্ঞানযোগঃ
শ্রী ভগবান্ উবাচ্
শ্রদ্ধাবান্ লভতে জ্ঞানং তৎপরঃ সংযতেন্দ্রিয়ঃ।
জ্ঞানং লব্ধা পরাং শান্তিম্ অচিরেণাধি গচ্ছিত।। ৪/৩৯
তদ্ বিদ্ধি প্রণিপতেন পরিপ্রশ্নেন সেবয়া।
উপদেক্ষ্যন্তি তে জ্ঞানং জ্ঞানিনস্তত্ত্বদর্শিনঃ।। ৪/ ৩৪
বাংলায় অনুবাদঃ পবিত্র গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছে,
যিনি শ্রদ্ধাবান, নিষ্ঠাবান এবং ইন্দিয়গণকে জয় করেছেন। তিনি জ্ঞান লাভ করেছেন।
আর জ্ঞান লাভ হলে সে অচিরে পরম শান্তি প্রাপ্ত হন।
বাংলায় অনুবাদঃ পবিত্র গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছে, জ্ঞানীদিগকে প্রণাম ও সেবা
সুশ্রুষা পূর্বক ভক্তিসহকারে প্রশ্ন কর। তত্ত্বদর্শী জ্ঞানীগণ তোমাকে জ্ঞান দান
করবেন।
অথ গীতামাহাত্ম্যম্
শ্রীভগবান উবাচ্
গীতাশ্রয়েহহং তিষ্ঠামি গীতা মে পরমং গৃহম্।
গীতাজ্ঞানং সমাশ্রিত্য ত্রিলোকীং পালয়াম্যহম্।। ৪৬
অনুবাদঃ আমি গীতার আশ্রয়ে অবস্থান করি, গীতায় আমার পরম গৃহ্, এবং গীতার
জ্ঞানকেই আমি অবলম্বন করিয়া ত্রিলোক পালন করি।
বৈদিক শান্তি মন্ত্র
সুধি পাঠক বৃন্দ উপরিউক্ত অনুচ্ছেদের মাধ্যমে আমরা ইতিমধ্যেই স্কুল কলেজে গীতা
পাঠের নিয়ম পাঠ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি এখন আমরা এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে
বৈদিক শান্তি মন্ত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। আপনি যদি ধর্মীয় তথ্য সম্পর্কে
জানতে আগ্রহী হোন তাহলে আজকের অনুচ্ছেদে চোখ রাখুন এবং জেনে নিন কি করে বৈদিক
শান্তি মন্ত্র পাঠ করতে হয়। আমরা সকলে যখন একত্রিত হই।
তখন আমরা সকল কার্য শেষে আমরা সকলের উদ্দেশ্যে বৈদিক শান্তি মন্ত্র পাঠ করি
যেনো পৃথিবীর সকল জীবের মধ্যে শান্তি বর্শিত হয় সকলের কল্যাণ হয় এ এক মহৎ
উদ্দেশ্য। যাই হোক আপনি যদি এখনো বৈদিক শান্তি শ্লোকটি না জেনে থাকেন তাহলে
আজকের অনুচ্ছেদটি মন দিয়ে পড়ুন এবং খুব সহজেই তা আজানা তথ্যটি জেনে নিন। সুতরাং
চলুন কথা আর না বাড়িয়ে আমরা বৈদিক শান্তি শ্লোকটি জেনে নিই। নিম্নে ধর্মীয়
আলোকে বৈদিক শান্তি শ্লোকটি তুলে ধরা হলোঃ
ওঁ পূর্ণমদঃ পূর্ণমিদং পূর্ণাৎ পূর্ণ মুদচ্যেতে।
পূর্ণস্য পূর্ণমাদায়ঃ পূর্ণমেবাব শিষ্যতে্।।
ওঁ শান্তিঃ ওঁ শান্তিঃ শান্তি হোক সকলের।
গৃহ শান্তি মন্ত্র
সুধি পাঠক বৃন্দ উপরিউক্ত অনুচ্ছেদের মাধ্যমে আমরা ইতিমধ্যেই বৈদিক শান্তি
মন্ত্র পাঠ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি এখন আমরা এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে গৃহ
শান্তি মন্ত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। আপনি যদি ধর্মীয় তথ্য সম্পর্কে জানতে
আগ্রহী হোন তাহলে আজকের অনুচ্ছেদে চোখ রাখুন এবং জেনে নিন কি করে গৃহ শান্তি
মন্ত্র করতে হয়। গৃহ হচ্ছে সকল শান্তির নীর সেখানে আমরা সকলেই শান্তি অনুভব
করি।
প্রতিটি গৃহে যেনো শান্তি অখুন্ন থাকে এ জন্য গৃহ শান্তি মন্ত্রটি জেনে নিন।
একটি তথ্য জেনে রাখা ভালো যে যখন নববধূ কোনো একটি গৃহে প্রবেশ করে তখন বা পা
দিয়ে গৃহে প্রবেশ করলে সংসার সুখের হয় সেখানে শান্তি সর্বদায় বিরাজ করে। যাই
হোক আজকের অনুচ্ছেদে মূল আলোচনা গৃহ শান্তি মন্ত্র নিয়ে আপনিও যদি এমন আজানা
তথ্য জানতে আগ্রহী হোন তাহলে আজকের অনুচ্ছেদে চোখ রাখুন। নিম্নে গৃহ শান্তি
মন্ত্রটি তুলে ধরা হলোঃ
ওঁ সহনাববতু সহনৌ ভনুকতু সহ বীর্যং করবাবহৈ।
তেজস্বীনাবধীত মস্ত মা বিদ্বিষাবহৈ।।
ওঁ শান্তি ৩বার বলুন।
বাংলা অনুবাদঃ আমাদের সকলকে সমান ভাবে রক্ষা করুন, সকলকে সমানভাবে বিদ্যা দান
করুন, আমরা যেনো সকলে সমানভাবে বিদ্যা লাভ করতে পারি। আমাদের সকলের শরীর তেজ
বৃদ্ধি হোক, আমরা যেনো পরস্পকে হিংসা না করি এবং সকল বিঘ্নের বিনাশ হোক। সকলের
উপর শান্তি বর্শিত হোক।
গীতা মাহাত্ম্য বাংলা
সুধি পাঠক উপরিউক্তে আমরা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় তথ্য সম্পর্কিত আলোচনা
করছি যা আপনেরা ইতিপূর্বের জেনেছেন। এখন আমরা আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
সম্পর্কে অবগত হবো। আমরা সকলে কম বেশি জানি যে গীতা পাঠ করলে শেষে মাহাত্ম্য
পাঠ করতে হয় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা ভুলে গেলে আমাদের চলবে না। তাই আজ
আমরা গীতা মাহাত্ম্য বাংলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
গীতা হচ্ছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মুখনিঃসৃত অমৃতবাণী যা আমরা সকলে জানি আবার গীতাকে
জীবননে সার কথা বলা হয় কারণ গীতায় বর্ণিত সমস্ত বাণী আমাদের জীবনকে সঠিক পথে
পরিচালিত করাতে সাহায্য করে তাই আমাদের সকলেই গীতার জ্ঞান থাকা বা গীতা
মাহাত্ম্য বাংলা জানা অতি আবশ্যক। গীতায় সাতশত শ্লোক রয়েছে এবং আঠারোটি অধ্যায়
রয়েছে। উপরিউক্ত অনুচ্ছেদের মাধ্যমে আমরা গীতা পাঠের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে
জেনেছি।
সেখান হতে আমরা জেনেছি যে গীতা পাঠ কিভাবে শুরু এবং শেষ করতে হয়। এখন আমরা
গীতার পাঠ শেষ করতে হয় কিভাবে বা গীতার মাহাত্ম্য শ্লোক জানবো। আপনিও যদি এমন
তথ্য খোঁজ করেন তাহলে আজকের এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে জেনে নিন। নিম্নবর্গের গীতা
মাহাত্ম্য বাংলা তুলে ধরা হলোঃ
অথ গীতামাহাত্ম্যম্
শ্রীভগবান উবাচ্
গীতাশ্রয়েহহং তিষ্ঠামি গীতা মে পরমং গৃহম্।
গীতাজ্ঞানং সমাশ্রিত্য ত্রিলোকীং পালয়াম্যহম্।। ৪৬
অনুবাদঃ আমি গীতার আশ্রয়ে অবস্থান করি, গীতায় আমার পরম গৃহ্, এবং গীতার
জ্ঞানকেই আমি অবলম্বন করিয়া ত্রিলোক পালন করি।
উপসংহার
উপরিউক্ত আর্টিকেলের আলোচনা হতে আমরা সঠিকভাবে স্কুল কলেজেরসহ সকল ধর্মীয়
অনুষ্ঠানে গীতা পাঠ করতে পাড়বো এবং গীতার পাঠ শেষে মাহাত্ম্য সম্পর্কেও
বিস্তারিত তথ্য আমরা জেনেছি। পরিশেষে একটি কথা আমরা সকলে গীতার জ্ঞানকে ধারণ
করে বাস্তব জীবন অতিবাহিত করবো সকলের মঙ্গল কামনা করবো, স্বার্থহেতু বীনা করণে
কোনো হিংসা করবো না। তাহলে দেখবেন আপনার জীবনও অধিক সুখময় হবে। পরিশেষে
আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনার কোনো তথ্য জানতে সাহায্য করেছে কিনা নিম্নে
কমেন্টে জানাবেন। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url