হিন্দু ধর্মের সকল মন্ত্র বাংলা অর্থ সহ - সনাতন ধর্মের উৎপত্তি

 প্রিয় পাঠক সকল নতুন একটি ধর্মীয় আর্টিকেলে আপনকে স্বাগতম! আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে হিন্দু ধর্মের সকল মন্ত্র বাংলা অর্থ সহ অনুবাদ জানবো। আমাদের নিত্যদিন অনেক ধরনের শুভ অশুভ কাজের মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করতে হয় তাই আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বী হওয়ার তরুন কিছু মন্ত্র পাঠ জানা অতি আবশ্যক একটি বিষয়। আমাদের নৈতিকতা ধর্মীয় বিবেক জাগ্রত রাখতে হলেও কিছু ধর্মীয় মন্ত্র বা শ্লোক জানা একান্ত জরুরি তাই চলুন আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে সমস্ত হিন্দু ধর্মের সকল মন্ত্র বাংলা অর্থ সহ একত্রে বলা সম্ভব হবে না তবুও প্রধান প্রধান বা প্রয়োজনীয় সকল মন্ত্র এবং বাংলায় অনুবাদ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
নিত্যদিনে চলতে গেলে আমাদের অনেক কিছুই বিশেষভাবে প্রয়োজন পরে এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ধর্মীয় মন্ত্র বা শ্লোক। তাই যদি আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে হিন্দু ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ সকল বা ছোট খাটো কিন্তু তাৎপর্য্য রয়েছে এমন কিছু হিন্দু ধর্মের সকল মন্ত্র বাংলা অর্থ সহ সম্পর্কে জানাতে পাড়ি তাহলে কেমন হয় আশা করি আর্টিকলটি সকলেই কাজে আশবে। তাই প্রতিটি মন্ত্র জানুন বাংলায় এবং অনুবাদ সহ খুব সহজেই এর জন্য চাই একটুখানি মনোযোগ সুতরাং আমরা আর অধিক কথা না বাড়িয়ে চলুন হিন্দু ধর্মের সকল মন্ত্র বাংলা অর্থ সহ আমরা ধর্মীয় তথ্য সমূহ বিস্তারিত ভাবে জেনে নিই।

পোস্টের সূচিপত্রঃহিন্দু ধর্মের সকল মন্ত্র বাংলা অর্থ সহ - সনাতন ধর্মের উৎপত্তি

হিন্দু ধর্মের সকল মন্ত্র বাংলা অর্থ সহ

প্রিয় পাঠক সকল এই সাইটে নিয়মিত ধর্মীয় আর্টিকেল পাবলিশ করা হয় তাই প্রতিদিনের মতো আজও একটি ধর্মীয় নতুন আজানা তথ্য নিয়ে আলোকপাত করবো আপনারা সাথেই থাকুন। আজকের এই অনুচ্ছেদের মূল টপিক হচ্ছে হিন্দু ধর্মের সকল মন্ত্র বাংলা অর্থ সহ বিস্তারিত বর্নণা নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা জানবো। আমাদের প্রথমে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে তবেই আগামী প্রজন্ম হবে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত। 

কারণ কাউকে জানতে সাহায্য করতে হলেও আপনাকে কিচিৎ জ্ঞান থাকা জরুরী। আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বী সকলকে আরো একটি এগিয়ে নেওয়ার লক্ষের থাকছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় মন্ত্র সকল। আপনিও যদি এখনো সকল ধরনের ধর্মীয় হিন্দু ধর্মের সকল মন্ত্র বাংলা অর্থ সহ না জেনে থাকেন তাহলে আজকের অনুচ্ছেদেটি বিশেষ ভাবে ফলো করুন ।
এবং সহজেই সে সকল তথ্য সমূহ জেনে নিন। যাইহোক এখন আর অধিক কথা না বাড়িয়ে আমরা মূল আলোচনা শুরু করি নিম্নে ধর্মীয় আলোকে সকল গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় মন্ত্র সকল এবং হিন্দু ধর্মের সকল মন্ত্র বাংলা অর্থ সহ তুলে ধরা হলোঃ

ওঁ জবা কুসুম সঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম।
ধান্তারীং সর্বপাপঘ্নং প্রণতস্হমি দিবাকর্ ম।।
বাংলা অনুবাদঃ হে জবা ফুলের মতো লোহিত বর্ণ, অন্ধকার নাশক মহা দ্যুতিবিশিষ্ট এবং সর্ব পাপ নাশক কশ্যক পুত্র সূর্যকে প্রণাম করি।

গুরুর্ব্রহ্মা গুরুর্বিষ্ণু গুরুর্দেবো মহেশ্বরঃ
গুরুরেব পরং ব্রহ্মা তস্মৈময় শ্রীগুরুবেই নমঃ।।

বাংলা অর্থঃ গুরুই ব্রহ্মা,গুরুই বিষ্ণু, গুরুই মহেশ্বর। তাই গুরুর শ্রীচরণে নম্ষকার করি।

ওঁ বিশ্বরুপস্য ভার্য্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভ।
সর্ব্বত পাহিমাং দেবী মহালক্ষী নমহস্তুতে নমঃ নমঃ
বাংলা অর্থঃ মাতা লক্ষী পদ্মা ফুলের মতো কমল, তোমার বর্ণ অতসী ফুলের মতো তুমি সর্বত্র বিরাজমান তোমায় প্রণাম করি।
ওঁ সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যেকমললোচনে।
বিশ্বরুপে বিশালাক্ষী বিদ্যাং দেহি নমস্তুতে নমঃ নমঃ।।
অনুবাদঃ হে বিদ্যার দেবী মাতা সরস্বতী, আপনার কমলের ন্যায় চরণ, হে বিশ্বরুপা আমাকে কৃপা পূর্বক বিদ্যা দান করুন আপনাকে নমস্কার জানাই।

হে কৃষ্ণ করুণা সিদ্ধু দীনবন্ধু জগৎপথে।
গোপেশ গোপীকাকান্ত রাধাকান্ত নমহস্তুতে।।

বাংলায় অনুবাদঃ হে আমার প্রিয় শ্রীকৃষ্ণ তুমি সকল করুণার সিন্ধু, তুমি সকল দীনের বন্ধু,তুমি এই সকল জগৎতের পতি, তুমি গোপিকাগণদের ঈশ্বর, এবং রাধারাণীর প্রেমাষ্পন্দ আমি তোমায় শ্রীপাদপদ্ম সশ্রদ্ধে প্রণতি নিবেদন করি নমস্কার।

  • ঘুমানোর আগের মন্ত্র
  • ওঁ নমঃ শয়নে পদ্মনাভায় নমঃ ৩ বার।
  • ভোজনের আগের মন্ত্র
  • ওঁ জর্নাধ্বনে নমঃ
  • যেকোনো শুভ কাজের পূর্বের মন্ত্র
  • ওঁ তৎ সৎ।
  • বাচ্চা জন্ম কথা শুনলে মন্ত্র পাঠ করুন
  • ওঁ আয়ুষ্মান ভবেহ্।
  • মৃত্যু সংবাদ শুনলে পাঠ মন্ত্র করুন
  • ওঁ দিব্যাং লোকান্ সুগচ্ছুতে্।

সনাতন ধর্মের উৎপত্তি

প্রিয় পাঠক আজ আমরা সনাতন ধর্মের উৎপত্তি বা  হিন্দু ধর্মের নামের কবে সূচনা ঘটে তা জানবো কারণ সনাতন ধর্ম একটি চিরস্থায়ী একটি বা চিরন্তন কবে উৎপত্তি হয়েছে এই ধর্মের তার সঠিক খোঁজ মিলা খুবই দুঃসাধ্য একটি ব্যাপার কারণ বৈদিক যুগে বা পৌরাণিক যুগ হতে চলে আসছে করা হয়েছে। যাইহোক ইতিহাস অনুযায়ী এই ধর্মের সূচনা হয়েছিল অনেক অনেক আগে সনাতন ধর্মের উৎপত্তি বৈদিক যুগে এবং পৌরাণিক কালে ৬৫০ অব্দে ১১০০ খ্রীস্টপূর্ব ধ্রুপদী হিন্দু ধর্মের প্রতিষ্ঠার কথা জানা যায়। 
এবং পরর্বতী সময়ে সিন্ধু নদীর তীর এক জাতি বসবাস করলে সেসময়ে ফরাসিরা সেই জাতিকে সিন্ধু বলতে গিয়ে হিন্দু বলে ডাকতো এবং সেই সময় হতেই সনাতন ধর্মকে হিন্দু ধর্মের প্রচলন হয়েছে। এই বিষয় একটি তথ্য জেনে রাখা ভালো যে আমরা কেবল জাতি হিসেবে হিন্দু কিন্তু আমাদের ধর্মের নাম পূর্ব থেকেই সনাতন ছিলো যা আজও বিদ্যমান রয়েছে। সনাতন ধর্ম শ্বাশত এবং সবথেকে প্রচীন একটি ধর্ম। সনাতন ধর্ম মানে হচ্ছে চিরন্তন যা অতীতের ছিল বর্তমানে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

হিন্দু ধর্মের সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন

প্রিয় পাঠক সকল যদি আমরা এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে ধর্মীয় কিছু ছোট খাটো কিন্তু অনেক প্রয়োজনীয় কিছু হিন্দু ধর্মের সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন এবং উত্তর জেনে যায় তাহলে বিষয়টি কেমন হয়? আশাকরি অনেক ভালোই হবে তাই আমরা নিত্যদিনের চলার তরুণ কিছু সাধারণ ধর্মীয় জ্ঞানের প্রশ্ন এবং উত্তর সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। আপনিও এমন তথ্য সম্পর্কে স্পষ্ট একটি ধারণা লাভ করতে অনুচ্ছেদটি শুরু হতে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। সুতরাং চলুন আমরা আর অধিক কথা বাড়িয়ে মূল আলোচনায় ফোকাস দিই। নিম্নে ধর্মীয় আলোকে হিন্দু ধর্মের সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন এবং সমাধান তুলে ধরা হলোঃ
  • প্রশ্নঃ আমাদের ধর্মের নাম কি?
  • উত্তরঃ আমাদের ধর্মের নাম সনাতন ধর্ম। আমরা কেবল জাতি হিসেবে হিন্দু কিন্তু আমাদের ধর্মের নাম হিন্দু ধর্ম না সনাতন ধর্ম।
  • প্রশ্নঃ সনাতন ধর্ম কাকে বলে?
  • উত্তরঃ সাধারণ অর্থে যে ধর্ম অতীতে ছিলো বর্তমানে রয়েছে এবং ভবিষ্যতে ও থাকবে সে ধর্মকে সনাতন ধর্ম বলে।
  • প্রশ্নঃ সনাতন ধর্মের অর্থ কি?
  • উত্তরঃ সনাতন ধর্মের অর্থ চিরন্তন। যার কখনো অন্ত বা শেষ নেই। চিরন্তন সত্যই হচ্ছে সনাতন ধর্ম।
  • প্রশ্নঃ ভগবান কাকে বলে?
  • উত্তরঃ বিশেষ অর্থে যেসকল দেবদেবীর মাঝে ভগ বা ছয়টি সৎগুনের অধিকার যথা ঐশ্বর্য, বীর্য,যশ,শ্রী,জ্ঞান এবং বৈরাগ্য পূর্ণ মাত্রায় রয়েছে তাঁকে আমরা ভগবান বলা হয়।
  • প্রশ্নঃ ভগবান বিষ্ণুকে কি বলা হয়?
  • উত্তরঃ তিনি আমাদের পালন কর্তা।
  • প্রশ্নঃ ভগবান শিবকে কি বলা হয়?
  • উত্তরঃ তিনি আমাদের সংহারকর্তা। পৃথিবীর সকল দুষ্ট লোক বা অশুভ শক্তি বিনাশ করে শুভ শক্তির রক্ষা করে পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা করেন।
  • প্রশ্নঃ ভগবান ব্রাহ্মাকে কি বলে?
  • উত্তরঃ তিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা।
  • প্রশ্নঃ দুর্গার ত্রিনয়ন দ্বারা কি নির্দেশ করে?
  • উত্তরঃ দুর্গার ডান চোখ সূর্য বাম চোখ চন্দ্র এবং তৃতীয় নয়ন সকল শুভ শক্তি বা জ্ঞানকে নির্দেশ করে।
  • প্রশ্নঃ আ-উ-ম দ্বারা কি বোঝায়?
  • উত্তরঃ ওঁ দ্বারা নিরাকার ব্রহ্মকে বুঝায়। সৃষ্টি, স্থিতি এবং প্রলয়কে নির্দেশ করে বা আউম দ্বারা একত্রে ত্রিদেবকে বুঝানো হয়।
  • প্রশ্নঃ মহাভারত কে রচনা করেন?
  • উত্তরঃ ঋষি ব্যাসদেব।
  • প্রশ্নঃ রামায়ণ কে রচনা করেন?
  • উত্তরঃ ঋষি বাল্মিকী।
  • প্রশ্নঃ মহাভারতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কত বছর পৃথিবীতে ছিলেন?
  • উত্তরঃ ১২৬ বছর।
  • প্রশ্নঃ মহাভারতে কতটি অধ্যায় রয়েছে?
  • উত্তরঃ ১৮ টি।
  • প্রশ্নঃ কর্ণের মাতা নাম কি?
  • উত্তরঃ কৈন্তী এবং পালিত মাতা ছিলেন রাধামা।
  • প্রশ্নঃ অভিমূন্যের সন্তানের নাম কি?
  • উত্তরঃ রাজা পরিক্ষিত।
  • প্রশ্নঃ সনাতন ধর্মে আদি ধর্ম গ্রন্থের নাম কি?
  • উত্তরঃ বেদ। যা চারটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।
  • প্রশ্নঃ ধর্মে কতটি উপনিষদের কথা বলা হয়েছে?
  • উত্তরঃ ১২ খানা উপনিষদ।
  • প্রশ্নঃ ধর্মে কতটি মহন্তে কথা বলা হয়েছে?
  • উত্তরঃ ৬৪ টি।
  • প্রশ্নঃ ধর্ম জীবন চক্রে কতটি আশ্রমের কথা বলা হয়েছে?
  • উত্তরঃ চারটি। যথা ব্রহ্মচর্য,গৃহস্থ্য,বানপ্রস্থ এবং সন্ন্যাস এগুলোকে ২৫ বছর করে ভাগ করা হয়েছে। একটি ব্যক্তি গড় আয়ু ১০০ বছর ধরে।
  • প্রশ্নঃ গুরু গৃহ ত্যাগ করার অনুষ্ঠানকে কি বলে?
  • উত্তরঃ সমার্বত অনুষ্ঠান।
  • প্রশ্নঃ রামায়ণে রাজা দশরথের কূলো গুরু কে ছিলেন?
  • উত্তরঃ ঋষি বাল্মিকী।
  • প্রশ্নঃ সনাতন ধর্মে কতটি অবতারে কথা বলা হয়েছে?
  • উত্তরঃ দশটি। এর মাঝে দ্বাপর যুগে পূর্ণ অবতার ছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। এবং দশম অবতার কল্কি এখনো অবতীর্ণ হয়নি।
  • প্রশ্নঃ সনাতন ধর্মে কতটি যুগ রয়েছে?
  • উত্তরঃ চারটি যুগ রয়েছে যথা সত্যযুগ,ত্রেথাযুগ,দ্বাপরযুগ এবং কলিযুগ।

হিন্দু ধর্মের ভগবান কে

আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আলোকপাত করবো আমাদের কম বেশি সকলেই মনে প্রশ্ন জাগে যে ভগবান কে এই তথ্যে সঠিক বা স্পষ্ট ধারনা আমরা অনেকের মধ্যেই নেই তাই আজ আমরা এই অনুচ্ছেদে আমাদের হিন্দু ধর্মের ভগবান কে তা নিয়ে বিস্তারিত এবং স্পষ্ট একটি ধারণা তুলে ধরবো। তাই সঠিক ভাবে জানতে অনুচ্ছেদটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। যাইহোক এখন আমরা মূল আলোচনা ফিরিয়ে আসি। আমাদের অনেকের একটি কমন প্রশ্ন হচ্ছে ভগবান কে এবং কাকে বলে।

প্রথম সাধারণ ভাবে বলতে গেলে ঈশ্বর যখন ভক্তের ডাকে সারা দেয় এবং সৃষ্টি ভারসাম্য রক্ষা করেন তখন তাকে ভগবান বলে। ভগবান এক এবং অদ্বিতীয় কেবল ভক্তের ক্যাটাগরি হিসেবে নামের বিভিন্নতা রয়েছে। বিষয়টি একটু সহজ করতে উদাহরণ স্বরূপ কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো ভক্ত নিটক ঈশ্বর ভগবান, যোগীর নিকট ঈশ্বর এবং জ্ঞানীদের নিকট ঈশ্বর পরমাত্মা বা নিরাকার ব্রহ্ম বা ওঁ (আউম) নামে পরিচিত। 

এখন বিস্তারিত আলোচনা ভগবান আমরা ছয়টি গুণের বৈশিষ্ট্যের অধিকারীকে আমরা ভগবান বলতে পারি। বিষয়টি সহজভাবে বুঝতে আরো বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হলোঃ সনাতন ধর্ম অনুযায়ী যে ব্যক্তির ধর্মীয় ছয় সৎগুণ সম্পন্নের অধিকারীকে ভগবান বলা হয়। সনাতন ধর্ম ছয়টি সৎগুনের কথা বলা হয়েছে যথা ঐশ্বর্য, বীর্য,যশ,শ্রী,জ্ঞান এবং বৈরাগ্য এই ছয়টি গুনকে একত্রে ভগ বলা হয় যে ব্যাক্তির নিকট এই ছয়টি গুন সম্পন্ন রুপে রয়েছে তাঁকে আমরা ভগবান বলতে পারি। 

এটি কোনো মহাপুরুষকেও বলতে পারি যদি তাঁর নিকট এই ভগ বা ছয়টি গুনের অধিকার হয়ে থাকেন। এজন্য আমরা যেকোনো দেবদেবীর নামের পূর্বে ভগবান বলে সম্মধন করি যেমন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, ভগবান মহেশ্বর, ভগবান বিষ্ণু, ভগবান গনেশ, প্রভৃতি। আশাকরি হিন্দু ধর্মের ভগবান কে এই নিয়ে মনের সকল আসংখ্যা কিছুটা হলেও দূর হয়েছে বা ভালোভাবে বিষয়টি জেনেছেন। সুতরাং আমরা পরিশেষে বলতে পারি যে হিন্দু ধর্মে যেসকল মানব,দেবদেবীর নিকট ভগ বা ঐশ্বর্য, বীর্য,যশ,শ্রী,জ্ঞান ও বৈরাগ্য পূর্ণ মাত্রায় রয়েছে তাঁকে আমরা ভগবান বলতে পারি। 
ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয় তিনি নিরাকার এবং সাকার তাই ভক্ত গণ ঈশ্বরকে যে যেভাবে আরাধনা করে ঈশ্বর তার নিকট সেভাবেই সাড়া দেন এজন্যই তিনি ভক্তের নিকট ভগবান,যোগীর নিকট পরমাত্মা এবং জ্ঞানীর নিকট নিরাকার ব্রহ্ম ওঁ (আউমকার)।

উপসংহার

ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয় আর এই বিশ্বাসকেই একেশ্বরবাদ বলা হয়। ঈশ্বর দুইটি রুপ রয়েছে একটি নিরাকার যা চোখ দেখা যায় না বা আকার নেই যেমন ওঁ এবং অপরটি সাকার যা দেখা যায় এবং আকার রয়েছে যেমন দেবদেবী। ঈশ্বর এক জনেই কেবল ভক্ত সকল নানা নামে অভিভূত করেন এবং ঈশ্বর তাদেরকে সেভাবেই সন্তুষ্টি প্রদান করেন। পরিশেষে এই ধর্মীয় আর্টিকেলটি আপনার কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আপনার কমেন্ট মতামত জানাবেন যদি ভালো লাগে প্রিয়জনদের সিয়ার করার অনুরোধ রইলো এবং ধর্মীয় সকল তথ্য জানতে এই সাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url