লক্ষ্মী পূজার মন্ত্র বাংলা - প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী পূজার নিয়ম

প্রাণায়াম করার পদ্ধতি সুধি পাঠকবৃন্দ আজ আমরা নিয়মিত ধর্মীয় তথ্য উপস্থাপনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে কথা বলবো আজকের মূল টপিক লক্ষ্মী পূজার মন্ত্র বাংলা। আপনি যদি এখনো লক্ষ্মী পূজার মন্ত্র বাংলা না জেনে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য। কারণ এই আর্টিকেল সম্পন্ন শুর হতে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি খুব সহজেই লক্ষ্মী পূজার মন্ত্র বাংলা জানতে পারবেন।

আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে মাতা লক্ষী পূজোর মন্ত্র বাংলা সহ লক্ষী পূজার সঠিক নিয়ম কানুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। লক্ষী পূজার কি কি নিষেধ বলে গণ্য হবে এবং কি কি করা আমাের উচিত হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। সুতরাং আপনি এই আর্টিকেলের লক্ষ্মী পূজার মন্ত্র বাংলা মাধ্যমে অজানা তথ্য জানতে চোখ রাখুন শুরু হতে শেষ পর্যন্ত। সুতরাং কথা আর না বাড়িয়ে চলুন আমরা মাতা লক্ষী পূজার সকল বিধিনিষেধ গুলো জেনে নিই।

প্রিয় পাঠক আজ আমরা এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে আলোচনা করব প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষী পূজার নিয়ম কারণ সমূহ নিয়ে। আমরা যারা হিন্দু ধর্মলম্বীলা রয়েছি প্রত্যেকেই সকলের প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষী পূজা করে থাকে। আপনি যদি প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী পূজার নিয়ম কানুন সমূহ জানতে চান তাহলে আজকের এই অনির চারটি ফলো করুন। কারণ আজ এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে আমরা বৃহস্পতিবারে লক্ষ্মী পূজার নিয়ম কানুন সময় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। 

মাতালক্ষ্মী আমাদের ধন সম্পদের দেবী এ আমরা সকলে কমবেশি জানি। সুতরাং মাতা লক্ষ্মীর পূজার মাধ্যমে সন্তুষ্ট করতে পারলে মাতার সন্তুষ্ট হয়ে আমাদের ধন দৌলত প্রদান করে থাকেন। প্রত্যেক পূজারই নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে যা আজ প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী পূজার নিয়ম সম্পর্কে আর অনুচ্ছেদে তুলে ধরা হবে। 

আপনি যদি লক্ষ্মী পূজার সঠিক নিয়ম কানুন জানতে আগ্রহ হন তাহলে আজকের অনুচ্ছেদটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং খুব সহজেই জেনে নিন কিভাবে লক্ষী পূজা সঠিক নিয়মে করতে হয। সুতরাং কথার না বলে চলুন আমরা মূল আলোচনা শুরু করি। নিম্নোক্তে প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী পূজার নিয়ম সমূহ তুলে ধরা হলোঃ

• সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর স্নান শেরে শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করুন এবং ঘট পরিবর্তন করার জন্য আগেরগুলো নতুন করে সাজিয়ে নিন।
• এরপর একটি থালায় করে চন্দন, দুলবা ঘাস, ফুল আতপ চাল বাতাস সন্দেশ এবং আগরবতি নিবেদন হিসেবে থালায় সাজিয়ে নিন।
• এরপরে তিনবার মঙ্গল ধ্বনি হিসেবে শঙ্খ বাজান এটি শুভ কাজের প্রতীক।
• এরপরে পুনরায় নতুন করে ঘট পরিবর্তন করার মাধ্যমে নতুন করে সাজিয়ে নিন এবং ভোগ নিবেদন করুন।
• এরপর মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে আরতি করুন শঙ্খ ধ্বনির মাধ্যমে।
• এরপরে মাতা লক্ষ্মীর শতনাম বা পাঁচালী পাঠ করুন।

পরিশেষে ভক্তি সহকারে আপনার কাঙ্খিত প্রার্থনা নিবেদন করার মাধ্যমে পুজো শেষ করুন।

ভক্তি সহকারে মাতা লক্ষ্মী পূজা আরতনা করলে এতে মা সন্তুষ্ট হয়ে আপনাকে ধন-সম্পদ প্রদান করবেন।

প্রিয় পাঠক আমরা ইতিপূর্বে উপরোক্ত অনুচ্ছেদের মাধ্যমে প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী পূজার নিয়ম কানুন সমূহ বিস্তারিতভাবে জেনেছি এখন আমরা এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে মাতা লক্ষী পূজার মন্ত্র বাংলা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানবো। আপনি যদি লক্ষী পূজার মন্ত্র বাংলা সম্পর্কে জানতে আগ্রহন তাহলে আজকের এই অনুচ্ছেদের চোখ রাখুন এবং খুব সহজেই লক্ষ্মী পূজার মন্ত্র বাংলা সম্য জেনে নিন। 

আমরা প্রতিনিয়ত সকলের প্রতি বৃহস্পতিবার মাতা লক্ষ্মী পূজা আরাধনা করে থাকি তাই লক্ষ্মী পূজার পূর্বে লক্ষ্মী পূজা প্রণাম মন্ত্রটি জানা অতি আবশ্যক। তাই চলুন আমরা অধিক কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনা উপলক্ষে পূজার মন্ত্র বাংলা সম্পর্কে সঠিক তথ্য আমরা জেনে নেই। নিম্নে মাতা লক্ষ্মী পূজার মন্ত্র বাংলা সম্পর্কিত তথ্য তুলে ধরা হলোঃ

ওঁ বিশ্বরুপস্য ভার্য্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভ।

সর্ব্বত পাহিমাং দেবী মহালক্ষী নমহস্তুতে নমঃ নমঃ

প্রিয় পাঠক আমরা ইতিপূর্বে দুটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্মী পূজার মন্ত্র বাংলা সম্পর্কিত টপিক সম্পর্কিত আলোচনা শেষ করেছি এখন আমরা এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী লক্ষ্মীপূজায় কি কি নিষিদ্ধ করা হয়েছে সে সম্পর্কিত তথ্য আমরা বিস্তারিতভাবে জানব। আপনি যদি ধর্ম বিধান অনুযায়ী লক্ষ্মীপূজায় কি কি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

এমন সম্পর্কিত তথ্য জানতে আগ্রহন তাহলে আজকের অনুচ্ছেদের চোখ রাখুন এবং খুব সহজে জেনে যান লক্ষীপূজায় কি কি নিষিদ্ধ বলে গণ্য করা হয়েছে। সকল পূজোর নিয়ম কারণ রীতিনীতির মত লক্ষ্মী পূজারও নির্দিষ্ট কিছু নিয়মকানুন রয়েছে এর বাইরে নিয়ম কারণ কে নিষিদ্ধ বলে গণ্য করা হবে তাই জেনে নিন নিম্ন পেয়ে লক্ষী পূজা কি কি নিষিদ্ধ করা হয়েছে তা তুলে ধরা হলোঃ

• ঘন্টা ধ্বনি সম্পন্ন রুপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
• তুলসীপাতা দিয়ে নিবেদন না করা উচিত হবে তবে গোবিন্দ পূজোয় অবশ্যই দিয়ে করতে পারবেন।
• সাদাজাতীয় ফুল না বলা হয়েছে তাই এটিও করা থেকে বিরত থাকুন।
• কাঁসার ধ্বনিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাই এটি বাজনো থেকেও বিরত থাকতে হবে তবে ঘন্টা বাজনো যাবে।
• ঘন্টা ধ্বনি এবং কাঁসার ধ্বনি কেবল নিষিদ্ধ বলে গণ্য হবে তবে শঙ্খ ধ্বনি করা যাবে।

পরিশেষে বলা যায় যে উপরোক্ত নিয়ম কানুন জানার মাধ্যমে লক্ষ্মী পূজা করা সঠিক বলে গণ্য হবে যেগুলো নিষিদ্ধ করা আছে সেগুলো বিরোধ থেকে বিরত থাকতে হবে আমাদের। উপরিউক্ত নিয়ম মেনে মাতা লক্ষী পূজো করুন।

প্রিয় পাঠক আমরা ইতিপূর্বে লক্ষ্মীপূজায় কি কি নিষিদ্ধ শহ লক্ষ্মী পূজার মন্ত্র বাংলা তা সম্পর্কিত সকল তথ্য বিস্তারিতভাবে জেনেছে এখন আমরা এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে লক্ষী পূজার কি কি ফুল লাগে সে সম্পর্কে তথ্য সম্পর্কিত বিস্তারিতভাবে জানব। আপনিও যদি এমন তথ্য জানতে আগ্রহ হন তাহলে আজকের এই অনুচ্ছেদে চোখ রাখুন এবং খুব সহজেই তা জেনে নিন। 

হিন্দু ধর্ম বিধান অনুযায়ী লক্ষ্মীপূজায় সাদা প্রজাতীয় ফুল নিষিদ্ধ বলে বিবেচিত হয় তাই কোন ফুলে মাতাল কি দেবে কে প্রসন্ন করা যায় সেই সম্পর্কিত খুললেই আজকের বিস্তারিত আলোচনা। আপনি যদি এমন তথ্য খুঁজে এবং এমন তথ্য সম্পর্কিত জানতে চান তাহলে আজকের অনুচ্ছেদটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

পুষ্পাঞ্জলীর মাধ্যমে সকল দেবদেবী প্রসন্ন হয়ে থাকেই আমরা সকলে কমবেশি জানি। তাই কি কি ফুল দিয়ে লক্ষ্মী পূজা করতে হয় এমন অজানা তথ্য নিয়ে আজকের এই অনুচ্ছেদের মূল আলোচনা। সুতরাং চলুন আমরা কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনা শুরু করা যাক। নিম্নে সশ্রদ্ধ হয়ে কি কি ফুল লাগে তা তুলে ধরা হলো

• রঙিন জাতীয় ফুল হলুদ গাঁদা, গোলাপ ফুল সমূহ দে লক্ষী পূজা করলে মাতালক্ষ্মী সন্তুষ্ট হন।
• যেহেতু মাতালক্ষীপূজায় সাদা ফুল নিষিদ্ধ বলে গণ্য করা হয়েছে তাই সাদা ফুল বিরত রাখুন এবং রঙ্গিন খুললে বাধা লক্ষী পূজা করুন।
• কেবল সাদা ব্যতীত রঙিন উজ্জ্বল ফুল দিয়ে পূজা করুন।
• পদ্ম ফুল দিয়ে মাতালকে পূজা করা করুন।
• নীল জাতীয় জবা ফুল দিয়ে মাথা লোকের পূজা করা যায়।

প্রিয় পাঠক আমরা ইতি পূর্বে উপরোক্ত অনুচ্ছেদের মাধ্যমে লক্ষ্মীপূজায় কি কি ফুল লাগে কেবল সে সম্পর্কিত তথ্য আমরা জেনেছি এখন আমরা এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে লক্ষ্মীপূজায় কি কি ফল লাগে সে সম্পর্কে তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। লক্ষী পূজায় আমরা সকলে কমবেশি ফল অর্পণ করে থাকি তাই এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জেনে নিন যে কোন কোন ফল দ্বারা লক্ষ্মীপূজায় আপনি অর্পিত নিবেদন করবেন। 

আপনিও যদিও এখনো লক্ষ্মী পূজা কি কি ফল দ্বারা নিবেদন করা হয় এমন সমুদ্র তো না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই অনুচ্ছেদের চোখ রাখুন এবং খুব সহজে জেনে যান লক্ষ্মীপূজায় কি কি ফল দ্বারা মাতালকে নিবেদন করা যায়। সকল প্রজার মতো লক্ষ্মী পূজার কিছু বিধি নিষেধ রয়েছে। 

তাই আমরা এই মসজিদের মাধ্যমে জানবো লক্ষী পূজায় কি কি ফল নিবেদন করার মাধ্যমে মাতা লোকে কে খুব সহজেই প্রসন্ন করা সম্ভব। তাই চলুন আমরা কথা আর না বাড়িয়ে মূল আলোচনা শুরু করার যাক। নিম্নে লক্ষ্মী পূজায় কি কি ফল লাগে সে সম্পর্কে তথ্য সমূহ তুলে ধরা হলো

• নারকেল নিবেদন করা সঠিক হবে।
• কাঁঠালি কলা নিবেদন করা সঠিক হবে।
• হয়তো কি ফল নিবেদন করা সঠিক হবে।
• পিয়ারা নিবেদন করার সঠিক হবে।
• আপেল এবং কমলা উভয়ে নিবেদন করার সঠিক বলে গণ্য হবে।
• কলা নিবেদন করা সঠিক বলে গণ্য হবে।
• মিষ্টি জাতীয় ফল নিবেদন করার সঠিক বলে গণ্য হবে যেমন রয়েছে সবেদা।
• আম নিবেদন করাও সঠিক বলে গণ্য হবে।

পরিশেষে বলা যায় যে সকল প্রকার সাতটি ফল লক্ষ্মী পূজায় নিবেদন করা সঠিক বলে বিবেচিত হবে। লক্ষ্মী পূজায় ফুলের কিছু নিষিদ্ধ রইলো ফলের ক্ষেত্রে তেমন কোনো নিষেধ বা বিধি-বিধান নেই বলেই চলে। তাই যেকোনো ফল দাঁড়ায় মাতালক্ষ্মী কে নিবেদন করা যেতে পারে।

প্রিয় পাঠক আজ আমরা এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে আলোচনা করব টপ একটি হচ্ছে লক্ষ্মীপূজায় ঘন্টা বাজানো হয় না কেন তার সম্পর্কিত তথ্য নেই। আমরা সকলে কমবেশি জানি যে লক্ষীপূজায় ঘন্টা বাঁজানোর নিষিদ্ধ বলে গণ্য হয়। কিন্তু কেন ঘন্টা বাজানো নিষিদ্ধ এটা হয়তো অনেকে আমরা জানিনা। 

সুতরাং আমরা আজ সেই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে জানবো কেন ঘন্টা বাজালে এই অপসন্ন হন। সুতরাং কথা না বলে চলুন আমরা মূল টপিক জেনে নেই হিন্দু ধর্মে পুরান মতে ঘন্টা কর্ণ নামে এক অসুরের জন্ম হলে সে অসুর মাতালক্ষ্মী কে অশ্লীল আচারণের মাধ্যমে ক্ষিপ্ত করেছিলেন। এই থেকে মাতাল লক্ষ্মী ঘন্টা কর্ণের উপর ক্ষিপ্ত এবং ঘন্টা বাজালে অপসন্ন হয়ে থাকেন। 

এরপর থেকে ঘন্টা পণ্যের নাম শুনলে মাথা লক্ষী অপ্রসন্ন হয়ে থাকেন তাই আমরা লক্ষ্মীপূজায় ঘন্টা বাজানো সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরিশেষে বলা যায় যে উপরোক্ত কারণটির জন্যই লক্ষী পূজোয় ঘন্টা বাজানো সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ বলে গণ্য করা হয়েছে।

পরিশেষে বলা যায় যে সকল পুজোর মতই লক্ষ্মী পূজার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন রয়েছে এগুলো আমাদের মেনে চলা একান্ত জরুরী একটি বিষয় । কোন কোন বিধি নিষেদ মানব সে সম্পর্কিত তথ্য নিয়েই পুরো আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। মাতা লক্ষ্মীর পুজোয় যেগুলো নিষিদ্ধ বলে গণ্য করা হয়েছে সেগুলো থেকে বিরত রেখে আমাদের লক্ষ্মীপূজো করা উচিত বলে গণ্য করা উচিত বলে গণ্য হবে। 

কারণ যেগুলো কারণকে নিষিদ্ধ বলে গণ্য করা হয়েছে সেগুলো করলে মাথা অপ্রসন্ন হবে সুতরাং আমাদের এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে। পরিশেষে আর্টিকেলটি আপনার কেমন লেগেছে তা কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন আর আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনার প্রিয়জনদের কাছে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।