প্রাণায়াম করার পদ্ধতি - প্রাণায়াম করার সময়

সুধি পাঠকবৃন্দ আজ আমরা নিয়মিত ধর্মীয় তথ্য উপস্থাপনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে কথা বলবো আজকের মূল টপিক প্রাণায়াম করার পদ্ধতি - প্রাণায়াম করার সময় জানবো। আপনি যদি এখনো প্রাণায়াম করার পদ্ধতি - প্রাণায়াম করার সময় না জেনে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য। কারণ এই আর্টিকেল সম্পন্ন শুর হতে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি খুব সহজেই প্রাণায়াম  করার পদ্ধতি - প্রাণায়াম করার সময় জানতে পারবেন।
প্রাণায়াম করার পদ্ধতি
আমাদের হিন্দু ধর্মালম্বী ভাই বোন সকলেই ধর্ম জ্ঞান খুব জরুরি কারণ আপনি যদি প্রিতা বা মাতা হোন তাহলে আপনের হাত ধরেই আগামী প্রজন্ম গড়ে উঠবে তাই আপনি স্বয়ং নিজে ধর্মজ্ঞান লাভ করুন এবং বাচ্চাদের ছোট থেকেই ধর্মজ্ঞান প্রদান করুন। আজ আপনি এই আর্টিকেল জুরে প্রাণায়াম করার পদ্ধতি - প্রাণায়াম করার সময় নিয়ে কিছু আজানা তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। সুতরাং অধিক কথা আর না বাড়িয়ে চলুন আমরা তা জেনে নিই ।

পোস্টের সূচিপত্রঃপ্রাণায়াম করার পদ্ধতি - প্রাণায়াম করার সময়

প্রাণায়াম করার পদ্ধতি - প্রাণায়াম করার সময়

প্রিয় পাঠুক আমরা যদি এই আরেক অনুচ্ছেদের মাধ্যমে প্রাণায়াম করার সময় সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান লাভ করতে পারি তাহলে কেমন হয়। অথবা আপনিও যদি প্রণয়ন করার সঠিক সময় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান বা তথ্য খুঁজে থাকেন তাহলে আজকের এই অনুচ্ছেদটি আপনার জন্য হতে চলেছে। কারণ আজ আমরা এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে প্রণয়ন করা সঠিক সময় নিয়ে বিস্তারিতভাবে জানবো। 

প্রাণায়াম করার সঠিক সময় জানার পূর্বে একটি তথ্য জেনে রাখা ভালো যে প্রাণায়াম অর্থ কি। প্রাণায়ম হচ্ছে আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ রাখার একটি পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া মাত্র। তাই এটি করার পূর্বে আপনাকে প্রাণায়াম করার সুতরাং বানান করা পূর্বে প্রাণায়াম সম্পর্কিত জ্ঞান থাকা অত্যন্ত আবশ্যক। প্রাণায়াম এর মাধ্যমে আমরা শ্বাস প্রশ্বাস কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হই। 
আমরা সকলে কমবেশি জানি যে আমাদের মস্তিষ্ক প্রভাতে শান্ত থাকে তাই আমরা যদিও সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠার পরে প্রাণায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি তাহলে আমাদের বেশি কার্যকরী হবে। সুতরাং কথা আর না পেরে চলুন আমরা মূল আলোচনার জেনে নেই। নিম্নে প্রাণায়াম করার সঠিক সময় সম্পর্কিত তথ্য তুলে ধরা হলোঃ
  • সকালে সূর্যাস্তের পূর্বে ঘুম থেকে উঠতে হবে এর পরে নিরিবিলি স্থান নির্বাচন করুন।
  • সেখানে বসে একাকিত্বে প্রাণায়াম শুরু করতে পারেন।
  • প্রথমে আপনাকে পদ্মাসন আসনে বসতে হবে।
  • এরপরে প্রথমে গভীর শ্বাস নিন এবং ত্যাগ করুন।
  • প্রথমে ডান হাত দিয়ে নাসিকার একটি ছিদ্র বন্ধ করে গভীর শ্বাস নিন।
  • এরপরে সেই শ্বাস কিছু ক্ষন ধরে রাখুন।
  • এর পরে পরে বন্ধ নাসির ছিদ্র খুলে দিন এবং শ্বাস ত্যাগ করুন।
  • এরপরে আবার সেই খোলা নাসিকার ছিদ্র হতে শ্বাস নিন এবং অপর নাসিকার ছিদ্রপথ দিয়ে ত্যাগ করুন।
  • এভাবে ১০-১৫ মিনিট করুন।
প্রণায়ণে শ্বাস গ্রহণ করাকে রেচক, শ্বাস গ্রহণের পর মাঝে সময়ে ধরে রাখাকে পূরক এবং শ্বাস ত্যাগ করাকে কুম্ভক বলে। প্রাণায়াম করার সময় প্রতিদিন সকলে ঘুম থেকে উঠার পর করুন এতে অধিক সুফল পাওয়া যায়।

প্রাণায়াম কত প্রকার

প্রিয় পাঠক কাউকে আলোচনার মাধ্যমে আমরা প্রণয়ন করার সঠিক সময় সম্পর্কিত তথ্য জেনেছি এখন এই মসজিদের মাধ্যমে আমরা প্রণয়ন কত প্রকার ও কি কি সে সম্পর্কিত তথ্য জানবো। শরীর ভালো রাখতে বা সুস্থ রাখতে প্রাণায়াম একটি বিশেষ উপকারী ব্যায়াম। কারন আমরা ইতিপূর্বে জেনেছি যে প্রাণায়াম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম এটি করলে আমাদের হৃদপিন্ড সচল রাখতে সাহায্য করে। 

প্রাণায়াম কয়েক প্রকার রয়েছে আমরা সেগুলো কি কি তা নিয়েই আজকের এই অনুচ্ছেদের মূল আলোচনার মাধ্যমে জানব। আপনিও যদি প্রাণায়ম কত প্রকার না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই অনুচ্ছেদটিতে চোখ রাখুন এবং সহজেই সে সম্পর্কিত তথ্য জেনে নিন। 
সুতরাং আমরা কথার না বাড়িয়ে চলুন মূল আলোচনা প্রাণান কত প্রকার ও কি কি তা জেনে নেই। হিন্দু ধর্ম মতে প্রাণায়াম করার কার্যকরী কয়েক প্রকার বিধান রয়েছে আমরা সে সকল তথ্য সমূহ জানবো। নিম্নতে প্রণায়ম কত প্রকার ও কি কি তা তুলে ধরা হলোঃ
প্রণায়াম ৮ প্রকার পদ্ধতি রয়েছে যথাঃ
  1. ভস্তিকাময় প্রণায়ম।
  2. কপালভাতিকা প্রণায়ম।
  3. বাহ্যক প্রণায়ম।
  4. অনুলোমা প্রণায়ম।
  5. ভ্রমরীকা প্রণায়ম।
  6. নাড়ি সবল প্রণায়ম।
  7. চন্দ্রভেদীকা প্রণায়ম।
  8. উজ্জ্বালয়ী প্রণায়ম।

প্রাণায়াম উপকারিতা

প্রিয় পাঠক উপলক্ষ্য আলোচনার মাধ্যমে আমরা এই তো পূর্বে প্রাণায় কি এবং প্রণয়ন করার সময় এবং প্রাণায়াম কতবার কি কি তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে জেনেছি। এখন আমরা এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে প্রণয়ন করা উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানবো। আমরা সকলে কমবেশি জানি যে একটি সুস্থতায় সুন্দর মন বিকাশিত হয়। শরীরকে সুস্থ সবল রাখতে এবং সকল কাজের জন্য উপযুক্ত রাখার জন্য আমাদের ব্যায়াম করার কোন বিকল্প নেই। এটি বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রমাণিত আমাদের ৪০ মিনিট কমপক্ষে ব্যায়াম করা উচিত।

প্রাণায়াম একটি নির্দেশন যা মাধ্যমে আমাদের শরীরের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সচল রাখতে বিশেষ কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। সুতরাং শরীরকে সুস্থ সকল রাখতে আমাদের প্রতিদিন প্রেণায়ম বা মেডিটেশন করা করা আমাদের সকলেই উচিত। একটি কথা জেনে রাখা ভালো যে প্রাণায়াম ব্যায়ামটি ছোট বড় সকলেই করতে পারবে তবে কোন ঝুঁকিপূর্ণ ব্যায়ামের পূর্বে পেশাদার পরামর্শ অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। 

যাই হোক আজকের এই অনুচ্ছেদে মূল আলোচনা প্রণাময়ের উপকারীতা সকল তথ্য সমূহ জানবো এটি করার ফলে আমাদের শরীরের কোনো কোনো উপকারিতা আমরা লাভ করবো সেকল তথ্য আমরা জানবো আপনিও যদি প্রাণায়াম করার উপকারীতা সমূহ তথ্য জানতে আগ্রহী হোন তাহলে আজকের অনুচ্ছেদে চোখ রাখুন এবং খুব সহজেই তা জেনে নিন। তাই চলুন আমরা কথা না বাড়িয়ে প্রণায়াম করার উপকারীতা জেনে নিই। নিম্নবর্গের প্রণায়াম করার উপকারী সকল তথ্য তুলে ধরা হলোঃ
  • ফুসফুস সবল রাখতে সহায়তা করে।
  • শরীরে সঠিক মাত্রায় অক্সিজেন সরবরাহ করতে সহায়তা করে।
  • হৃদপিণ্ড ভালো বা সবল রাখতে সহায়তা করে।
  • আমাদের মানসিক চাপ গ্রহণ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
  • সকল কাজ করার মনোবল বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
  • মনকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে।
  • শরীরের সকল ঐচ্ছিক পেশি গুলো সচল রাখতে সহায়তা করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
  • মানসিক প্রশান্তি প্রদান করে।
  • শরীরের রক্ত চলাচল সঠিক রাখতে সহায়তা করে।
  • শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত রোগ হতে মুক্তি প্রদান করে।
  • দেহকে সুঠম এবং সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
  • একাগ্রতা বৃদ্ধি করে।
  • স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি ঘটতে সহায়তা করে।
  • শরীরের ওজন সঠিক রাখতে সহায়তা করে।
প্রণায়াম মেডিটেশনের মাধ্যমে আমাদের মনঃসংযোগ বৃদ্ধি ঘটে এর ফলে আমরা সকল কাজ করবার মতো মনোবল পায়। তাই নিয়মিত সকাল প্রণায়াম করুন এটি বিজ্ঞানসম্মত একটি ব্যায়াম। যার মাধ্যমে আমাদের শরীরের প্রধান অঙ্গ প্রতঙ্গ সচল রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এবং এটি করার ফলে আপনি সারা দিন কাজ করার মতো এনার্জি পাবেন সহ মানসিক প্রশান্তি লাভ করবেন।

উপসংহার

প্রণায়াম একটি মেডিটেশনের গুরুত্বপূ্র্ণ্য অঙ্গ যা ধর্মীয় বা বিজ্ঞান সম্মত একটি ব্যায়াম। এই ব্যায়াম প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে সকালে ঘুম থেকে উঠার পর করলে অধিক সুফল পাওয়া যায়। প্রণায়াম করার মাধ্যমে আপনার যেমন শরীরের প্রধান অঙ্গ গুলো সচল সবল রাখবে অন্যদিকে আপনার মনঃসংযোগ বৃদ্ধি করবে তাই ছোট বড় নারী পুরুষ সকলে প্রণায়াম ব্যায়ামটি সকলে করতে পারবে। পরিশেষে এই আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে আপনার সামান্যতম উপকৃত হলে অপরে জানার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url