কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় - রোগ প্রতিরোধের জন্য কোন অভ্যাস ভালো

আমাদের অধিকাংশ ব্যাক্তির রয়েছে পর্যাপ্ত ঘুমের সমস্যা এটি মূলত ঘটছে আমাদের কিছু ত্রুটিপূর্ণ রুটিন এবং খাদ্যাবাসের জন্য। যাইহোক আজকের আর্টিকেলটির মূল আলোচনা কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়। সুতরাং আমরা কথা আর বাড়িয়ে চুলুন জেনে নিই আমাদের কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় সে বিষয়ে চিকিৎসকের মতামত।
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়
বর্তমান জেনারেশানে পর্যাপ্ত ঘুমের সমস্যা প্রায় সকলেই রয়েছে। ঘুমের সমস্যার মূল কারণে হচ্ছে আমাদের বদঅভ্যেস অকারণ ফোন চাপা, রাতে ক্যাফিন জাতীয় খাবার খাওয়া প্রভৃতি কারণ রয়েছে। যাই হোক আজকের এই আর্টিকেলের মূল কথা কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় সেবিষয়ে চিকিৎসকের মত নিয়েই আলোচনা। সুতরাং দেরি আর না করে আমরা জেনে নিই যে মানবদেহে কোন ভিটামিনের অভাবে খুম কম হয় সে সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত জেনে নিই সাথেই থাকুক।

পোস্টের সূচিপত্রঃকোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় - রোগ প্রতিরোধের জন্য কোন অভ্যাস ভালো

রোগ প্রতিরোধের জন্য কোন অভ্যাস ভালো

সুস্থ দেহে সুন্দর মন এ আমরা সকলে জানি তাই আমাদের দেহকে সবল রাখার জন্য প্রতিদিনই আমাদের কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তুলা খুবই জরুরি। সুতরাং আপনি যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য কোন অভ্যাস করা ভালো সেগুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ আজকের মূল আলোচনায় হচ্ছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য কোন অভ্যাস গুলো আমাদের ভালো সে বিষয় নিয়ে।
সুতরাং কথা আর না বাড়িয়ে চলুন আমরা খুব সহজে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নেই যে কোন অভ্যাস গুলো রোগ প্রতিরোধের জন্য ভালো অভ্যাস।
নিম্নে রোগ প্রতিরোধের জন্য কোন অভ্যাসগুলো ভালো তা নিয়ে নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
  • নেশা এবং মাদকদ্রব্য থেকে দূরে রাখতে হবে নিজেকে।
  • প্রতিদিন অতিরিক্ত পরিমাণে ফাস্টফুড খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
  • অতিরিক্ত রাত জাগা যাবে না রাতে পর্যাপ্ত ঘুম দিতে হবে।
  • নিজেকে নিয়মিতভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
  • কাল কোন কাজগুলো করব সে বিষয়ে আজ রাতেই টেবিল বানাতে হবে।
  • প্রতিদিন ১ ঘন্টা থেকে ২ ঘন্টা যাবত নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে।
  • প্রতিদিন ৪০ মিনিটের বেশি সময় ধরে হাঁটাহাঁটি করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
  • প্রতিদিন সকালে যোগব্যায়াম তথা মেডিটেশন করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
  • প্রতিদিন সূর্যোদয়ের পূর্বে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস করতে হবে।
  • প্রতিদিনের ডাকমেনুতে সুষম খাদ্য যোগ করতে হবে।
  • টেনশন মানসিক যা হতাশাগ্রস্থ এসব থেকে দূরে রাখতে হবে নিজেকে।
  • সর্বদা পজেটিভ থিনকিং করার অভ্যাস গরে তুলতে হবে।
  • রক্তচাপ বেড়ে যায় এমন কোন খাবার বা সেই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
  • প্রতিদিন কমপক্ষে দুই লিটার বা এর বেশি পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়

বর্তমান জেনারেশনের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে ঘুমের সমস্যা। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৭০ জনের ঘুমের সমস্যা রয়েছে। ঘুম সম্পর্কিত একটি তথ্য জেনে রাখা ভালো যে আমরা যখন রাতে ঘুমাই তখন আমাদের শরীরে নানা ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয় এর ফলে আমাদের বিকাশ বুদ্ধের প্রসারিত হয়। যদি কোনো কারণে আমাদের ঘুমের ঘাটতি থেকে থাকে তাহলে হরমোন নিঃসৃত না হওয়ার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিন দিন কমতে থাকবে।

এর ফলে আমাদের শরীরের বাসা বাঁধবে রোগ আমরা হবো অসুস্থ। তাই ঘুম আমাদের মানবদের জন্য একটু খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একজন প্রাপ্তবয়স্কের দিনে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। যাইহোক আজকের আলোচনা হচ্ছে কোন ভিটামিনের অভাবে আমাদের ঘুমের অভাব হয় সে সম্পর্কিত তথ্য নিয়ে। সুতরাং কথা আর না বলে চলুন আমরা এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে খুব সহজেই জেনে নিই যে কোন ভিটামিন এর অভাবে আমাদের ঘুমের অভাব দেখা দেয়।

চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে ভিটামিন ডি এর অভাবে আমাদের ঘুমের সমস্যা কারণ হতে পারে। কারন আমাদের মানবদেহে ঘুমের জন্য মেলাটনিক হরমোনটি প্রয়োজন আর এই হরমোন নিঃসৃত করতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। সুতরাং মানবদেহে যখন ভিটামিন-ডি এর ঘারতি দেখা দিলে আমাদের ঘুমের সমস্যার সৃষ্টি হবে।

ঘুমের ঘরোয়া চিকিৎসা

যে সকল ব্যক্তির ঘুমের সমস্যা জড়িত কারণে ভুগছেন আজকের অনুচ্ছেদেটি সেসকল ব্যক্তির জন্য হতে চলেছে কারণ আজ ঘুমের ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়েই থাকছে বিস্তারিত আলোচনা। প্রতিটি মানুষেরই ঘুমের সমস্যা জনিত কারণে মূলে রয়েছে আমাদের খাদ্যাভাসে অনিয়ম বা ত্রুটি রয়েছে। সুতরাং আপনি যদি ঘুমের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে আগ্রহ হন তাহলে এই অনুচ্ছেদেটিতে চোখ রাখুন বা ফলো করুন। 

আমাদের প্রতিনিয়ত রাতের খাবার ত্রুটির কারণে আমাদের ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। রাতে যেসব খাবার গ্রহণ করার ফলে আমাদের ঘুমের ত্রুটি বা বেকার জড়িত কারণ হয়ে থাকে সেসব খাবার খেয়ে অতি শীঘ্র পরিত্যাগ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ক্যাফিন জাতীয় খাবার পরিত্যাগ করতে হবে তা কফি রাতে ঘুমানোর আগে খাওয়া যাবে না এর ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। 
যেসব খাবার গ্রহণ করলে রাতে ঘুম ভালো হয় সেসব খাবার আমাদের করা উচিত যেমন ম্যাগনেসিয়াম আমাদের রাতে ঘুম আসছে দ্রুত সাহায্য করে। কাঠ বাদাম, দুধ, ইত্যাদি যেসব খাবারে ম্যাগনেসিয়াম এর পরিমাণ বেশি আছে সেসব খাবার গ্রহণ করা উচিত তাহলে আমাদের খুব তাড়াতাড়ি ঘুম আসতে সাহায্য করবে।

কি খেলে রাতে ঘুম আসে না

আমাদের ঘুমের সমস্যা হওয়ার পিছনে রয়েছে আমাদের প্রতিদিনের ত্রুটিপূণ্য রুটিন মেনে চলা। যাইহোক আজকের অনুচ্ছেদে মূল আলোচনা হচ্ছে কি খেলে রাতে ঘুম আসে না সেসব খাবার নিয়েই আজকের বিস্তারিত আলোচনা। সুতরাং আপনি যদি কি খেলে রাতে ঘুম আসে না এমন খাবার সম্পর্কিত তথ্য জানতে আগ্রহী হোন তাহলে আজকের অনুচ্ছেদে চোখ রাখুন।
রাতে ঘুমানোর আগে সিগারেট, কফি,চা এসব খাবার হতে নিজেকে বিরত রাখুন কারণ ক্যাফিন জাতীয় খাবার রাতের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। যেসব খাবার খেলে আনাদের খুব তাড়াতাড়ি ঘুম আসবে এমন খাবারের মেনু অভ্যাস করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে ম্যাগনেশিয়াম জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন। কারণ এমন খাবার শরীরকে শিথিল করে মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে এর ফলে অতি তাড়াতাড়ি আমরা ঘুমে যায়।

শেষ কথা

একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য দিনে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। ঘুমের মাধ্যমেই আমাদের শরীরের সকল অভাব দূর করতে সহায়তা করে আমাদের শারীরিক সুস্থতা, বদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সুতরাং পূর্ণাঙ্গ জীবন যাপনের আমাদের ঘুমের অধিক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাই রাতে ঘুমানোর পূর্বে যেসব খাবার সেবনের ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এমন খাবার পরিত্যাগ করতে হবে। একটি সুস্থতা অবলম্বনে একটি টাইমটেবল রুটিন মেইনটেইন করুন রোজ একই সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url