চোখ চুলকালে কি করা উচিত - চোখ দিয়ে পানি পড়ার কারণ ও প্রতিকার

এলার্জিজনিত সমস্যা, ভাইরাসজনিত সমস্যা নানাবিধ কারণে আমাদের চোখে ইনফেকশন হতে পারে ফলে আমাদের চোখ চুলকানো দেখা দিতে পারে। চোখ একটি গুরুত্বপূর্ণ শরীরের অঙ্গ তাই সবসময়ে সতর্কতা অবলম্বন করুন। আর আপনি যদি চোখ ভালো রাখার জন্য সঠিক তথ্য পেতে চান তাহলে আজকে আর্টিকেলটি ফলো করুন। কারণ আজকের মূল আলোচনায় হচ্ছে চোখ চুলকালে কি করা উচিত চোখে পানি পড়ার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। সুতরাং কথার না বাড়িয়ে চলুন চিকিৎসকের মতে চোখ চুলকালে কি করা উচিত এবং চোখে দিয়ে পানি পড়ার কারণ ও প্রতিকার সম্বন্ধে স্পষ্ট একটা ধারণা আমরা নেই। সুতরাং চোখ সম্পর্কিত স্পষ্ট ধারণা পেতে আজকের আর্টিকেলটিতে চোখ রাখুন।

আমাদের প্রতিনিয়ত নিত্যদিনের কাজ কর্মের মাঝে হঠাৎ আমাদের চোখে চুলকানি আমরা অনুভব করি। এটি মূলত বাইরের দূষিত বায়ু থেকে হতে পারে, চোখে এলার্জিজনিত সমস্যার কারণে হতে পারে, পোকামাকড় আঘাত জনিত কারণেও হতে পারে। যাইহোক যদি আপনার হঠাৎ করে চোখ চুলকানো আপনি অনুভব করেন তাহলে আপনি কি করবেন বা আপনার কি করা উচিত হবে। চলুন আজকের চিকিৎসকের মতে চোখ চুলকালে কি করা উচিত হবে এবং আমাদের আবশ্যকটা আমরাই আর্টিকেলের মাধ্যমে খুব সহজে জেনে নেই। 

হঠাৎ যদি বায়ু দূষণের ফলে আপনার চোখ চুলকালে কি করা উচিত চোখে চুলকানি অনুভব করেন তাহলে আপনি ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুতে পারেন এবং চোখে পানির ঝাপলা দিতে পারেন। এ কেবল চোখের সাধারণ চুলকানি বা ব্যথা অনুভবের সময় ঠান্ডা পানি নিয়ে নরম কাপড়ে ভিজিয়ে ব্যবহার করবেন এতে চোখের চুলকানো বা দূষিত পদার্থ বেরিয়ে আসতে আপনার ব্যাথানাশক হিসেবে অনেকটাই সাহায্য করবে এর ফলে আপনি আরাম বা অস্বস্তি বোধ করবেন।

কিন্তু যদি আপনার চোখ চুলকালে কি করা উচিত বা চুলকানি পরিমাণটা একটু বিশেষ বা তীব্র ব্যথা অনুভব করেন তা সেক্ষেত্রে আপনি একটু হালকা গরম জলের সঙ্গে স্যালাইনের জল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন চোখ মুছে দিতে এটি ব্যবহার করতে পারেন। এসব প্রক্রিয়া কেবল কেবলমাত্র প্রাথমিক অবস্থায় জরুরি প্রয়োজনে আপনি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। কারণ চোখ আমাদের মানবদেহের সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ একটি ইন্দ্রীয় হিসেবেই বিবেচিত । তাই চোখের সামান্য কারণে অবহেলা নয় সমম্যা দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন ।

আমরা ইতোমধ্যে অবগত হয়েছে যে চোখে চুলকানি আমাদের কি করণ উচিত এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আমরা উপরিউক্ত অনুচ্ছেদের মাধ্যমে জেনেছি। এখন এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে আমরা জানবো চোখ দিয়ে পানি পড়ার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে একটি বিস্তারিত আলোচনা। 

যদি আপনিও এমন সমস্যা ফেস করেন অথবা আপনার আশেপাশের কাউকে এমন সমস্যা ফেস করতে দেখেন তাহলে যদি আপনি চোখের পানি পড়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পেতে চান তাহলে দেরি না করে আজকের অনুচ্ছেদটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং খুব সহজে জেনে যান চোখে পানি পড়ার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে চিকিৎসকের মতামত। নিম্নবর্গের চোখ দিয়ে পানি পড়ার কারণ ও প্রতিকার গুলো তুলে ধরা হলোঃ

চোখে পানি পড়াকে কেন্দ্র করে চিকিৎসক কিছু বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন। সেগুলো বিষয় হচ্ছে আমাদের চোখের কোটরে ল্যাক্রিমাল নামক গ্রন্থ হতে চোখের পানি উৎপন্ন হয়ে চলছে। আমাদের চোখে যে সারাক্ষণ পানি উৎপন্ন হয় এর ফলে অতিরিক্ত পানি গুলো আমাদের নাকের নালি হতে শোষিত হয়। আর ফলেই আমাদের চোখের পানির ভারসাম্য ঠিক থাকে। 

যদি কোনো কারণে এই নাকের নালিটিতে শোষণ প্রক্রিয়াটি বিগ্ন ঘটে তাহলে সেই অতিরিক্ত তৈরিকৃত পানি আমাদের চোখের থেকে পড়তে দেখা যায়। সুতরাং আপনার বা আপনার আশেপাশে কারো এমন সমস্যা দেখলে বুঝতে হবে যে তার নেত্রনালির সমস্যা জনিত তার সেই অতিরিক্ত তৈরিকৃত পানি চোখ হতে বাহিরে আসতেছে। এমন ব্যাক্তিকে জরুরি প্রয়োজন চোখ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করতে উৎসাহিত করবেন।

চোখ আমাদের মানব দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ইন্দ্রীয় যা ছাড়া আমাদের পৃথিবী পুরো অন্ধকার। চোখ আমাদের অনুভূতির প্রকাশের বাহকও বলা চলে কারণ একটি মানুষ মিথ্যে কথা বলতে পারে কিন্তু তার চোখ সর্বদা সত্যকে ইঙ্গিত করে তাই তো আমাদের অধিক আনন্দ বা খুব কষ্ট হলে আমাদের চোখ হতে পানি বাহিরে আসে। উপরিউক্ত অনুচ্ছেদে মাধ্যমে আমরা জেনেছি যে ল্যাক্রিনাল নামক এক ধরনের গ্রন্থি হতে আমাদের চোখের পানি সারাক্ষণ তৈরি হতে থাকে। 

যদি কখনো আপনি খুব কষ্টে আছেন এবং মনে হতে পারে আপনি কান্না করতে পারলে হয়তো কিছুটা হালকা হতে পারতেন। আপনার ভিতরে অনেক কষ্টের অনুভূতি তথাপি আপনার চোখ হতে পানি বাইরে আসতেছে না তাহলে আপনার বুঝতে হবে যে আপনার চোখের বহিঃকোটরে অবস্থিত ল্যাক্রিনাল গ্রন্থটি ঠিকঠাক মতো কাজ করছে না আপনার প্রয়োজনী চোখের পানি উৎপন্ন হচ্ছে না আপনার চোখ সারফেস শুকিয়ে গেছে। 

এমন অবস্থার শেষ স্টেজে একটি মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে যাকে চিকিৎসকের ভাষায় কর্নিয়া ব্রাইটনেস বলে। চোখের ল্যাক্রিনাল গ্রন্থি বা সারফেস শুকিয়ে যাওয়া জন্য দায়ী যেসব বিষয় সেগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ

• একটি মানব দেহে যখন অধিক দিন ধরে নার্ভের সমস্যা জনিত কারণে।
• অতিরিক্ত ওষুধ সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে এটি হতে পারে।
• ইচ্ছাকৃত বা ইচ্ছাকৃতভাবে চোখে যদি ক্ষারীয় উপাদান এসিড, গামারশ্মির তৈজস সক্রিয়তা প্রভাবে সারফেস শুকিয়ে যেতে পারে।
• দীর্ঘদিনের মানবদেহে বার্ধক্য জনিত সমস্যার কারণেও চোখের পানি উৎপন্ন হওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
• মানুষের ভিটামিন-এ এর ঘারতিরও এ সমস্যা দায়ী।
• আবার অনেক সময় হরমোন জনিত সমসয়ার ফলেও চোখের সারফেস শুকিয়ে যায়।
• পরিশেষে আপনার যদি এমন সমস্যার দেখা বা লক্ষ্যণ প্রকাশ পায় আপনার কষ্টেও পানি না আসে বরং চোখ জ্বালার অনুভূতি হয় এবং আলোতে তাকাতে অধিক সমস্যার সৃষ্টি হয় তাহলে অতিজরুরী ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

আমাদের চোখ হতে নানাবিত কারণে চোখের পানি পরতে দেখা যায়। সেসব কারণ সমূহ গুলো হচ্ছে অতিরিক্ত সর্দি জনিত কারণ, নাকের নেত্রনালি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে, চোখ উঠলে, কর্নিয়ার দীর্ঘদিনের ঘা থাকলে বা আঘাত জনিত কারণ সমূহের জন্য চোখ থেকে পানি পড়তে পারে। যাই হোক আজকের এই অনুচ্ছেদের মূল আলোচনা চোখের পানি পড়ার ড্রপ নাম নিয়ে। 

আমাদের মধ্যে অনেকেই চোখে পানি পড়ার থেকে মুক্তি লাভের জন্য ড্রপের অনুসন্ধান করে। সুতরাং আপনিও যদি চোখের পানি পড়ার ড্রপের নাম অনুসন্ধান করেন তাহলে আজকের অনুচ্ছেদটি আপনার জন্য হতে চলছে কারণ আজ ড্রপের নাম নিয়েই থাকছে বিশেষ আলোচনা। তাই দেরি না করে চলুন আমরা চোখের পানি রোধ করতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কোন কোন ড্রপ ব্যবহার করতে পারি এসব ড্রপের নাম গুলো জেনে নিই। নিম্নে চোখের পানি পড়া রোধ করতে কিছু ড্রপের নাম দেওয়া হলোঃ

• P Lone Eye Drop.
• Gatiuin P Eye Drop.
• Omnacortil Eye Drop.
• Kidpred Eye Syrup.

আজকের অনুচ্ছেদটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ কারণ আজকের এই অনুচ্ছেদের মূল আলোচনা হচ্ছে বাচ্চাদের চোখ দিয়ে পানি পড়ার কারণ। বর্তমানে এই সমস্যা প্রতি ১০০ জনের মাঝে ১০ জনের এ সমস্যা লক্ষ্যণীয়। সুতরাং আজ আমরা চোখ বিশেষজ্ঞদের মতে জানবো কেনো বাচ্চাদের চোখ দিয়ে পানি পড়ে। তাই আপনি যদি এমন সমস্যার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে আগ্রহী হোন তাহলে আজকের অনুচ্ছেদে চোখ রাখুন। 

সুতরাং দেরি না করে চলুন আমরা জেনে নিই কোনো এমন হয়। এ সম্পর্কে চিকিৎসকরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন সেগুলো হলো বাচ্চার যদি চোখ দিয়ে জল বা পানি পরে তাহলে খেয়াল করুন বাচ্চার নাক বন্ধ আছে কি না এক্ষেত্রে দিনে কয়েক বার করে ম্যাসাজ করে দিলেই হবে। এক্ষেত্রে এটাও খেয়াল করতে হবে যে বাচ্চার কান্নার সময় পানি পরছে কি না যদি পরে তাহলে এটা স্বাভাবিক। 

আবার যদি কান্না ব্যাথিত বাচ্চার চোখ দিয়ে পানি পরতেছে তাহলে খেয়াল করুন যদি কান্নার পানিতে ময়লা বের হচ্ছে তাহলে এর জন্য চোখের এন্টিবায়োটিক ড্রপ চোখের ড্রপে যথেষ্ট হবে এটাও স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু উপরিউক্ত কারণ ব্যাথিত যদি পানি পরা বিশেষ কারণ লক্ষ্য করেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন প্রয়োজন পরবে। চোখ রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখিয়ে জরুরি অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

মানব দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে আমাদের চোখ। তাই প্রতিনিয়ত চোখের যত্ন নিন এবং রঙিন ফলমূল অথ্যাৎ ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খেতে হবে এতে চোখ ভালো রাখতে সহায়তা করে। অতিরিক্ত ফোন, টিভি,একটানা কম্পিউটার ডেস্কে বসে কাজ করা এসব হতে নিজেকে বিরত রাখতে হবে প্রয়োজনে চশমা ব্যবহার করতে হবে। পরিশেষে চোখে কোনো রকম সমস্যা দেখা দিলে অবহেলা না করে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করুন। ধন্যবাদ।