মশা কামড়ানোর কতদিন পর ডেঙ্গু হয় - ডেঙ্গু জ্বর কি ছোঁয়াচে রোগ
বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি পরিমানে দেখা দিচ্ছে আপনি একটু খেয়াল করলেই দেখতে
পাবেন যে চারিদিকের লোকজন মশার দ্বারা আক্রান্ত হয়ে জ্বরে ভুগতেছে। যাই আজকের
আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তুই হচ্ছে মশা কামড়ানোর কতদিন পর ডেঙ্গু হয় এবং ডেঙ্গু
জ্বর কি ছোঁয়াছে রোগ। সুতরাং ডেঙ্গু সম্পর্কি মশা কামড়ানোর কতদিন পর ডেঙ্গু হয়
সকল আপডেট তথ্য পেতে শুরু হতে শেষ পর্যন্ত চোখ রাখুন।
বহিঃবিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশ ডেঙ্গুর প্রকোপ তুলনামূলক বেশি হার লক্ষ্যণীয়।
বর্তমানে মশার জীবানু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে অধিকাংশ মানুষ ডেঙ্গু জ্বরের স্বীকার
হচ্ছে। তাই এটি অবহেলা করলে চলবে না বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
আপনি যদি ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কিত একটা স্পষ্ট ধারণা পেতে চান তাহলে আর্টিকেলটি
মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আজকের মূল আলোচনা মশা কামড়ানোর কতদিন পর ডেঙ্গু হয় এবং
ডেঙ্গু জ্বর কি ছোঁয়াচে রোগ এসকল তথ্য জানতে চোখ রাখুন এই আর্টিকেলে। সুতরাং কথা
আর না বাড়িয়ে চলুন মূল আলোচনা মশা কামড়ানোর কত দিন পরে ডেঙ্গু জ্বর হয় তা
সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা জেনে নিই।
পোস্টের সূচিপত্রঃ মশা কামড়ানোর কতদিন পর ডেঙ্গু হয় - ডেঙ্গু জ্বর কি ছোঁয়াচে রোগ
মশা কামড়ানোর কতদিন পর ডেঙ্গু হয়
মশা মাছি সহ নানা ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে আমদের শরীরের রোগ বাসা বাধে। ডেঙ্গু
জ্বরের মূল কারণ হচ্ছে মশার ভাইরাস জনিত কারণ মশা যে ময়লা আর্বজনা হতে জীবাণু
প্রাপ্ত করে এবং সেই জীবাণু আমাদের শরীরের প্রবেশ ঘটিয়ে রোগের সৃষ্টি করে। ডেঙ্গু
নিয়ে একটি তথ্য জেনে রাখা ভালো যে ডেঙ্গু জ্বর সৃষ্টিকরী মশার নাম এডিস মশা। এডিস
মশা দেখতে অনেকটা ডোরাকাটা সাদা কালো দাগ লক্ষ্যণীয়।
কেবল স্ত্রী এডিস মশা শরীর থেকে রক্ত পান করে এবং জীবাণু ছাড়ায়। আমাদের মাঝে
একটি ভুল ধারণায় বিশ্বাসী সেটা হচ্ছে অনেকে বিশ্বাস করেন যে মশা মনে হয় রক্ত পান
করে জীবন যাপন করে বা বেঁচে থাকে কিন্তু আসলে এটি একটি ভুল ধারণা। করণ
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে জানা গেছে মশার প্রধান খাবার হচ্ছে গাছে উপরি ভাবের নরম
অংশের রস। আর রক্ত পান করে এতে স্ত্রী মশার গর্ভধারণের সুবিধার জন্য।
যাই হোক আজকের এই অনুচ্ছেদের মূল আলোচনা হচ্ছে মশা কামড়ানোর কতদিন পর ডেঙ্গু হয়
তা সম্পর্কিত তথ্য নেই। সুতরাং কথা আর না বাড়িয়ে চলুন আমরা জেনে নেই মশা
কামড়ানোর কতদিন পরে জ্বর দেখা দেয়। চিকিৎসকদের মতে মশা কামড়ানোর কতদিন পর
ডেঙ্গু হয় কামড়ানোর পরে চার থেকে নয় দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়।
উপসর্গগুলোর নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
- শরীরের তাপমাত্রা অধিক বৃদ্ধি লক্ষ্যণীয় প্রায় ১০৩-৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট।
- শারীরিক ভাবে দুর্বলতা অনুভব হতে পারে।
- অকারণে শারীরিক ব্যথা অনুভব হতে পারে এবং গা মচমচ করতে পারে।
- খাবারের রুচি কমে যেতে পারে।
- সন্ধ্যা হলেই গায়ের জ্বর আসতে পারে এবং মাথা ব্যথা করতে পারে।
- দাঁতের মাড়ি হতে রক্ত পড়তে পারে।
চিকিৎসকের মতে মশা কামড়ানোর কতদিন পর ডেঙ্গু হয় উপসর্গ দিন পরিবর্তে পরিবর্তিত
হতে পারে। তাই আপনি উপসর্গের জন্য তিন থেকে নয় দিনের জন্য অপেক্ষা করা মোটেই
কাম্য নয়। আপনি শারীরিকভাবে দুর্বলতা অনুভব এবং শরীরের তাপমাত্রা অধিক বৃদ্ধি
হলে আপনি প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন। বাড়ির আশেেেপাশ
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সহ বেডরুম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। প্রয়োজনের রাতে
মশারি টাঙিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে।
কারণ মশা কামড়ানোর কতদিন পর ডেঙ্গু হয় উপসর্গ এটি কোন সাধারণ রোগ মনে করে
অবহেলা করলে তাতে ভুল করা হবে। ডেঙ্গু জ্বরের ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে তাই
এটা নিয়ে অবহেলা নয় বরং চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। আর যদি আপনার
উপরোক্ত উপসর্গ গুলো দেখা দেয় তাহলে আপনি ব্যথা নাশকের জন্য কোন ট্যাবলেট বা ঔষধ
সেবন করা থেকে বিরত থাকতে হবে কেবলমাত্র প্যারাসিটামল সেবন করা উচিত হবে আর জরুরী
প্রয়োজনে চিকিৎসকের সেবা গ্রহণ করতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বরের রোগীদের দেখা গেছে চিকিৎসার অধীনে থাকা অবস্থায় কয়েকদিন মাত্র
পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে ভালো হতে পারে সঠিক সতর্কতা অবলম্বনের মাধ্যমে। সুতরাং
মশা কামড়ানোর কতদিন পর ডেঙ্গু হয় ডেঙ্গু জ্বর কে অবহেলা নয় বরং চিকিৎসকের
পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং চারিদিকে যেভাবে ডেঙ্গুর প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে তাই এর
থেকে পরিত্রাণ পাবার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করে জীবন যাপন করুন। আর আশেপাশের কোন
ব্যক্তির মাঝে এমন উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করে অতি দ্রুত চিকিৎসকের সেবা
গ্রহণ করতে উৎসাহিত করুন।
ডেঙ্গু জ্বর কি ছোঁয়াচে রোগ
বর্তমান দেশের ডেঙ্গু জ্বরে প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে বর্তমানে দেশে ডেঙ্গু
জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে প্রায় ৭৩ হাজারের বেশি ছাড়িয়েছে এবং ডেঙ্গু
জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন এর একতৃতীয়াংশ লোক। পূর্বেই জেনে রাখা ভালো
যে ডেঙ্গু জ্বর হচ্ছে মূলত মশার দ্বারা আক্রান্ত ভাইরাসজনিত সমস্যা। মশা যে রোগ
জীবাণু বহন করে তা আমাদের শরীরের রক্তের মাধ্যমে প্রবেশ ঘটিয়ে আমাদের রোগে
আক্রান্ত করে।
এখন আমাদের আশেপাশের লোকজনদের কারো যদি ডেঙ্গুর আক্রান্ত হয় তাহলে আমাদের মনে
হতে পারে যে ডেঙ্গু জ্বর কি আসলে এটা ছোঁয়াছে? ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে
মিশলে বা একই বেডে শুয়ে থাকলে কি আমাদেরও ডেঙ্গুর দ্বারা আক্রান্ত হবো? এর
প্রতিউত্তরে পূর্বেই বলা হয়েছে যে ডেঙ্গু জ্বর একটি মশা দ্বারা ভাইরাসজনিত
সমস্যা। এটি কোনো বায়ুবাহিত রোগের সংক্রমণ নয় তাই ডেঙ্গু জ্বর ছোঁয়াছে কোন রোগ
নয়। আক্রান্ত ব্যাক্তির সাথে মিশলে বা একসাথে বসবাস করলেও ডেঙ্গু এক শরীর হতে
অন্য শরীরে বাতাসের মাধ্যমে বা হাঁচি কাশির মাধ্যমে প্রবেশ করে না।
অন্য ব্যাক্তি ঠিক তখনি আক্রান্ত হবে যখন তিনিও এডিস মশার কামড়োর শিকার হবে। মশা
সম্পর্কিত একটি তথ্য জেনে রাখা ভালো যে বাংলাদেশের বর্তমানে দুই প্রজাতির মশা
অধিক লক্ষণীয় একটি এডিস মশা অন্যটি ম্যালিক মশা। দুইটি প্রজাতির মশার ক্ষতিকারক
দিক রয়েছে এডিস মশার কামড়ে আমাদের শরীরে ডেঙ্গু জ্বর হয় অন্যটির ম্যালিক মশার
কামড়ে আমাদের শরীরে ম্যালেরিয়া হয়। আর একটি কথা এডিস মশার উপদ্রব কেবলমাত্র
প্রভাতে এবং সন্ধ্যাকালীন সময় বেশি দেখা যায়।
এডিস মশা শনাক্ত করতে উপরে অনুচ্ছেদটি পড়ুন সেখনে এডিস মশার বৈশিষ্ট্য আলোচনা
করা হয়েছে। সুতরাং ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ হতে নিজেকে রক্ষা করতে চাইলে আশেপাশে
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন বাসায় তিন দিনের বেশি টবে বা যেকোনো জায়গার পানি ফেলে
দিন রাতে মশারি বা এয়ারসোল ব্যবহার করুন। ডেঙ্গু জ্বর হতে নিজে সচেতন হোন এবং
অপরকে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ হতে সচেতন করুন।
ডেঙ্গু রোগের কারণ ও প্রতিকার
বর্তমান সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ যে হারে দিন দিন বেড়ে চলেছে এর থেকে পরিত্রাণ
পাবার জন্য হলেও আমাদের ডেঙ্গু জ্বরের কারণ সমূহ সকল তথ্য জানা উচিত। এডিস মশার
কামড়োর ফলে আমাদের শরীরের দেখা দিচ্ছে ডেঙ্গু জ্বর। বর্তমানে প্রায় ১ লক্ষ ১৪
হাজার ব্যাক্তি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। এবং মাঝে অনেকর মৃতু্যবরণ করছেন এর
একতৃতীয়াংশ অংশ লোক। সুতরাং আজকের এই ডেঙ্গু রোগের কারণ ও প্রতিকার নিয়ে
অনুচ্ছেদটি সকলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। সুতরাং আর কথা না বাড়িয়ে
চলুন আমরা ডেঙ্গু রোগের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জেনে
নিই।
নিম্নে ডেঙ্গু রোগের কারণ ও লক্ষণ গুলো তুলে ধরা হলোঃ
- এটি একটি এডিস মশার সংক্রমণের ভাইরাস জনিত কারণে ডেঙ্গু জ্বর হয়।
- বাড়ির আশেপাশের সহ বেডরুম আবিষ্কারের কারণে শরীরে মশার দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন।
- রাতের ঘুমানোর সময় মশারি না ব্যবহার করা
- বাসায়, ছাদে, ফুলের টব সহ সকল জায়গাতে তিন দিনের বেশি পানি জমতে দিলে আপনি মশা দ্বারা আক্রান্ত হবেন।
- ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যাক্তির প্রথম উপসর্গ তার দেহের তাপমাত্রা অধিক বৃদ্ধি ঘটবে ১০৩-৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মতো।
- অনেক সময় বমি বমি অনুভূতি প্রকাশ পেতে পারে।
- খাবারের প্রতি হঠাৎ অনিহা দেখা দিতে পারে।
- চোখের পিছিয়ে ব্যাথা অনুভব হতে পারে।
- সারা শরীরের তীব্র ব্যাথা দেখা দিবে।
- সারা শরীর মেচমেচ করতে পারে আর অতিরিক্ত ঘুমের অভাব বোধ দেখা দিতে পারে।
- শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করবেন কোনো কাজে তেমন মনোযোগ পাবেন না।
- শরীরের রক্তচাপ বৃদ্ধি ঘটতে পারে আপনার ছটপট অনুভব হতে পারে।
- দাঁতের মাড়ি হতে রক্ত পড়তে পারে।
- শরীরের ঠান্ডা বা শীতলতাও অনুভব করতে পারে।
- শরীরের এন্টিবড দুর্বল হয়ে পড়বে দিন দিন।
- শরীরে অণুচক্রিকা সহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিন দিন কমে যাবে।
এতক্ষণ পর্যন্ত আমরা ডেঙ্গু জ্বরের কারণ ও লক্ষ্যণ গুলো বিস্তারিত ভাবে জানলাম।
কিন্তু এখন আমরা ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা জানবো। সুতরাং
আপনি যদি ডেঙ্গু এর থেকে নিজেকে বিরত রাখতে চান তাহলে ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার
গুলো অবশ্যই ভালোভাবে জানুন। নিম্নে
ডেঙ্গু জ্বর হাতে প্রতিকার গুলো তুলে ধরা হলোঃ
- নিজের বাসার আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন সাথে সমাজের ব্যাক্তিদের বাসার আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে উৎসাহিত করুন।
- বাসায় কোনো স্থানে তিন দিনের বেশি পানি জমতে দেওয়া যাবে না।
- নিয়মিত মশা দমনকারী ঔষধ বাসার সকল স্থানে স্পে করুন।
- সকালে বা সন্ধ্যায় দরজা জালনা খুলে রেখে বাহিরে যাওয়া যাবে না করণ এই সময়ে এডিস মশার উপদ্রর বেশি হয়।
- বাসা হতে দূরে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা আর্বজনা ফেলতে হবে।
- বাসার আশেপাশে ম্যানোহল থাকলে মাসে কয়েকবার মশা দমনকারী ঔষধ স্পে করুন।
- মশার প্রকোপ বেশি আছ এমন স্থানে যেতে হলে ফুল হাতা শার্ট ব্যবহার করুন।
- পরিশেষে ডেঙ্গু জ্বরের কুফল হতে নিজে সচেতনা অবলম্বন করুন এবং অন্যকেও সচেতন হতে উৎসাহিত করুন।
ডেঙ্গু টেস্ট কি কি
আমরা উপরিক্ত অনুচ্ছেদের মাধ্যমে অবগত করেছি যে ডেঙ্গু জ্বর কারণ, লক্ষ্যণ এবং
প্রতিকার নিয়ে আজ এই অনুচ্ছেদে আলোচনা করবো ডেঙ্গু টেস্ট কি কি তা নিয়ে।আপনি
যদি বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যাক্তিদের জন্য কি কি টেস্ট করতে হয় এমন
তথ্য খোঁজ করলে আজকের অনুচ্ছেদটি ফলো করুন।
চিকিৎসকের মতে কোনো একটি ব্যাক্তি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে কি না তা জানতে
ডাক্তারের মাধ্যমে কেবল সেই ব্যাক্তি Blood text রক্ত পরিক্ষা করলেই ডেঙ্গু
হয়ছে কি না সনাক্ত করা সম্ভব। পরিশেষে বলা চলে যে একজন ব্যক্তির ডেঙ্গু জ্বর
হয়ছে কি না এর এটি সিয়র হওয়ার জন্য কেবল সেই উপসর্গে লক্ষ্যণ সাথে রক্ত পরিক্ষা
করলেই সনাক্ত করা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে এক্সটা কোনো টেস্টের প্রয়োজন হবে না।
ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে
বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বর উপসর্গ দিন দিন পরিবর্তনীয় হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে
করেন। কিন্ত ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে এ বিষয়ে চিকিৎসকের মত হচ্ছে যে ডেঙ্গু
জ্বর দুটি ধরণকে চিহ্নিত করেছে একটি সাধারণ পর্যারে জ্বর এটি ৪-৭ দিনের মাঝে
ভালো হয়ে যায়। আর অন্যটি হচ্ছে বিশেষ জ্বর এটি এক সপ্তাহে ভালো হয় না বরং সঠিক
চিকিৎসকের অভাবে আক্রান্ত ব্যাক্তিটি মৃত্যু দিকে ঢলে পরে তখন রোগির বিপি
অনেকটায় বেড়ে যায়, জ্বরের তাপমাত্রার স্কেল ১০৩-৫ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যায়।
সুতরাং ডেঙ্গুকে নিয়ে সহজ ভাবে নিলে চলবে না বরং উপসর্গের প্রকাশ ঘটার পূর্বে
ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করুন।
ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে শেষ কথা
ডেঙ্গু জ্বর এটি একটি এডিস মশা দ্বারা সংক্রমিত ভাইরাস জনিত রোগ। যার সঠিক
চিকিৎসা না হলে অকাল মৃত্যু ঘটতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর কোনো ছোঁয়াছে রোগ নয় এটি
আক্রান্ত ব্যাক্তির হাঁচি কাশির মাধ্যমে এ রোগ অন্য দেহে প্রবেশ করে না। সুতরাং
বর্তমানে দিনে দিনে ডেঙ্গু প্রকোপ যে হারে বেড়েই চলেছে তা অতি তাড়াতাড়ি মশা
নাসক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সকলকে সচেতন করতে হবে। চারিপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন
রাখার প্রবণতা তৈরি করতে হবে। সর্বোপরি এডিস মশার কুফল সম্পর্কে নিজে সচেতন হতে
হবে এবং অপরকেও কুফল সম্পর্কে সচেতনামূলক মনোভাব সৃষ্টি করতে হবে। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url