গায়ত্রী মন্ত্র জপ করার নিয়ম - রাধা কৃষ্ণের নিত্য পূজার নিয়ম

নমস্কার ৷ প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে থাকছে আপনাদের জন্য হিন্দু ধর্মের মতে গায়ত্রী মন্ত্র জপ করার নিয়ম - রাধাকৃষ্ণের নিত্য পূজার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। আপনি যদি এখনো গায়ত্রী মন্ত্র জপ করার সঠিক নিয়ম না জেনে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেল মনোযোগ পড়ুন। কারণ আজকের মূল আলোচনা হচ্ছে গায়ত্রী মন্ত্র জপ করার নিয়ম - রাধা কৃষ্ণের নিত্য পূজার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখা।
রাধা কৃষ্ণের নিত্য পূজার নিয়ম
হিন্দু ধর্ম মতে সঠিক নিয়ম মেনে বা সঠিক সময়ে গায়ত্রী মন্ত্র জপ করার নিয়ম অনুসরণ করলে সঠিক পূর্ণ্য সঞ্চয় হয়। তাই আমাদের গায়ত্রী মন্ত্র শ্লোকের সঠিক উচ্চারণ এবং কখন কখন পাঠ করলে বেশি পূর্ণ্য লাভ হয় তা জানতে আজকের আর্টিকেলটিতে চোখ রাখুন। প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই হিন্দু ধর্মের মতে সঠিক নিয়ম মেনে গায়ত্রী মন্ত্র জপ করার নিয়ম - রাধাকৃষ্ণের নিত্য পূজার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক ব্যাখা খুব সহজে জানতে পাড়বেন সুতরাং কথা আর না বাড়িয়ে চলুন আমরা সেই সব নিয়ম কানুন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করি। 

পোস্টের সূচিপত্রঃগায়ত্রী মন্ত্র জপ করার নিয়ম - রাধা কৃষ্ণের নিত্য পূজার নিয়ম

গায়ত্রী মন্ত্র জপ করার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আজকের এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে আমরা গায়ত্রী মন্ত্র শ্লোকের সঠিক উচ্চারণ সহ গায়ত্রী মন্ত্র জপ করার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক তথ্য নিয়ে আলোচনা করবো। আপনি এই অনুচ্ছেদেটি জানার মাধ্যমে খুব সহজেই গায়ত্রী মন্ত্র সঠিক উচ্চারণের সহিত পাঠ করতে পারবেন এবং জেনে যাবেন যে আমাদের নিত্যদিনে কোন সময়ে গায়ত্রী মন্ত্র জপ করার সঠিক নিয়ম বা সঠিক সময়। আমরা সকলে জানি যে সঠিক নিয়ম মেনে বা ধর্মীয় বিধান মেনে কিংবা শাস্ত্র অনুযায়ী আমাদের সাধনা, পূজা, ধ্যানে সেই কর্মের সঠিক পূর্ণ্য প্রাপ্ত করা সম্ভব। 

তাই আমাদের হিন্দু ধর্ম অনুসারীদের সকলের গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ বা গায়ত্রী মন্ত্র জপ করার নিয়ম জপ করা একান্ত জরুরি এতে দেহ মন প্রবিত্র হয় আমাদের ধর্য্য শক্তি বৃদ্ধি পায় আমাদের মনকে শান্ত করে ফলে আমরা সুখ অনুভব করি। এখন আমরা প্রথমে সঠিক উচ্চারণে গায়ত্রী মন্ত্রের শ্লোক সম্পর্কে জানবো। নিম্নের শাস্ত্র অনুযায়ী গায়ত্রী মন্ত্র শ্লোক তুলে ধরা হলোঃ

ওঁ ভূর্ভুবঃ স্বঃ
তৎসবিতুর্ভরেণ্যম
ভর্গো দেবস্য ধীমহি
ধিয়ো ইয়োঃ নঃ প্রচোদয়াৎ।।

বাংলায় অনুবাদঃ পরমাত্মা প্রাণ স্বরুপ, দুঃখনাশক ও সুখ সরুপ। তিনি আমাদের বুদ্ধিকে শুভ গুন, শুভ কর্ম ও শুভ স্বাভাবের পথে পরিচালিত করে। সেই জগৎ উৎপাদক ও ঐশ্বর্যপ্রদাতা পরমাত্মা বরণযোগ্য পাপ বিনাশক তেজকে আমরা ধারণ করি।

বাংলায় ভাবার্থঃ পরমাত্মাই জগৎতেই সব স্রষ্টা এবং সকল কর্মফলদাতা। তিনি জীবেনের একমাত্র উপাস্যদেব। তাঁহার স্বরুপ চিন্তায়ই একমাত্র উপাসনা। তাঁহার উপাসনা করলে বুদ্ধিবৃত্তি শুভ গুন কর্ম ও স্বাভাবের পথে পরিচালিত হয় এবং ইহাতে জীবের অতিষ্ট সিদ্ধ লাভ হয়।
প্রিয় পাঠক এখন আমরা সেই কাংক্ষিত টপিক নিয়ে আলোচনা করবো। কখন বা কোন সময়ে আমরা গায়ত্রী মন্ত্র জপ করার নিয়ম নিয়ে শ্রাস্ত্র অনুযায়ী নিয়ম কানুন জানবো সাথে আরো একটি বিষয়ও জানবো কিভাবে এবং দিনে কতবার গায়ত্রী মন্ত্র জপ করবো। সুতরাং কথা আর না বাড়িয়ে চলুন আমরা মূল গায়ত্রী মন্ত্র জপ করার নিয়ম টপিকের বিস্তারিত আলোচনা জেনে নিই। নিম্নে গায়ত্রী মন্ত্র জপ করবার সময়সূচি সম্পর্কে তুলে ধরা হলোঃ
  • সকালে প্রথম প্রহরে উঠে শুদ্ধ বস্তু পরিধান করে প্রবিত্রার সহিত আসন করে গায়ত্রী মন্ত্র জপ করুন।
  • গায়ত্রী মন্ত্র জপ করবার পূর্বে গুরু প্রণাম মন্ত্র পাঠ করুন।
  • পূর্ব মুখী বা দক্ষিণ মুখী হয়ে আসন করে গায়ত্রী মন্ত্র জপ করুন।
  • জপ করার সময় গায়ত্রী মন্ত্রটি শুদ্ধ উচ্চারণে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।
  • সকালে গায়ত্রী মন্ত্র জপ করুন ১০৮ বার করে কমপক্ষে তিন বার।
  • আপনি গায়ত্রী মন্ত্র জপ করার সময় হাতের আঙ্গুলে হিসেব রাখতে পারেন বা বর্তমানে বাজারে জপ করবার কাউন্টার মেশিন পাওয়া যায় যেকোনো একটি উপায় অবলম্বন করতে পারেন।
  • গায়ত্রী মন্ত্র প্রতিদিন তিন বার জপ করুন সকালে, দুপুরের, এবং সন্ধ্যায় জপ করার সময় কমপক্ষে ১০৮ বার করে তিন বার জপ করুন বেশি করলে আরোও ভালো হয়।

রাধা কৃষ্ণের নিত্য পূজার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আজ আমরা আলোচনার মাধ্যমে জানবো কিভাবে রাধা কৃষ্ণের নিত্য পূজার নিয়ম কানুন সম্পর্কে সঠিক ব্যাখা। সুতরাং আপনিও যদি এমন তথ্য খোঁজ করছেন বা জানতে বিশেষ আগ্রহী তাহলে আজকের অনুচ্ছেদে চোখ রাখুন। কারণ আজকের মূল বা বিস্তারিত আলোচনা নিয়েই থাকছে রাধা কৃষ্ণের নিত্য পূজার নিয়ম কানুন সম্পর্কে। সুতরাং আমরা অধিক কথা আর না বাড়িয়ে চলুন আমরা মূল আলোচনা শুরু করি। আমরা প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ঈশ্বরকে আরাধনা করি বা পূজা পার্বণ করে থাকি। সেই পূজা পার্বণের সঠিক নিয়ম কানুন নিয়েই আজকের বিস্তারিত আলোচনা থাকছে।

রাধাকৃষ্ণের নিত্য পূজার নিয়ম বলতে প্রথমে আমাদের সেই অনাদি আদি গোবিন্দের নিকট আমাদের সম্পন্ন রুপে সমার্পন করতে হবে। হৃদয়ে শিষ্টাচার, ভক্তিভাবের উদয়, নম্রতা, বিনয়ী হতে হবে। এবার মনকে ঈশ্বরের প্রতি একাগ্রতার সহিদ ভক্তিভরে ঈশ্বরকে ডাকতে হবে বা উপাসনা করতে হবে। জেনে রাখা ভালো যে একটি ব্যাক্তি যতক্ষণ না হৃদয়ে ভক্তি ভাবের উদয় না হয়, বিনয়ী, নির্রঅহংকার হয় ততক্ষণ পর্যন্ত সে বক্তির হৃদয়ে ঈশ্বরের প্রতি সমার্পন সম্পন্ন রুপে প্রকাশ পায় না। 

তাই প্রথমে উপরিউক্ত দৈবিক মানব বৈশিষ্ট্য বা গুন গুলো অর্জন করুন। যে ব্যাক্তির মাঝে যতক্ষণ না ভগ গুনটি ফুটে উঠেছে ততক্ষণ পর্যন্ত যে ভক্ত হতে পারে না। হিন্দু ধর্মের মতে যে ব্যক্তির নিকট ভগ সম্পন্ন রুপে রয়েছে ছয়টি গুন ( ঐশ্বর্য, বীর্য,যশ,শ্রী, জ্ঞান ও বৈরাগ্য) তাঁকে ভগবান বলা হয়। আর ভগবানের নিকট ভক্তেরা যে যেমন ভাবে ডাকতে পারে বা আরাধনা করতে পারে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছন হে পার্থ ভক্তরা আমাকে যে যেভাবে ডাকে আমি তাহাদের নিকট সেভাবেই ফল প্রদান করি। 
তথাকথিত রাধা কৃষ্ণের আরাধনা বা পূজা করুন সকালে স্নান করার পরে, দুপুর এবং সন্ধ্যায় সাতটা হতে নয়টার পূর্বে। রাধা কৃষ্ণের পূজা সাদা ফুল অর্পণ করুন এবং পূজার সময় মহামন্ত্রটি জপ করুন হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে। ঈশ্বরের প্রতি নিজেকে সম্পন্ন রুপে সমার্পন করে ভক্তি ভরে একাগ্রতার সহিত রাধা কৃষ্ণের আরাধনা বা পূজা করুন এহা শুদ্ধ বলে বিবেচিত হবে।

প্রতিদিন পুজো করার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আজ আমরা এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে প্রতিদিন পূজো করার নিয়ম কানুন সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান লাভ করবো। আপনিও যদি প্রতিদিন ঈশ্বরের প্রতি আরাধনা বা প্রতিদিন পূজো করার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক বিধান বা সঠিক নিয়ম কানুন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা লাভ করতে চান তাহলে আজকের অনুচ্ছেদে চোখ রাখুন। করাণ আজ আমরা এই অনুচ্ছেদে মূল আলোচনা প্রতিদিনের পূজো করার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক ব্যাখা জানবো। 

সুতরাং কথা আর না বাড়িয়ে চলুন আমরা মূল আলোচনা শুরু করা যাক। পূজো পার্বণে আমাদের ঈশ্বরের প্রতি একাগ্রতা বৃদ্ধি ঘটে তাই আমরা নিত্যদিনে ঈশ্বর সাকাররুপ বা নিরাকার রুপকে সারাসরি পূজার মাধ্যমে উপাসনা করে থাকি। কিন্তু হিন্দু ধর্মের মতে পূজা পার্বণ নিয়ে কিছু বিধান রয়েছে এসব বিধান মেনে আমাদের পূজা পার্বণ করা উচিত বলে বিবেচিত হবে। যেমন লক্ষী পূজার সময় ঘন্টা বাজানো সম্পন্ন রুপে নিষেধ রয়েছে। 
গোবিন্দ পূজায় সাদা ফুল প্রদান নির্দিষ্ট তিথীতে নিদিষ্ট পূজার যোগ রয়েছে আবার সেইটা কৃষ্ণপক্ষ নাকি শুল্ক পক্ষ বা পূর্নিমারতে হবে নাকি অমাবস্যায় হবে একটি জানতে হলে আমাদের শ্রাস্থ মতে পঞ্জিকার দেখো যোগ নির্ধারণ করতে হবে। যেমন লক্ষ্মী পূজা পূর্ণিমাতে যোগ রয়েছে এবং শ্যামাপূজা অমাবস্যায় ঘটিত হবার বিধান রয়েছে। সুতরাং আমাদের শ্রাস্থ মতে সকল বিধিমালা জেনে পূজা পার্বণের সময় নির্ধারণ করা সমচিন হবে। পূজা পার্বণের সঠিক সময় সূচি জানতে মদনমনের ফুল পঞ্জিকা হতে সহায়তা নিতে পারেন।

শ্রী কৃষ্ণের স্নান মন্ত্র

প্রিয় পাঠক আজকে এই অনুচ্ছেদে আমরা জানবো প্রতিদিনে স্নান করবার সময় কোন মন্ত্র জপ করতে হয়। আপনিও যদি নিত্যদিনের স্নান করার সময় কোন মন্ত্র জপ করতে হয় এমন তথ্য জানতে আজকের অনুচ্ছেদে চোখ রাখুন কারণ আজ শ্রী কৃষ্ণের স্নান মন্ত্র সম্পর্কে শ্লোক জানবো। তাই কথা আর না বাড়িয়ে চলুন আমরা সেই শ্রী কৃষ্ণের স্নান মন্ত্র বা নিত্যদিনের স্নান করবার মন্ত্র বা শ্লোক জেনে নিই। নিম্নে শ্লোকটি তুলে ধরা হলোঃ

ওঁ গঙ্গে চ যুমনা চৈব গোদাবরি সরস্বতী
নর্মদে সিদ্ধ কাবেরি জলেহস্মিন সন্নিথিং কুরুঃ

উপরিক্ত শ্লোকটি জপ করে জলকে পবিত্র করবার পরে করোজোরে হয়ে নিম্নোক্ত শ্লোকটি পাঠ করুন।

ওঁ কুরুক্ষেত্র গয় গঙ্গা প্রভাস পুষ্করিণী চ।
তীর্থান্যোতানি পুণ্যানি স্নান কালে ভবন্ত্বিহ।।

উপরিউক্ত মন্ত্র দ্বারা আমরা প্রতিদিন স্নান শুদ্ধ করতে পারি। আপনিও উপরিউক্ত মন্ত্র দ্বারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের স্নান সম্পন্ন করতে পারেন।

গঙ্গা স্নান করার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আজ আমরা এই অনুচ্ছেদে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে আলোচনা করবো। আমরা প্রতিদিনে স্নান সম্পন্ন করি। আমাদের হিন্দু ধর্ম মতে স্নান করবার পূর্বে গঙ্গা স্নান করার নিয়ম বা বিধান রয়েছে। আজ আমরা সেই গঙ্গা স্নান করার নিয়ম বা স্নানের মাধ্যমে নিজেকে পরিশুদ্ধ করবার মন্ত্রটি জানবো। সুতরাং আপনি যদি গঙ্গা স্নান করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হোন তাহলে আজকের অনুচ্ছেদে চোখ রাখুন এবং খুব সহজেই জানুন নিজেকে স্নান করার মাধ্যমে শুদ্ধ রাখার ধর্মীয় নিয়ম কানুন। 
যাইহোক কথা আর বাড়িয়ে আমরা মূল আলোচনা শুরু করা যাক আমাদের আজকের মূল টপিক গঙ্গা স্নান করার নিয়ম। আমাদের প্রতিদিনে স্নান করতে হয়ে শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখতে তথা শরীরকে পরিষ্কার রাখতে কিন্তু ধর্মীয় ভাবে স্নান করার মাধ্যমে আমরা আমাদের আত্মাকেও পরিশুদ্ধ রাখতে পারি তাই তো বছরের বিভিন্ন সময়ে হিন্দুধর্মঅনুসারী ব্যাক্তি সকল তীর্থ স্নানে গমন করে সেখান হতে পূণ্য সন্ধয় করেন। গঙ্গা দেবীর উদ্দেশ্যে নিম্নবর্গের মন্ত্রটি জপ করুনঃ

ওঁ সদ্য পাতক সংহন্তি সদ্য দুঃখ বিনাশিনী।
সুখদা মোক্ষদা গঙ্গা গঙ্গৈব পরমাং গতি।।
এর পরে জলে স্নান করবার সময় নিম্নোক্ত মন্ত্রটি জপ করুন।

ওঁ গঙ্গা গঙ্গেতি যোগ ক্রয়াদ্ যোজনানং শতৈরপি।
মুচ্যেতে সর্বপাপেভা বিষ্ণু লোকং সগচ্ছতি।।
পাপহং পাপকর্মা পাপাত্মা পাপ সম্ভবতঃ।
ত্রাহিমাং পন্ডরিকাক্ষ সর্বপাপ হরহরিঃ।।

উপরিউক্ত নিয়ম গুলো মেনে গঙ্গা স্নান সম্পন্ন করুন। তাহলে আপনিও গঙ্গা স্নানের পূর্ণ্য সন্ধয় করতে পারবেন। প্রথমে স্নানের পূর্ব নিজেকে ধর্মী বিধান অনুযায়ী নিজেকে ধূপ চন্দন যাবতীয় আচারের মাধ্যমে নিজেকে শুদ্ধ করতে হবে। এরপরে উপরিউক্ত মন্ত্রগুলো পাঠ করে স্নান কার্য সম্পন্ন করুন।

শেষ কথা

মানবদেহের সৃষ্টির মূল লক্ষ্যই হচ্ছে মোক্ষলাভ করা। এর পরে যেনো আমাদের আত্ম পরমাত্মার সাথে বিনীল হয়ে যায়। আমাদের আর সৃষ্টি হয়ে পৃথিবীর না আসতে হয়। এই জন্য সর্বদা সকাম কর্ম করুন। নিজেকে সম্পন্নরুপে ঈশ্বরের প্রতি সমার্পন করুন নিজেকে কৃষ্ণ অনুরাগী করুন এতে আত্মা পরিশুদ্ধ হবে। আর আত্মা পরিশুদ্ধ হলে আপনি আমি সকলে মোক্ষলাভ করতে পারবো। সুতরাং মোহ মায়া ত্যাগ করে সম্পন্নরুপে নিজেকে আমরা ঈশ্বরের প্রতি সমার্পিত করি। পরিশেষে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে যদি আপনি ক্ষুদ্র জ্ঞান লাভ করতে সক্ষম হোন তাহলে আপনি আপনার প্রিয়জনদের নিকট তথ্যটি জানানোর জন্য অনুরোধ রইল। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url