রথযাত্রার ইতিহাস - রথযাত্রা ২০২৩ তারিখ বাংলা
রথযাত্রার ইতিহাস রথযাত্রা একটি
সুপ্রাচীন প্রথা যা হিন্দু ধর্মের বৃহৎ উৎসব সেখানে অনেক লোকের সমাগম ঘটে তাই যদি
এখনো আমরা রথযাত্রার ইতিহাস না জেনে থাকি। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপানের জন্য কারণ
আজ কথা বলবো রথযাত্রার ইতিহাস নিয়ে। সুতরাং কথা আর না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক
রথযাত্রার ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
আমাদের হিন্দু ধর্মের প্রচীন একটি উৎসব এই রথযাত্রা যদি এখনো রথযাত্রার ইতিহাস
সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারনা না থেকে থাকে তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আজকের
বিস্তারিত বা মূল আলোচনায় হচ্ছে রথযাত্রার ইতিহাস সম্পর্কে। তাই মূল আলোচনা শুরু
করা যাক সাথেই থাকুন।
পোস্টের সূচিপত্রঃ রথযাত্রা কীভাবে সাম্যের শিক্ষা দেয় - রথযাত্রা ২০২৩ তারিখ বাংলা
রথযাত্রার ইতিহাস
রথ যাত্রার ইতিহাস খুব প্রাচীন ইতিহাস বলেই বিবেচিত। হিন্দু ধর্মের শাস্ত্র
অনুযায়ীরথ যাত্রার ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায় সত্যযুগকে কেন্দ্র করে। ব্রাহ্মণ
পুরাণ হতে জানা যায় যে উড়িষ্যা নগরীর সুপ্রাচীন একটি প্রথা ছিল রথযাত্রা। বহু
বছর পূর্বে উড়িষ্যার পূর্ব নাম ছিল মালবদেশ। মালবদেশে বাস করতে সূর্যবংশীয় সৎ
ব্রাহ্মণ কৃষ্ণ অনুরাগীভক্ত রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন।সৎ ব্রাহ্মণ ইন্দ্রদ্যুম্ন
সর্বপ্রথম স্বপ্নের মাধ্যমে জ্ঞান প্রাপ্ত করে সর্বপ্রথম রথ তৈরি করেছিলেন এবং
প্রথম সূচনা করা হয়েছিল।
অন্য দেখে পুরাবিদের মতভেদ রয়েছে তাদের মত অনুযায়ী রথে প্রচলন ঘটেছে শ্রী
চৈতন্য মহাপ্রভুর এর মাধ্যমে শ্রী চৈতন্যদেব তিনি নীলাচল নামক স্থান হতে
বাংলায় রথ নিয়ে এসেছিলেন।পরবর্তীতে শ্রীচৈতন্যের ভক্তরা বাংলায় রথযাত্রা
প্রচলনটি শুরু করেন। জগন্নাথ দেবের প্রচলন্নে আরো কিছু কথা প্রচলিত রয়েছে। সেই
সময়ের রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন ছিলেন বিষ্ণু ভক্ত তার নিকট হঠাৎ সমুদ্র তলদেশ থেকে
এক টুকরো কাঠের আর্বিভাব ঘটতে দেখে। পরবর্তী সেই কাঠের টুকরোকে কাজে লাগানোর
জন্য মূর্তি বানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু সেই কাঠের টুকরো দিয়ে মূর্তিবানাতে সকলেই পর পর ব্যর্থ হয় তারপর একদিন
ভগবান সং বিশ্বকর্মা ছদ্মবেশে রাজার নিকটে এসে হাজির হন শিল্পী রূপে রাজার
দরবারে এসে মূর্তি বানানোর জন্য প্রস্তাব রাখে। এতে সম্মতি দেয় এবং ছন্দবেশী
ব্রাহ্মণ কিছু শর্ত জুড়ে দেয় তিনি বলেন তিন সপ্তাহ সময়ে তিনি সফল কার্যক্রম
সম্পন্ন করবেন।সেই থেকে যথারীতি মূর্তি বানানোর কার্যক্রম শুরু হলে বাহির হতে
রাজা পরিচালনা করতেন।
হঠাৎ করে কিছুদিন পর সে ঘর হতে কোনরকম শব্দ না আসায় রাজা নিজেকে সংযত না রাখতে
পেড়ে তিনি প্রতিজ্ঞা ভেঙ্গে দরজায় প্রবেশ করে এবং তিনি যা দেখেন তা দেখে তিনি
হতাশ হন।তিনি দেখেন যে অসমাপ্ত অবস্থায় নির্মিত মূর্তি সেখানে ছদ্মবেশ
ব্রাহ্মণ টি উধাও তিনি সবকিছু বুঝতে পারেন এবং নিজের কৃত কাজের জন্য গভীরভাবে
অনুশোচনা করেন তারপর রাজাকে স্বপ্নে স্বয়ং নারদ বলেন।
এটি একটি ভগবানের রূপ তিনি এক এবং অদ্বিতীয় তিনি আকার এবং নিরাকার তিনি বলেন
ঠাকুর এরকমই আবির্ভাব ঘটাতে চেয়েছেন। সেই থেকে এই অবস্থায় রথ পূজা শুরু হয়।
রথে তিন জন দেবতা থাকেন প্রথম হলেন ভগবান স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ দিত্বীয় হলেন বলরাম
বা জগ্ধনাথ এবং তৃতীয় হলেন কৃষ্ণে ও বলরামের প্রিয় বোন সুভদ্রা। এই তিন জন রথে
উপবিষ্ট থাকেন।
রথযাত্রা ২০২৩ তারিখ বাংলা
রথযাত্রা উৎসবটি বহু প্রাচীন একটি উৎসব। প্রতিবছর আষাঢ় মাসের শুক্ল পক্ষের
দ্বিতীয় তিথিতে পালিত হয়। এই নতুন বছরের রথযাত্রা উৎসব টি পালিত হবে আগামী
২০শে জুন রোজ মঙ্গলবার 2023। পৃথিবীর মধ্য সবথেকে বড় রথযাত্রা উৎসব পালিত
হয় উড়িষ্যার পুরীতে।
সেখানে অনেক লোকের সমাগম ঘটে। এবং বাংলাদেশের সব থেকে বড় রথযাত্রা উৎসবটি
পালিত হয় ধামড়ায়ে। ২০শে জুন রাতে করে জগন্নাথ দেব মাসির বাড়ি রওনা হবেন একে
সোজা রথ বলা হয় এবং সেখানে গিয়ে কিছু দিন থাকবেন। প্রায় এক সপ্তাহ পড় পুররায়
নিজ গৃহে ফিরে আশাকে উল্টো রথ বলা হয়।
উল্টো রথযাত্রা কবে 2023
উল্টো রথ এর তারিখ ২8.০৬.২০২৩ ইংরেজি। জগ্ধনাথদেব প্রথম মাসির বাড়ি যাবেন ২০
জুন রোজ মঙ্গলবার এবং এক সপ্তাহ পর নিজ গৃহে ফিরবেন। নিজে গৃহে ফিরে আশাকে
উল্টো রথ নামে পরিচিত। জগৃন্নাথ কে ফিরিয়ে আনার জন্য অনেক লোকের সংযম ঘটে
এবং অনেক লোক রশ্মি ধরে সামনে সাহিত উৎসব টি পালিত করেন রথযাথা।
চারদিকে জগন্নাথ দেবের জয়ধ্বনি করতে করতে শ্রদ্ধার সহিত নিজ গৃহে আনা হয়।
রথের রশিকে বাসুকী নামে অবিভত করা হয়।তাই রথের।রশ্মি স্পর্শ করলে সকলের পুণ্য
অর্জন হয়ে থাকে। এই রাতের রশ্মি স্পর্শ করে নিজের গৃহে নিয়ে আসা এতে
জগৃনাথের প্রতি সকলে সমার্পণ প্রদর্শন করেন।
রথযাত্রার মাহাত্ম্য
জগ্রন্নাথ দেবের রথযাএার মহাত্য আমাদের জীবনে অনেক তাৎপর্যপূনতা। ভূমিকা পালন
করে। জগন্নাথের দেবের রথযাত্রা দর্শনের শাস্ত্র কিছু বর্ণিত উল্লেখ আছে। ৷
রথস্হ বামং দৃষ্ঠা পুন জন্ম ন বিদ্যাুত
বাংলায় অনুবাদঃ রথে অবস্থিত বামন তথা জগ্রন্নাতকে দশর্ন করলে সে ব্যক্তির আর
পুনর্জন্ম হবে না। এ-ই বিশ্বাস রেখেই সফল ভক্তগন রথে জগ্রন্নাত সহ সফল ঠাকুরের
জন্য দশনের উদ্দেশ্যে রথসভা যাবার যোগদান করেন।
উপসংহার
পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে রথযাত্রা উৎসবটির সূচনা হয়েছিল সত্যযুগে এবং
দ্বাপরযুগের মহাভারতের যুদ্ধ চলাকালীন রথ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান লাভ করেছি।
রথযাত্রা উৎসবে যোগদান করে আমরা তীর্থস্থানের সমান পূর্ণতা অর্জন করতে পাড়ি।
রথযাত্রার রশি স্বযং নাগরাজ বাসুকি বিরাজিত করেন তাই রশি স্পর্শের মাধ্যমেও
সকলে পূর্ণ্যতা অর্জন করে। পৃথিবীর সবচেয়ে বহৎ পরিসরে রথযাত্রা উৎসবটি পালিত হয়
উরিষ্যার পুরীতে এং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রথযাত্রা উৎসব পালিত হয় ধামড়ায়ে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url