এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার - ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার

আমাদের নিম পাতা সকলেই পরিচিত। যদি এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জানি তাহলে কেমন হয়। সত্যিই কি এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার কারার মাধ্যমে কমানো সম্ভব কি না সেই নিতার বিশেষ উপকারিতার কথাই জানবো।
এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার
নিম কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা করে আমাদের জীবনে তার মধ্যে থেকে একটি এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সর্ম্পকেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ আজানা কথাই জানবো তাই নিয়েই এই আলোচনা।

পোস্টের সূচিপত্রঃ নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা - ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার

এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার 

নিম গাছ আমাদের খব উপকারি একটি গাছ। আমাদের বাড়ির আশেপাশে নিম গাছ রাখা বিশেষ উপকার বয়ে আনে কারণ নিম গাছ থেকে আমরা বিশুদ্ধ অক্সিজেন পেয়ে থাকি যার ফলে আমদের অনেক রোগ বালাই থেকে অনেটা মুক্তি লাভ করি। নিম গাছের উপকারিতা অনেক রয়েছে এ আমরা সকলে জানি। নিম গাছ একটি বিশেষ উপকারি এবং ঔষধি গাছ বলেই বিশেষজ্ঞরা বলেছেন।

নিম গাছের পাতা, নিম গাছের বাকল, নিম গাছে হতে বিশুদ্ধ অক্সিজেন প্রদান ইত্যাদি বিশেষভাবে সুবিধা লাভ করে থাকি। আবার আমাদের যদিও সকলেরই শরীরে এলার্জি সামান্য পরিমান হলেও আছে। কিন্তু কিছু  ব্যাক্তির শরীরের এলার্জির পরিমান তুলনা মুলকভাবে একটু বেশি লক্ষ করা যায়৷ এক্ষেতও নিম পাতা বিশেষ উপকারি হিসেবে কাজ করে থাকে।

তাই এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার জানলে ঔষধ সেবন ছাড়াও কেবল নিম পাতা ব্যবহারের মাধ্যমে এলার্জি অনেকটায় কমিয়ে আনা সম্ভম খুব সহজে। যাকে আমরা ঘোরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন বলে থাকি। প্রতিদিন প্রথমে বিশুদ্ধ এবং পরিস্কার পাতা সংগ্রহ করতে হবে এবং সেই পাতা গ্লাস বা যেকোনো বিশুদ্ধ পাত্রে পরিষ্কার পানিতে রাতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। 

তার সকালে গুম থেকে উঠার পরে খালি পেটে নিম পাতা গুলো পানি থেকে আলাদা করতে হবে। তারপর সেই নিম পাতার তৈরিকৃত স্যালাইনটি পান করুন।এভাবে এক থেকে দেড়মাস পান করুন। এতে যেমন এলার্জি কমাতে সাহায্য করবে তেমনি আরো কিছু উপকার লাভ হবে শরীরে পুরনো জ্বর থাকলে সেইটা ভালো হয়ে যাবে

আরো পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম - মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা 

সকলে নিম পাতার রস পানের মাধ্যমে পেট পরিস্কার রাখবে সাথে শরীরের তাপমাত্রা ঠান্ডা রাখবে, তিন মাসে এক বার নিম পাতার রস পান করলে আলাদা ভাবে কৃমির ঔষধ সেবনও দরকার পরবে না৷ এলার্জি কমাতে যেমন নিম পাতার রস বিশেষ কার্যকর হিসেবে কাজ করে সেই সাথে কিছু খাবারের মেনুরও পরিবর্তন করতে হবে।

যেসব খাবার খেলে এলার্জি হয় যেমন চিংড়ি, পুঁটিমাছ,মিষ্টি কুমড়া,পুঁইশাক, গরুর মাংস, বেগুন ইত্যাদি এলার্জি জনিত খাবার থেকেও বিরত থাকতে হবে। তবেই নিম পাতার এলার্জি কমাতে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে। 

ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার

আমাদের ফেস সুন্দর রাখতে অনেক টাকা খরচ করে থাকি।কারণ আমরা কেউই চাইনা যে আমদের ফেস এ কোনো কারণে দাগ থাকুক। কেউ আমাদের মুখের ফেস নিয়ে কোনো কথা বলুক। আমাদের শৈশব থেকে যখন কৈশোরে পা দিই তখন আমরা আমাদের মুখের ফেসের একটু পরিবর্তন লক্ষ করি। যদিও সেই সময়টায় বয়ঃসন্ধিকালে

সকলেই হরমোন জনিত কারণে ফেসের পরিবর্তন ঘটে থাকে মুখে ব্রণ দেখা যায়। এটা মূলতো হরমোন জনিত কারণে ঘটে। যায়হোক মুখে ব্রণ হলে ফেসটা কেমন জানি দেখায় বা এটা দূর করার অনেক চেষ্টা করি ঔষধ সেবন করে থাকি। কিন্তু ঘোরোয়া উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমে খুব সহজেই ফেসের ব্রণ দূর করতে পারি। তা যা প্রথমেই আমাদের যা করতে হবে বিশুদ্ধ সাথে পরিস্কার নিম পাতা সাথে কিছু হলুদ যোগ করতে হবে 

পরিমান মতো এক বা দেড় চা চামুচ এবার সেগুলো পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। পেস্ট বানানো শেষ হলে মুখ পরিস্কার করে ধোঁয়ে সেই তৈরিকৃত পেস্ট মুখ লাগিয়ে রাখতে হবে ১০ মিনিট থেকে ১২ মিনিট  তার পর আবার পানি দিয়ে ধোঁয়ে ফেলতে হবে। এভাবে কয়েক সপ্তাহ নিম পাতার পেস্ট লাগলে দেখবেন আস্তে আস্তে মুখের সেই ব্রণ দূর হয়ে যাচ্ছে। 

চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার 

আমরা জীবনে যাপনে অনেক সময় নানাভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি তার মধ্যে উল্লেখ সকলের পরিচিত রোগ চর্মরোগ। এ রোগে কম বেশি আমরা সকলেই ফেস করি। তাই সেই চর্মরোগ ভালো করতে ঔষধ ব্যাতিত ও ঘোরোয়া উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমে সারতে পারি।নিম পাতার ব্যবহারের মাধ্যমে তা যা প্রথমেই  করতে হবে কিছু বিশুদ্ধ এবং পরিস্কার নিম পাতা সংগ্রহ করতে হবে এবং সেই নিম পাতা

পরিস্কার কোনো এক পাত্রে পানিতে কুসুম কুসুম ভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে। এবং সেই তৈরি কৃত নিম পাতার পানি গুলো পরিস্কার কোনো সুতি কাপড় দিয়ে সেই চর্মরোগ যুক্ত স্থানে ধোঁয়ে নিতে হবে ভালোভাবে।এভাবে কয়েক সপ্তাহ সেই সব স্থানে লাগাতে হবে। এবং কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করলেই চর্মরোগ থেকো খুব সহজেই পরিত্রাণ পাওয়া যাবে

মুখে নিম পাতার ব্যবহার 

মুখ আমাদের শরীরের খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং সেনসিটিভ একটি অঙ্গ। যা আমরা মুখের যত্নে কখনোই অবহেলা করি না। অনেক সময় আমাদের মুখও মন্ডল তৈলাক্ত অনুভব করি রাতে ঘুমানোর পর সকালে একটু বেশি লক্ষ করা যায়। যা বিষয় খুব খারাপ ফিল করাই তাই আজ জেনে নিন কিভাবে ঘোরোয়া উপায়ে নিম পাতা ব্যবহার করার মাধ্যমে মুখের তৈলাক্ততা দুর করতে পারি।

 প্রথমে আমাদের যা করতে হবে সেই টা হল নিম পাতার কিছু পরিমান পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে এবং সেইটা মুখে কিছু ক্ষন লাগিয়ে রাখতে হবে। এতে করে মুখের ত্বকে লুকিয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে সাথে মুখের লাবণ্যতা ও বেড়ে যাবে।

নিম পাতার উপকারিতা

নিম গাছ একটি বিশেষ উপকারি ঔষধি মুলক গাছ এ আমরা সকলেই জানি। নিম গাছের সাথে নিম পাতার গুরুত্বও অনেক তাই আজ নিম পাতার উপকারিতা নিয়েই থাকতেছে কিছু আলোচনা প্রথম আমরা জানি নিম পাতা বিশেষ উপকারি হিসেবে ভূমিকা পালন করে আসতেছে যাই নিম পাতার উপকারিতা নিম্নে তুলে ধরা হলো 

মুখে ব্রণ ভালো করতে সাহায্য করে,চর্মীরোগে বিশেষ উপকারি, আমাদের মাথার চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে, এলার্জি কমতে সাহায্য করে , কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে, পুরনো জ্বর থাকলে সেইটা ভালো করতে সাহায্য করে, পেট পরিস্কার রাখতে সাহায্য করে, দেহের তাপমাত্রা ঠান্ডা রাখে, দাঁতেরর গোড়া মজবুত রাখতে সাহায্য করে বিশুদ্ধ অক্সিজেন দেই। এসব ছাড়াও নিম পাতা আমাদের অনেক উপকার করে।

চুলের জন্য নিম পাতার উপকারিতা

বর্তমান আমাদের মাথার চুল ঝড়ে যাওয়া, অকালে পেকে যাওয়া, মাথায় খুাসকি, ইত্যাদি সমস্যা লেগেই আছে তাই এসব থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন খুব সহজেই ঘোরোয়া কিছু পদ্ধতিত অবলম্বন করেই। সেই ঘোরোয়া উপায়টিই হচ্ছে নিম পাতার ব্যবহার। 

নিম পাতার পেস্ট বানিয়ে যদি আমরা কয়েক সপ্তাহ মাথায় ব্যাবহার করি তার সাথে অধিক সুবিধা পেতে পেঁয়াজের ও পেস্ট যা চুল গজানো এবং রোধ দুটোই কাজ করে।তাই পরিশেষে বলা চলে যে নিম পাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঔষধি সর্ম্পন্ন পাতা।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url