মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় - সন্দেহ রোগ থেকে মুক্তির উপায়

মানসিক সমস্যা বলতে খুব সাধারণভাবে বলতে পাড়ি কোনো ব্যাক্তির অস্বাভাবিক আচরণকে বুঝায় ।মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় জানার মাধ্যমে আমরা মানসিক সমস্যা দূর করতে পাড়ি।
মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়
মানসিক সমস্যায় কেউ আক্রান্ত হলে তাকে মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে বের করতে হয়। তাই আজ এই পোস্টে জানুন মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় সমূহ 

সূচিপত্রঃ  মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় - সন্দেহ রোগ থেকে মুক্তির উপায়

 মানসিক রোগ কি 

মানসিক সমস্যা বলতে খুব সাধারণভাবে  বলতে পাড়ি কোনো ব্যাক্তির অস্বাভাবিক আচরণ বিধিনিষেধ গুলোকে বুঝায়। তবে কেউ মানসিক রোগী হলেই আমরা সরাসরি তাদের পাগল বলতে পাড়ি না এইটা ভুল করা হবে। কোনো ব্যাক্তি নানা বিপর্যস্ত পরিবেশের পরিস্থিতিতে নিজেকে নিজের বিরুদ্ধে জোর পূর্বক মোকাবিলা করার চেষ্টায় আস্তে আস্তে সে অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করে যেমন 

প্রথম পর্য়ায়ে কেউ ডাকলে না সাড়া দেওয়া, নিজেকে সবার মাঝ থেকে দূুরে বা গুটিয়ে রাখা, নিত্যদিনের কাজে অমনোযোগী (ব্রাশ না করা,নিজের কাজের জায়গা অপরিষ্কার রাখা,খাবারে আরুচি, রাতে না ঘুমানো,) কেউ কিছু বললে না বুঝেই অকারণে উত্তেজিত হয়ে যাওয়া, সারাক্ষণ মেজাজ খিটখিটে রাখা, সবার সাথে অগ্রহমেজাজ নিয়ে যোগাযোগ স্থাপন করা,এমন অস্বাভাবিক আচরণ যদি কেউ দুই সপ্তাহের অধিক পরিলক্ষিত হয় তবে সে মানসিক রোগি বলে বিবেচিত হবে 

কেউ মানসিক রোগে আক্রান্ত হলে বা আমরা বুঝতে পারলে তাকে অবহেলা না করে তাকে স্বাভাবিক ভালোবাসা বৃদ্ধির মাধ্যমে মেডিটেশনে মানসিক বিশেজ্ঞদের নিকটে কাউন্সেলিং করানো ব্যাবস্থা করতে হবে। মনে রাখতে তাদের নিকট বন্ধুসুলভ সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। 

মানসিক রোগের প্রকারভেদ 

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব সাথে সামাজিক জীবও তাই সামাজিক বসবাসরত অবস্থায় নানা ধরনের বাধাবিপত্তি মধ্যে দিয়ে যাইতে হয়, অধিক কাজের চাপ, সাংসারিক দুর্চিন্তা,কুসংঙ্গ, সারাক্ষণ কাজের মাঝে থাকা, অতিউচ্চমাত্রায় শব্দের মাঝে বসবাস করা, ইত্যাদি কারণে একজন সুস্থ মানুষ আস্তে আস্তে স্বাভাবিক আচরণ থেকে দূরে সরে যায়, যার ফলে তার আচরণ সমাজের চোখে উঠে অস্বাভাবিক। মানুসিক রোগ বলে কিছু নেই কেবল একটি সুস্থ মানুষের অস্বাভাবিক আচরণের প্রতিছবি মাত্র।

এই আস্বাভবিক আচার-আচরণ আবার প্রথম পযার্য়ে অল্প মাত্রায় থাকে তেমন কোনো বিশৃঙ্খলা দেখা যায় না কিন্তু এমন অবস্থায় কোনো সুচিকিৎসা না হলে অস্বাভাবিক আচনের অতি উচ্চমাত্রার রুপ ধারণ করে। তখন আর কোনো কিছু ব্যাক্তির নিয়ন্ত্রণে থাকে না। অবশেষে কোনো মেন্টাল হসপিটালে নিতে হয়। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে মানসিক রোগকে মূলত দুইটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে 
১, নিউরোটিক
২,সাইকোসিস 

নিউরোটিক মানসিক সমস্যা 


মানসিক রোগের একটি সাধারণ পর্যায়ে পড়ে। পৃথিবীতে এই রোগের শিকার লক্ষাধিক ব্যাক্তি। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব সাথে সামাজিক জীবও তাই সামাজিক বসবাসরত অবস্থায় নানা ধরনের বাধাবিপত্তি মধ্যে দিয়ে যাইতে হয়, অধিক কাজের চাপ, সাংসারিক দুর্চিন্তা,কুসংঙ্গ, সারাক্ষণ কাজের মাঝে থাকা, অতিউচ্চমাত্রায় শব্দের মাঝে বসবাস করা, ইত্যাদি কারণে একজন সুস্থ মানুষ আস্তে আস্তে স্বাভাবিক আচরণ থেকে দূরে সরে যায়, যার ফলে তার আচরণ সমাজের চোখে উঠে অস্বাভাবিক।

সাইকোসিস মানসিক সমস্যা 


মানসিক সমস্যা গুলোর মধ্যে এটি একটি ভয়ানক সমস্যা হলো সাইকোসিস মানসিক সমস্যা। এই সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া সমম্ভ নয়। সাইকোসিস সমস্যা মুলত হয়ে থাকে একটি সুস্থ সম্পর্কের কনভারসন ডিস-অর্ডারের এর ফলে সাথে, সিজোফ্রেনিয়া  ইত্যাদি। বাংলাদেশের এই রোগীর সংখ্যা তুলনা মুলকভাবে একটু বেশি বলা চলে এদেশে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষাধিক ব্যাক্তি এ রোগে আক্রান্ত। 

এরোগের সঠিক কারণ এখনো পর্যন্ত আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়নি তবে বিশেষজ্ঞরা এই সাইকোসিস রোগের কারণ হিসেবে নানা কারন চিহ্নিত করেছে, বংশগত সমস্যা, জেনেটিক সমস্যা, মাদকে আসক্ত অধিক দিন, পরিবেশের বিরূপ প্রভাব, ইন্টারনেট অধিক দিন যাবত আসক্ততা, মস্তিষ্কের গঠনের আকৃতি সমস্যার, কিডনিজনিত সমস্যা, দীর্ঘদিন যাবত পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, দীর্ঘদিন যাবত অতিরিক্ত কাজের অধিক চাপে নিজেকে রাখলে, 

এছাড়াও দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পেলে, মৃগীরোগ, ব্রেইনে টিউমারের সমস্যা, ডায়াবেটিকস ইত্যাদি  করণ চিহ্নিত করেছে সাইকোসিস মেন্টাল সমস্যার রোগের কারণ হিসেবে। 

মানসিক রোগের লক্ষণ ঃ

 মানসিক বলতে আমরা কোনো ব্যাক্তির অস্বাভাবিক আচারণকে বুঝায়। কোনো ব্যাক্তি মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ছে কি না তা তার আচার-আচরণ মাঝেই বুঝা সম্ভব। নিম্নোক্ত কিছু মানসিক রোগের লক্ষণ তুলে ধরা হলো 
  • সকলের সাথে অস্বাভাবিক ভাবে কড়া মেজাজে কথা বলা। 
  • সকলের থেকে নিজেকে অনেক দিন যাবত গুটিয়ে রাখা। 
  • কেউ ডাকলে দেরিতে বা না সাড়া দেওয়া। 
  • কথা বলার মাঝে অকারণে উত্তেজিত হয়ে উঠা। 
  • একটানা দুই সপ্তাহের বেশি মন খারাবে ভুগা।
  • যেকোনো কাজে অমনোযোগী এবং কাজে অনিহা। 
  • প্রতিদিনের সকল প্রয়োজনীয় কাজে অমনোযোগী। 
  • সকল সামাজিক কাজে অংশ গ্রহণ থেকে নিজেকে বিরত থাকা।
  • নিয়মিত সময়ে না ঘুমানো এবং দেরিতে ঘুম থেকে উঠা। 
  • প্রতিদিন ব্রাশ এবং স্নানে অবহেলা করা
  • সমাজ থেকে দূরে গিয়ে বসবাস করতে চাওয়া এমন মনোভাব সৃষ্টি হওয়া।
  • সকল কাজে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পাওয়া। 
  • প্রতিদিনের কাজকর্মের অনিহা এবং খাবারের প্রতি অরুচি দিন দিন বৃদ্ধি। 
  • সারাক্ষণ খারাব চিন্তা-ভাবনা মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকা। 

সন্দেহ রোগ থেকে মুক্তির উপায়

বর্তমান যুগ ইন্টারনেটের যুগ। দিনে দিনে বাড়ছে অপ্রয়োজনীয় সম্পর্ক।বাড়তছে ইতিবাচক করে আবেগ অনুভূতি ভালবাসা। দিন দিন সম্পর্কে দেখা দিচ্ছে সম্পর্কে নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা। স্বামী স্ত্রী ভালোবাসার মধ্যে তৈরি হচ্ছে বিভেদ। সম্পর্কে অল্প কিছুতেই টানাপোড়া পড়ে যাচ্ছে। এর মূল কারণে হচ্ছে সন্দেহ প্রবণতা। ওডিসির সমস্যার করণেও সন্দেহ প্রবনতা দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়। আমাদের অধিকাংশ সন্দেহ অযৌক্তিক।

 প্রথমে আমাদের বিবেচনা করতে হবে যে যেকারণে আমি সন্দেহ করছি তার সেই বিষয়ে কতটুকু যৌক্তিকতা রয়েছে। আমি কেন সেই বিষয়ে সন্দেহ করছি কারণে না নাকি অকারণে এই টা আগে চিহ্নিত করতে হবে। আমি কি একজনকে সন্দেহ করছি নাকি সকলকেই সন্দেহ করছি সেইটাও চিহ্নিত করতে হবে। কেবল সন্দেহ প্রবণতার কারণেই হাজারো সম্পর্কে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তাই আমাদের নিজেদের বা প্রিয় মানুষদের মাঝে সন্দেহ প্রবণতা আছে কিনা তা চিহ্নিত করতে হবে।

এবং যদি কোনো কারণে সন্দেহ প্রবণতার উপস্থিত লক্ষ করা যায় তাহলে তাকে সন্দেহ প্রবণতার কুফল সম্পর্কে  ভালোভাবে বুঝাতে হবে নয়তো কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ বা কাউন্সিলের আত্রায় আনতে হবে। আজ বর্তমান সময়ে অনেক বৈবাহিক সম্পর্ক থেকে শুরু করে বাবা-মা, বড়ভাই-ছোটভাই, প্রিয়জন নানা সম্পর্কের অকারণেই সন্দেহ প্রবণতা বিভেদ সৃষ্টি করছি। তাই সন্দেহ প্রবণতার কুফল সম্পর্কে সকলকেই সচেতন করতে হবে। সকল সম্পর্কের মঝেই ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করতে হবে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url